অরাজনৈতিক তাবলীগে রাজনীতির রং

বিবিসি বাংলা
আপডেট : ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯: ৪৮
বৃহস্পতিবার মাগরিবের নামাজের পর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে এ বছরের প্রথম পর্বের প্রথম ধাপের বিশ্ব ইজতেমা শুরু হয়েছে। ইজতেমার এ পর্বের আয়োজক মওলানা জোবায়েরের অনুসারীরা। ছবি: রাজনীতি ডটকম

রাজধানীর উপকণ্ঠে গাজীপুরের টঙ্গীতে শুরু হয়েছে বিশ্ব ইজতেমা। গত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় এ বছরও দুপক্ষের নেতৃত্বে দুই পর্বে হচ্ছে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের এই সম্মিলন। এর মধ্যে ইজতেমা মাঠের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আয়োজক দুপক্ষের সংঘর্ষে প্রথমবারের মতো প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটেছে।

ইজতেমা আয়োজনে যুক্ত তাবলিগ জামাতকে সাধারণত অরাজনৈতিক মনে করা হলেও সাম্প্রতিক সময়ে ইজতেমা নিয়ে ধর্মভিত্তিক কয়েকটি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতি দৃশ্যমান হয়েছে। ফলে অরাজনৈতিক বিশ্ব ইজতেমা রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতাও নতুন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।

১৯৬৭ সাল থেকে টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে ইজতেমা। দেশের লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লি এতে অংশ নেন। গত শতকের আশির দশকের শুরু থেকেই টঙ্গী ইজতেমায় বিভিন্ন দেশ থেকে মুসল্লিরা এসে যোগ দিতে শুরু করেন। একই সময়ে পাকিস্তানের লাহোরের কাছে রায়উইন্ড ও ভারতের ভোপালে বড় ইজতেমার আয়োজন করা হয়। তবে টঙ্গীর ইজতেমায় মুসল্লির পরিমাণ অনেক বেশি হওয়ায় এটি ধীরে ধীরে ‘বিশ্ব ইজতেমা’ নামে পরিচিতি পায়।

এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বাদ মাগরিব ভারতের মাওলানা ইব্রাহিম দেওলার আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে এবারের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের আনুষ্ঠানিকতা। এ পর্বের ইজতেমার আয়োজক মওলানা জোবায়েরের অনুসারীরা। এ পর্বে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রথম ধাপ শেষে ৩ থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হবে দ্বিতীয় ধাপের ইজতেমা।

এরপর মওলানা সা’দ কন্ধলভীর অনুসারীরা আয়োজন করবেন দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা। ১৪ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এ পর্বের ইজতেমা হবে। এরপর ১৮ ফেব্রুয়ারি ইজতেমা মাঠের নিয়ন্ত্রণ চলে যাবে প্রশাসনের কাছে।

ইজতেমার আয়োজক এ দুপক্ষের মধ্যে বিবাদ বেশ অনেক দিনের। এই বিবাদের জের ধরেই গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর মাওলানা জুবায়ের ও মাওলানা সা’দের অনুসারীরা টঙ্গীর ইজতেমা মাঠে সংঘর্ষে জড়ান। ওই সংঘর্ষে এ পর্যন্ত চারজন প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে গত মঙ্গলবার। তিনি এতদিন আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন ছিলেন।

মওলানা সা’দপন্থিদের শীর্ষ নেতা সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম মনে করেন, ধর্মভিত্তিক কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতাদের কারণেই দুপক্ষের মধ্যে এই সংকট তৈরি হয়েছে। তিনি বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘আমাদের এখানে সমস্যা হলো ধর্মভিত্তিক দলগুলো সঙ্গে জুড়েছে। তারা মাদরাসা থেকে ছাত্রদের বের করে এনে হামলা করায়। এদের কারণেই ঘটনাগুলো রাজনৈতিক রূপ নেয়।’

মাওলানা জোবায়ের আহমেদের অনুসারীরা আবার সংকটের কারণে মওলানা সা’দকেই দায়ী করে থাকেন। মওলানা জোবায়েরের ঘনিষ্ঠ মাহফুজ হান্নান বলেন, তাবলীগ রাজনৈতিক রূপ পায়নি। বরং এখন যে সংকট, সা’দ কান্দালভি নিজেই এর জন্য দায়ী। এবারের পর সা’দপন্থিদের আর ইজতেমা আয়োজন করতে দেওয়া হবে না।

তাবলীগ জামাতের শীর্ষ নেতা ও ভারতীয় নাগরিক মোহাম্মদ সা’দ কান্ধলভির একটি বক্তব্যকে কেন্দ্র করে ২০১৭ সালে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজক তাবলীগ জামাতের নেতাদের মধ্যে বিভেদ তৈরি হয়। এর প্রভাবে মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, নাইজেরিয়া, সুদান, ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশসহ আরও কয়েকটি দেশে তাবলীগ জামাত বিভক্ত হয়ে পড়ে। তবে এর মধ্যে বাংলাদেশ ছাড়া আর কোনো দেশে ইজতেমা দুই পর্বে বা আলাদাভাবে আয়োজন করা হয় না।

ওই বিরোধের পর থেকে বাংলাদেশে দুপক্ষ আলাদা হয়ে দুই পর্বে ইজতেমা আয়োজন করে আসছে। বিরোধিতার কারণে ২০১৮ সাল থেকে ইজতেমায় আসতে পারছেন না সা’দ কান্ধলভি।

সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম বলেন, ‘গত ৭০ বছর তাবলীগ চলছে দিল্লিতে নিজামুদ্দিন মারকাজের নির্দেশনায়। সারা দুনিয়াতেই তাবলীগ তাদের নির্দেশনায় পরিচালিত হয়। পাঁচ-ছয় বছর আগে পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের একটি অংশ আলাদা হয়েছে। তারা সা’দ কান্ধলভিকে মানতে চাইছে না। আসলে বিষয়টি হলো নিয়ন্ত্রণ নেওয়া, রাজনীতি করা। কিছু রাজনৈতিক দল এর সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পরই সমস্যা তৈরি হয়েছে।’

এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন জুবায়েরপন্থি অংশের মাহফুজ হান্নান। তার দাবি, রাজনৈতিক কোনো প্রভাব কাজ করছে না। মাহফুজ বলেন, ‘কাকরাইলের মুরুব্বিরা যেভাবে বলেন সেভাবেই পরিচালিত হয় সবকিছু। ভবিষ্যতেও তাই হবে। কোনো রাজনৈতিক নেতার বিষয় এখানে নেই।’

গত ১৮ ডিসেম্বরের সংঘর্ষের পর অবশ্য সক্রিয় থাকতে দেখা গেছে গত কয়েক বছরে নানা ঘটনায় আলোচনায় আসা খেলাফত মজলিস নেতা মামুনুল হকসহ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতাকে, যারা বিভিন্ন ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলের নেতা। এর আগে ২০১৩ সালে কওমি মাদরাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামের আবির্ভাবের পর সেটিকে অরাজনৈতিক সংগঠন আখ্যায়িত করে তাতেও সংযুক্ত হয়েছিলেন এসব নেতাদের অনেকে।

সা’দপন্থিরা মনে করেন, এসব নেতাই পরে ইজতেমা নিয়ন্ত্রণের দিকে নজর দেন। ওয়াসিফুল ইসলাম বলেন, ‘তারা মাদরাসা থেকে ছাত্রদের এনে হামলা করান। আবার মসজিদেও আক্রমণ করান।’

হেফাজতে ইসলামের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী এসব দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি বলেন, ‘এখানে হেফাজতকে টেনে আনলে চলবে না। সংকটের জন্য দায়ী সা’দ কান্ধলভি। সহিংসতা তার লোকেরাই করছে।’

এর আগে গত সাত বছর ধরে প্রশাসনের সিদ্ধান্তে কাকরাইল মসজিদে অবস্থানের ক্ষেত্রে সা’দবিরোধী তথা জোবায়েরপন্থি হিসেবে পরিচিত তারা চার সপ্তাহ ও সা’দপন্থিরা দুই সপ্তাহ করে পর্যায়ক্রমে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন।

গত বছরের ৫ নভেম্বর সা’দবিরোধী ওলামা মাশায়েখরা ঢাকায় সমাবেশ করে সা’দপন্থিদের নিষিদ্ধ করাসহ ৯ দফা দাবি জানান। সমাবেশের আগে তাবলীগের দুপক্ষই পালটাপালটি সমাবেশের ডাক দিলে উত্তেজনা তৈরি হয়। পরে প্রশাসনের মধ্যস্থতায় সা’দপন্থিরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেন।

পরে সমাবেশে সা’দবিরোধীদের দুটির বদলে একটি ইজতেমা করতে দেওয়া, সেই ইজতেমায় সা’দ কান্ধলভিকে আসতে না দেওয়া এবং কাকরাইল মসজিদে সা’দপন্থিদের কোনো কার্যক্রম চালাতে দেওয়া হবে না বলে ঘোষণা দেওয়া হয়। জবাবে সা’দপন্থিরাও তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন।

ওই সমাবেশে হেফাজতে ইসলামের নেতা শাহ মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী মোনাজাত পরিচালনা করেন। ওই সমাবেশ আয়োজনের পেছনেও ধর্মভিত্তিক কিছু রাজনৈতিক দল সক্রিয় ছিল বলে দাবি করছেন সা’দপন্থিরা।

মাহফুজ হান্নান বলেন, ‘সরকার এবার শর্তসাপেক্ষে সা’দপন্থিদের ইজতেমার অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু এরপর তারা আর ইজতেমা আয়োজনের সুযোগ পাবে না। এটাই তাদের জন্য শেষ সুযোগ। সংঘাত-সহিংসতা করে তারা এখন ইজতেমায় রাজনীতি খুঁজতে চাইছে।’

কী নিয়ে বিরোধ দুপক্ষের?

তাবলীগ জামাতের দুপক্ষের লোকজনের কথা বলে ধারণা পাওয়া গেছে, মওলানা সা’দ কান্ধলভি আলেমদের বিষয়ে কিছু ‘সংস্কারে’র কথা বলছেন, যেগুলো সংগঠনের ভেতরে অনেককে ক্ষুব্ধ করেছে। ২০১৭ সালে তার যে বক্তব্যটি সামনে আসে তাতে তিনি বলেছিলেন, ধর্মীয় শিক্ষা বা ধর্মীয় প্রচার অর্থের বিনিময়ে করা উচিত নয়।

মওলানা সা’দ আরও বলেন, মাদরাসাগুলোর যারা শিক্ষক তারা মাদরাসার ভেতরে নামাজ পড়েন, যা ঠিক নয়। তাদের মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়া উচিত, যেন মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ে।

মওলানা সা’দের এ বক্তব্য অনেককে, বিশেষ করে কওমি মাদরাসাভিত্তিক আলেমদের ক্ষুব্ধ করে। তারা মাওলানা সা’দকে বাংলাদেশে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। তাদের দাবি, মওলানা সা’দ যা বলছেন তা তাবলীগ জামাতের প্রতিষ্ঠাতা নেতাদের নির্দেশিত পন্থার বিরোধী এবং আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের বিশ্বাস ও আক্বিদার বাইরে।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে কওমি মাদরাসাভিত্তিক আলেমদের আয়ের বড় একটি উৎস অর্থের বিনিময়ে ওয়াজ করা। মওলানা সা’দ কান্ধলভি এভাবে অর্থের বিনিময়ে ধর্ম প্রচারের বিরোধিতা করেন।

বিশ্লেষকের বক্তব্য

ইসলামবিষয়ক লেখক ও বিশ্লেষক মাওলানা শরীফ মুহাম্মদ বলছেন, তাবলীগ জামাতের বিভক্তির জন্য রাজনৈতিক কারণের চেয়ে বেশি দায় হলো নেতৃত্ব, ধর্মীয় ব্যাখ্যাগত ও আক্বিদাগত বিচ্যুতি।

তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সংযুক্তির কারণে সমস্যা হয়েছে, বিষয়টি এমন না। বাংলাদেশে সা’দ কান্ধলভির বক্তব্যে প্রতিক্রিয়া হয়েছে বেশি। কারণ প্রবীণদের সঙ্গে তার দূরত্ব হয়েছে দিল্লিতে। উনার কিছু ভাষ্য ও দৃষ্টিভঙ্গি পরম্পরায় চলে আসা ব্যাখ্যার থেকে ভিন্ন, যা বিতর্ক তৈরি করেছে।’

মাওলানা শরীফ তিনি জানান, সা’দ কান্ধলভির কিছু কথার প্রতিবাদ শুরু হলে ২০১৬-১৭ সালের দিকে তাবলিগের সঙ্গে কওমি মাদরাসাভিত্তিক আলেমদের সম্পৃক্ততা তৈরি হয়। তিনি বলেন, ‘আগেও তারা সম্পৃক্ত ছিলেন। কিন্তু সেটি এখনকার মতো দৃশ্যমান ছিল না। একপর্যায়ে হেফাজত ও বিভিন্ন ধর্মীয় রাজনৈতিক দলের কেউ কেউ এখানে যুক্ত হয়েছেন।’

অরাজনৈতিক আলেমরা সামনে আসেন না বলেই রাজনৈতিক আলেমরা বেশি দৃশ্যমান হয়ে ওঠেন— এমনটিও মনে করেন শরীফ মুহাম্মদ। তিনি বলেন, ‘তারা (অরাজনৈতিক আলেম) হয়তো গণমাধ্যম কিংবা জাতীয়ভাবে সেভাবে পরিচিত নন। ফেসভ্যালু বা উত্তাপমুখর বক্তব্য দেওয়ার কারণে রাজনৈতিক নেতাদের কেউ কেউ বেশি চোখে পড়ছেন। তবে এটাও মনে রাখা দরকার, কওমি মাদরাসাভিত্তিক রাজনৈতিক দলের আলেমরা ধর্মীয় ইস্যুতে সক্রিয় হওয়া শুরু হয়েছেন সেই আশির দশক থেকেই।’

ad
ad

রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

দিনভর কর্মসূচিতে কী বার্তা দিলো ইসলামি দলগুলো

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা চলমান থাকা অবস্থাতেই রাজপথে আন্দোলনে নেমেছে জামায়াতে ইসলামীসহ সাতটি ইসলামি দল। দিনভর মিছিল-সমাবেশে বিভিন্ন ইস্যুতে সরকারকে নিষ্ক্রিয় অভিহিত করে কঠোর সমালোচনা করেছেন এসব দলের নেতারা। দাবি না মানলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তা

২১ ঘণ্টা আগে

ইসলামী দলগুলোর কর্মসূচি অহেতুক চাপ তৈরির জন্য: মির্জা ফখরুল

মির্জা ফখরুল বলেন, জামায়াতসহ ইসলামী দলগুলোর এই কর্মসূচির কোনো প্রয়োজন ছিল না। আলোচনা চলছিল, চলছে। এ অবস্থায় এ ধরনের কর্মসূচির অর্থই হচ্ছে একটা অহেতুক চাপ তৈরির চেষ্টা করা।

১ দিন আগে

পিআর পদ্ধতির ব্যাপারে গণভোট দিন: ফয়জুল করীম

‘জুলাই সনদের ভিত্তিতে পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা, গণহত্যার বিচার ও ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিচারের আওতায় আনা, এবং বিচারকালীন তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবিতে এই কমর্সূচির আয়োজন করে ইসলামী আন্দোলন ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ।

১ দিন আগে

পারস্পরিক আস্থা ও শ্রদ্ধা না থাকলে সংস্কার কাজে আসবে না: মঈন খান

মঈন খান বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো সবাই সংস্কার নিয়ে একমত হয়ে যাবে এটা ভাবা ভুল। সবাইকে একমতে এনে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ধারণায় বিশ্বাস করি না। প্রথাগত পদ্ধতি থেকে আমাদের বের হতে হবে। প্রথাগত ধারণা ও বদ্ধ চিন্তা ভাবনা নিয়ে রাজনীতি করলে ৫ আগস্টের মতো পরিণতি আবারও ঘটতে পারে।

১ দিন আগে