প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
দেশে গণতন্ত্রের দিকে অভিযাত্রা পদে পদে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তা সত্ত্বেও দেশে শিগগিরই গণতন্ত্র ফিরবে বলেও আশাবাদ জানিয়েছেন তিনি।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (২৯ মে) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত দলের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন খালেদা জিয়া। অনুষ্ঠানে ভিডিও কলে যুক্ত ছিলেন তিনি।
খালেদা জিয়া তার বক্তব্যে বলেন, যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা আর সার্বভৌমত্ব রক্ষার লড়াইয়ে জিয়াউর রহমান শাহাদাত বরণ করেছেন, সেই গণতন্ত্রের নিরবচ্ছিন্ন যাত্রা আজও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে প্রতি পদে পদে।
এ পরিস্থিতির উত্তরণে গণতন্ত্র পুনর্প্রতিষ্ঠার যাত্রায় সুশৃঙ্খলভাবে এগিয়ে চলতে বিএনপির সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বলেন, খুব শিগগিরই আমরা বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনর্প্রতিষ্ঠিত দেখতে পাব— এই হোক শহিদ জিয়ার শাহাদাতবার্ষিকীতে আমাদের অঙ্গীকার।
১৯৭৭ সালের ২১ এপ্রিল প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবে জিয়াউর রহমান ক্ষমতা গ্রহণ করেন। এক বছর পর ১৯৭৮ সালের ২১ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন তিনি। পরে তিনি রাজনৈতিক দল বিএনপি গড়ে তোলেন।
রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে শপথ নেওয়ার তিন বছর এক মাস পর ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে একদল সৈন্যের গুলিতে নিহত হন জিয়াউর রহমান।
খালেদা জিয়া বলেন, প্রতি বছর মে মাসের এই দিনটি আমাদের পরিবারে আসে এক বেদনাবিধুর স্মৃতি নিয়ে। এ দিনে শুধু আমাদের পরিবার নয়, বরং সারা দেশই হয়ে উঠেছিল বেদনার্ত ও অভিভাবকহীন।
তিনি বলেন, আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের জন্মের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা এক অবিচ্ছেদ্য নাম শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। যে চট্টগ্রাম থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা করে তিনি এ দেশের সঙ্গে তার নাম অবিচ্ছেদ্য করেছিলেন, সেই চট্টগ্রামে এক সফল, সৎ, দূরদর্শী ও প্রকৃত দেশপ্রেমিক প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন।
জিয়ার অবদান তুলে ধরে তার স্ত্রী ও নিজের গড়ে তোলা দল বিএনপিতে চার দশক ধরে নেতৃত্ব দিয়ে যাওয়া খালেদা জিয়া বলেন, এ দেশে গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, সংবাদপত্র ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, স্বনির্ভরতা, উন্নয়ন এবং নিজস্ব জাতীয়তাবাদ সৃষ্টির অন্যন্য রূপকার শহিদ জিয়া।
জিয়াউর রহমানের আদর্শ বাস্তবায়নের মাধ্যমেই তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে হবে উল্লেখ করে খালেদা বলেন, মনে রাখবেন— সবার জন্য গণতন্ত্র ও উন্নয়নের মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধানের যে রাজনীতি শহিদ জিয়া রেখে গেছেন, তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে হবে। আমরা তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকীর এ অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন তিনি। চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডের ব্যাংককে অবস্থানরত দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও ভিডিও কলে যুক্ত হয়ে সভায় সভাপতিত্ব করেন।
দলের প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আবদুল মঈন খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান বক্তব্য দেন।
দেশে গণতন্ত্রের দিকে অভিযাত্রা পদে পদে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তা সত্ত্বেও দেশে শিগগিরই গণতন্ত্র ফিরবে বলেও আশাবাদ জানিয়েছেন তিনি।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (২৯ মে) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত দলের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন খালেদা জিয়া। অনুষ্ঠানে ভিডিও কলে যুক্ত ছিলেন তিনি।
খালেদা জিয়া তার বক্তব্যে বলেন, যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা আর সার্বভৌমত্ব রক্ষার লড়াইয়ে জিয়াউর রহমান শাহাদাত বরণ করেছেন, সেই গণতন্ত্রের নিরবচ্ছিন্ন যাত্রা আজও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে প্রতি পদে পদে।
এ পরিস্থিতির উত্তরণে গণতন্ত্র পুনর্প্রতিষ্ঠার যাত্রায় সুশৃঙ্খলভাবে এগিয়ে চলতে বিএনপির সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বলেন, খুব শিগগিরই আমরা বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনর্প্রতিষ্ঠিত দেখতে পাব— এই হোক শহিদ জিয়ার শাহাদাতবার্ষিকীতে আমাদের অঙ্গীকার।
১৯৭৭ সালের ২১ এপ্রিল প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবে জিয়াউর রহমান ক্ষমতা গ্রহণ করেন। এক বছর পর ১৯৭৮ সালের ২১ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন তিনি। পরে তিনি রাজনৈতিক দল বিএনপি গড়ে তোলেন।
রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে শপথ নেওয়ার তিন বছর এক মাস পর ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে একদল সৈন্যের গুলিতে নিহত হন জিয়াউর রহমান।
খালেদা জিয়া বলেন, প্রতি বছর মে মাসের এই দিনটি আমাদের পরিবারে আসে এক বেদনাবিধুর স্মৃতি নিয়ে। এ দিনে শুধু আমাদের পরিবার নয়, বরং সারা দেশই হয়ে উঠেছিল বেদনার্ত ও অভিভাবকহীন।
তিনি বলেন, আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের জন্মের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা এক অবিচ্ছেদ্য নাম শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। যে চট্টগ্রাম থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা করে তিনি এ দেশের সঙ্গে তার নাম অবিচ্ছেদ্য করেছিলেন, সেই চট্টগ্রামে এক সফল, সৎ, দূরদর্শী ও প্রকৃত দেশপ্রেমিক প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন।
জিয়ার অবদান তুলে ধরে তার স্ত্রী ও নিজের গড়ে তোলা দল বিএনপিতে চার দশক ধরে নেতৃত্ব দিয়ে যাওয়া খালেদা জিয়া বলেন, এ দেশে গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, সংবাদপত্র ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, স্বনির্ভরতা, উন্নয়ন এবং নিজস্ব জাতীয়তাবাদ সৃষ্টির অন্যন্য রূপকার শহিদ জিয়া।
জিয়াউর রহমানের আদর্শ বাস্তবায়নের মাধ্যমেই তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে হবে উল্লেখ করে খালেদা বলেন, মনে রাখবেন— সবার জন্য গণতন্ত্র ও উন্নয়নের মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধানের যে রাজনীতি শহিদ জিয়া রেখে গেছেন, তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে হবে। আমরা তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকীর এ অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন তিনি। চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডের ব্যাংককে অবস্থানরত দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও ভিডিও কলে যুক্ত হয়ে সভায় সভাপতিত্ব করেন।
দলের প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আবদুল মঈন খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান বক্তব্য দেন।
প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে যুক্ত বিবৃতিতে বাম জোট নেতারা বলেন, ‘মূলত ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন এবং সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় নবগঠিত দলকে রাজনৈতিক সুবিধা দেওয়ার জন্য নির্বাচন পেছানোর অপকৌশল নেওয়া হয়েছে। এজন্য বিদেশে এই অ
১৮ ঘণ্টা আগেতিনি বলেন, গাইবান্ধার মানুষের একটি দাবি হচ্ছে ইপিজেড নির্মাণ। ইপিজেড একটি জেলা ও উপজেলার মানুষের ভাগ্য বদলে দিতে পারে। এর জন্য সরকারের যেমন দায়িত্ব রয়েছে, তেমনি স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।
১৮ ঘণ্টা আগেসালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের ইতিহাসের এক প্রতিচ্ছবি। জিয়াউর রহমানের জন্ম হয়েছিল এ দেশের স্বাধীনতার জন্য। জিয়াউর রহমানকে শাহাদাত বরণ করতে হয়েছে দেশের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য। তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তন করে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার জন্য জুডিসিয়াল কাউন্সি
১৮ ঘণ্টা আগেতিনি আরো বলেন, দেশের মানুষ নিজের ঘরে নিরাপদে থাকতে পারবে না। গতকাল রাতে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের রংপুরে নিজ বাসভবনে অবস্থান করছিলেন, তখন এনসিপি নামধারী কিছু সন্ত্রাসী তার বাসভবনে সন্ত্রাসী হামলা করে জানালার গ্লাস ভাঙচুর করে একটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। একটি ছাত্র জনতার গণঅভ্য
১৯ ঘণ্টা আগে