পঞ্চগড় প্রতিনিধি
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, গত ১৬ বছরের অন্যায় অনিয়ম দুর্নীতি আর হতে দেওয়া যাবে না। যদি এ দেশে অনিয়ম চলতে থাকে তাহলে জুলাই আন্দোলনের শহীদ ও আহতদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি করা হবে।
শুক্রবার (৩০ মে) দুপুরে গাইবান্ধার এক পথসভায় এসব কথা বলেন তিনি।
সারজিস আলম বলেন, এর আগে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে বড় বড় দলের বড় মার্কার রাজনৈতিক নেতারা ছিলেন। একেকজন নেতাকে আমরা দেখেছি যতটা না এলাকার উন্নয়নে মনোযোগ ছিল, তার চেয়ে বেশি মনোযোগ ছিল নিজেদের মধ্যে কামড়াকামড়ি করে নিজের আখের গুছিয়ে নেওয়ায়, নিজের ক্রেডিট নেওয়ায়। আমরা আপনাদের কাছে ভোট চাইতে আসিনি, কথা বলতে এসেছি। আপনারা এমন নেতা নির্বাচন করুন, যিনি গ্রহণযোগ্য, চরিত্রবান, চাঁদাবাজ বা সিন্ডিকেটমুখী নন। তিনি যে দলেরই হোন না কেন।
রংপুরের চার লেনের সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পে ৮ থেকে ১০ বছর লেগে গেলেও এখনো কাজ শেষ হয়নি উল্লেখ করে সারজিস বলেন, এই একটি উদাহরণই উত্তরাঞ্চলের মানুষের অবস্থার কথা বলে দেয়।
তিনি বলেন, গাইবান্ধার মানুষের একটি দাবি হচ্ছে ইপিজেড নির্মাণ। ইপিজেড একটি জেলা ও উপজেলার মানুষের ভাগ্য বদলে দিতে পারে। এর জন্য সরকারের যেমন দায়িত্ব রয়েছে, তেমনি স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।
নতুন বাংলাদেশে অনিয়ম-দুর্নীতি হতে দেওয়া যাবে না: সারজিস আলম
জনগণের উদ্দেশে সারজিস আলম বলেন, আপনারা লক্ষ্য রাখবেন, কোনো স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেতারা নিজেদের মধ্যে কামড়াকামড়ির কারণে যদি এই ইপিজেড নির্মাণে বাধা হন, তাহলে তাদের ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করবেন। সবার আগে জেলা ও উপজেলার স্বার্থ, তারপর ব্যক্তিস্বার্থ। আমরা বিশ্বাস করি, জেলা-উপজেলার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করলে গাইবান্ধা জেলা এগিয়ে যাবে। এনসিপি গাইবান্ধার গণমানুষের দাবির কণ্ঠস্বর হিসেবে কাজ করবে।
প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সারজিস আলম বলেন, গত ১৬ বছর আপনাদের দলীয় প্রশাসন বানানো হয়েছিল। অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে প্রশাসনের ইমেজ কীভাবে সংকটে পড়েছে, প্রশাসনের যে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিভিন্ন সময়ে অন্ধভাবে ক্ষমতার দালালি করেছে, তা সবাই দেখেছে। এমনকি পরবর্তী সময়ে তারা তো মানুষের সামনে এসে লজ্জিত হয়েছেন। তাদের সন্তান ও পরিবারে যারা ছিল তারাও জনসমক্ষে আসার মতো অবস্থায় ছিলেন না। আপনাদের যে সাময়িক তোষামোদির চর্চা, সেটা আপনাদের প্রফেশনালিজমের সঙ্গে যায় না। আপনাদের যে শপথ, সেই শপথকে সামনে রেখে, আপনারা দেশকে সবার আগে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে যাবেন।
বৈরী আবহাওয়ার মধ্য আজ দিনভর গাইবান্ধার বিভিন্ন স্থানে পথসভা করে সারজিস আলম। রংপুর থেকে তিনি প্রথমে গোবিন্দগঞ্জে আসেন। এরপর নিজ উপজেলা সাঘাটার বোনারপাড়া, ফুলছড়ি উপজেলার কালিরবাজার, গাইবান্ধা জেলা শহরের পৌরপার্ক বক্তব্য দেন। এরপর পলাশবাড়ী উপজেলা সদরের শহীদ মিনার, সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট শহীদ মিনার ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলা সদরের স্বাধীনতা চত্বরে বক্তব্য দেওয়ার কথা রয়েছে।
পথসভায় এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক আলী নাসের খান, যুগ্ম-মুখ্য সংগঠক মাহমুদা মিতু, আসাদুল্লাহ গালিব, সাদিয়া ফারজানা, নাজমুল হাসান, ফিহাদুর রহমান দিবস, সম্রাট শেখ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, গত ১৬ বছরের অন্যায় অনিয়ম দুর্নীতি আর হতে দেওয়া যাবে না। যদি এ দেশে অনিয়ম চলতে থাকে তাহলে জুলাই আন্দোলনের শহীদ ও আহতদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি করা হবে।
শুক্রবার (৩০ মে) দুপুরে গাইবান্ধার এক পথসভায় এসব কথা বলেন তিনি।
সারজিস আলম বলেন, এর আগে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে বড় বড় দলের বড় মার্কার রাজনৈতিক নেতারা ছিলেন। একেকজন নেতাকে আমরা দেখেছি যতটা না এলাকার উন্নয়নে মনোযোগ ছিল, তার চেয়ে বেশি মনোযোগ ছিল নিজেদের মধ্যে কামড়াকামড়ি করে নিজের আখের গুছিয়ে নেওয়ায়, নিজের ক্রেডিট নেওয়ায়। আমরা আপনাদের কাছে ভোট চাইতে আসিনি, কথা বলতে এসেছি। আপনারা এমন নেতা নির্বাচন করুন, যিনি গ্রহণযোগ্য, চরিত্রবান, চাঁদাবাজ বা সিন্ডিকেটমুখী নন। তিনি যে দলেরই হোন না কেন।
রংপুরের চার লেনের সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পে ৮ থেকে ১০ বছর লেগে গেলেও এখনো কাজ শেষ হয়নি উল্লেখ করে সারজিস বলেন, এই একটি উদাহরণই উত্তরাঞ্চলের মানুষের অবস্থার কথা বলে দেয়।
তিনি বলেন, গাইবান্ধার মানুষের একটি দাবি হচ্ছে ইপিজেড নির্মাণ। ইপিজেড একটি জেলা ও উপজেলার মানুষের ভাগ্য বদলে দিতে পারে। এর জন্য সরকারের যেমন দায়িত্ব রয়েছে, তেমনি স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।
নতুন বাংলাদেশে অনিয়ম-দুর্নীতি হতে দেওয়া যাবে না: সারজিস আলম
জনগণের উদ্দেশে সারজিস আলম বলেন, আপনারা লক্ষ্য রাখবেন, কোনো স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেতারা নিজেদের মধ্যে কামড়াকামড়ির কারণে যদি এই ইপিজেড নির্মাণে বাধা হন, তাহলে তাদের ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করবেন। সবার আগে জেলা ও উপজেলার স্বার্থ, তারপর ব্যক্তিস্বার্থ। আমরা বিশ্বাস করি, জেলা-উপজেলার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করলে গাইবান্ধা জেলা এগিয়ে যাবে। এনসিপি গাইবান্ধার গণমানুষের দাবির কণ্ঠস্বর হিসেবে কাজ করবে।
প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সারজিস আলম বলেন, গত ১৬ বছর আপনাদের দলীয় প্রশাসন বানানো হয়েছিল। অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে প্রশাসনের ইমেজ কীভাবে সংকটে পড়েছে, প্রশাসনের যে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিভিন্ন সময়ে অন্ধভাবে ক্ষমতার দালালি করেছে, তা সবাই দেখেছে। এমনকি পরবর্তী সময়ে তারা তো মানুষের সামনে এসে লজ্জিত হয়েছেন। তাদের সন্তান ও পরিবারে যারা ছিল তারাও জনসমক্ষে আসার মতো অবস্থায় ছিলেন না। আপনাদের যে সাময়িক তোষামোদির চর্চা, সেটা আপনাদের প্রফেশনালিজমের সঙ্গে যায় না। আপনাদের যে শপথ, সেই শপথকে সামনে রেখে, আপনারা দেশকে সবার আগে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে যাবেন।
বৈরী আবহাওয়ার মধ্য আজ দিনভর গাইবান্ধার বিভিন্ন স্থানে পথসভা করে সারজিস আলম। রংপুর থেকে তিনি প্রথমে গোবিন্দগঞ্জে আসেন। এরপর নিজ উপজেলা সাঘাটার বোনারপাড়া, ফুলছড়ি উপজেলার কালিরবাজার, গাইবান্ধা জেলা শহরের পৌরপার্ক বক্তব্য দেন। এরপর পলাশবাড়ী উপজেলা সদরের শহীদ মিনার, সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট শহীদ মিনার ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলা সদরের স্বাধীনতা চত্বরে বক্তব্য দেওয়ার কথা রয়েছে।
পথসভায় এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক আলী নাসের খান, যুগ্ম-মুখ্য সংগঠক মাহমুদা মিতু, আসাদুল্লাহ গালিব, সাদিয়া ফারজানা, নাজমুল হাসান, ফিহাদুর রহমান দিবস, সম্রাট শেখ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সবাইকে বিজয়া দশমীর শুভেচ্ছা জানিয়ে এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশে জনগণ একে অপরের ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসবে অংশ নেয়- এটাই বাংলাদেশি জাতির ঐতিহ্য।’ তিনি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে এই ঐতিহ্য ধরে রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘এর মধ্যেই নিহিত রয়েছে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী দর্শন।’
১ দিন আগেবৈঠক শেষে পাটওয়ারী বলেন, তারা (ইসি) যেহেতু ব্যাখ্যা দিতে পারেনি, এখন আমরা প্রতীক প্রশ্নে নেই। আমরা মনে করেছি প্রতীক প্রশ্নে তাদের ওপর অন্য কিছু বিরাজ করছে। অথবা প্রতীক সামনে রেখে অন্য কোনো ষড়যন্ত্র করছে। আমরা মনে করি এই মাসের মধ্যেই এটা জাতির সামনে স্পষ্ট হবে।
১ দিন আগেঅন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যেসব কাজের সমালোচনা করার আছে, আমরা তা করব। তবে তাদের ভালো দিকও তুলে ধরব। আমরা চাই না সরকার ব্যর্থ হোক, বরং দায়িত্বশীলভাবে দেশ পরিচালনা করুক। কেউ যদি দুর্নীতি বা অপরাধে জড়িত থাকে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’
১ দিন আগেতারেক রহমান বলেন, ‘গণতন্ত্র মানে কেবল নির্বাচন নয়; এটি মানুষের স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার নাম। শহীদ জেহাদের আত্মত্যাগ আমাদেরকে প্রেরণা দিতে হবে দেশি-বিদেশি অপশক্তির চক্রান্ত প্রতিহত করতে এবং গণতন্ত্রকে দৃঢ় ভিত্তিতে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে।’
১ দিন আগে