অয়ন আমান
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো রাজনৈতিক দলের এককভাবে অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা কমে আসছে। প্রায় সব দলই জোট বা আসন সমঝোতার ভিত্তিতে নির্বাচনে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এতে করে রাজনৈতিক অঙ্গনে একাধিক জোট গঠনের তৎপরতা দেখা যাচ্ছে। এটিকে শক্তি প্রদর্শন হিসেবেই দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
তারা বলছেন, জোট করে শক্তি প্রদর্শন করা রাজনীতির একটা রীতি। ভোটের রাজনীতিতে জোটের কোনো প্রভাব মূলত থাকে না। জোটের লাভ হয় ছোট দলগুলোর। কারণ তারা ক্ষমতার বৃত্তি থাকতে চান। বড় দলের সঙ্গে জোট করে কয়েকটা আসন পাওয়াই ছোট দলগুলোর চাওয়া।
জোটের বিষয়গুলো এখনো চূড়ান্ত নয় বলে রাজনীতি ডটকমকে জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাব্বির আহমেদ।
তিনি বলেন, নির্বাচন ঘিরে জোটের আলোচনা চলছে। জোট যতটা না ভোটের জন্য তার চেয়ে বেশি শক্তি প্রদর্শনের জন্য। যারা জোটে আসেন তাদের লাভ।
সাব্বির আহমেদ বলেন, কয়টি জোট হতে পারে বা কোন দল কীভাবে শক্তি প্রদর্শন করবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। কারণ দলগুলোর মধ্যে বিষয়টি এখনো আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে।
বিএনপি সমমনা ডান-বাম ও ইসলামী দলগুলো নিয়ে একটি বড় জোট গঠনের পরিকল্পনা করছে। এলডিপি, জেএসডি, নাগরিক ঐক্য, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণফোরামসহ প্রায় ২০টি দল বিএনপির সম্ভাব্য জোটে থাকতে পারে। বিএনপির একাধিক সূত্র জানিয়েছে, দলটি নির্বাচনে জয়ী হলে জাতীয় ঐকমত্যের সরকার গঠনের চিন্তা করছে।
তবে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪-দলীয় জোটের নির্বাচনে অংশগ্রহণ এখনও অনিশ্চিত। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন দলটির বিরুদ্ধে একাধিক মামলা বিচারাধীন থাকায় এবং তৃণমূলে দলটির দুর্বলতা নিয়ে প্রশ্ন থাকায় তাদের অবস্থান পরিষ্কার নয়।
তবে নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জাতীয় পার্টির সম্পর্ক কেমন হবে, আসন ভাগাভাগি হবে কিনা অথবা জাপা আলাদাভাবে নির্বাচন করবে কিনা-তা এখন পর্যন্ত স্পষ্ট নয়।
জানতে চাইলে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের রাজনীতি ডটকমকে বলেন, ৩০০ আসনের প্রার্থী দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে জাতীয় পার্টি। আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন সমঝোতা হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে কোনো আলোচনা এখন পর্যন্ত হয়নি। তবে নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অনেক ধরনের পরিবর্তন আসবে।
একই সময়ে ইসলামপন্থি দলগুলো, বিশেষ করে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলন, পৃথক 'বৃহত্তর ইসলামি জোট' গঠনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক হেফাজতে ইসলামসহ একাধিক দলের সঙ্গে ঐক্যমত্য গড়ে উঠেছে এবং আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচনি আসন ভাগাভাগির পথে এগোচ্ছে।
নতুন রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশের চেষ্টা করছে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি। উদারপন্থি দলগুলোকে নিয়ে তারা একটি বড় জোট গড়তে চায়, যার মধ্যে গণসংহতি আন্দোলন, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন ও গণঅধিকার পরিষদও থাকতে পারে। এনসিপি ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা দিয়েঁছে। পাশাপাশি ৪০-৫০টি আসনে বিএনপির সঙ্গে আসন সমঝোতা হতে পারে।
জোটের বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ জাসদ সভাপতি শরীফ নূরুল আম্বিয়া রাজনীতি ডটকমকে বলেন, বৈষম্যমুক্ত সমাজ ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একটা প্লাটফর্ম গড়ে তোলা এখন সময়ের দাবি। এই লক্ষ্যে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।
বামপন্থি দলগুলোও ‘যুক্তফ্রন্ট’ নামে একটি জোট গঠনের চেষ্টা করছে। এতে সিপিবি, বাসদ, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ, নাগরিক ঐক্য ও অন্যান্য সংগঠন যুক্ত হতে পারে। এরা একযোগে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার চিন্তা করছে।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে দেশে অন্তত পাঁচটি প্রধান রাজনৈতিক জোট নির্বাচনী লড়াইয়ে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে চূড়ান্ত জোট গঠন এবং প্রার্থী তালিকা তফসিল ঘোষণার পরই স্পষ্ট হবে।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো রাজনৈতিক দলের এককভাবে অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা কমে আসছে। প্রায় সব দলই জোট বা আসন সমঝোতার ভিত্তিতে নির্বাচনে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এতে করে রাজনৈতিক অঙ্গনে একাধিক জোট গঠনের তৎপরতা দেখা যাচ্ছে। এটিকে শক্তি প্রদর্শন হিসেবেই দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
তারা বলছেন, জোট করে শক্তি প্রদর্শন করা রাজনীতির একটা রীতি। ভোটের রাজনীতিতে জোটের কোনো প্রভাব মূলত থাকে না। জোটের লাভ হয় ছোট দলগুলোর। কারণ তারা ক্ষমতার বৃত্তি থাকতে চান। বড় দলের সঙ্গে জোট করে কয়েকটা আসন পাওয়াই ছোট দলগুলোর চাওয়া।
জোটের বিষয়গুলো এখনো চূড়ান্ত নয় বলে রাজনীতি ডটকমকে জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাব্বির আহমেদ।
তিনি বলেন, নির্বাচন ঘিরে জোটের আলোচনা চলছে। জোট যতটা না ভোটের জন্য তার চেয়ে বেশি শক্তি প্রদর্শনের জন্য। যারা জোটে আসেন তাদের লাভ।
সাব্বির আহমেদ বলেন, কয়টি জোট হতে পারে বা কোন দল কীভাবে শক্তি প্রদর্শন করবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। কারণ দলগুলোর মধ্যে বিষয়টি এখনো আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে।
বিএনপি সমমনা ডান-বাম ও ইসলামী দলগুলো নিয়ে একটি বড় জোট গঠনের পরিকল্পনা করছে। এলডিপি, জেএসডি, নাগরিক ঐক্য, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণফোরামসহ প্রায় ২০টি দল বিএনপির সম্ভাব্য জোটে থাকতে পারে। বিএনপির একাধিক সূত্র জানিয়েছে, দলটি নির্বাচনে জয়ী হলে জাতীয় ঐকমত্যের সরকার গঠনের চিন্তা করছে।
তবে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪-দলীয় জোটের নির্বাচনে অংশগ্রহণ এখনও অনিশ্চিত। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন দলটির বিরুদ্ধে একাধিক মামলা বিচারাধীন থাকায় এবং তৃণমূলে দলটির দুর্বলতা নিয়ে প্রশ্ন থাকায় তাদের অবস্থান পরিষ্কার নয়।
তবে নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জাতীয় পার্টির সম্পর্ক কেমন হবে, আসন ভাগাভাগি হবে কিনা অথবা জাপা আলাদাভাবে নির্বাচন করবে কিনা-তা এখন পর্যন্ত স্পষ্ট নয়।
জানতে চাইলে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের রাজনীতি ডটকমকে বলেন, ৩০০ আসনের প্রার্থী দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে জাতীয় পার্টি। আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন সমঝোতা হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে কোনো আলোচনা এখন পর্যন্ত হয়নি। তবে নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অনেক ধরনের পরিবর্তন আসবে।
একই সময়ে ইসলামপন্থি দলগুলো, বিশেষ করে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলন, পৃথক 'বৃহত্তর ইসলামি জোট' গঠনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক হেফাজতে ইসলামসহ একাধিক দলের সঙ্গে ঐক্যমত্য গড়ে উঠেছে এবং আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচনি আসন ভাগাভাগির পথে এগোচ্ছে।
নতুন রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশের চেষ্টা করছে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি। উদারপন্থি দলগুলোকে নিয়ে তারা একটি বড় জোট গড়তে চায়, যার মধ্যে গণসংহতি আন্দোলন, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন ও গণঅধিকার পরিষদও থাকতে পারে। এনসিপি ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা দিয়েঁছে। পাশাপাশি ৪০-৫০টি আসনে বিএনপির সঙ্গে আসন সমঝোতা হতে পারে।
জোটের বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ জাসদ সভাপতি শরীফ নূরুল আম্বিয়া রাজনীতি ডটকমকে বলেন, বৈষম্যমুক্ত সমাজ ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একটা প্লাটফর্ম গড়ে তোলা এখন সময়ের দাবি। এই লক্ষ্যে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।
বামপন্থি দলগুলোও ‘যুক্তফ্রন্ট’ নামে একটি জোট গঠনের চেষ্টা করছে। এতে সিপিবি, বাসদ, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ, নাগরিক ঐক্য ও অন্যান্য সংগঠন যুক্ত হতে পারে। এরা একযোগে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার চিন্তা করছে।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে দেশে অন্তত পাঁচটি প্রধান রাজনৈতিক জোট নির্বাচনী লড়াইয়ে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে চূড়ান্ত জোট গঠন এবং প্রার্থী তালিকা তফসিল ঘোষণার পরই স্পষ্ট হবে।
ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যাকাণ্ডের পর যত সমালোচনা হয়েছে, তার বেশিরভাগই ছিল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে। বিরোধী পক্ষের নানা স্লোগানে তারেক রহমানকে নিয়ে কটূক্তি, অশালীর বক্তব্যের কারণে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজনীতির মাঠ। এমন প্রেক্ষাপটে বিএনপি অনেকটা কোণঠাসা হয়ে পড়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক
১ দিন আগেনাহিদ ইসলাম বলেন, গণঅভুথ্যানের পর আমরা বলেছিলাম, মাফিয়া-দুর্নীতিবাজ সিস্টেমের বদল ঘটাতে হবে। কিন্তু আমরা দেখছি, সেই সিস্টেমকে পাহারা দেওয়ার জন্য নতুন দলের আর্বিভাব ঘটেছে। সেই সিস্টেমে চাঁদাবাজি-দুর্নীতিতে আগে একটা দল পাহারা দিত, এখন অন্য এক দল পাহারা দিচ্ছে।
১ দিন আগেতারেক রহমানকে নিয়ে অশালীন স্লোগানের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ভাবা হচ্ছে, তারেক রহমানকে নিয়ে কথা বললে বিএনপি ভয় পাবে ও সরে যাবে। কিন্তু বিএনপি ঘুরে দাঁড়াতে জানে। আমরা শহীদদের অনুপ্রেরণায় এগিয়ে যাচ্ছি, ফিনিক্স পাখির মতো নতুন করে জেগে উঠব।’
১ দিন আগেনাহিদ ইসলাম বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পর আমরা বলেছিলাম, মাফিয়া ও দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে, কিন্তু আমরা দেখছি দুর্নীতির সেই সিস্টেমকে পাহারা দেওয়ার জন্য নতুন দলের আবির্ভাব ঘটেছে। বলেছিলাম, হাসিনার পতন চাই না, আমরা এই ফ্যাসিবাদী সিস্টেম বন্ধ করে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত করতে চাই। যেহেতু সেই ফ্যাসিবাদী সিস্ট
১ দিন আগে