সরকারের কোলে একদল, কাঁধে আরেক দল : মির্জা আব্বাস

প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
প্রকাশ: ১৮ জুলাই ২০২৫, ১৯: ২২

অন্তর্বর্তী সরকার এক দলকে কোলে আরেক দলকে কাঁধে রেখেছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার প্রোগ্রাম করবেন না। আমরা আপনাদের সহযোগিতা করছি। দ্রুত নির্বাচন দিন, দেশে শান্তি ফিরবে। না দিলে আমরা ভাবব, দেশকে অশান্ত করার প্রক্রিয়া আপনারাই করছেন দীর্ঘদিন ধরে।

শুক্রবার (১৮ জুলাই) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে অনুষ্ঠিত মৌন মিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এসব কথা বলেন মির্জা আব্বাস।

বিকেল ৫টায় মৌন মিছিল শুরু হয়। মিছিলের সামনের সারিতে ছিলেন জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের নেতাকর্মীরা। মিছিলটি কাকরাইল, মৌচাক হয়ে আবুল হোটেলের সামনে গিয়ে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

কর্মসূচির সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সতর্ক অবস্থানে দেখা গেছে।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে মির্জা আব্বাস বলেন, জুলাই আন্দোলনের শহীদদের বিক্রি করে কেউ কেউ রাজনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে।

শহীদদের নিয়ে আফসোস হয় জানিয়ে তিনি বলেন, শহীদদের নিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য চলছে, রাজনৈতিক ব্যবসা চলছে। তারা বেঁচে থাকলে লজ্জা পেতেন। তারা যে কারণে জান দিয়েছিল, যে কারণে গুলির সামনে বুক পেতে দিয়েছিল, সেই কারণগুলো আজকে হচ্ছে না।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে ওই ঘটনাগুলোকে নিয়ে বিশেষ কয়েকটি দল রাজনীতি করছে এবং শহীদদের বিক্রি করে রাজনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার চেষ্টা করছে। কিছু হলেই বলেন আন্দোলনের শহীদ, আন্দোলনের শহীদ, আরে ভাই জুলাই আন্দোলনের শহীদদের সম্মান দেখান। তারা তো কোনো একক ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলকে সমর্থন দেয় নাই। তারা দেশের মানুষকে মুক্ত করার জন্য জীবন দিয়েছে।

মির্জা আব্বাস বলেন, আমরা সংগ্রাম করেছি, যুদ্ধ করেছি, জেলে গিয়েছি কিন্তু সেগুলোর প্রতিদান নিই নাই, চাইও না। কিন্তু জুলাইকে ভিত্তি করে একটি দল প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করছে। আর কিছু দল আছে যারা বেচা-কেনা করছে।

তিনি বলেন, একজন তথাকথিত পীর সাহেব বলেছেন, ‘জামায়াতের ছোঁয়া যেখানে লাগবে সেই জায়গায় পচে যাবে’। মনে আছে কি আপনাদের কথাটা? তিনি আজকে জামায়াতের কোলে উঠে বসেছেন। আবার যেই জামায়াত একসময় বিএনপির কাঁধে পাড়া দিয়ে মন্ত্রী হয়েছে, একসময় আওয়ামী লীগের কাঁধে পাড়া দিয়ে মন্ত্রী হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে তারা দালালি করেছে, তাদের বিক্রি করছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, বিএনপিকে অনেকে আওয়ামী লীগের কাতারে ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। দয়া করে জিহ্বায় একটু লাগাম দিন। তাতে আমাদের সবার ভালো হবে। এমন বাজে কথা বলবেন না যা মানুষের রক্তে আগুন ধরে দিতে পারে। বিএনপি ঝগড়ার দল নয়, বিএনপি গণতন্ত্রকামী দল, জনগণের সঙ্গে নিয়ে লড়াই করে।

মির্জা আব্বাস বলেন, দেশের মানুষের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য, ভোটের অধিকারের জন্য বিএনপি ১৭ বছর রাজপথে আন্দোলন করেছে। বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করে ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করছে কেউ কেউ। কিন্তু বিএনপির এক নেতাকর্মীও জীবিত থাকলে তারা কখনো সফল হবে না। আমাদের নেতাকর্মীরা জেল খাটতে অভ্যস্ত, রাস্তায় আন্দোলন করতে অভ্যস্ত। জীবন ও যৌবনের অর্ধেক সময় রাজপথ ও জেলখানায় কাটিয়েছি।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত এ কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল হক মজনু, সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন।

ad
ad

রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

গোপালগঞ্জে গুলিবিদ্ধ আরও একজনের মৃত্যু

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া আওয়ামী লীগের ব্যাপক সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।

১৪ ঘণ্টা আগে

‘লন্ডন বৈঠকে নির্বাচনের বিষয় ঠিক হওয়ার পর গোলমাল শুরু’

মির্জা ফখরুল বলেন, লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারমানের বৈঠকে নির্বাচনের কথা ঠিক হওয়ার পর গোলমালটা শুরু হয়েছে। অর্থাৎ নির্বাচন হতে দেওয়া যাবে না। কিন্তু এ দেশের মানুষ বরাবরই সংগ্রাম করেছে, লড়াই করেছে, তারা তাদের দাবি আদায় করে নিয়েছে।

১ দিন আগে

‘জুলাই সনদ তৈরির প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও দৃশ্যমান হতে হবে’

বৈঠকে ঐকমত্য কমিশনের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করা হয়। দ্রুততম সময়ের মধ্যে জুলাই সনদ তৈরির কাজ সম্পন্ন করতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চলছে বলে কমিশন সদস্যরা প্রধান উপদেষ্টাকে জানান।

১ দিন আগে

তাজউদ্দীনের জন্ম শতবার্ষিকীতে প্রধান উপদেষ্টাকে আমন্ত্রণ

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছে তাজউদ্দীন পরিবার। এ সময় পরিবারের পক্ষ থেকে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের জন্ম শতবার্ষিকী অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।

১ দিন আগে