
প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ দেশে নানা গণ্ডগোল করার চেষ্টা চালাবেন বলে আশঙ্কা করছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সেসব মোকাবিলা করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
মেজর হাফিজ বলেন, নির্বাচনের আগে কিন্তু দেশে অনেক গণ্ডগোল হবে। ভারতে আশ্রয় নিয়ে মাফিয়া নেত্রী শেখ হাসিনা এই দেশকে লণ্ডভণ্ড করার জন্য, নির্বাচন বানচালের জন্য অনেক সহিংস ঘটনার অবতারণা করবেন। আমরা দলমত নির্বিশেষে দেশবাসী সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে এই মাফিয়াদের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডকে প্রতিহত করব— এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) রাজধানী ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মেজর হাফিজ বলেন, আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করেনি। দলকে গ্লোরিফাই করার জন্য তারা লুটপাটের কাজে ব্যস্ত ছিল। স্বাধীনতার যে মূল চেতনা ছিল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, সেই গণতন্ত্রকেই তারা ছুড়ে ফেলে দিয়েছে এবং একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে। একসময় তাদেরও দৃশ্যপট থেকে অপসারণ করেছে সংগ্রামী জনতা।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, গত ১৫ বছরে কয়েকটি নির্বাচন হয়েছে। প্রতিটিই ছিল জনগণের সঙ্গে প্রতারণা। নির্বাচনের নামে প্রহসন মঞ্চস্থ করেছিলেন শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের এই দুঃশাসনের বর্ণনা সারাদিন করলেও শেষ হবে না। কত মানুষকে হত্যা করেছে, গুম করেছে; বিরোধী দলকে দমন করতে গিয়ে তারা দেশে একাটা ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। লাখ লাখ, কোটি কোটি ডলার তারা বিদেশে পাচার করেছে।
শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটানো গণঅভ্যুত্থানের জন্য তরুণ ও ছাত্রদের ধন্যবাদ জানিয়ে মেজর হাফিজ বলেন, আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই তরুণ ছাত্রদের, যারা শুরু করেছিল কোটা আন্দোলন দিয়ে। পরে এই কোটা আন্দোলনই এক দফার আন্দোলনে পরিণত হয়েছিল। সেই আন্দোলনে সারা জাতি অংশ নিয়েছিল। প্রতিটি রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির এই নেতা বলেন, এই দেশের একজন জ্ঞানী ব্যক্তি, নোবেল বিজয়ী, সারা দুনিয়ায় বহুল পরিচিত ড. মুহাম্মদ ইউনূস, তিনি সরকারপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন। আমরা একজন যোগ্য মানুষ পেয়েছিলাম। আমরা আশা করেছিলাম তিনি জাতিকে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার অভীষ্ট লক্ষ্যে এগিয়ে নিতে পারবেন।
এই সরকার প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি জানিয়ে মেজর হাফিজ বলেন, আমরা দেখেছি প্রফেসর ইউনূস অন্তরিকভাবেই চেষ্টা করেছেন, কিন্তু উপদেষ্টা পরিষদের কিছু কিছু সদস্য গদিটা নরম ছাড়তে চান না— এ ধরনের মনোভাবের শিকার হয়েছেন। কেউ কেউ পাঁচ বছর, কেউ কেউ আরও বেশিদিন ক্ষমতায় থাকার খায়েশ ব্যক্ত করেছেন। এটা আমরা কারও কাছ থেকে আশা করিনি।
তিনি আরও বলেন, একটি রাজনৈতিক দল, যারা দীর্ঘদিন ধরে আমাদের মিত্র ছিল, কিন্তু নির্বাচনের আগে তাদের কাছ থেকে নানা ধরনের কথা শুনে আমরা আশ্চর্য হয়েছি। এই সরকারের দুই একজন উপদেষ্টা এবং একটি রাজনৈতিক দল একাত্তর সালের মহান মুক্তিযুদ্ধকে একটু পেছনে ঠেলে দিতে চায়।
গণতন্ত্রের পথে যাত্রার আহ্বান জানিয়ে মেজর হাফিজ বলেন, শেখ হাসিনা পালানোর পর দেশবাসী আবার নতুন আশায় বুক বেঁধেছে। আমরা গণতন্ত্রকে পূর্ণভাবে বিকশিত হতে দেখতে চাই।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ দেশে নানা গণ্ডগোল করার চেষ্টা চালাবেন বলে আশঙ্কা করছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সেসব মোকাবিলা করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
মেজর হাফিজ বলেন, নির্বাচনের আগে কিন্তু দেশে অনেক গণ্ডগোল হবে। ভারতে আশ্রয় নিয়ে মাফিয়া নেত্রী শেখ হাসিনা এই দেশকে লণ্ডভণ্ড করার জন্য, নির্বাচন বানচালের জন্য অনেক সহিংস ঘটনার অবতারণা করবেন। আমরা দলমত নির্বিশেষে দেশবাসী সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে এই মাফিয়াদের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডকে প্রতিহত করব— এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) রাজধানী ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মেজর হাফিজ বলেন, আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করেনি। দলকে গ্লোরিফাই করার জন্য তারা লুটপাটের কাজে ব্যস্ত ছিল। স্বাধীনতার যে মূল চেতনা ছিল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, সেই গণতন্ত্রকেই তারা ছুড়ে ফেলে দিয়েছে এবং একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে। একসময় তাদেরও দৃশ্যপট থেকে অপসারণ করেছে সংগ্রামী জনতা।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, গত ১৫ বছরে কয়েকটি নির্বাচন হয়েছে। প্রতিটিই ছিল জনগণের সঙ্গে প্রতারণা। নির্বাচনের নামে প্রহসন মঞ্চস্থ করেছিলেন শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের এই দুঃশাসনের বর্ণনা সারাদিন করলেও শেষ হবে না। কত মানুষকে হত্যা করেছে, গুম করেছে; বিরোধী দলকে দমন করতে গিয়ে তারা দেশে একাটা ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। লাখ লাখ, কোটি কোটি ডলার তারা বিদেশে পাচার করেছে।
শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটানো গণঅভ্যুত্থানের জন্য তরুণ ও ছাত্রদের ধন্যবাদ জানিয়ে মেজর হাফিজ বলেন, আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই তরুণ ছাত্রদের, যারা শুরু করেছিল কোটা আন্দোলন দিয়ে। পরে এই কোটা আন্দোলনই এক দফার আন্দোলনে পরিণত হয়েছিল। সেই আন্দোলনে সারা জাতি অংশ নিয়েছিল। প্রতিটি রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির এই নেতা বলেন, এই দেশের একজন জ্ঞানী ব্যক্তি, নোবেল বিজয়ী, সারা দুনিয়ায় বহুল পরিচিত ড. মুহাম্মদ ইউনূস, তিনি সরকারপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন। আমরা একজন যোগ্য মানুষ পেয়েছিলাম। আমরা আশা করেছিলাম তিনি জাতিকে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার অভীষ্ট লক্ষ্যে এগিয়ে নিতে পারবেন।
এই সরকার প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি জানিয়ে মেজর হাফিজ বলেন, আমরা দেখেছি প্রফেসর ইউনূস অন্তরিকভাবেই চেষ্টা করেছেন, কিন্তু উপদেষ্টা পরিষদের কিছু কিছু সদস্য গদিটা নরম ছাড়তে চান না— এ ধরনের মনোভাবের শিকার হয়েছেন। কেউ কেউ পাঁচ বছর, কেউ কেউ আরও বেশিদিন ক্ষমতায় থাকার খায়েশ ব্যক্ত করেছেন। এটা আমরা কারও কাছ থেকে আশা করিনি।
তিনি আরও বলেন, একটি রাজনৈতিক দল, যারা দীর্ঘদিন ধরে আমাদের মিত্র ছিল, কিন্তু নির্বাচনের আগে তাদের কাছ থেকে নানা ধরনের কথা শুনে আমরা আশ্চর্য হয়েছি। এই সরকারের দুই একজন উপদেষ্টা এবং একটি রাজনৈতিক দল একাত্তর সালের মহান মুক্তিযুদ্ধকে একটু পেছনে ঠেলে দিতে চায়।
গণতন্ত্রের পথে যাত্রার আহ্বান জানিয়ে মেজর হাফিজ বলেন, শেখ হাসিনা পালানোর পর দেশবাসী আবার নতুন আশায় বুক বেঁধেছে। আমরা গণতন্ত্রকে পূর্ণভাবে বিকশিত হতে দেখতে চাই।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক সংগ্রামে, সার্বভৌমত্ব সংগ্রামে বেগম খালেদা জিয়া অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন থেকে ২৪-এর ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন, উনার আপসহীন মনোভাব ও দৃঢ়তা সেটা বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মুক্তিকামী মানুষকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।’
১৪ ঘণ্টা আগে
নাহিদ ইসলাম বলেন, দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে খালেদা জিয়া বহুবার কারাবরণ করেছেন এবং চড়াই-উৎরাই পার করেছেন। কিন্তু নিজের রাজনৈতিক আদর্শ ও জনগণের অধিকারের প্রশ্নে তিনি ছিলেন অবিচল। দেশ ও জাতির সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে ছিলেন আপসহীন।
১৫ ঘণ্টা আগে
মঙ্গলবার এক শোকবার্তায় বলা হয়েছে, বেগম খালেদা জিয়া এক রাজনৈতিক অস্থির সময়ে তাঁর দলের হাল ধরেছিলেন। এদেশে সামরিক স্বৈরাচারবিরোধী সংগ্রামে অনড় ভূমিকা রেখে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে সফল হয়েছিলেন।
১৬ ঘণ্টা আগে