মৌলিক সংস্কারের পরে নির্বাচন চায় ‘নির্বাচনমুখী’ এনসিপি\n
তবে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন বলছেন, এনসিপি নবীন দল। দল গুছিয়ে প্রস্তুতি নিতে তাদের কিছুটা সময় লাগছে। সময় এখনো ফুরিয়ে যায়নি।
‘আমাদের দলের বয়স মাত্র দুই মাস। এই সময়ে দল গুছিয়ে সারা দেশে কার্যক্রম চালানোর জন্য কিছু প্রস্তুতি দরকার,’— মনিরা শারমিন বলেন রাজনীতি ডটকমকে।
তিনি আরও বলেন, দলের আর্থিক স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। দ্রুতই তারা আয়-ব্যয়ের হিসাব প্রকাশ করবেন।
কিন্তু অনেকেই বলছেন, দলকে শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করানোর ক্ষেত্রে অনেকটাই পিছিয়ে আছে এনসিপি। সময়মতো বেশ কিছু ইস্যু সঠিকভাবে সমাধান না করাই এর কারণ।
যে প্রবল ছাত্র আন্দোলনের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন, সে আন্দোলনে যুক্ত ছাত্রদের তিনজন উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পান। ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে তারা দায়িত্ব পালন করেন। এর বাইরেও মূলত হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমসহ আরও বেশ কয়েকজন ছাত্র প্রেশার গ্রুপের মতো কাজ করতে থাকেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সূত্রগুলো বলছে, এই সময়ে কয়েকজন ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে সরকারি কর্মকর্তাদের বদলি, পদায়ন ও চাকরিতে পুনর্বহালসহ নানামুখী কাজে হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ ওঠে। তাদের বিরুদ্ধে আর্থিক কেলেঙ্কারির কানাঘুষাও শোনা যেতে থাকে।
হাসনাত আবদুল্লাহ সময় টেলিভিশনের বিনিয়োগকারীর কার্যালয়ে গিয়ে নির্দিষ্ট কয়েকজন সাংবাদিককে অপসারণে চাপ দিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। যদিও তিনি ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন বক্তব্য ও কর্মকাণ্ডে বিতর্কিত হন জুলাই আন্দোলনের শীর্ষস্থানীয় এই নেতা।
সবশেষ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে তাদের ডেকে নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতার প্রস্তাবে চাপ দেওয়া হচ্ছে— এমন অভিযোগ তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দেন হাসনাত। একই দিনে নিজের ফেসবুক পেজ থেকে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া একটি ভিডিও আপলোড করেন। ওই ভিডিওতে তিনি দাবি করেন, সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে মুহাম্মদ ইউনূসকে মেনে নিতে পারেননি।
সেনাবাহিনী নিয়ে ওই পোস্টের পর দলের ভেতর থেকেই কেউ কেউ হাসনাত আবদুল্লাহর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এই তরুণ নেতা এনসিপি’র দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাকে জবাবদিহির আওতায় আনা বা দক্ষিণাঞ্চলের জনগণের সঙ্গে তার যোগাযোগ কতটা তার মূল্যায়ন এনসিপি করেছে বা আদৌ করেছে কি না, তা জানা যায়নি।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ইফতার মাহফিল আয়োজন করে এনসিপি, যার খরচ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে বিভিন্ন মহলে। ছবি: এনসিপি
এনসিপির উত্তরাঞ্চলীয় সমন্বয়ক সারজিস আলম আলোচনায় আসেন হেলিকপ্টারে গিয়ে নিজের এলাকা পঞ্চগড়ে নেমে শতাধিক গাড়ি নিয়ে মহড়া দিয়ে। সে সময় দলের সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা এই খরচের উৎস জানতে চেয়ে সারজিসের উদ্দেশে একটি খোলা চিঠি লেখেন। সারজিস আলমও ফেসবুকে এক পোস্টে পালটা চিঠি লিখে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন।
ওই চিঠির একাংশে ছিল, ‘আমরা নতুন বন্দোবস্ত চাই। কিন্তু নতুন বন্দোবস্ত বলতে আমরা যেটা কল্পনা করি সেটা ছয় মাসের মধ্যে প্রয়োগ করলে অলমোস্ট ৯৫ শতাংশ ক্ষেত্রে জামানত হারানোর সম্ভাবনা থাকবে। তার মানে কি আমরা নতুন বন্দোবস্ত চাই না? অবশ্যই চাই। কিন্তু সেটা কখনো ছয় মাসের ব্যবধানে ১৮০ ডিগ্রি উলটে যাবে না। বরং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ১০ শতাংশ, ২০ শতাংশ, ৩০ শতাংশ— এভাবে পরিবর্তিত হবে। এক সময় হয়তো শতভাগ নতুন বন্দোবস্ত দেখতে পাব।’
সারজিস আরও লেখেন, ‘ফেসবুকের রাজনীতি আর মাঠের রাজনীতি এক নয়। আপনার প্রতিপক্ষের সঙ্গে লড়াই করার জনবল ও সামর্থ্য যদি না থাকে কিংবা আপনি দেখাতে না পারেন, তাহলে মাঠের রাজনীতিতে দাঁড়ানো সম্ভব নয়। অন্য নেতা তো দূরের কথা, সাধারণ জনগণও আপনাকে গোনায় ধরবে না। কারণ মানুষ স্বভাবতই ক্ষমতামুখী।’
প্রশ্ন ওঠে— নতুন যে রাজনৈতিক বন্দোবস্তের কথা এনসিপি বলছে, তা আসলে কথার কথা কি না।
সেই আলোচনা মিইয়ে যাওয়ার আগেই আলোচনায় আসে আরেক নেতা গাজী সালাউদ্দিন তানভীরের পাঠ্যবই প্রণয়নের প্রকল্প থেকে শুরু করে আরও একাধিক সরকারি কর্মকাণ্ড থেকে টাকা সরানোর খবর। যদিও দল পরে তাকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছে।
এনসিপি দল হিসেবে আত্মপ্রকাশের পরপরই পাঁচ তারকা হোটেলে ধারাবাহিকভাবে ইফতার পার্টি আয়োজনের অর্থ কোথা থেকে পেয়েছে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
গত মার্চে রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘সমাজের অনেক ধনাঢ্য ব্যক্তি’ তাদের অর্থায়ন করছে। তবে তারা কারা, কীসের বিনিময়ে অর্থ দিচ্ছেন— এসব বিষয় খোলাসা করেননি তিনি।
এর বাইরেও সম্প্রতি দলের আরেক নেতা আবদুল হান্নান মাসউদ এক সাক্ষাৎকারে জানান, জামায়াতপন্থি এক ব্যবসায়ীর গাড়ি তিনি ব্যবহার করে থাকেন।
এদিকে গত সপ্তাহে আলোচনা-সমালোচনার মুখে বাতিল করা হয়েছে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার বাবা বিল্লাল হোসেনের ঠিকাদারি লাইসেন্স। উপদেষ্টা দাবি করেছেন, তার বাবা সরল বিশ্বাসে ভুল করেছেন। সে জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষমাও চেয়েছেন উপদেষ্টা।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্য সচিব আখতার হোসেনের রাজনীতির মাঠে, গণমাধ্যমে ও অনলাইন পরিসরে নির্লিপ্ততা, মাঠপর্যায়ে জনসংযোগের অভাব, অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈরিতার সম্পর্ক, নির্বাচনি প্রচারের মাঠে নেতাকর্মীদের অনুপস্থিতি দেখে মনে হয় দলটি গণবিচ্ছিন্ন।
এখন পর্যন্ত এনসিপির রাজনৈতিক বক্তৃতায় মোটা দাগে স্থান পেয়েছে চারটি ইস্যু। এগুলো হলো— আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করা, জুলাই গণহত্যার বিচার দাবি, সংবিধান বাতিল বা সংশোধন ও সেকেন্ড রিপাবলিক ঘোষণা।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করা ও গণহত্যার বিচার দাবির ক্ষেত্রে ঢাকায় সম্প্রতি বেশ কিছু কর্মসূচি পালন করেছে এনসিপি। এ ছাড়া জনতুষ্টিবাদী কিছু বিষয়ে দলের কোনো কোনো নেতা ফেসবুকে মন্তব্য করেছেন। কিন্তু আদৌ সংবিধান বাতিল বা সংশোধনের বিষয়টি কতটা জনসম্পৃক্ত, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গেছে।
গত মার্চে ইনোভিশন বাংলাদেশ নামে একটি প্রতিষ্ঠান ৬৪ জেলার ১০ হাজার ৬৯০ জনের ওপর একটি জরিপ চালায়। ওই জরিপে দেখা গেছে, জরিপে অংশ নেওয়া ৯ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ মনে করেন রাজনৈতিক সংস্কারের প্রয়োজন আছে। আর সংবিধান পরিবর্তনের পক্ষে মত দেন ৫ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ।
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে শুক্রবার কামরাঙ্গীরচরে এনসিপির বিক্ষোভ মিছিল। ছবি: এনসিপি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাব্বির আহমেদ রাজনীতি ডটকমকে বলেন, ‘তারা বাহাত্তরের সংবিধানকে সংশোধন নয়, সম্পূর্ণ বাতিল করে দিতে চায়। কিন্তু কী কারণে বাতিল করতে হবে, সেটা তারা মানুষকে বোঝাতে পারেনি, রাজনৈতিক দলগুলোকে বোঝাতে পারেনি। মানুষকে যুক্তি, বয়ান দিয়ে কনভিন্স করতে হবে।
সাধারণ মানুষ এনসিপির এসব তাত্ত্বিক ভাবনা নিয়ে কী ভাবে? নিজেদের মধ্যপন্থি হিসেবে উপস্থাপনকারী দলটি সম্পর্কে অন্যরাই বা কী মনে করে? কারও কারও মতে, নানাদল থেকে আসা মানুষকে নিয়ে তৈরি বিধায় এখনো দলটির রাজনৈতিক চরিত্র সম্পর্কে মানুষ বুঝে উঠতে পারছে না।
এনসিপি সংকটে আছে বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ফারিহা নওশীন। রাজনীতি ডটকমকে তিনি বলেন, ‘কখনো কখনো তাদের আচরণে মনে হচ্ছে তারা শুধু সবাইকে খুশি রেখে চলতে চায়। কিন্তু তাদের সিদ্ধান্তগুলোতে মতাদর্শের ছাপ থাকছে না। রাজনৈতিক বোঝাপড়ার যথেষ্ট অভাব আছে দলটিতে। তারা না উদার, না রক্ষণশীল। কোনো পক্ষই তাদের ওপর ভরসা করতে পারছে না।’
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, অস্থিতিশীল বাজার, গণপরিবহনের সমস্যা, একের পর এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নৈরাজ্য, শ্রমিকদের দাবিদাওয়া উত্থাপনের মতো ইস্যুতে এখনো এনসিপিকে সেভাবে অংশ নিতে দেখা যায়নি। বরং অনেক ইস্যুতেই তাদের বরাবরই সরকারের সহযোগী বলে মনে হয়েছে।
সংবিধান পরিবর্তন বা সেকেন্ড রিপাবলিকের মতো ইস্যুগুলো নিয়ে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে দূরত্বও রয়েছে। এসব তাত্ত্বিক ইস্যুতে বড় রাজনৈতিক দল বিএনপিকে সঙ্গে না পাওয়ায় হতাশা রয়েছে এনসিপির মধ্যেও। জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান গত সপ্তাহে বলেছেন, এনসিপি রাজনৈতিক দল হয়ে ওঠেনি। বিএনপি নেতারা এনসিপির ভূমিকা নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু না বললেও তাদের অনেকে মুখ টিপে হাসেন।
বড় দলগুলোর সঙ্গে বৈরিতা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন রাজনীতি ডটকমকে বলেন, ‘তরুণদের চাহিদার প্রতি একমত হতে হবে। রাষ্ট্রপতির অপসারণ, সংবিধান আমূল পরিবর্তন, গণপরিষদ নির্বাচন— কোনো ইস্যুই বিএনপি যদি না মানে এবং ঐক্যটা সম্ভব না হয়, তাহলে তো কিছু করার থাকে না। আমরা বলছি, নতুন বাংলাদেশে তরুণরা কী রকম রাষ্ট্র দেখতে চায়, আমাদের সব রাজনৈতিক দলকে সে বিষয়ে এক হতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বৈষম্যহীন সমাজব্যবস্থা তৈরির পথে যে বাধা আছে, সেসব কথা তরুণেরা দেয়ালচিত্রে লিখে রেখেছেন। এসব বাধা দূর করতেই সংবিধান পরিবর্তন ও গণপরিষদ নির্বাচন দরকার।’
গত ১৯ এপ্রিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে প্রথম বৈঠক করে এনসিপি। বৈঠকে সংবিধান সংস্কারসহ বিভিন্ন ইস্যুতে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে দলটি। ছবি: এনসিপি
জুলাই আন্দোলনের পরপরই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমান্তরালে গড়ে তোলা হয় রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম জাতীয় নাগরিক কমিটি। খুব দ্রুতই এই প্ল্যাটফর্মের কমিটি ও কার্যক্রম ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। সেই নাগরিক কমিটির আদলে ব্যাপক জনসংযোগের উদ্যোগ নিয়েছে এনসিপি। দ্রুত গঠনতন্ত্র প্রণয়নের দিকে মনোযোগী হয়েছে দল। সাত দিনের মধ্যে গঠনতন্ত্রের খসড়া উপস্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। টাকা-পয়সার হিসাব জনসমক্ষে উত্থাপন করবে বলেও জানিয়েছে তারা।
এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব আকরাম হোসেন রাজনীতি ডটকমকে বলেন, ‘চারদিকে আমাদের শত্রু। সে জায়গা থেকে আমাদের বেড়ে উঠতে সময় লাগবে। চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে হবে। আমরা হয়তো ভুল করতে পারি। কিন্তু আমাদের ভুল হলে সেটা স্বীকার করে সংশোধনের পথে হাঁটতে হবে। এর মাধ্যমেই তরুণদের এই দলটি এগিয়ে যাবে।’
রাজনৈতিক দল হিসেবে সফল হতে হলে এনসিপিকে শুরুতেই নিজেদের মতাদর্শ সবার সামনে স্পষ্ট করার আহ্বান জানালেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। দলের বা দলের কোনো নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে যথাযথভাবে তার জবাবও সবাইকে দেওয়া উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
আনু মুহাম্মদ রাজনীতি ডটকমকে বলেন, ‘এনসিপির মতাদর্শিক অবস্থান কী, সেটি এখনো অনেকের কাছে পরিষ্কার না। তাদের মতাদর্শিক অবস্থান পরিষ্কার কর উচিত। এনসিপির শীর্ষ নেতৃত্বেরও নিজেদের মধ্যে অনেক মতপার্থক্য আছে। এসব ঠিক করতে হবে।’
‘দলের কোনো নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে যথাযথভাবে সংশোধন করা ও স্বচ্ছতার সঙ্গে মোকাবিলা করা উচিত। জনগণের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে হবে। টিকে থাকতে হলে কর্মসূচির ব্যাপারে নবীন এই দলটির অবশ্যই আরও যত্নবান হওয়া উচিত,’— বলেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।