
প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম

‘ওসমান হাদির রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে জামায়াতে ইসলামী ও তার সহযোগী বুদ্ধিবৃত্তিক সমাজ ওসমান হাদির নামে তারই চিন্তাচেতনার বিরুদ্ধে গিয়ে পত্রপত্রিকা অফিসগুলোতে সহিংসতা করছে’— বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের টকশোতে নিউ এজ পত্রিকার সম্পাদক নূরুল কবীরের এমন মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ।
দলটি বলছে, নূরুল কবীরের এ অভিযোগ অসত্য। জামায়াতে ইসলামী কোনো ধরনের সহিংসতা সমর্থন করে না, ভবিষ্যতেও কোনো ধরনের সহিংসতায় জড়াবে না।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বিবৃতিতে সই করেছেন।
এর আগে রোববার (২১ ডিসেম্বর) রাতে চ্যানেল টুয়েন্টিফোরের ‘মুক্তবাক’ অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নূরুল কবির। সেখানে আলোচনায় তিনি ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর ঘিরে প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, ছায়ানট ও উদীচী ভবনে হামলায় জামায়াতে ইসলামীর সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তোলেন।
ওসমান হাদির রাজনীতির কথা তুলে ধরে নিউ এজ সম্পাদক বলেন, ‘ওসমান হাদি মনে করেছিলেন, বাংলাদেশে এই মুহূর্তে যে ধরনের রাজনৈতিক শাসনব্যবস্থা জারি আছে, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে যে মন্ত্রিসভা (উপদেষ্টা পরিষদ) কাজ করছে, সেগুলো (তার নিজের রাজনৈতিক মতাদর্শ অনুযায়ী রাষ্ট্রব্যবস্থার জন্য) যথেষ্ট নয়। তার (এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের) জন্য একটি নৈর্বাচনিক উৎক্রমণ (ট্রানজিশন) প্রয়োজন, অর্থাৎ নির্বাচনকে জরুরি মনে করেছেন বলেই তিনি নিজেও নির্বাচনের প্রার্থী হয়েছেন।’
‘অথচ তার রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে জামায়াতে ইসলামী ও তার সহযোগী বুদ্ধিবৃত্তিক সমাজ ওসমান হাদির নামে ওসমান হাদির চিন্তাচেতনার বিরুদ্ধে গিয়ে পত্রপত্রিকা অফিসগুলোতে সহিংসতা করছে। বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত প্রগতিশীল চিন্তাচেতনা, গণতন্ত্রপরায়ণ চিন্তাচেতনার পক্ষে যেসব প্রতিষ্ঠান কাজ করেছে, তাদের ওপর আক্রমণ করছে। এবং সবচেয়ে বড় কথা, তারা বলছে যে নির্বাচন প্রয়োজন নাই,’— বলেন নূরুল কবীর।
প্রথিতযশা এই সাংবাদিক আরও বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী ও তাদের বন্ধুদের কেন নির্বাচন প্রয়োজন নেই, আমরা জানি। একই সঙ্গে জানি, অধ্যাপক ইউনূসের সরকারের মধ্যে এখনো জোর করে নির্বাচন পিছিয়ে দিয়ে ক্ষমতাকে প্রলম্বিত করে রাষ্ট্রক্ষমতা উপভোগ করার যে আনন্দ, সেটি পাওয়ার জন্য (অনেকে বসে আছে)। জামায়াতে ইসলামী যতই ওপরে ওপরে বলুক না কেন যে তারা ক্ষমতায় যাবে, তাদের অ্যাসেসমেন্ট আছে যে ক্ষমতায় যেতে পারবে না। ফলে তাদের প্রস্তুতির জন্য আরও সময় দরকার।’
নূরুল কবীরের দেওয়া এমন বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে জামায়াতে ইসলামী বিবৃতিতে বলেছে, ‘ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হাদির নাম ব্যবহার করে জামায়াতে ইসলামী ও তার সহযোগী বুদ্ধিবৃত্তিক মহল পত্রিকা অফিসে সহিংসতা চালাচ্ছে’— তার এমন অভিযোগ অসত্য ও অন্যায্য। জামায়াতে ইসলামী কখনোই এ ধরনের সহিংস কর্মকাণ্ডে জড়িত নয় এবং ভবিষ্যতেও জড়াবে না।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘জামায়াতে ইসলামী নির্বাচন পিছিয়ে দিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা ভোগ করতে চায়’— নূরুল কবিরের এ মন্তব্যও বাস্তবতার সঙ্গে সঙ্গতি বিহীন। জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানই সর্বপ্রথম আগামী ফেব্রুয়ারিতে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতার ঘোষণা দিয়েছেন।
জামায়াতের ওই বিবৃতিতে বলা হয়, নূরুল কবির ইসলামপ্রিয় মানুষকে ‘ইসলাম রক্ষার’ নামে জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে যে মন্তব্য করেছেন, আমরা মনে করি এটি গণতান্ত্রিক শিষ্টাচারের পরিপন্থি। এ ধরনের বক্তব্য সমাজে বিভাজন তৈরি করে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য ও কাম্য নয়।
এতে আরও বলা হয়, জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীরা ‘বেহেশতে যাওয়া না যাওয়ার’ সঙ্গে দলকে ভোট দেওয়ার বিষয়টি সম্পৃক্ত করে যে বক্তব্য প্রদান করেছেন, সে অভিযোগও সত্য নয়। জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে কখনো এ ধরনের বক্তব্য দেওয়া হয়নি।
‘এ ছাড়া জামায়াতে ইসলামী প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই মোনাফেকি করে আসছে এবং এটি দলের বিকাশের অংশ’— এ ধরনের মন্তব্য বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে তার মতো একজন প্রবীণ সাংবাদিকের জন্য শোভনীয় নয় বলে জামায়াতে ইসলামী মনে করে বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে।

‘ওসমান হাদির রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে জামায়াতে ইসলামী ও তার সহযোগী বুদ্ধিবৃত্তিক সমাজ ওসমান হাদির নামে তারই চিন্তাচেতনার বিরুদ্ধে গিয়ে পত্রপত্রিকা অফিসগুলোতে সহিংসতা করছে’— বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের টকশোতে নিউ এজ পত্রিকার সম্পাদক নূরুল কবীরের এমন মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ।
দলটি বলছে, নূরুল কবীরের এ অভিযোগ অসত্য। জামায়াতে ইসলামী কোনো ধরনের সহিংসতা সমর্থন করে না, ভবিষ্যতেও কোনো ধরনের সহিংসতায় জড়াবে না।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বিবৃতিতে সই করেছেন।
এর আগে রোববার (২১ ডিসেম্বর) রাতে চ্যানেল টুয়েন্টিফোরের ‘মুক্তবাক’ অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নূরুল কবির। সেখানে আলোচনায় তিনি ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর ঘিরে প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, ছায়ানট ও উদীচী ভবনে হামলায় জামায়াতে ইসলামীর সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তোলেন।
ওসমান হাদির রাজনীতির কথা তুলে ধরে নিউ এজ সম্পাদক বলেন, ‘ওসমান হাদি মনে করেছিলেন, বাংলাদেশে এই মুহূর্তে যে ধরনের রাজনৈতিক শাসনব্যবস্থা জারি আছে, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে যে মন্ত্রিসভা (উপদেষ্টা পরিষদ) কাজ করছে, সেগুলো (তার নিজের রাজনৈতিক মতাদর্শ অনুযায়ী রাষ্ট্রব্যবস্থার জন্য) যথেষ্ট নয়। তার (এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের) জন্য একটি নৈর্বাচনিক উৎক্রমণ (ট্রানজিশন) প্রয়োজন, অর্থাৎ নির্বাচনকে জরুরি মনে করেছেন বলেই তিনি নিজেও নির্বাচনের প্রার্থী হয়েছেন।’
‘অথচ তার রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে জামায়াতে ইসলামী ও তার সহযোগী বুদ্ধিবৃত্তিক সমাজ ওসমান হাদির নামে ওসমান হাদির চিন্তাচেতনার বিরুদ্ধে গিয়ে পত্রপত্রিকা অফিসগুলোতে সহিংসতা করছে। বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত প্রগতিশীল চিন্তাচেতনা, গণতন্ত্রপরায়ণ চিন্তাচেতনার পক্ষে যেসব প্রতিষ্ঠান কাজ করেছে, তাদের ওপর আক্রমণ করছে। এবং সবচেয়ে বড় কথা, তারা বলছে যে নির্বাচন প্রয়োজন নাই,’— বলেন নূরুল কবীর।
প্রথিতযশা এই সাংবাদিক আরও বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী ও তাদের বন্ধুদের কেন নির্বাচন প্রয়োজন নেই, আমরা জানি। একই সঙ্গে জানি, অধ্যাপক ইউনূসের সরকারের মধ্যে এখনো জোর করে নির্বাচন পিছিয়ে দিয়ে ক্ষমতাকে প্রলম্বিত করে রাষ্ট্রক্ষমতা উপভোগ করার যে আনন্দ, সেটি পাওয়ার জন্য (অনেকে বসে আছে)। জামায়াতে ইসলামী যতই ওপরে ওপরে বলুক না কেন যে তারা ক্ষমতায় যাবে, তাদের অ্যাসেসমেন্ট আছে যে ক্ষমতায় যেতে পারবে না। ফলে তাদের প্রস্তুতির জন্য আরও সময় দরকার।’
নূরুল কবীরের দেওয়া এমন বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে জামায়াতে ইসলামী বিবৃতিতে বলেছে, ‘ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হাদির নাম ব্যবহার করে জামায়াতে ইসলামী ও তার সহযোগী বুদ্ধিবৃত্তিক মহল পত্রিকা অফিসে সহিংসতা চালাচ্ছে’— তার এমন অভিযোগ অসত্য ও অন্যায্য। জামায়াতে ইসলামী কখনোই এ ধরনের সহিংস কর্মকাণ্ডে জড়িত নয় এবং ভবিষ্যতেও জড়াবে না।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘জামায়াতে ইসলামী নির্বাচন পিছিয়ে দিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা ভোগ করতে চায়’— নূরুল কবিরের এ মন্তব্যও বাস্তবতার সঙ্গে সঙ্গতি বিহীন। জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানই সর্বপ্রথম আগামী ফেব্রুয়ারিতে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতার ঘোষণা দিয়েছেন।
জামায়াতের ওই বিবৃতিতে বলা হয়, নূরুল কবির ইসলামপ্রিয় মানুষকে ‘ইসলাম রক্ষার’ নামে জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে যে মন্তব্য করেছেন, আমরা মনে করি এটি গণতান্ত্রিক শিষ্টাচারের পরিপন্থি। এ ধরনের বক্তব্য সমাজে বিভাজন তৈরি করে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য ও কাম্য নয়।
এতে আরও বলা হয়, জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীরা ‘বেহেশতে যাওয়া না যাওয়ার’ সঙ্গে দলকে ভোট দেওয়ার বিষয়টি সম্পৃক্ত করে যে বক্তব্য প্রদান করেছেন, সে অভিযোগও সত্য নয়। জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে কখনো এ ধরনের বক্তব্য দেওয়া হয়নি।
‘এ ছাড়া জামায়াতে ইসলামী প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই মোনাফেকি করে আসছে এবং এটি দলের বিকাশের অংশ’— এ ধরনের মন্তব্য বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে তার মতো একজন প্রবীণ সাংবাদিকের জন্য শোভনীয় নয় বলে জামায়াতে ইসলামী মনে করে বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে।

শহীদ শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুকে ঘিরে সংঘটিত মব ভায়োলেন্সের সঙ্গে সরকারের একটি অংশের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ রাজনৈতিক সমর্থন রয়েছে মন্তব্য করে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, 'সরকারের একটি অংশের মদদ ছাড়া এ ধরনের সহিংসতা সংঘটিত হওয়া সম্ভব নয়।'
৬ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগামী ২৫ ডিসেম্বর দেশে আসার পর ২৭ ডিসেম্বর ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করবেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমদ।
৬ ঘণ্টা আগে
রিজভী বলেন, বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিকভাবে সামনে শান্তিপূর্ণ না দেখানো, বাংলাদেশ আর চলতে পারছে না মুখ থুবড়ে পড়ছে, এসব দেখানো হাসিনা ও তার দোসরদের মূল উদ্দেশ্য। সেভাবেই তারা কাজ করছে। এই ভয়ংকর চক্রান্ত এখানে চলছে। তারা যে সুখে শান্তিতে বাংলাদেশ থেকে লুটপাট করেছে, সে লুটপাট করতে তো আর পারছে না, পারছে ন
৭ ঘণ্টা আগে
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলার মাধ্যমে কেবল গণমাধ্যমের ওপর আঘাত করা হয়নি, বরং গণতন্ত্রের ওপর আঘাত করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ আঘাত রুখে দিতে হবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
৮ ঘণ্টা আগে