
প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনটি আসনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়েছিল সদ্য প্রয়াত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নামে। তার মৃত্যুর ঠিক আগের দিনই শেষ হয়েছে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া। এই তিন আসনে তাহলে কী হবে?
নির্বাচন কমিশন (ইসি) বলছে, নির্বাচনের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের প্রক্রিয়া শেষে এখনো চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে কাউকে ঘোষণা করা হয়নি বলে এসব আসনে স্বাভাবিকভাবেই নির্বাচন প্রক্রিয়া চলবে। নতুন করে তফসিল ঘোষণার প্রয়োজন হবে না।
এদিকে খালেদা জিয়ার তিনটি আসনেই বিএনপি থেকে ‘বিকল্প প্রার্থী’রাও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। খালেদা জিয়ার প্রয়াণে এসব বিকল্প প্রার্থীদের বিএনপি চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিলে তাদেরই দলটির প্রার্থী হিসেবে গ্রহণ করবে ইসি।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন খালেদা জিয়া। ঠিক আগের দিন সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) ছিল নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন।
দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এবারের নির্বাচনে খালেদা জিয়ার পক্ষে বগুড়া-৭, দিনাজপুর-৩ ও ফেনী-১ আসনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে জমা দেওয়া হয়েছিল। তিনটি আসনেই বিএনপির পক্ষ থেকে একজন করে ‘বিকল্প প্রার্থী’ রাখা হয়েছে। তারাও সোমবার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে প্রশ্ন উঠেছিল, তার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া তিন আসনে নতুন করে তফসিল ঘোষণা করতে হবে কি না। কিন্তু জাতীয় নির্বাচনসংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে বলা হয়েছে, প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি— এমন কোনো ‘বৈধভাবে মনোনীত’ প্রার্থীর মৃত্যু হলে সংশ্লিষ্ট আসনে নতুন করে তফসিল ঘোষণা করতে হয়।
নির্বাচন কমিশন বলছে, এখন পর্যন্ত এ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র যাচাইবাছাই প্রক্রিয়া শেষ না হওয়ায় কাউকেই এখনো বৈধভাবে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়নি। ফলে খালেদা জিয়ার মৃত্যুতেও কোনো ‘বৈধ প্রার্থী’র মৃত্যু না হওয়ায় নতুন করে তফসিল ঘোষণার প্রয়োজন হবে না।
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আবদুর রহমানেল মাছউদ বলেন, মনোনয়নপত্র জমা দিলেই কেউ বৈধ প্রার্থী হয়ে যান না। বাছাই প্রক্রিয়ায় টিকে যাওয়ার পর চূড়ান্তভাবে প্রার্থী হিসেবে স্বীকৃত হন। খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। ফলে আইনিভাবে তিনি এখনো ‘বৈধ প্রার্থী’ হিসেবে বিবেচিত হননি। তার মৃত্যুর কারণে সংশ্লিষ্ট তিন আসনের মনোনয়নপত্রগুলো স্থগিত থাকবে।
ইসি কমিশনার আরও বলেন, তিনটি আসনেই বিএনপির বিকল্প প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। কোনো দল থেকে একাধিক প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিলে প্রতীক বরাদ্দের আগে দল থেকে যার নামে চিঠি দেওয়া হয়, তিনিই দলের চূড়ান্ত প্রার্থী হয়ে থাকেন। এ ক্ষেত্রেও বিএনপি বিকল্প প্রার্থীদের নামে চিঠি দিলে তারা ওই আসনগুলোতে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে প্রতীক পাবেন। ফলে নির্বাচনি প্রক্রিয়াতে কোনো বিঘ্ন ঘটবে না।
খালেদা জিয়ার তিনটি আসনের মধ্যে দিনাজপুর-৩ আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য ও দিনাজপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বগুড়া-৭ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন গাবতলী উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোরশেদ মিল্টন। আর ফেনী-১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া তিন নেতাই বলেছেন, দলের হাইকমান্ডের নির্দেশে তারা প্রার্থী হওয়ার জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। বিএনপি সূত্র বলছে, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে আগে থেকেই এই তিন আসনে ‘বিকল্প প্রার্থী’ প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। খালেদা জিয়ার প্রয়াণে তাদের হাতেই ভোটের মাঠে উঠবে ধানের শীষ।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনটি আসনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়েছিল সদ্য প্রয়াত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নামে। তার মৃত্যুর ঠিক আগের দিনই শেষ হয়েছে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া। এই তিন আসনে তাহলে কী হবে?
নির্বাচন কমিশন (ইসি) বলছে, নির্বাচনের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের প্রক্রিয়া শেষে এখনো চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে কাউকে ঘোষণা করা হয়নি বলে এসব আসনে স্বাভাবিকভাবেই নির্বাচন প্রক্রিয়া চলবে। নতুন করে তফসিল ঘোষণার প্রয়োজন হবে না।
এদিকে খালেদা জিয়ার তিনটি আসনেই বিএনপি থেকে ‘বিকল্প প্রার্থী’রাও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। খালেদা জিয়ার প্রয়াণে এসব বিকল্প প্রার্থীদের বিএনপি চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিলে তাদেরই দলটির প্রার্থী হিসেবে গ্রহণ করবে ইসি।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন খালেদা জিয়া। ঠিক আগের দিন সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) ছিল নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন।
দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এবারের নির্বাচনে খালেদা জিয়ার পক্ষে বগুড়া-৭, দিনাজপুর-৩ ও ফেনী-১ আসনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে জমা দেওয়া হয়েছিল। তিনটি আসনেই বিএনপির পক্ষ থেকে একজন করে ‘বিকল্প প্রার্থী’ রাখা হয়েছে। তারাও সোমবার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে প্রশ্ন উঠেছিল, তার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া তিন আসনে নতুন করে তফসিল ঘোষণা করতে হবে কি না। কিন্তু জাতীয় নির্বাচনসংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে বলা হয়েছে, প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি— এমন কোনো ‘বৈধভাবে মনোনীত’ প্রার্থীর মৃত্যু হলে সংশ্লিষ্ট আসনে নতুন করে তফসিল ঘোষণা করতে হয়।
নির্বাচন কমিশন বলছে, এখন পর্যন্ত এ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র যাচাইবাছাই প্রক্রিয়া শেষ না হওয়ায় কাউকেই এখনো বৈধভাবে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়নি। ফলে খালেদা জিয়ার মৃত্যুতেও কোনো ‘বৈধ প্রার্থী’র মৃত্যু না হওয়ায় নতুন করে তফসিল ঘোষণার প্রয়োজন হবে না।
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আবদুর রহমানেল মাছউদ বলেন, মনোনয়নপত্র জমা দিলেই কেউ বৈধ প্রার্থী হয়ে যান না। বাছাই প্রক্রিয়ায় টিকে যাওয়ার পর চূড়ান্তভাবে প্রার্থী হিসেবে স্বীকৃত হন। খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। ফলে আইনিভাবে তিনি এখনো ‘বৈধ প্রার্থী’ হিসেবে বিবেচিত হননি। তার মৃত্যুর কারণে সংশ্লিষ্ট তিন আসনের মনোনয়নপত্রগুলো স্থগিত থাকবে।
ইসি কমিশনার আরও বলেন, তিনটি আসনেই বিএনপির বিকল্প প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। কোনো দল থেকে একাধিক প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিলে প্রতীক বরাদ্দের আগে দল থেকে যার নামে চিঠি দেওয়া হয়, তিনিই দলের চূড়ান্ত প্রার্থী হয়ে থাকেন। এ ক্ষেত্রেও বিএনপি বিকল্প প্রার্থীদের নামে চিঠি দিলে তারা ওই আসনগুলোতে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে প্রতীক পাবেন। ফলে নির্বাচনি প্রক্রিয়াতে কোনো বিঘ্ন ঘটবে না।
খালেদা জিয়ার তিনটি আসনের মধ্যে দিনাজপুর-৩ আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য ও দিনাজপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বগুড়া-৭ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন গাবতলী উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোরশেদ মিল্টন। আর ফেনী-১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া তিন নেতাই বলেছেন, দলের হাইকমান্ডের নির্দেশে তারা প্রার্থী হওয়ার জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। বিএনপি সূত্র বলছে, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে আগে থেকেই এই তিন আসনে ‘বিকল্প প্রার্থী’ প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। খালেদা জিয়ার প্রয়াণে তাদের হাতেই ভোটের মাঠে উঠবে ধানের শীষ।

মঙ্গলবার এক শোকবার্তায় বলা হয়েছে, বেগম খালেদা জিয়া এক রাজনৈতিক অস্থির সময়ে তাঁর দলের হাল ধরেছিলেন। এদেশে সামরিক স্বৈরাচারবিরোধী সংগ্রামে অনড় ভূমিকা রেখে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে সফল হয়েছিলেন।
৬ ঘণ্টা আগে
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক শোক বার্তায় তিনি বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতির এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তিনি জীবনের বেশির ভাগ সময় দেশের মানুষের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য, স্বাধীনতার জন্য, মানবাধিকারের জন্য, ভোটাধিকারের জন্য লড়াই করে গেছেন। জেল খেটেছেন, নির্যাতিত হ
৭ ঘণ্টা আগে
বহিষ্কৃত অন্যদের মধ্যে রয়েছেন- বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য- মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, মোহাম্মদ শাহ আলম, হাসান মামুন, আব্দুল খালেক, ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি ও বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের মহাসচিব তরুণ দে, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক আহবায়ক সাইফুল আলম নীরব, সিলেট জেলা বিএন
৭ ঘণ্টা আগে
গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক ড. মো. মিজানুর রহমানের সই করা এক শোকবার্তায় ড. কামাল হোসেন বলেন, খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আমরা একজন দেশপ্রেমিক ও গণতান্ত্রিক অভিভাবককে হারালাম। দেশের ইতিহাসে গণতান্ত্রিক সংগ্রামে তিনি এক অনন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবেন।
৭ ঘণ্টা আগে