সরকার না পড়ালে নিজেই শপথ নেবেন ইশরাক

প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
মঙ্গলবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নগর ভবনে কর্মী-সমর্থকদের গণঅবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত হন ইশরাক হোসেন। ছবি: ফোকাস বাংলা

সরকার যদি শপথ না পড়ায়, তাহলে নিজেই নেতাকর্মীদের নিয়ে শপথ নিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়রের চেয়াবে বসে পড়বেন বলে জানিয়েছেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন। একই সঙ্গে সিটি করপোরেশনে ‘বহিরাগত’ কোনো প্রশাসক ও সরকারের উপদেষ্টাকে নগর ভবনে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলেও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার (৩ জুন) নগর ভবনে সমর্থকদের তৈরি করা মঞ্চ থেকে ইশরাক হোসেন এ ঘোষণা দিয়েছেন।

নির্বাচনি ট্রাইব্যুনাল ইশরাকের আপিল বিবেচনায় নিয়ে তাকে ডিএসসিসি মেয়র ঘোষণা দিয়েছিলেন। এ রায়কে চ্যালেঞ্জ করে রিট হলে উচ্চ আদালতও তাকে শপথ পড়ানোর পক্ষে আদেশ দিয়েছিলেন।

ইশরাক হোসেন বলেন, আমরা নিয়মতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিচালনায় বিশ্বাসী। আমরা চাই না, একটা বাজে উদাহরণ তৈরি হোক। কিন্তু এই সরকারকে বাধ্য হয়ে বলতে হচ্ছে, আপনারা যদি অবিলম্বে শপথ পড়ানোর ব্যবস্থা না নেন, তাহলে ভোটারদের সঙ্গে নিয়ে আমি নিজেই শপথ পড়ে আমার চেয়ারে বসব।

এর মধ্যে অবশ্য ঈদুল আজহা সামনে রেখে নগর ভবন ঘেরাও ও অবস্থান কর্মসূচি শিথিলের ঘোষণা দিয়েছেন ইশরাক। গত প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে এ কর্মসূচির কারণে ঢাকা দক্ষিণ সিটির কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে।

ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে শপথ পড়ানোর দাবিতে তিনি ও তার সমর্থকরা নগর ভবনে এই কর্মসূচি পালন করছেন। এর আগে সমর্থকদের নিয়ে তিনি প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন এলাকাতেও সমাবেশ ও অবস্থানের কর্মসূচি পালন করেছিলেন।

তার শপথ ইস্যুতে আদালতের রায়ের পরও অন্তর্বর্তী সরকার ও ‘কিছু উপদেষ্টা পক্ষপাতদুষ্ট’ হয়ে টালবাহানা করছে বলে মনে করছেন ইশরাক। তিনি বলেন, আমাকে শপথ না পড়ানোর মধ্য দিয়ে তারা বাংলাদেশের সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা তারা অসম্মান করেছেন।

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষ, আমরা যদি আগামীকাল থেকে তাদের না মানা শুরু করি, তাহলে এর দায়দায়িত্ব কে নেবে? শপথ যদি তারা না পড়ায়, আমি গিয়ে আমার চেয়ারে বসতে পারি, দুই মিনিটও লাগবে না।

ইশরাক ও বিএনপির পক্ষ থেকে এর আগেও অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের দুই সদস্য ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করা হয়েছিল।

এ প্রসঙ্গে ইশরাক বলেন, আমাদের দলের পক্ষ থেকে তিনজন উপদেষ্টার নাম উল্লেখ করে বলে আসা হয়েছে, অবিলম্বে তাদের পদত্যাগ চাই, যারা দেশ ও জাতির জন্য হুমকি, বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু আমরা এখন পর্যন্ত তাদের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা দেখতে পাই নাই।

ad
ad

রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

পারস্পরিক আস্থা ও শ্রদ্ধা না থাকলে সংস্কার কাজে আসবে না: মঈন খান

মঈন খান বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো সবাই সংস্কার নিয়ে একমত হয়ে যাবে এটা ভাবা ভুল। সবাইকে একমতে এনে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ধারণায় বিশ্বাস করি না। প্রথাগত পদ্ধতি থেকে আমাদের বের হতে হবে। প্রথাগত ধারণা ও বদ্ধ চিন্তা ভাবনা নিয়ে রাজনীতি করলে ৫ আগস্টের মতো পরিণতি আবারও ঘটতে পারে।

৭ ঘণ্টা আগে

বিএনপি দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা চায়: আমীর খসরু

আমীর খসরু বলেন, অনেকে অনেক কিছু চাইবে, সব জায়গায় ঐকমত্য হবে না। তবে যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে তাদের অবশ্যই জনগণের কাছে যেতে হবে। জনগণের প্রতি আস্থা না থাকলে পরাজিত শক্তির উত্থানের সুযোগ থাকবে।

৯ ঘণ্টা আগে

'তরুণরা ফাঁকা বুলি চায় না, চায় বাস্তব সুযোগ'

তারেক রহমান বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আমাদের অন্যতম দায়িত্ব হলো দেশের প্রতিটি ভোটারের আস্থা নিশ্চিত করা। সেই লক্ষ্যে, আজকের ও আগামী দিনের তরুণ প্রজন্মের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি ছুটে যাচ্ছে তৃণমূল থেকে শুরু

১১ ঘণ্টা আগে

‘বিএনপির ৭ হাজারের বেশি সদস্য পদচ্যুত-বহিষ্কার’

১২ ঘণ্টা আগে