
ঢাবি প্রতিনিধি

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের ওপর হওয়া হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় নিজেদের দুই নেতাকর্মীকে আসামি করার ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় ছাত্র সমাজ।
সংগঠনটি বলছে, ওই ঘটনায় রমনা থানায় ছাত্র অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক আখতারুজ্জামান সম্রাট যে মামলা করেছেন, তাতে কোনো ধরনের তথ্য প্রমাণ যাচাই-বাছাই ছাড়াই তাদের দুজন নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। ছাত্র পরিষদের এ কর্মকাণ্ড ভবিষ্যতের ঐক্যে ফাটল ধরাবে বলেও মন্তব্য করেন সংগঠনের আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম।
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মধুর ক্যানটিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই তিনি লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
সাইফুল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ভিপি নুরুল হক নুরসহ সংগঠনটির নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর বাংলাদেশ জাতীয় ছাত্র সমাজ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। পরে কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের নেতৃত্বে জাতীয় ছাত্র সমাজের নেতাকর্মীরা একাধিকবার হাসপাতালে গিয়ে নুরুল হক নুরসহ আহত নেতাকর্মীদের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, নুরের ওর হামলার ঘটনায় যে মামলা হয়েছে তাতে কোনো তথ্যপ্রমাণ বা যাচাই-বাছাই ছাড়াই ৬ নম্বর আসামি করা হয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় ছাত্র সমাজ ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি মশিউর রহমান জিসানকে, ১১ নম্বর আসামি করা হয়েছে একই শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক তাসনিম বিন আজিজকে।
সাইফুল বলেন, আমরা বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদ ও ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তারা তাৎক্ষণিকভাবে জানিয়েছেন, মামলার বিষয়ে তারা অবগত নন এবং বিষয়টি বিস্তারিত জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
সংবাদ সম্মেলনে সাইফুল ইসলাম বলেন, গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশে, আমরা চেয়েছিলাম রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে একটি ঐক্য বিরাজমান থাকবে। ফ্যাসিবাদী শক্তি এবং তাদের দোসরদের বাদ দিয়ে যারা মূলত গণঅভ্যুত্থানের পক্ষে শক্তি ছিল, আমরা সবসময় রাষ্ট্র ও সার্বভৌমত্বের স্বার্থে ঐক্য ধরে রাখার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি।
তিনি আরও বলেন, সে ধারাবাহিকতা এখনো অব্যাহত রয়েছে এবং সে ব্যাপারে আমরা যথেষ্ট আন্তরিক। কিন্তু গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশে যখন এ ধরনের ঘটনা ঘটে তখন আমরা ব্যথিত হই এবং মর্মাহত হই। বিশেষ করে যে ছাত্র অধিকার পরিষদ সবসময় রাজপথে স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে গেছে এবং গণঅভ্যুত্থানে সুস্পষ্ট ভূমিকা রেখেছে, তাদের এ ধরনের কর্মকাণ্ড আমাদের কষ্ট দেয়।
জাতীয় ছাত্র সমাজের এই নেতা বলেন, আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগের পর ভেবেছিলাম তারা একটি সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দেবেন। কিন্তু আমরা এখনো কোনো ব্যাখ্যা পাইনি। নুরুল হক নুর আমাদের জানিয়েছিলেন, তিনি নাম প্রত্যাহার করবেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত তারা ভুল স্বীকার করেননি কিংবা নাম প্রত্যাহার করেননি। আমরা আশা করেছিলাম, ছাত্র অধিকার পরিষদ একটি অফিশিয়াল প্রেস ব্রিফিং অথবা প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে অন্তত ভুলটি স্বীকার করবে। কিন্তু প্রায় তিন দিন হলেও কোনো ব্যাখ্যা না পেয়ে আমরা মনে করছি এটি জাতির সামনে খোলাসা করা দরকার। গণঅধিকার পরিষদ তথা ছাত্র অধিকার পরিষদের এ কর্মকাণ্ড ভবিষ্যতের ঐক্যে ফাটল ধরাবে।
মামলার ছয় নম্বর আসামি মশিউর রহমান জিসান বলেন, নুরুল হক নুরের ওপর হামলার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) সভাপতি ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থর নির্দেশনায় আমরা প্রতিবাদ জানিয়েছি এবং হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনার দাবি করেছি। কিন্তু দুঃখের বিষয়, ঠিক সেই মামলাতেই আমাকে আসামি করা হয়েছে। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক।
জিসান আরও বলেন, ২০১৮ সালের পর থেকে আমরা একসঙ্গে আন্দোলন করেছি, সংগ্রাম করেছি। বিশেষ করে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে একসঙ্গে ছিলাম। ছাত্র অধিকার পরিষদের সঙ্গেও আমাদের সম্পর্ক ভালো ছিল। কিন্তু গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে এ মিথ্যা মামলার শিকার হওয়া আমাদের জন্য লজ্জাজনক। রাজনৈতিক জীবনের পাশাপাশি আমাদের পারিবারিক ও সামাজিক জীবনও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের ওপর হওয়া হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় নিজেদের দুই নেতাকর্মীকে আসামি করার ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় ছাত্র সমাজ।
সংগঠনটি বলছে, ওই ঘটনায় রমনা থানায় ছাত্র অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক আখতারুজ্জামান সম্রাট যে মামলা করেছেন, তাতে কোনো ধরনের তথ্য প্রমাণ যাচাই-বাছাই ছাড়াই তাদের দুজন নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। ছাত্র পরিষদের এ কর্মকাণ্ড ভবিষ্যতের ঐক্যে ফাটল ধরাবে বলেও মন্তব্য করেন সংগঠনের আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম।
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মধুর ক্যানটিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই তিনি লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
সাইফুল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ভিপি নুরুল হক নুরসহ সংগঠনটির নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর বাংলাদেশ জাতীয় ছাত্র সমাজ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। পরে কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের নেতৃত্বে জাতীয় ছাত্র সমাজের নেতাকর্মীরা একাধিকবার হাসপাতালে গিয়ে নুরুল হক নুরসহ আহত নেতাকর্মীদের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, নুরের ওর হামলার ঘটনায় যে মামলা হয়েছে তাতে কোনো তথ্যপ্রমাণ বা যাচাই-বাছাই ছাড়াই ৬ নম্বর আসামি করা হয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় ছাত্র সমাজ ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি মশিউর রহমান জিসানকে, ১১ নম্বর আসামি করা হয়েছে একই শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক তাসনিম বিন আজিজকে।
সাইফুল বলেন, আমরা বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদ ও ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তারা তাৎক্ষণিকভাবে জানিয়েছেন, মামলার বিষয়ে তারা অবগত নন এবং বিষয়টি বিস্তারিত জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
সংবাদ সম্মেলনে সাইফুল ইসলাম বলেন, গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশে, আমরা চেয়েছিলাম রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে একটি ঐক্য বিরাজমান থাকবে। ফ্যাসিবাদী শক্তি এবং তাদের দোসরদের বাদ দিয়ে যারা মূলত গণঅভ্যুত্থানের পক্ষে শক্তি ছিল, আমরা সবসময় রাষ্ট্র ও সার্বভৌমত্বের স্বার্থে ঐক্য ধরে রাখার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি।
তিনি আরও বলেন, সে ধারাবাহিকতা এখনো অব্যাহত রয়েছে এবং সে ব্যাপারে আমরা যথেষ্ট আন্তরিক। কিন্তু গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশে যখন এ ধরনের ঘটনা ঘটে তখন আমরা ব্যথিত হই এবং মর্মাহত হই। বিশেষ করে যে ছাত্র অধিকার পরিষদ সবসময় রাজপথে স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে গেছে এবং গণঅভ্যুত্থানে সুস্পষ্ট ভূমিকা রেখেছে, তাদের এ ধরনের কর্মকাণ্ড আমাদের কষ্ট দেয়।
জাতীয় ছাত্র সমাজের এই নেতা বলেন, আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগের পর ভেবেছিলাম তারা একটি সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দেবেন। কিন্তু আমরা এখনো কোনো ব্যাখ্যা পাইনি। নুরুল হক নুর আমাদের জানিয়েছিলেন, তিনি নাম প্রত্যাহার করবেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত তারা ভুল স্বীকার করেননি কিংবা নাম প্রত্যাহার করেননি। আমরা আশা করেছিলাম, ছাত্র অধিকার পরিষদ একটি অফিশিয়াল প্রেস ব্রিফিং অথবা প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে অন্তত ভুলটি স্বীকার করবে। কিন্তু প্রায় তিন দিন হলেও কোনো ব্যাখ্যা না পেয়ে আমরা মনে করছি এটি জাতির সামনে খোলাসা করা দরকার। গণঅধিকার পরিষদ তথা ছাত্র অধিকার পরিষদের এ কর্মকাণ্ড ভবিষ্যতের ঐক্যে ফাটল ধরাবে।
মামলার ছয় নম্বর আসামি মশিউর রহমান জিসান বলেন, নুরুল হক নুরের ওপর হামলার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) সভাপতি ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থর নির্দেশনায় আমরা প্রতিবাদ জানিয়েছি এবং হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনার দাবি করেছি। কিন্তু দুঃখের বিষয়, ঠিক সেই মামলাতেই আমাকে আসামি করা হয়েছে। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক।
জিসান আরও বলেন, ২০১৮ সালের পর থেকে আমরা একসঙ্গে আন্দোলন করেছি, সংগ্রাম করেছি। বিশেষ করে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে একসঙ্গে ছিলাম। ছাত্র অধিকার পরিষদের সঙ্গেও আমাদের সম্পর্ক ভালো ছিল। কিন্তু গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে এ মিথ্যা মামলার শিকার হওয়া আমাদের জন্য লজ্জাজনক। রাজনৈতিক জীবনের পাশাপাশি আমাদের পারিবারিক ও সামাজিক জীবনও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

হাসনাত বলেন, ‘টকশোতে এতদিন আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগীরা আওয়ামী লীগের পক্ষে বৈধতা উৎপাদন করেছে। গত দুই দিনে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম আবারও স্পষ্ট হয়েছে তাদের বৈধতা দেওয়া সম্ভব না।’
১৮ ঘণ্টা আগে
খন্দকার মোশাররফ বলেন, প্রায় এক বছরব্যাপী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার ভিত্তিতে 'নোট অব ডিসেন্টসহ ঐকমত্যের ভিত্তিতে রচিত জুলাই জাতীয় সনদ গত ১৭ অক্টোবর স্বাক্ষরিত হয়। দেশের সংবিধান ও আইন অনুযায়ী সেই সনদ বাস্তবায়নে সব পক্ষ অঙ্গীকারবদ্ধ থাকে।
১৯ ঘণ্টা আগে
দলটির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের দেওয়া এক ফেসবুক পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। পোস্টে তিনি লিখেন, ডা. তাসনিম জারা ঢাকা-৯ (খিলগাঁও, মুগদা, সবুজবাগ, মান্ডা)।
২০ ঘণ্টা আগে
ফখরুল বলেন, ‘দীর্ঘ ৯ মাস সংস্কারের নামে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ আলোচনার পরও অমীমাংসিত বিষয়গুলো চাপিয়ে দিতে চাইলে এর দায় অন্তর্বর্তী সরকারকে নিতে হবে।’
২০ ঘণ্টা আগে