মিয়ানমারকে মানবিক করিডোর দেওয়া দেশের সার্বভৌমত্বকে সংকটে ফেলবে: সিপিবি

প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
আপডেট : ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৯: ৫৬

মিয়ানমারের জন্য তথাকথিত মানবিক করিডোর দেয়ার খবরে তীব্র ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)।

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে সিপিবির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম এবং সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, এ ধরনের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেই। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দেশের বিদ্যমান সংবিধান লংঘন করে এই ভয়ংকর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে, যা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে সংকটে ফেলবে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, এই করিডোর দেওয়া হলে বাংলাদেশের সীমান্ত অরক্ষিত হয়ে পড়বে। এমনিতেই মিয়ানমারের নাসাকা বাহিনীর সাথে বাংলাদেশের বিজিবির নিয়মিত সংঘর্ষ চলছে। এই করিডোর দেয়া হলে মিয়ানমার জান্তা বাংলাদেশের নিরাপত্তাকেও নানা অজুহাতে বিপন্ন করে তুলবে।

সিপিবি নেতৃবৃন্দ বলেন, হঠাৎ করে রোহিঙ্গা ইস্যুতে পশ্চিমা দেশগুলোর এই উৎসাহ সন্দেহজনক। এটি সাম্রাজ্যবাদের ভূ-রাজনৈতিক চক্রান্ত থেকে বিচ্ছিন্ন কিছু নয়। কারণ, জাতিসংঘ এবং পশ্চিমা দেশগুলো মানবিক করিডরের জন্য বাংলাদেশের বিকল্প হিসেবে মিয়ানমারের সিতওয়ে বন্দর ছাড়াও বঙ্গোপসাগরের মিয়ানমার উপকূলের অনেক জায়গাই ব্যবহার করতে পারে।

সুতরাং বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতির কথা বিবেচনায় না রেখে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার যদি এ ধরনের দেশবিরোধী কোন পদক্ষেপ নেয়, বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক জনতা তাকে প্রতিহত করবে।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ দেশের স্বাধীনতার সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে এবং ভূ-রাজনৈতিক বিবেচনায় সাম্রাজ্যবাদী আধিপত্যবাদী শক্তিকে যেকোন সুবিধে দেওয়ার বিরুদ্ধে বর্তমান সরকারের পদক্ষেপ সচেতনভাবে রুখে দাঁড়াতে গণতান্ত্রিক দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল সংগঠন ও ব্যক্তিবর্গের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

এটা চব্বিশের জুলাইয়ে শত শহিদের স্বৈরাচারী বিরোধী গণতন্ত্রের আকাংখা ও প্রত্যাশাকে ভুণ্ডল করে দেবে। তাই এই ষড়যন্ত্রকে দেশের গণতন্ত্রের লড়াকু জনগণে নিয়ে প্রতিহত করা হবে।

ad
ad

রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

নৈরাজ্য প্রতিরোধে রাজনৈতিক ঐক্যের ডাক ফখরুলের

এ সময় দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘নৈরাজ্য প্রতিরোধ করতে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বিকল্প নাই।’

১৮ ঘণ্টা আগে

ওসমান হাদি হত্যার বিচার চেয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি ছাত্রদলের

স্মারকলিপিতে ছাত্রদল নেতারা বলেন, আইনের শাসন ও নাগরিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব। দ্রুত এসব দাবি বাস্তবায়নের মাধ্যমে শহিদ ওসমান বিন হাদির আত্মত্যাগের প্রতি ন্যূনতম সম্মান প্রদর্শিত হবে এবং জনগণের আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে।

২০ ঘণ্টা আগে

জামায়াতের দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা

কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে— শনিবার (২০ ডিসেম্বর) ওসমান হাদির রুহের মাগফিরাত কামনা করে দেশের জেলা/মহানগরী শাখায় দোয়া অনুষ্ঠান করা। এছাড়াও রোববার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় রাজধানী ঢাকার মগবাজারস্থ আল-ফালাহ মিলনায়তনে কেন্দ্রীয় সংগঠনের উদ্যোগে দোয়া অনুষ্ঠান।

২০ ঘণ্টা আগে

প্রতিহিংসার রাজনীতি পরিহারের আহ্বান গণসংহতি আন্দোলনের

পরিদর্শনকালে আবুল হাসান রুবেল বলেন, শহীদ শরিফ ওসমান হাদি ইতিবাচক ধারায় গণতান্ত্রিক পথে রাজনীতি বিনির্মাণ করছিলেন। নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে জনগণের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে তিনি মানুষের কাছে আপন হয়ে উঠেছিলেন। তার ওপর হামলা ও হত্যাকাণ্ড দেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতির ওপর সরাসরি আঘাত। অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেপ্ত

২০ ঘণ্টা আগে