
প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের ঘোষণায় খুশি হতে না পেরে, কেউ কেউ হতাশ হয়েছেন—বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছেন ‘হতাশ হয়েছে...হতাশ। যারা হতাশ হয়, তারা সারা জীবনই হতাশ থাকে।’
আজ বুধবার রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম এ কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদও উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাচনের ঘোষণায় কয়েকটি রাজনৈতিক দলের খুশি না হওয়া প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এখনো তারা আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি, তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দিয়েছে। আমরা আশা করব তারা একটা ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে গণতন্ত্রে উত্তরণের পথ পরিষ্কার করবে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমান সংকটে নির্বাচনই একমাত্র পথ। আমরা মনে করি, গোটা জাতি মনে করে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সংকট কাটিয়ে দেশ গণতন্ত্রে উত্তরণ করবে।’ বিএনপির নির্বাচনী প্রক্রিয়া চলছে বলেও এ সময় জানান তিনি।
বিরাজমান আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘খুব সম্ভব। অত্যন্ত ভালোভাবে সম্ভব। ৯১ এ তিন মাসে ছাত্র গণ-অভ্যুত্থানের পরে একটা নির্বাচন হয়েছিল। পরবর্তী নির্বাচন গুলো তিন মাসের মধ্যে সম্ভব হয়েছে। এটা এখন আরও বেশি করে সম্ভব, কারণ জনগণই এই নির্বাচনটা চায়। জনগণই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য সবচেয়ে বড় প্রহরী হয়ে দাঁড়াবে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে দেশবাসী একটি ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছে। রক্ত দিয়েছে, নির্যাতন সহ্য করেছে, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে অনেকেই প্রাণ হারিয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার পরিকল্পিতভাবে জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে তিনটি নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করেছে। একদলীয় শাসন কায়েম করতে তারা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে দলীয়করণ করেছে, বিরোধী দলগুলোর ওপর নিপীড়ন চালিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির ৬০ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। দলীয় সভাপতি বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় ১০ বছরের সাজা দিয়ে ৬ বছর কারাগারে রাখা হয়েছিল। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অসংখ্য নেতাকে আজীবন সাজা দেওয়া হয়েছে। অনেকেই কারাগারে মৃত্যুবরণ করেছেন। কিন্তু তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি সংগ্রাম চালিয়ে গেছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনের মুখে ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনা সরকার পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। এই অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে জনগণের মনে নতুন আশার সৃষ্টি হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের নেতৃত্বে ধ্বংসপ্রাপ্ত রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কাঠামো পুনর্গঠনের কাজ শুরু হয়েছে। ৫ আগস্ট ঘোষিত জুলাই ঘোষণাপত্র এই সংস্কারেরই অংশ।
বিএনপি এই ঘোষণাপত্রকে স্বাগত জানিয়েছে। দলটি মনে করে, এই ঘোষণার মাধ্যমে একটি সাম্যবাদী, মানবিক ও ন্যায়ভিত্তিক বাংলাদেশ গঠনের পথ সুগম হবে। মির্জা ফখরুল সংগ্রামে অংশ নেওয়া সব রাজনৈতিক দল, ছাত্র, কৃষক, শ্রমিক ও সর্বস্তরের মানুষকে ধন্যবাদ জানান, যারা আন্দোলনে প্রাণ দিয়েছেন, আহত হয়েছেন বা নির্যাতন সহ্য করেছে।

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের ঘোষণায় খুশি হতে না পেরে, কেউ কেউ হতাশ হয়েছেন—বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছেন ‘হতাশ হয়েছে...হতাশ। যারা হতাশ হয়, তারা সারা জীবনই হতাশ থাকে।’
আজ বুধবার রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম এ কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদও উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাচনের ঘোষণায় কয়েকটি রাজনৈতিক দলের খুশি না হওয়া প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এখনো তারা আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি, তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দিয়েছে। আমরা আশা করব তারা একটা ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে গণতন্ত্রে উত্তরণের পথ পরিষ্কার করবে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমান সংকটে নির্বাচনই একমাত্র পথ। আমরা মনে করি, গোটা জাতি মনে করে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সংকট কাটিয়ে দেশ গণতন্ত্রে উত্তরণ করবে।’ বিএনপির নির্বাচনী প্রক্রিয়া চলছে বলেও এ সময় জানান তিনি।
বিরাজমান আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘খুব সম্ভব। অত্যন্ত ভালোভাবে সম্ভব। ৯১ এ তিন মাসে ছাত্র গণ-অভ্যুত্থানের পরে একটা নির্বাচন হয়েছিল। পরবর্তী নির্বাচন গুলো তিন মাসের মধ্যে সম্ভব হয়েছে। এটা এখন আরও বেশি করে সম্ভব, কারণ জনগণই এই নির্বাচনটা চায়। জনগণই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য সবচেয়ে বড় প্রহরী হয়ে দাঁড়াবে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে দেশবাসী একটি ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছে। রক্ত দিয়েছে, নির্যাতন সহ্য করেছে, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে অনেকেই প্রাণ হারিয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার পরিকল্পিতভাবে জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে তিনটি নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করেছে। একদলীয় শাসন কায়েম করতে তারা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে দলীয়করণ করেছে, বিরোধী দলগুলোর ওপর নিপীড়ন চালিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির ৬০ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। দলীয় সভাপতি বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় ১০ বছরের সাজা দিয়ে ৬ বছর কারাগারে রাখা হয়েছিল। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অসংখ্য নেতাকে আজীবন সাজা দেওয়া হয়েছে। অনেকেই কারাগারে মৃত্যুবরণ করেছেন। কিন্তু তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি সংগ্রাম চালিয়ে গেছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনের মুখে ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনা সরকার পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। এই অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে জনগণের মনে নতুন আশার সৃষ্টি হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের নেতৃত্বে ধ্বংসপ্রাপ্ত রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কাঠামো পুনর্গঠনের কাজ শুরু হয়েছে। ৫ আগস্ট ঘোষিত জুলাই ঘোষণাপত্র এই সংস্কারেরই অংশ।
বিএনপি এই ঘোষণাপত্রকে স্বাগত জানিয়েছে। দলটি মনে করে, এই ঘোষণার মাধ্যমে একটি সাম্যবাদী, মানবিক ও ন্যায়ভিত্তিক বাংলাদেশ গঠনের পথ সুগম হবে। মির্জা ফখরুল সংগ্রামে অংশ নেওয়া সব রাজনৈতিক দল, ছাত্র, কৃষক, শ্রমিক ও সর্বস্তরের মানুষকে ধন্যবাদ জানান, যারা আন্দোলনে প্রাণ দিয়েছেন, আহত হয়েছেন বা নির্যাতন সহ্য করেছে।

নির্বাচন কমিশন (ইসি) বলছে, নির্বাচনের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের প্রক্রিয়া শেষে এখনো চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে কাউকে ঘোষণা করা হয়নি বলে এসব আসনে স্বাভাবিকভাবেই নির্বাচন প্রক্রিয়া চলবে। নতুন করে তফসিল ঘোষণার প্রয়োজন হবে না।
১৫ ঘণ্টা আগে
শোক বইয়ে এরই মধ্যে সই করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তিন উপদেষ্টা— আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সারোয়ার ফারুকী ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমও এতে সই করেছেন।
১৭ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক সংগ্রামে, সার্বভৌমত্ব সংগ্রামে বেগম খালেদা জিয়া অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন থেকে ২৪-এর ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন, উনার আপসহীন মনোভাব ও দৃঢ়তা সেটা বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মুক্তিকামী মানুষকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।’
১৭ ঘণ্টা আগে
নাহিদ ইসলাম বলেন, দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে খালেদা জিয়া বহুবার কারাবরণ করেছেন এবং চড়াই-উৎরাই পার করেছেন। কিন্তু নিজের রাজনৈতিক আদর্শ ও জনগণের অধিকারের প্রশ্নে তিনি ছিলেন অবিচল। দেশ ও জাতির সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে ছিলেন আপসহীন।
১৮ ঘণ্টা আগে