প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, সীমান্তে বাংলাদেশিদের ধারাবাহিক হত্যাকাণ্ড ভারতের সৎ প্রতিবেশীর পরিচয় নয়, বরং ভারতের আগ্রাসী চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ। ভারতের প্রতি অনুগত থাকার কারণে সরকার সীমান্ত হত্যার উপযুক্ত প্রতিবাদ পর্যন্ত করতে পারেনা।
আজ মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সকালে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি আহুত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সাইফুল হক বলেন, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সীমান্তের পর ভারত -বাংলাদেশ সীমান্ত এখন বিশ্বের ভয়ংকর এক সীমান্ত। সীমান্ত অঞ্চলের মানুষ গুরুতর নিরাপত্তাহীনতায় দিন পার করছে। ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী-বিএসএফ সীমান্তে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার না করার ঘোষণা তারা রাখেনি। প্রায় প্রতি সপ্তাহে তারা বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যা করছে। বিএসএফ তথা ভারত বাস্তবে বাংলাদেশের সাথে ধারাবাহিকভাবে প্রতারণা করে আসছে। ভারতের এসব তৎপরতা কোনো সৎ প্রতিবেশীর পরিচয় নয়; বরং তাদের বাংলাদেশ বিরোধি আগ্রাসী চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ।
তিনি বলেন, বিএসএফ প্রধান ঢাকা থেকে ভারত ফিরে যাওয়ার পরপরই মাত্র এক সপ্তাহেই নওগাঁ ও লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফ এর হাতে তিন বাংলাদেশি যুবক প্রাণ হারিয়েছেন। কেবল ২০২৩ সালে বিএসএফ হাতে ৩০ জনের বেশি বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। আর গত সাত বছরে বিএসএফ এর গুলি ও অত্যাচারে প্রাণ হারিয়েছেন দুই শতাধিক বাংলাদেশি নাগরিক, আহত হয়েছেন অনেকে।
সংবাদ সম্মেলনে সাইফুল হক বলেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে সীমান্তে লেনদেনে সমস্যা হলেই বিএসএফ মারমুখী হয়ে উঠে এবং গুলি চালিয়ে বাংদেশীদের প্রাণনাশ করে।
তিনি বলেন, ভারতের সাথে বাংলাদেশের পাঁচ হাজার কিলোমিটার সীমান্তের চার হাজার কিলোমিটারের বেশি ভারত কর্তৃক কাঁটাতারের বেড়া দেয়া। বিশ্বের আর কোনো সীমান্তে এত দীর্ঘ কাঁটাতারের বেড়া নেই।ইজরায়েল আর ফিলিস্তিন সীমান্ত আর মেক্সিকো-আমেরিকা সীমান্তেও এত বড় তারকাঁটার সীমান্ত নেই। প্রাকৃতিক বা রাজনৈতিক কোন দূর্যোগে দুপাশের মানুষ যে পরস্পরের কাছে আশ্রয় নেবে- ভারত তাও এখন বন্ধ করে দিয়েছে।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা বলেন, ভারতের উপেক্ষা ও অবহেলার কারণে এখনও পর্যন্ত তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানিপ্রবাহে বাংলাদেশের ন্যায্য হিস্যা পাওয়া যায়নি। বাণিজ্যিক ভারসাম্য এখনও বাংলাদেশের প্রতিকুলে। বস্তুতঃ বাংলাদেশ ভারতকে ট্রানজিট সুবিধাসহ তাদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্যাদির সমাধান করে দিলেও কাঁটাতারের বেড়ায় ফেলানির লাশের মত বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাসমূহ তারা ঝুলিয়ে রেখেছে।
সংবাদ সম্মেলনে সাইফুল হক বলেন, বাংলাদেশের সরকারসমূহের ভারত তোষণ নীতি, বিশেষ করে গত পনের বছর আওয়ামী লীগ সরকারের ভারত অনুগত পররাষ্ট্র নীতির কারনে সীমান্ত হত্যা বন্ধ, পানির ন্যায্য অংশীদারিত্ব,বাণিজ্যিক ভারসাম্য প্রতিষ্ঠাসহ ভারতে বাংলাদেশ বিরোধী বহুমুখী অপতৎপরতা বন্ধ করানো যায়নি। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ সরকার যখন প্রায় প্রতিদিন ঘোষণা করছে যে, বাংলাদেশ - ভারত বন্ধুত্ব এখন সর্বোচ্চ শিখরে তখন প্রায় প্রতি সপ্তাহে সীমান্তে বাংলাদেশের মানুষের রক্তে এই বন্ধুত্বের নির্মম দায় শোধ করতে হচ্ছে।আমরা এসব তৎপরতা অবিলম্বে বন্ধের আহবান জানাই।
তিনি বলেন, আমরা সমতা, ন্যায্যতা, আন্তর্জাতিক বিধিবিধান ও পারস্পরিক স্বার্থের স্বীকৃতির ভিত্তিতে আমাদের মধ্যকার যাবতীয় দ্বিপাক্ষিক সমস্যাদির সমাধান করতে চাই।কিন্তু ভারত বাংলাদেশকে নানা দিক থেকে চাপে রাখতে যেয়ে পরিস্থিতিকে ক্রমান্বয়ে জটিল ও অস্থিতিশীল করে তুলছে।
সংবাদ সম্মেলনে সাইফুল হক বলেন, এটা অত্যন্ত স্পষ্ট যে, সরকারের দাশানুগ নীতি কৌশলের কারণে এই সরকারের কাছে দেশের সার্বভৌমত্ব, জাতীয় স্বার্থ ও জাতীয় নিরাপত্তা কোনভাবেই আর নিরাপদ নয়। জবরদস্তি করে ক্ষমতায় থাকতে যেয়ে ভোটের অধিকার হরণসহ দেশের অবশিষ্ট গণতান্ত্রিক কাঠামো তারা ধ্বংস করে দিয়েছে। সেকারণে এই সরকারকে বিদায় দেয়া ছাড়া দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ যেমন নিশ্চিত করা যাবেনা, তেমনি জাতীয় স্বার্থ ও জাতীয় নিরাপত্তাও সংরক্ষণ করা যাবেনা।
তিনি দেশ ও দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ রক্ষায় দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে উদাত্ত আহ্বান জানান।
সেগুনবাগিচায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সংহতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এই
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সদস্য সাইফুল ইসলাম, মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, জোনায়েদ হোসেন,শাহাদাৎ হোসেন শান্ত প্রমুখ।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, সীমান্তে বাংলাদেশিদের ধারাবাহিক হত্যাকাণ্ড ভারতের সৎ প্রতিবেশীর পরিচয় নয়, বরং ভারতের আগ্রাসী চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ। ভারতের প্রতি অনুগত থাকার কারণে সরকার সীমান্ত হত্যার উপযুক্ত প্রতিবাদ পর্যন্ত করতে পারেনা।
আজ মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সকালে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি আহুত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সাইফুল হক বলেন, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সীমান্তের পর ভারত -বাংলাদেশ সীমান্ত এখন বিশ্বের ভয়ংকর এক সীমান্ত। সীমান্ত অঞ্চলের মানুষ গুরুতর নিরাপত্তাহীনতায় দিন পার করছে। ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী-বিএসএফ সীমান্তে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার না করার ঘোষণা তারা রাখেনি। প্রায় প্রতি সপ্তাহে তারা বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যা করছে। বিএসএফ তথা ভারত বাস্তবে বাংলাদেশের সাথে ধারাবাহিকভাবে প্রতারণা করে আসছে। ভারতের এসব তৎপরতা কোনো সৎ প্রতিবেশীর পরিচয় নয়; বরং তাদের বাংলাদেশ বিরোধি আগ্রাসী চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ।
তিনি বলেন, বিএসএফ প্রধান ঢাকা থেকে ভারত ফিরে যাওয়ার পরপরই মাত্র এক সপ্তাহেই নওগাঁ ও লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফ এর হাতে তিন বাংলাদেশি যুবক প্রাণ হারিয়েছেন। কেবল ২০২৩ সালে বিএসএফ হাতে ৩০ জনের বেশি বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। আর গত সাত বছরে বিএসএফ এর গুলি ও অত্যাচারে প্রাণ হারিয়েছেন দুই শতাধিক বাংলাদেশি নাগরিক, আহত হয়েছেন অনেকে।
সংবাদ সম্মেলনে সাইফুল হক বলেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে সীমান্তে লেনদেনে সমস্যা হলেই বিএসএফ মারমুখী হয়ে উঠে এবং গুলি চালিয়ে বাংদেশীদের প্রাণনাশ করে।
তিনি বলেন, ভারতের সাথে বাংলাদেশের পাঁচ হাজার কিলোমিটার সীমান্তের চার হাজার কিলোমিটারের বেশি ভারত কর্তৃক কাঁটাতারের বেড়া দেয়া। বিশ্বের আর কোনো সীমান্তে এত দীর্ঘ কাঁটাতারের বেড়া নেই।ইজরায়েল আর ফিলিস্তিন সীমান্ত আর মেক্সিকো-আমেরিকা সীমান্তেও এত বড় তারকাঁটার সীমান্ত নেই। প্রাকৃতিক বা রাজনৈতিক কোন দূর্যোগে দুপাশের মানুষ যে পরস্পরের কাছে আশ্রয় নেবে- ভারত তাও এখন বন্ধ করে দিয়েছে।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা বলেন, ভারতের উপেক্ষা ও অবহেলার কারণে এখনও পর্যন্ত তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানিপ্রবাহে বাংলাদেশের ন্যায্য হিস্যা পাওয়া যায়নি। বাণিজ্যিক ভারসাম্য এখনও বাংলাদেশের প্রতিকুলে। বস্তুতঃ বাংলাদেশ ভারতকে ট্রানজিট সুবিধাসহ তাদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্যাদির সমাধান করে দিলেও কাঁটাতারের বেড়ায় ফেলানির লাশের মত বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাসমূহ তারা ঝুলিয়ে রেখেছে।
সংবাদ সম্মেলনে সাইফুল হক বলেন, বাংলাদেশের সরকারসমূহের ভারত তোষণ নীতি, বিশেষ করে গত পনের বছর আওয়ামী লীগ সরকারের ভারত অনুগত পররাষ্ট্র নীতির কারনে সীমান্ত হত্যা বন্ধ, পানির ন্যায্য অংশীদারিত্ব,বাণিজ্যিক ভারসাম্য প্রতিষ্ঠাসহ ভারতে বাংলাদেশ বিরোধী বহুমুখী অপতৎপরতা বন্ধ করানো যায়নি। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ সরকার যখন প্রায় প্রতিদিন ঘোষণা করছে যে, বাংলাদেশ - ভারত বন্ধুত্ব এখন সর্বোচ্চ শিখরে তখন প্রায় প্রতি সপ্তাহে সীমান্তে বাংলাদেশের মানুষের রক্তে এই বন্ধুত্বের নির্মম দায় শোধ করতে হচ্ছে।আমরা এসব তৎপরতা অবিলম্বে বন্ধের আহবান জানাই।
তিনি বলেন, আমরা সমতা, ন্যায্যতা, আন্তর্জাতিক বিধিবিধান ও পারস্পরিক স্বার্থের স্বীকৃতির ভিত্তিতে আমাদের মধ্যকার যাবতীয় দ্বিপাক্ষিক সমস্যাদির সমাধান করতে চাই।কিন্তু ভারত বাংলাদেশকে নানা দিক থেকে চাপে রাখতে যেয়ে পরিস্থিতিকে ক্রমান্বয়ে জটিল ও অস্থিতিশীল করে তুলছে।
সংবাদ সম্মেলনে সাইফুল হক বলেন, এটা অত্যন্ত স্পষ্ট যে, সরকারের দাশানুগ নীতি কৌশলের কারণে এই সরকারের কাছে দেশের সার্বভৌমত্ব, জাতীয় স্বার্থ ও জাতীয় নিরাপত্তা কোনভাবেই আর নিরাপদ নয়। জবরদস্তি করে ক্ষমতায় থাকতে যেয়ে ভোটের অধিকার হরণসহ দেশের অবশিষ্ট গণতান্ত্রিক কাঠামো তারা ধ্বংস করে দিয়েছে। সেকারণে এই সরকারকে বিদায় দেয়া ছাড়া দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ যেমন নিশ্চিত করা যাবেনা, তেমনি জাতীয় স্বার্থ ও জাতীয় নিরাপত্তাও সংরক্ষণ করা যাবেনা।
তিনি দেশ ও দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ রক্ষায় দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে উদাত্ত আহ্বান জানান।
সেগুনবাগিচায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সংহতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এই
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সদস্য সাইফুল ইসলাম, মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, জোনায়েদ হোসেন,শাহাদাৎ হোসেন শান্ত প্রমুখ।
তথাকথিত কবি, সাহিত্যিক ও অভিনয় শিল্পীরা অনুভূতিহীন হয়ে ১৫ আগস্টে শোক প্রকাশ করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বস্তুগত প্রাপ্তির লোভেই তারা ফ্যাসিবাদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন বলেন তিনি।
৯ ঘণ্টা আগেজুলাই জাতীয় সনদকে সংবিধানের ওপর প্রাধান্য দেওয়ার পক্ষপাতী নয় বিএনপি। সনদ সম্পর্কে আদালতে প্রশ্ন তোলা যাবে না– এ অঙ্গীকারেও একমত নয় দলটি। বিএনপি চায়, যেসব সাংবিধানিক সংস্কারে ঐকমত্য হয়েছে, সেগুলো নির্বাচনের আগে নয়; আগামী সংসদে বাস্তবায়ন করা হবে।
১৩ ঘণ্টা আগেছয় বছরের বিরতিতে হতে যাওয়া ডাকসু নির্বাচন ঘিরে বহুমুখী লড়াইয়ের আভাস ছিল আগে থেকেই। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে একে একে প্যানেলগুলো ঘোষণা হতে থাকলে সে আভাসের সত্যতা মিলেছে। দিন শেষে ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ মোট প্যানেলের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯টিতে। প্যানেলগুলো আলাদা আলাদা নামও পেয়েছে।
১ দিন আগে