
প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাড. রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, ‘বিএনপি বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের আমলেই রাষ্ট্র মেরামতের কর্মসূচি দিয়েছে। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে এসব সংস্কার বিএনপি করবে। বিএনপি যদি অঙ্গীকার করে, তবে ভোটে নির্বাচিত হয়ে সংস্কার করবে না কেন? সংস্কারের প্রস্তাব দিয়ে যে দল নির্বাচিত হবে, সেই দলই পার্লামেন্টের মাধ্যমে সংস্কার করবে।’
শনিবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে শহরের অনিমা চৌধুরী অডিটোরিয়ামে জিয়া পরিষদ নাটোর আয়োজিত স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও বহুদলীয় গণতন্ত্র এবং জিয়াউর রহমান শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী আহমেদ বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বলে বিএনপি নাকি তড়িঘড়ি করে ক্ষমতায় যেতে চায়। আবার সরকারের অনুরাগী কেউ কেউ বলতে চায় যদি সংস্কার না করে নির্বাচন হয়, তাহলে নাকি ভবিষ্যতে আর সংস্কার হবে না। যেকোনো সংস্কার রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা। সংস্কার একটি রাজনৈতিক অঙ্গীকার। বিএনপি রাষ্ট্র মেরামতে যে ৩১ দফা দিয়েছে, সেগুলোই আসল সংস্কার। জাতীয় সংসদে ধারাবাহিক আলোচনার মাধ্যমে সংস্কার তথা আইন প্রণয়ন হয়। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে বিএনপিই দেশের সংস্কার করবে।’
তিনি বলেন, দেশের জনগণ শেখ হাসিনার পতন দেখতে চেয়েছেন, সেই সাথে একটি ভালো সরকার চেয়েছেন। বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকার, যেই সরকার একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করবে। কেননা অবাদ সুষ্ঠু নির্বাচন জাদুঘরে চলে গিয়েছিল। সেই জাদুঘর থেকে জীবন্ত অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনকে ফিরিয়ে আনতে হবে। সেই বিশ্বাস দেশের মানুষ ড. ইউনূস সাহেবের ওপর রেখেছে। কিন্তু নির্বাচন নিয়ে ডিসেম্বর না জুন, ডিসেম্বর না মার্চ বলা হয় তাহলে এটি সরকারের দৃঢ় সংকল্প বা অঙ্গীকার যেটির ওপর জনগণের আস্থা বাড়ে সেটা অনেকটাই দুর্বল হয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যারা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছি, বিশেষ করে ছাত্র-জনতা, আমাদের মধ্যে যদি ভুল-বোঝাবুঝি বাড়ে, তবে লাভটা কার? লাভ ফ্যাসিবাদের। এটা কি আমাদের জন্য মঙ্গলজনক হবে, আমার জিজ্ঞাসা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে ভারত ক্ষমতায় বসিয়ে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করেছে। গুম, খুনের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা তাঁর রাজ সিংহাসনকে বাঁচিয়ে রেখেছিল ভারতের সহায়তায়। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে ভারত বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষকে কষ্ট দিয়েছে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক উপমন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, ‘বিএনপিকে নিয়ে যত ষড়যন্ত্রই হোক না কেন, কেউ সুফল পায়নি। শহীদ জিয়ার আদর্শ নিয়েই বিএনপি এগিয়ে যাচ্ছে। শহীদ জিয়ার পতাকা নিয়েই বিএনপি সামনের দিকে এগিয়ে চলেছে।’
নাটোর জিয়া পরিষদের সভাপতি আহমুদুল হক চৌধুরী স্বপনের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় নির্বাহী মহাসচিব প্রফেসর ড. মো. এমতাজ হোসেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক কাজী গোলাম মোর্শেদ, জিয়া পরিষদের রাজশাহী বিভাগের সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল ইসলাম, রাজশাহী জিয়া পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ সালাম বিপ্লব, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক রহিম নেওয়াজ, যুগ্ম আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান খান বাবুল চৌধুরী, সদস্যসচিব মো. আসাদুজ্জামান আসাদ প্রমুখ।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাড. রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, ‘বিএনপি বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের আমলেই রাষ্ট্র মেরামতের কর্মসূচি দিয়েছে। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে এসব সংস্কার বিএনপি করবে। বিএনপি যদি অঙ্গীকার করে, তবে ভোটে নির্বাচিত হয়ে সংস্কার করবে না কেন? সংস্কারের প্রস্তাব দিয়ে যে দল নির্বাচিত হবে, সেই দলই পার্লামেন্টের মাধ্যমে সংস্কার করবে।’
শনিবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে শহরের অনিমা চৌধুরী অডিটোরিয়ামে জিয়া পরিষদ নাটোর আয়োজিত স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও বহুদলীয় গণতন্ত্র এবং জিয়াউর রহমান শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী আহমেদ বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বলে বিএনপি নাকি তড়িঘড়ি করে ক্ষমতায় যেতে চায়। আবার সরকারের অনুরাগী কেউ কেউ বলতে চায় যদি সংস্কার না করে নির্বাচন হয়, তাহলে নাকি ভবিষ্যতে আর সংস্কার হবে না। যেকোনো সংস্কার রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা। সংস্কার একটি রাজনৈতিক অঙ্গীকার। বিএনপি রাষ্ট্র মেরামতে যে ৩১ দফা দিয়েছে, সেগুলোই আসল সংস্কার। জাতীয় সংসদে ধারাবাহিক আলোচনার মাধ্যমে সংস্কার তথা আইন প্রণয়ন হয়। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে বিএনপিই দেশের সংস্কার করবে।’
তিনি বলেন, দেশের জনগণ শেখ হাসিনার পতন দেখতে চেয়েছেন, সেই সাথে একটি ভালো সরকার চেয়েছেন। বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকার, যেই সরকার একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করবে। কেননা অবাদ সুষ্ঠু নির্বাচন জাদুঘরে চলে গিয়েছিল। সেই জাদুঘর থেকে জীবন্ত অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনকে ফিরিয়ে আনতে হবে। সেই বিশ্বাস দেশের মানুষ ড. ইউনূস সাহেবের ওপর রেখেছে। কিন্তু নির্বাচন নিয়ে ডিসেম্বর না জুন, ডিসেম্বর না মার্চ বলা হয় তাহলে এটি সরকারের দৃঢ় সংকল্প বা অঙ্গীকার যেটির ওপর জনগণের আস্থা বাড়ে সেটা অনেকটাই দুর্বল হয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যারা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছি, বিশেষ করে ছাত্র-জনতা, আমাদের মধ্যে যদি ভুল-বোঝাবুঝি বাড়ে, তবে লাভটা কার? লাভ ফ্যাসিবাদের। এটা কি আমাদের জন্য মঙ্গলজনক হবে, আমার জিজ্ঞাসা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে ভারত ক্ষমতায় বসিয়ে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করেছে। গুম, খুনের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা তাঁর রাজ সিংহাসনকে বাঁচিয়ে রেখেছিল ভারতের সহায়তায়। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে ভারত বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষকে কষ্ট দিয়েছে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক উপমন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, ‘বিএনপিকে নিয়ে যত ষড়যন্ত্রই হোক না কেন, কেউ সুফল পায়নি। শহীদ জিয়ার আদর্শ নিয়েই বিএনপি এগিয়ে যাচ্ছে। শহীদ জিয়ার পতাকা নিয়েই বিএনপি সামনের দিকে এগিয়ে চলেছে।’
নাটোর জিয়া পরিষদের সভাপতি আহমুদুল হক চৌধুরী স্বপনের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় নির্বাহী মহাসচিব প্রফেসর ড. মো. এমতাজ হোসেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক কাজী গোলাম মোর্শেদ, জিয়া পরিষদের রাজশাহী বিভাগের সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল ইসলাম, রাজশাহী জিয়া পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ সালাম বিপ্লব, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক রহিম নেওয়াজ, যুগ্ম আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান খান বাবুল চৌধুরী, সদস্যসচিব মো. আসাদুজ্জামান আসাদ প্রমুখ।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলার ঘটনাকে অত্যন্ত নিন্দনীয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘গতকাল ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদির ওপর যে দুষ্কৃতকারীদের হামলা হয়েছে, গুলিবিদ্ধ সংকটাপন্ন অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন তিনি, এই হামলার পেছনে কারো কোনো অসৎ উদ্দেশ্য আছে কি না ভেবে দেখতে হবে।’
৭ ঘণ্টা আগে
তারেক রহমান লেখেন, ‘১৪ ডিসেম্বর মূলত জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ। শহীদ বুদ্ধিজীবীরা দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশবাসীর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। তারা অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছিলেন, স্বাধীনতার পক্ষে কলম ধরেছিলেন। তাদের জীবন ও কর্ম আজও আমাদের অনুপ্রাণিত করে।’
৯ ঘণ্টা আগে
নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক বিবৃতিতে সাদিক কায়েম বলেন, আওয়ামী লীগ-সমর্থিত একটি প্রোপাগান্ডা সেলের মাধ্যমে প্রচারিত এআই-তৈরি ছবিকে সত্য ধরে নিয়ে তার বিরুদ্ধে অপতথ্য ছড়ানো হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগে
ঢাকা–৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার পেছনে একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
৯ ঘণ্টা আগে