গণতন্ত্র পুনঃপ্রবর্তন ও রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিবর্তন আনতে হবে: আমীর খসরু

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে এককভাবে রাজত্ব কায়েম করেছিল। আমাদের গণতন্ত্র পরিপূর্ণভাবে পুনঃপ্রবর্তন করতে হবে। সেই গণতন্ত্র প্রবর্তনের জন্য আমাদের মনমানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে। রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিবর্তন আনতে হবে। ভিন্নমতের প্রতি সম্মান জানাতে হবে। আগামীর গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে কাজ করছে বিএনপি।

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

যার যার অবস্থান থেকে দেশ গড়ার প্রত্যয়ে কাজ করতে হবে জানিয়ে সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, জুলাইয়ের যে ত্যাগ-এই ত্যাগের প্রতি আমরা যদি সম্মান জানাতে চাই, তাহলে এই ত্যাগের সঠিক মূল্যায়ন করা হবে। নতুন বাংলাদেশ গড়তে হলে নতুনভাবে চিন্তা করতে হবে। আমাদের মনমানসিকতায় পরিবর্তন আনতে হবে। কথাবার্তায়, আচার-আচরণে গণতান্ত্রিক হতে হবে। গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিতে বড় পরিবর্তন আনতে হবে। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশের জনগণের মনোজগতে যে বিশাল পরিবর্তন হয়েছে, যে আকাঙ্ক্ষা জেগেছে, যে প্রত্যাশা জেগেছে, সেটা আমাদের ধারণ করতে হবে। রাজনীতিবিদদের ধারণ করতে হবে। রাজনৈতিক দলকে ধারণ করতে হবে। যারা ধারণ করতে পারবে না, তাদের কোনো রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নেই।

শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন অনিবার্য ছিল উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, বিগত ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশের মানুষ যেভাবে নিগৃহীত হয়েছে, মানুষের ওপর যে অবিচার হয়েছে, ৬০-৭০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হয়েছে, কয়েক হাজার লোক গুম হয়েছে, খুন হয়েছে, পুলিশের হেফাজতে মৃত্যুবরণ করেছে, জেলখানার মধ্যে চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুবরণ করেছে। গত ৫ আগস্ট আমি নিজেও কারাগারে বন্দি ছিলাম।

তিনি বলেন, বিএনপি দেশ পরিচালনার সুযোগ পেলে প্রথম দিন থেকে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিশেষজ্ঞ টিম এ বিষয়ে কাজ করছে। ভেটেরিনারি সায়েন্স, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আইসিটি ইত্যাদি খাতকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উন্নীত করতে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। আর সেটাই হবে নতুন বাংলাদেশের লক্ষ্য।

সিভাসুর উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ লুৎফুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ডা. ওমর ফারুক ইউসুফ। বক্তব্য দেন সিভাসুর পরিচালক (বহিরাঙ্গন কার্যক্রম) প্রফেসর ড. একেএম সাইফুদ্দিন,পরিচালক (ছাত্রকল্যাণ) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ রাশেদুল আলম এবং পরিচালক (পিআরটিসি) প্রফেসর ড. একেএম হুমায়ুন কবির। স্বাগত বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত সিভাসুর ফুড সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রাহাত বিন জাহাঙ্গীর প্রমুখ।

ad
ad

রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

কী হবে খালেদা জিয়ার ৩ আসনে?

নির্বাচন কমিশন (ইসি) বলছে, নির্বাচনের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের প্রক্রিয়া শেষে এখনো চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে কাউকে ঘোষণা করা হয়নি বলে এসব আসনে স্বাভাবিকভাবেই নির্বাচন প্রক্রিয়া চলবে। নতুন করে তফসিল ঘোষণার প্রয়োজন হবে না।

১৫ ঘণ্টা আগে

খালেদা জিয়ার প্রয়াণ: শ্রদ্ধার উচ্চারণে ভরে যাচ্ছে শোক বই

শোক বইয়ে এরই মধ্যে সই করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তিন উপদেষ্টা— আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সারোয়ার ফারুকী ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমও এতে সই করেছেন।

১৭ ঘণ্টা আগে

খালেদা জিয়া জাতির অভিভাবক ছিলেন : নাহিদ ইসলাম

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক সংগ্রামে, সার্বভৌমত্ব সংগ্রামে বেগম খালেদা জিয়া অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন থেকে ২৪-এর ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন, উনার আপসহীন মনোভাব ও দৃঢ়তা সেটা বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মুক্তিকামী মানুষকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।’

১৭ ঘণ্টা আগে

দেশ ও জাতির সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে খালেদা জিয়া ছিলেন আপসহীন: নাহিদ

নাহিদ ইসলাম বলেন, দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে খালেদা জিয়া বহুবার কারাবরণ করেছেন এবং চড়াই-উৎরাই পার করেছেন। কিন্তু নিজের রাজনৈতিক আদর্শ ও জনগণের অধিকারের প্রশ্নে তিনি ছিলেন অবিচল। দেশ ও জাতির সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে ছিলেন আপসহীন।

১৮ ঘণ্টা আগে