ডাকসুর ব্যালট নীলক্ষেতে ছাপার খবরে ঢাবিতে বিক্ষোভ

ঢাবি প্রতিনিধি
ডাকসু নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে ঢাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। ছবি: রাজনীতি ডটকম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ করছেন কয়েকজন শিক্ষার্থী। ওই নির্বাচনের ব্যালট নীলক্ষেত এলাকা থেকে ছাপানো হয়েছে বলে একটি গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে তারা বিক্ষোভ শুরু করেন। এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্তৃপক্ষ বারবার দাবি করেছে, নীলক্ষেত থেকে ব্যালট ছাপা হয়নি।

বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে ঢাবি উপচার্যের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাদের ‘ভিসি স্যার জানেন নাকি, নীলক্ষেতের নায়ক আপনি’, ‘নীলক্ষেত না ডাকসু, নীলক্ষেত নীলক্ষেত’, ‘ভিসি না নীলক্ষেত, নীলক্ষেত-নীলক্ষেত’সহ নানা স্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা।

বিক্ষোভকারীরা বলেন, আমরা দেখতে পেয়েছি, ঢাবির বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ও অনেক স্বতন্ত্র প্রার্থী ডাকসু নির্বাচনে সূক্ষ্ম কারচুপির অভিযোগ জানিয়েছে। তারা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বলেছিল, ব্যালট কোথায় ছাপা হয়েছে তারা জানতে চান। ভোটার তালিকাও চাওয়া হয়।

বিক্ষোভকারীদের একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী এম এ মহমিতুর রহমান পিয়াল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলেছিল, নীলক্ষেতে জ্যান্ত মানুষ বানানো সম্ভব হলেও ব্যালট পেপার নীলক্ষেত থেকে ছাপানো হয়নি। সেটি অত্যন্ত গোপনীয় বলে কর্তৃপক্ষ ব্যালট ছাপানোর স্থান প্রকাশ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

মহমিতুর আরও বলেন, কিন্তু আজ আমরা খবরে দেখলাম, বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ভোট হয়েছে সেই ব্যালটগুলো সম্পূর্ণভাবে নীলক্ষেত থেকেই ছাপানো হয়েছিল। এমনকি যে ব্যবসায়ী ছাপার কাজ করেছেন তিনি নিজেই বলেছেন, তিনি কখনো অনৈতিক কাজে না জড়ালেও ঢাবি প্রশাসন তাকে ‘অনৈতিক কাজ’ করতে বাধ্য করেছে।

ঢাবি প্রশাসন তথ্য গোপনের মাধ্যমে ডাকসু নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ লুকানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন বিক্ষোভকারীরা। মহমিতুর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বারবার ভোটার তালিকা প্রদর্শন কিংবা গোপনীয়তার নিয়ম দেখিয়ে ব্যালট কোথায় ছাপা হয়েছে তা বলছে না।

তিনি আরও বলেন, আমরা মনে করি, প্রশাসন সূক্ষ্ম কারচুপির মাধ্যমে একটি পরিকল্পিত নির্বাচন (ইঞ্জিনিয়ার্ড ইলেকশন) আয়োজন করেছে এবং সেটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। তবে সর্বশেষ গণমাধ্যমের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বিষয়টি অনেকটাই বের হয়ে আসছে। আমরা বিশ্বাস করি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সচেতন শিক্ষার্থী ও সমস্ত ছাত্র সংগঠন একসঙ্গে এর প্রতিবাদ জানাবে।

এ সময় অন্য বিক্ষোভকারীরাও বলেন, অনেকেই অভিযোগ দিয়েছে, যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। প্রতিটি অভিযোগ একেক রকম। কিন্তু সব অভিযোগই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অগ্রাহ্য করেছে। আমরা দেখেছি, প্রতিটি অভিযোগেরই কিছু না কিছু ভিত্তি আছে। আমরা আশা করব, অধিকতর তদন্তের মাধ্যমে সব অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত হবে। সেই তদন্তের ভিত্তিতে আমরা আমাদের পরবর্তী কার্যক্রম এগিয়ে নেব।

ad
ad

রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

'যারা সংস্কারের বিপক্ষে তাদের সঙ্গে কোনো জোট নয়'

হাসনাত বলেন, ‘টকশোতে এতদিন আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগীরা আওয়ামী লীগের পক্ষে বৈধতা উৎপাদন করেছে। গত দুই দিনে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম আবারও স্পষ্ট হয়েছে তাদের বৈধতা দেওয়া সম্ভব না।’

২০ ঘণ্টা আগে

স্বাক্ষরিত জুলাই সনদের বাইরের সিদ্ধান্ত মানতে বাধ্য নয় দলগুলো: বিএনপি

খন্দকার মোশাররফ বলেন, প্রায় এক বছরব্যাপী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার ভিত্তিতে 'নোট অব ডিসেন্টসহ ঐকমত্যের ভিত্তিতে রচিত জুলাই জাতীয় সনদ গত ১৭ অক্টোবর স্বাক্ষরিত হয়। দেশের সংবিধান ও আইন অনুযায়ী সেই সনদ বাস্তবায়নে সব পক্ষ অঙ্গীকারবদ্ধ থাকে।

২১ ঘণ্টা আগে

বিএনপির ফাঁকা রাখা ঢাকা-৯ আসনে তাসনিম জারা

দলটির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের দেওয়া এক ফেসবুক পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। পোস্টে তিনি লিখেন, ডা. তাসনিম জারা ঢাকা-৯ (খিলগাঁও, মুগদা, সবুজবাগ, মান্ডা)।

২১ ঘণ্টা আগে

ভোট হলে জামায়াতের অস্তিত্ব থাকবে না: মির্জা ফখরুল

ফখরুল বলেন, ‘দীর্ঘ ৯ মাস সংস্কারের নামে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ আলোচনার পরও অমীমাংসিত বিষয়গুলো চাপিয়ে দিতে চাইলে এর দায় অন্তর্বর্তী সরকারকে নিতে হবে।’

২১ ঘণ্টা আগে