প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের ওপর যত চাপই থাকুক, তাকে তার ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করে যেতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেছেন, ড. ইউনূসকে যেহেতু জনগণ একটা ভরসার জায়গায় রেখেছে, সে কারণেই তাকে এই দায়িত্ব পালন করতে হবে।
একদিকে হত্যাকারীদের বিচার এবং অন্যদিকে জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত করার জন্য গণতান্ত্রিক সংস্কারে যেতে হবে। এই দায়িত্ব অন্তর্বর্তী সরকারকেই নিতে হবে, অন্যথায় আর কোনো সুযোগ নেই বলেও মন্তব্য করেন জোনায়েদ সাকি।
রোববার (২৫ মে) সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী।
জোনায়েদ সাকি বলেন, ড. ইউনুসকে যেহেতু জনগণ একটা ভরসার জায়গায় রেখেছে, সে কারণেই তাকে এই দায়িত্ব পালন করতে হবে। তার ওপর যত চাপই থাকুক না কেন, তিনি যেন তার ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।
তিনি আরও বলেন, এখন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, নানা জায়গায় যে অস্থিরতা এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে দূরত্ব তৈরি হচ্ছে, তা একটি স্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে। এই দূরত্ব কমাতে আলাপ-আলোচনা দরকার। এখানে পরস্পর পরস্পরের সঙ্গে আলোচনা করে বোঝা যায়, কে কী চায়।
জোনায়েদ সাকি বলেন, গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টাকে জনগণের দৃশ্যমান বিচারের প্রত্যাশার কথা জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা বিচার বিভাগকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, বিচারব্যবস্থা যেন দ্রুত ও আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে এগিয়ে যায়।
সংস্কারের বিষয়ে জোনায়েদ সাকি বলেন, ঐকমত্য কমিশন যেহেতু ১৫ জুলাই পর্যন্ত সময় নিয়েছে, তাই এই সময়ের মধ্যে আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক আলোচনার মাধ্যমে যে ঐক্যগুলো হবে, সেগুলোকে জাতীয় সনদ আকারে দ্রুত প্রকাশ করতে হবে। এটাই সংস্কারের পদ্ধতি। প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, এর বাইরে অন্য কোনো পদ্ধতি গ্রহণের সুযোগ নেই।
অন্তর্বর্তী সরকার ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কথা বললেও গণসংহতি আন্দোলন একটি সুনির্দিষ্ট সময় ঘোষণার দাবি জানিয়েছে।
জোনায়েদ সাকি বলেন, একটি সুনির্দিষ্ট সময় ঘোষণা করা হলে রাজনৈতিক দলগুলো প্রস্তুতি নিতে পারবে এবং বিনিয়োগ পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করা সহজ হবে। প্রধান উপদেষ্টা জুনের ৩০ তারিখের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবং নির্বাচন পরিচালনার জন্য প্রতিষ্ঠানগুলো পূর্ণাঙ্গভাবে কাজ শুরু করলে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন।
গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষ থেকে জুলাই অভ্যুত্থানের বিষয়েও আলোচনা উত্থাপন করা হয়েছে জানিয়ে জোনায়েদ সাকি বলেন, জুলাইয়ের অবস্থান সকলের সম্মিলিত অবদানে তৈরি হয়েছে। তবে কোনো একটি পক্ষ যদি এর কৃতিত্ব দাবি করে, তবে সরকার যেন সে বিষয়ে সচেতন থাকে।
তিনি আরও বলেন, ন্যূনতম ঐকমত্য ছাড়া গণতান্ত্রিক উত্তরণ সম্ভব নয়। প্রশাসনসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর বিষয়ে আরও স্বচ্ছতা প্রয়োজন। নির্বাচন বিলম্বিত হচ্ছে বলে যে ধারণা তৈরি হয়েছে, তা সরকার মানতে নারাজ।
বিএনপির তিনজন উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি প্রসঙ্গে জোনায়েদ সাকি বলেন, জুলাই আন্দোলনের প্রতিনিধিত্বকারী তিনজন উপদেষ্টা ছিলেন। তাদের মধ্যে একজন রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। বাকি দুজন উপদেষ্টার যদি কোনো রাজনৈতিক পরিকল্পনা থাকে, তবে তাদের সরে যাওয়া উচিত। রাজনৈতিক মোটিভ নিয়ে এখানে থাকা নিয়ম অনুযায়ী ঠিক হবে না।
সাকি আরও বলেন, গণসংহতি আন্দোলন মনে করে, বাংলাদেশ একটি জাতীয় পুনর্গঠনের কালে আছে। জাতীয় নির্বাচনই মুখ্য এবং এ বিষয়ে একটি রোডম্যাপ প্রয়োজন। স্থানীয় নির্বাচন পরে হলেও সমস্যা নেই।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের ওপর যত চাপই থাকুক, তাকে তার ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করে যেতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেছেন, ড. ইউনূসকে যেহেতু জনগণ একটা ভরসার জায়গায় রেখেছে, সে কারণেই তাকে এই দায়িত্ব পালন করতে হবে।
একদিকে হত্যাকারীদের বিচার এবং অন্যদিকে জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত করার জন্য গণতান্ত্রিক সংস্কারে যেতে হবে। এই দায়িত্ব অন্তর্বর্তী সরকারকেই নিতে হবে, অন্যথায় আর কোনো সুযোগ নেই বলেও মন্তব্য করেন জোনায়েদ সাকি।
রোববার (২৫ মে) সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী।
জোনায়েদ সাকি বলেন, ড. ইউনুসকে যেহেতু জনগণ একটা ভরসার জায়গায় রেখেছে, সে কারণেই তাকে এই দায়িত্ব পালন করতে হবে। তার ওপর যত চাপই থাকুক না কেন, তিনি যেন তার ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।
তিনি আরও বলেন, এখন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, নানা জায়গায় যে অস্থিরতা এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে দূরত্ব তৈরি হচ্ছে, তা একটি স্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে। এই দূরত্ব কমাতে আলাপ-আলোচনা দরকার। এখানে পরস্পর পরস্পরের সঙ্গে আলোচনা করে বোঝা যায়, কে কী চায়।
জোনায়েদ সাকি বলেন, গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টাকে জনগণের দৃশ্যমান বিচারের প্রত্যাশার কথা জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা বিচার বিভাগকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, বিচারব্যবস্থা যেন দ্রুত ও আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে এগিয়ে যায়।
সংস্কারের বিষয়ে জোনায়েদ সাকি বলেন, ঐকমত্য কমিশন যেহেতু ১৫ জুলাই পর্যন্ত সময় নিয়েছে, তাই এই সময়ের মধ্যে আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক আলোচনার মাধ্যমে যে ঐক্যগুলো হবে, সেগুলোকে জাতীয় সনদ আকারে দ্রুত প্রকাশ করতে হবে। এটাই সংস্কারের পদ্ধতি। প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, এর বাইরে অন্য কোনো পদ্ধতি গ্রহণের সুযোগ নেই।
অন্তর্বর্তী সরকার ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কথা বললেও গণসংহতি আন্দোলন একটি সুনির্দিষ্ট সময় ঘোষণার দাবি জানিয়েছে।
জোনায়েদ সাকি বলেন, একটি সুনির্দিষ্ট সময় ঘোষণা করা হলে রাজনৈতিক দলগুলো প্রস্তুতি নিতে পারবে এবং বিনিয়োগ পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করা সহজ হবে। প্রধান উপদেষ্টা জুনের ৩০ তারিখের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবং নির্বাচন পরিচালনার জন্য প্রতিষ্ঠানগুলো পূর্ণাঙ্গভাবে কাজ শুরু করলে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন।
গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষ থেকে জুলাই অভ্যুত্থানের বিষয়েও আলোচনা উত্থাপন করা হয়েছে জানিয়ে জোনায়েদ সাকি বলেন, জুলাইয়ের অবস্থান সকলের সম্মিলিত অবদানে তৈরি হয়েছে। তবে কোনো একটি পক্ষ যদি এর কৃতিত্ব দাবি করে, তবে সরকার যেন সে বিষয়ে সচেতন থাকে।
তিনি আরও বলেন, ন্যূনতম ঐকমত্য ছাড়া গণতান্ত্রিক উত্তরণ সম্ভব নয়। প্রশাসনসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর বিষয়ে আরও স্বচ্ছতা প্রয়োজন। নির্বাচন বিলম্বিত হচ্ছে বলে যে ধারণা তৈরি হয়েছে, তা সরকার মানতে নারাজ।
বিএনপির তিনজন উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি প্রসঙ্গে জোনায়েদ সাকি বলেন, জুলাই আন্দোলনের প্রতিনিধিত্বকারী তিনজন উপদেষ্টা ছিলেন। তাদের মধ্যে একজন রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। বাকি দুজন উপদেষ্টার যদি কোনো রাজনৈতিক পরিকল্পনা থাকে, তবে তাদের সরে যাওয়া উচিত। রাজনৈতিক মোটিভ নিয়ে এখানে থাকা নিয়ম অনুযায়ী ঠিক হবে না।
সাকি আরও বলেন, গণসংহতি আন্দোলন মনে করে, বাংলাদেশ একটি জাতীয় পুনর্গঠনের কালে আছে। জাতীয় নির্বাচনই মুখ্য এবং এ বিষয়ে একটি রোডম্যাপ প্রয়োজন। স্থানীয় নির্বাচন পরে হলেও সমস্যা নেই।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উদ্দেশে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন ‘আপনার ছেলেমানুষি মানায় না। ৮৪ বছর বয়সে আপনার এই ধরনের অভিমান মানায় না।’ আমরা আপনার পাশে আছি। আমরা সরকারের পাশে আছি বলেন তিনি।’
১১ ঘণ্টা আগেস্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, কোরবানির পর ১২ ঘণ্টার মধ্যে সব বর্জ্য অপসারণ করা হবে।আজ রোববার আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে কোরবানির পশুর হাট এবং কাঁচা চামড়া ব্যবস্থাপনা ও আইনশৃঙ্খলা–সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
১৩ ঘণ্টা আগেনির্দিষ্ট সময়ে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, 'নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচনের কথা বলা কী মহাপাপ? তাদের (উপদেষ্টা পরিষদ) কথা শুনে মনে হচ্ছে তারা বিভিন্ন মানুষকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। কিন্তু কেন?'
১৪ ঘণ্টা আগেপ্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, চট্টগ্রাম বন্দরকে আমরা সংস্কার করতে চাচ্ছি। বন্দর কাউকে দিচ্ছি না। রোববার (২৫ মে) দুপুরে রাজধানীর ক্যাপিটাল মার্কেট সাংবাদিক ফোরামের আয়োজিত সিএমজেএফ টক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
১৭ ঘণ্টা আগে