প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
বাংলাদেশের শাসনব্যবস্থাই সরকারকে দানবে পরিণত করে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের সংবিধানে সরকার প্রধানকে অপরিসীম ক্ষমতা দেয়া আছে। এতে ভালো নির্বাচনে জয়ী হয়ে জনপ্রিয় একটি রাজনৈতিক দলও ক্ষমতার অপব্যবহার করে দানবে পরিণত হয়ে যায়।
আজ শনিবার রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের কার্যালয় মিলনায়তনে জাতীয় আইনজীবী ফেডারেশনের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জিএম কাদের বলেন, আমরা মনে করি, ভালো নির্বাচনের আগে সংবিধানের প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে হবে। তবেই, ভালো নির্বাচনের পর ভালো সরকার পাওয়া যাবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা চাই, দেশের মালিকানা যেন সাধারণ মানুষের হাতে থাকে। সাধারণ মানুষ যেন ইচ্ছে অনুযায়ী তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারে। সরকারের জবাবদিহিতা থাকবে সাধারণ মানুষের কাছে।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, সরকার যদি জনগণের ইচ্ছের বাইরে দেশ পরিচালনা করে, তাহলে পরবর্তী নির্বাচনে যেন সাধারণ জনগণই আবারো ভোটাধিকার প্রয়োগ করে সরকার পরিবর্তন করতে পারে।
তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি সব সময় জনগণের ইচ্ছে অনুযায়ী রাজনীতি করেছে। জনগণের পক্ষে থেকেই জানগণের পক্ষে রাজনীতি করেছে জাতীয় পার্টি।
জিএম কাদের বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচন জাতীয় পার্টি বর্জন করেছিল। তখন আওয়ামী লীগ সরকার পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে চিকিৎসার নামে আটক করে। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নির্দেশে আমি নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেই। তখন আমার নেতৃত্বে প্রায় ২৭০ জন জাতীয় পার্টির প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ায়। আমি নিজেও ২০১৪ সালের নির্বাচন করিনি, সংসদে যাইনি।
তিনি বলেন, মঞ্জুর হত্যা মামলাসহ বিভিন্ন চাপ দিয়ে আমাদের নেতাকে নিজস্ব রাজনীতি করতে বাধা দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি না গেলেও উপজেলা নির্বাচনসহ স্থানীয় সরকারের অনেক নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলো বিএনপি। এছাড়া, ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপিসহ প্রায় সকল রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছিলো। বিএনপির সংসদ সদস্যরা প্রায় চার বছর সংসদে থেকে তাদের মতামত প্রকাশ করেছে। কিন্তু ২০২৪ সালের নির্বাচনে আমরা যেতে চাইনি। সবাই জানে আমাদের নির্বাচনে যেতে বাধ্য করা হয়েছিলো।
জাতীয় পার্টিকে দুটি ভাগ করে রেখেছিলো সরকার এমন অভিযোগ করে জিএম কাদের বলেন, একটি ঠুনকো মামলার আদেশে প্রায় চার মাস আমাকে দল পরিচালনা থেকে বিরত রেখেছে। আমাদের দলের পরিচয়ে সরকার আরেকটি গ্রুপকে কাউন্সিল করতে দিয়েছিলো। আমাদের রাজনীতি ও দল পরিচালনায় অনৈতিকভাবে হস্তক্ষেপ করেছিলো আওয়ামী লীগ।
জাতীয় আইনজীবী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মোঃ ফরিদ উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু, এ্যাড. মমতাজ উদ্দিন, এ্যাড. ড. নুরুল আজহার শামীম, এ্যাড. আব্দুল হামিদ ভাষানী, এ্যাড. ইউসুফ আজগর, এ্যাড. আব্দুর রশীদ, এ্যাড. জিন্নাত আলী, এ্যাড. আবুল হাসনাত মাসুম, এ্যাড. শহীদুল ইসলাম মোল্লা, এ্যাড, ফিরোজ আহমেদ, এ্যাড. মোহাম্মদ আলী, এ্যাড. মোঃ মেহেদী হাসান ও এ্যাড. আবু ওহাব।
বাংলাদেশের শাসনব্যবস্থাই সরকারকে দানবে পরিণত করে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের সংবিধানে সরকার প্রধানকে অপরিসীম ক্ষমতা দেয়া আছে। এতে ভালো নির্বাচনে জয়ী হয়ে জনপ্রিয় একটি রাজনৈতিক দলও ক্ষমতার অপব্যবহার করে দানবে পরিণত হয়ে যায়।
আজ শনিবার রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের কার্যালয় মিলনায়তনে জাতীয় আইনজীবী ফেডারেশনের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জিএম কাদের বলেন, আমরা মনে করি, ভালো নির্বাচনের আগে সংবিধানের প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে হবে। তবেই, ভালো নির্বাচনের পর ভালো সরকার পাওয়া যাবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা চাই, দেশের মালিকানা যেন সাধারণ মানুষের হাতে থাকে। সাধারণ মানুষ যেন ইচ্ছে অনুযায়ী তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারে। সরকারের জবাবদিহিতা থাকবে সাধারণ মানুষের কাছে।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, সরকার যদি জনগণের ইচ্ছের বাইরে দেশ পরিচালনা করে, তাহলে পরবর্তী নির্বাচনে যেন সাধারণ জনগণই আবারো ভোটাধিকার প্রয়োগ করে সরকার পরিবর্তন করতে পারে।
তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি সব সময় জনগণের ইচ্ছে অনুযায়ী রাজনীতি করেছে। জনগণের পক্ষে থেকেই জানগণের পক্ষে রাজনীতি করেছে জাতীয় পার্টি।
জিএম কাদের বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচন জাতীয় পার্টি বর্জন করেছিল। তখন আওয়ামী লীগ সরকার পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে চিকিৎসার নামে আটক করে। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নির্দেশে আমি নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেই। তখন আমার নেতৃত্বে প্রায় ২৭০ জন জাতীয় পার্টির প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ায়। আমি নিজেও ২০১৪ সালের নির্বাচন করিনি, সংসদে যাইনি।
তিনি বলেন, মঞ্জুর হত্যা মামলাসহ বিভিন্ন চাপ দিয়ে আমাদের নেতাকে নিজস্ব রাজনীতি করতে বাধা দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি না গেলেও উপজেলা নির্বাচনসহ স্থানীয় সরকারের অনেক নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলো বিএনপি। এছাড়া, ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপিসহ প্রায় সকল রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছিলো। বিএনপির সংসদ সদস্যরা প্রায় চার বছর সংসদে থেকে তাদের মতামত প্রকাশ করেছে। কিন্তু ২০২৪ সালের নির্বাচনে আমরা যেতে চাইনি। সবাই জানে আমাদের নির্বাচনে যেতে বাধ্য করা হয়েছিলো।
জাতীয় পার্টিকে দুটি ভাগ করে রেখেছিলো সরকার এমন অভিযোগ করে জিএম কাদের বলেন, একটি ঠুনকো মামলার আদেশে প্রায় চার মাস আমাকে দল পরিচালনা থেকে বিরত রেখেছে। আমাদের দলের পরিচয়ে সরকার আরেকটি গ্রুপকে কাউন্সিল করতে দিয়েছিলো। আমাদের রাজনীতি ও দল পরিচালনায় অনৈতিকভাবে হস্তক্ষেপ করেছিলো আওয়ামী লীগ।
জাতীয় আইনজীবী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মোঃ ফরিদ উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু, এ্যাড. মমতাজ উদ্দিন, এ্যাড. ড. নুরুল আজহার শামীম, এ্যাড. আব্দুল হামিদ ভাষানী, এ্যাড. ইউসুফ আজগর, এ্যাড. আব্দুর রশীদ, এ্যাড. জিন্নাত আলী, এ্যাড. আবুল হাসনাত মাসুম, এ্যাড. শহীদুল ইসলাম মোল্লা, এ্যাড, ফিরোজ আহমেদ, এ্যাড. মোহাম্মদ আলী, এ্যাড. মোঃ মেহেদী হাসান ও এ্যাড. আবু ওহাব।
জি এম কাদের বলেন, দেশ অনিশ্চয়তার পথে চলছে। এই সরকারের কাছে ভালো একটি নির্বাচনের প্রত্যাশা ছিল সবার। কিন্তু আমরা দেখছি, এই সরকারের ভেতরে সরকার আছে। একটি অদৃশ্য ছায়া অনেক উপদেষ্টাকে সঠিকভাবে কাজ করতে দিচ্ছে না। এসব কারণে দেশে নির্বাচন করার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে পারেনি সরকার।
২১ ঘণ্টা আগেএদিকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেও জমা দেননি ১৪৯ জন শিক্ষার্থী। সে হিসাবে মনোনয়ন নেওয়া প্রায় এক-চতুর্থাংশ শিক্ষার্থী সরে দাঁড়িয়েছেন বাছাইয়ে যাওয়ার আগেই।
২১ ঘণ্টা আগে‘বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ’ প্যানেল থেকে সহসভাপতি (ভিপি) পদে প্রার্থী হয়েছেন বাগছাসের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আব্দুল কাদের। সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে এই প্যানেলের প্রার্থী বাগছাসের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার। সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে প্রার্থী করা হয়েছে আশরেফা খাতুনকে। তিনি ব
১ দিন আগেশেষ পর্যন্ত জানা গেল, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পোষ্য কোটা পুনর্বহালের দাবিতে যে আন্দোলন করছেন, এর জের ধরেই বন্ধ করতে হয়েছে মনোনয়ন বিতরণ কার্যক্রম। সেটি স্বীকার করেছেন এই নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মো. আমজাদ হোসেন।
১ দিন আগে