প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের রূপরেখা নেই: জাপা নেতা আনিসুল

প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ‘অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের রূপরেখা নেই’ বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় পার্টির (একাংশ) চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। তিনি বলেছেন, সাধারণ মানুষ আশা করেছিল, প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে কীভাবে উৎসবমুখর পরিবেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে—সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা থাকবে।

রাজধানীর গুলশানে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় পার্টির একাংশের মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারের বাসভবনে অনুষ্ঠিত জরুরি প্রেসিডিয়াম বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আনিসুল ইসলাম বলেন, ‘জাতির উদ্দেশে দেওয়া প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে জাতীয় সংসদ নির্বাচন কীভাবে অংশগ্রহণমূলক হবে, সে বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট রূপরেখা নেই। বিশেষ করে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বিঘ্নে ভোটের প্রচার চালানো, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি—এসব নির্বাচনসংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দেওয়া প্রয়োজন ছিল। কিন্তু সে ধরনের কোনো নির্দেশনা না থাকায় আমরা আশাহত হয়েছি।’

জাপার এ নেতা বলেন, যেসব রাজনৈতিক নেতার বিরুদ্ধে জুলাই–আগস্টে হত্যাকাণ্ডের মিথ্যা মামলা করা হয়েছে, সে মামলা প্রত্যাহারের ব্যাপারেও প্রধান উপদেষ্টা কিছু বলেননি। অথচ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে এসব মিথ্যা মামলা দ্রুত প্রত্যাহার করা জরুরি।

বৈঠকে দলের মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, ‘জাতীয় পার্টি সব সময়ই নির্বাচনমুখী দল। আমরা বিশ্বাস করি, নির্বাচন ছাড়া অন্য কোনো উপায়ে রাষ্ট্রক্ষমতা অর্জনের সুযোগ নেই। তাই আমাদের সব সময় নির্বাচনের প্রস্তুতি রয়েছে। তবে সেই নির্বাচন হতে হবে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক। কোনো কারণে নির্বাচন যদি অংশগ্রহণমূলক না হয়, তাহলে নির্বাচনের পর গঠিত সংসদ ক্ষণস্থায়ী হতে পারে।’

রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, দেশে চিরস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন যাতে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হয়, সে ব্যাপারে সরকারের আন্তরিক পদক্ষেপ জরুরি। পাশাপাশি দেশের সক্রিয় ও বড় রাজনৈতিক দলগুলোকেও উদারতা প্রদর্শন করতে হবে।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ, নির্বাহী চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা প্রমুখ।

ad
ad

রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোট যুগান্তকারী পদক্ষেপ: ১২ দল

জাতির উদ্দেশে দেওয়া প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের ভাষণকে স্বাগত জানিয়েছেন ১২ দলীয় জোটের নেতারা। তারা মনে করছেন, এই ভাষণের মাধ্যমে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সব ধরনের সংশয় কেটে গেছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনেই জুলাই সনদের গণভোট আয়োজনের সিদ্ধান্তকেও তারা ‘যুগান্তকারী পদক্ষেপ’ বলে অভিহিত করেছেন।

১৭ ঘণ্টা আগে

সংসদ নির্বাচনকে স্বাগত, গোঁজামিলের গণভোট অগ্রহণযোগ্য: বাংলাদেশ জাসদ

দলটি জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণাকে স্বাগত জানালেও জুলাই সনদের জন্য যে গণভোটের প্রস্তাব করা হয়েছে তাকে ‘গোঁজামিলে পূর্ণ’ বলে অভিহিত করেছে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে যেসব বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়েছে তার বাইরে যেকোনো প্রস্তাবই অনৈক্যের কারণ হতে পারে আশঙ্কা দলটির।

১৭ ঘণ্টা আগে

ইতিহাস সৃষ্টি করা যায় না, ধারণ করতে হয়: ডা. জাহিদ

ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘আজ অনেকে সংস্কারের কথা বলেন, পরিবর্তনের কথা বলেন। কিন্তু আমি সবাইকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই- দেশে রাষ্ট্র মেরামতের সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি প্রথম দিয়েছে বিএনপি।’

২০ ঘণ্টা আগে

নির্বাচন ও গণভোট একই দিন হলে সংকট তৈরি হবে: গোলাম পরওয়ার

গোলাম পরওয়ার বলেন, একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনের ঘোষণায় সংকটমুক্ত স্বচ্ছ নির্বাচনের সংকটটা রয়েই গেল। জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি এবং আদেশের ওপর নভেম্বর মাসেই গণভোট আয়োজনসহ পাঁচ দফা গণদাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে চলমান ও ঘোষিত আট দলীয় কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

২০ ঘণ্টা আগে