খালেদা জিয়ার সঙ্গে জামায়াত আমিরের বৈঠকে আলোচনায় ২ দলের দূরত্ব

প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৪: ১৬
খালেদা জিয়া ও শফিকুর রহমান

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান। খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানের লন্ডনের বাসায় তাদের মধ্যে এ সাক্ষাৎ হয়। দলীয় সূত্রগুলো বলছে, দুই দলের মধ্যেকার সাম্প্রতিক বিরোধ ও দূরত্ব নিয়ে আলোচনা হয়েছে এ বৈঠকে।

খালেদা জিয়ার সাবেক প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ সাক্ষাৎ নিয়ে একটি পোস্ট দিয়েছেন। তবে সাক্ষাতে কী নিয়ে দুজনের মধ্যে আলোচনা হয়েছে, সে বিষয়ে কিছু জানাননি তিনি।

বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার (১৩ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে খালেদা জিয়ার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তার ছেলে ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। জামায়াতের আমিরের সঙ্গে ছিলেন দলের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।

বৈঠক নিয়ে মারুফ কামাল লিখেছেন, সাক্ষাতে কী কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে তা জানা যায়নি। এই সাক্ষাৎ রাজনীতির রসায়নে নতুন কোনো ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে, নাকি নিছক সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়েই থাকবে, তা বুঝতে হলে আমাদেরকে চোখ রাখতে হবে সামনের দিকে।

তবে দলের একাধিক সূত্র রাজনীতি ডটকমকে জানিয়েছেন, খালেদা জিয়া ও শফিকুর রহমানের সাক্ষাতে দুই দলের মধ্যেকার দূরত্বের বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। এ ছাড়া সমসাময়িক রাজনীতির বিভিন্ন বিষয় নিয়েও আলোচনা করেছেন তারা। তবে সাক্ষাৎতে তারা কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন কি না, সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো বার্তা পাওয়া যায়নি।

বিএনপি ও জামায়াত দীর্ঘ সময় ধরে জোটবদ্ধ রাজনীতি করেছে। ২০০১ সালে বিএনপির নেতৃত্বাধীন যে রাজনৈতিক জোট সরকার গঠন করে, তার অন্যতম অংশীদার ছিল জামায়াত। তবে বিভিন্ন সময় দুই দলের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে জুলাই-আগস্টের ছাত্র আন্দোলনের পর দল দুটির মধ্যে দূরত্ব বাড়তে থাকে।

অনলাইন-অফলাইনে দুই দলের নেতাদের বক্তব্য ও আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে স্পষ্ট হয়ে ওঠে, জাতীয় নির্বাচন ও সংস্কার নিয়ে দুই দলের মধ্যে তীব্র মতপার্থক্য রয়েছে। বিএনপি সংস্কারকে চলমান প্রক্রিয়া হিসেবে যত দ্রুতসম্ভব নির্বাচন দাবি করে আসছে। অন্যদিকে জামায়াতের দাবি, আগে সংস্কার প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে, এরপর নির্বাচন। সূত্র বলছে, এসব বিষয় গুরুত্ব সহকারে আলোচনায় উঠে এসেছে।

উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ৭ জানুয়ারি লন্ডনে যান খালেদা জিয়া। ৮ জানুয়ারি তিনি লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি হন। হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়ে ২৫ জানুয়ারি ছেলের বাসায় ওঠেন তিনি। এরপর থেকে সেখানেই অবস্থান করছেন খালেদা জিয়া। দলের নেতারা এর আগে জানিয়েছিলেন, এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে তিনি দেশে ফিরতে পারেন।

এদিকে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান গত ৪ এপ্রিল ব্রাসেলস সফরে যান। সেখানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদর দপ্তরে একাধিক বৈঠক ও সাক্ষাৎ কর্মসূচি ছিল তার। প্রায় দুই সপ্তাহের ইউরোপ সফর শেষে সোমবার তিনি দেশে ফেরেন।

ad
ad

ঘরের রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

'নির্বাচন বিলম্ব হলে ষড়যন্ত্র মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে'

নির্বাচন বিলম্ব হলে ষড়যন্ত্র মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে বলে আশঙ্কা করে নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানে রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন তিনি।

১০ ঘণ্টা আগে

মবের নামে নাশকতার সুযোগ নেই এখন, সারজিসকে সেনা কর্মকর্তা

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের রংপুর শহরের ‘দ্য স্কাই ভিউ’ বাসভবনে হামলার ঘটনায় সেনাবাহিনী সক্রিয়ভাবে তদন্তে নেমেছে। শনিবার মধ্যরাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং বিএনপির নেতাদের জিজ্ঞাসাবাদও করেছে সেনাবাহিনী।

১২ ঘণ্টা আগে

জামায়াতের দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের সিদ্ধান্ত নেবে ইসি

রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে এক যুগ আগে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল ঘোষণা করেছেন আপিল বিভাগ। তবে দলটির প্রতীক দাঁড়িপাল্লা থাকবে কি না সে বিষয়ে কোনো আদেশ দেননি দেশের সর্ব্বোচ আদালত। জামায়াতের প্রতীকের বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ওপর ছেড়ে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

১৩ ঘণ্টা আগে

'চাকরি অধ্যাদেশের কিছু ধারা অপপ্রয়োগের আশঙ্কা আছে'

সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা ফাওজুল কবির বলেন, আপনাদের (কর্মচারী) যে অবস্থান তা হলো এটি বাতিল করে দিতে হবে। এটা একটা অবস্থান। কিন্তু আপনারা একটা জিনিস মনে রাখবেন- আর একটা বিষয় হতে পারে এই অধ্যাদেশটি যে অপপ্রয়োগ হওয়ার সম্ভাবনা আছে, সেগুলোকে অ্যাড্রেস করা যায় কি না। সেটাও আপনারা একটু মাথায় রাখবেন।

১৪ ঘণ্টা আগে