প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
ছাত্র-জনতার নাম করে যারা ‘মব’ তৈরি করে নানা ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে, তারা জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের হতে পারে না বলে মনে করছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। এ ধরনের ‘মব’ যারা করছে, তাদের কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেছেন, আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া কারও কাজ না। ফলে এরপর থেকে কেউ ‘মব’ তৈরি করে আইন নিজের হাতে তুলে নিলে তাকে ‘ডেভিল’ হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টা ৩৬ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মাহফুজ।
স্ট্যাটাসে উপদেষ্টা লিখেছেন, ‘অভ্যুত্থানের পক্ষে হলে মব করা বন্ধ করেন। আর যদি মব করেন, তাইলে আপনাদেরও ডেভিল হিসাবে ট্রিট করা হবে। আজকের ঘটনার পর আর কোনো অনুরোধ করা হবে না। আপনাদের কাজ না আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া।’
স্ট্যাটাসে ‘ডেভিল’ বলার মাধ্যমে উপদেষ্টা ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ প্রসঙ্গটিও এনেছেন। শনিবার থেকে এই অভিযান শুরু করেছে যৌথ বাহিনী। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল করে তোলার কর্মকাণ্ডে যার জড়িত, এই অভিযানের মাধ্যমে তাদের ধরা হবে। মাহফুজের ঘোষণা অনুযায়ী, এখন থেকে যারা ‘মবে’র সঙ্গে জড়িত থাকবে, তাদেরও অপারেশন ডেভিল হান্টের অধীনে আইনের আওতায় আনা হবে।
তরুণ উপদেষ্টা মাহফুজ তার হুঁশিয়ারির স্ট্যাটাসটি এমন সময়ে দিয়েছেন, যার ঘণ্টা দুয়েক আগেই অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশনা সংস্থা সব্যসাচীর স্টলে হামলা হয়েছে। নির্বাসিত লেখক তসলিমা নাসরিনের বই কেন স্টলে রাখা হয়েছে, হামলার ক্ষেত্রে এটিই ছিল অভিযোগ।
এর আগে গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার অনলাইনে ভাষণ দেওয়াকে কেন্দ্র করে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে ঘোষণা দিয়ে হামলা চালানো হয়। ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের পর এক্সক্যাভেটর, বুলডোজার, ক্রেন দিয়ে বাড়িটি সম্পূর্ণ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
এরপর সারা দেশেই আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাদের বাড়িতে হামলা হয়। ওইসব বাড়িঘরেরও বেশির ভাগই বুলডোজার, এক্সক্যাভেটর ব্যবহার করে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ করা হয় আওয়ামী লীগের কার্যালয়গুলোতে। সারা দেশে শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভেঙে ফেলা হয়।
বিভিন্ন স্থানেই এমন ‘মব’ তৈরি করে ‘মব জাস্টিসে’র ঘটনা ঘটছে নিয়মিতই। এ ছাড়া সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই নানা দল, গোষ্ঠী, পেশাজীবীদের আন্দোলন রাজধানীবাসীর নিত্যসঙ্গী। এগুলোর সঙ্গে জড়িতদের শক্ত হাতে মোকাবিলার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মাহফুজ আলম।
স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ‘কথিত আন্দোলন আর মবের মহড়া আমরা এখন থেকে শক্ত হাতে মোকাবিলা করব। রাষ্ট্রকে অকার্যকর ও ব্যর্থ প্রমাণের চেষ্টা করা হলে একবিন্দু ছাড় দেওয়া হবে না।’
‘তৌহিদি জনতা’র উগ্রতায় শান্তি বিনষ্ট হচ্ছে উল্লেখ করে মাহফুজ লিখেছেন, ‘তৌহিদি জনতা! আপনারা দেড় দশক পর শান্তিতে ধর্ম ও সংস্কৃতি পালনের সুযোগ পেয়েছেন। আপনাদের আহমকি কিংবা উগ্রতা আপনাদের সে শান্তি বিনষ্টের কারণ হতে যাচ্ছে।’
এই স্ট্যাটাসের মাধ্যমে শেষবারের মতো অনুরোধ করছেন, এরপর থেকে সরাসরি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেই জানাচ্ছেন উপদেষ্টা মাহফুজ। তিনি লিখেছেন, ‘জুলুম করা থেকে বিরত থাকেন। নইলে আপনাদের ওপর জুলুম অবধারিত হবে। লা তাযলিমুনা ওলা তুযলামুনা— জুলুম করবেন না, জুলুমের শিকারও হবেন না। এটাই আপনাদের কাছে শেষ অনুরোধ!’
ছাত্র-জনতার নাম করে যারা ‘মব’ তৈরি করে নানা ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে, তারা জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের হতে পারে না বলে মনে করছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। এ ধরনের ‘মব’ যারা করছে, তাদের কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেছেন, আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া কারও কাজ না। ফলে এরপর থেকে কেউ ‘মব’ তৈরি করে আইন নিজের হাতে তুলে নিলে তাকে ‘ডেভিল’ হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টা ৩৬ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মাহফুজ।
স্ট্যাটাসে উপদেষ্টা লিখেছেন, ‘অভ্যুত্থানের পক্ষে হলে মব করা বন্ধ করেন। আর যদি মব করেন, তাইলে আপনাদেরও ডেভিল হিসাবে ট্রিট করা হবে। আজকের ঘটনার পর আর কোনো অনুরোধ করা হবে না। আপনাদের কাজ না আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া।’
স্ট্যাটাসে ‘ডেভিল’ বলার মাধ্যমে উপদেষ্টা ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ প্রসঙ্গটিও এনেছেন। শনিবার থেকে এই অভিযান শুরু করেছে যৌথ বাহিনী। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল করে তোলার কর্মকাণ্ডে যার জড়িত, এই অভিযানের মাধ্যমে তাদের ধরা হবে। মাহফুজের ঘোষণা অনুযায়ী, এখন থেকে যারা ‘মবে’র সঙ্গে জড়িত থাকবে, তাদেরও অপারেশন ডেভিল হান্টের অধীনে আইনের আওতায় আনা হবে।
তরুণ উপদেষ্টা মাহফুজ তার হুঁশিয়ারির স্ট্যাটাসটি এমন সময়ে দিয়েছেন, যার ঘণ্টা দুয়েক আগেই অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশনা সংস্থা সব্যসাচীর স্টলে হামলা হয়েছে। নির্বাসিত লেখক তসলিমা নাসরিনের বই কেন স্টলে রাখা হয়েছে, হামলার ক্ষেত্রে এটিই ছিল অভিযোগ।
এর আগে গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার অনলাইনে ভাষণ দেওয়াকে কেন্দ্র করে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে ঘোষণা দিয়ে হামলা চালানো হয়। ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের পর এক্সক্যাভেটর, বুলডোজার, ক্রেন দিয়ে বাড়িটি সম্পূর্ণ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
এরপর সারা দেশেই আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাদের বাড়িতে হামলা হয়। ওইসব বাড়িঘরেরও বেশির ভাগই বুলডোজার, এক্সক্যাভেটর ব্যবহার করে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ করা হয় আওয়ামী লীগের কার্যালয়গুলোতে। সারা দেশে শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভেঙে ফেলা হয়।
বিভিন্ন স্থানেই এমন ‘মব’ তৈরি করে ‘মব জাস্টিসে’র ঘটনা ঘটছে নিয়মিতই। এ ছাড়া সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই নানা দল, গোষ্ঠী, পেশাজীবীদের আন্দোলন রাজধানীবাসীর নিত্যসঙ্গী। এগুলোর সঙ্গে জড়িতদের শক্ত হাতে মোকাবিলার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মাহফুজ আলম।
স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ‘কথিত আন্দোলন আর মবের মহড়া আমরা এখন থেকে শক্ত হাতে মোকাবিলা করব। রাষ্ট্রকে অকার্যকর ও ব্যর্থ প্রমাণের চেষ্টা করা হলে একবিন্দু ছাড় দেওয়া হবে না।’
‘তৌহিদি জনতা’র উগ্রতায় শান্তি বিনষ্ট হচ্ছে উল্লেখ করে মাহফুজ লিখেছেন, ‘তৌহিদি জনতা! আপনারা দেড় দশক পর শান্তিতে ধর্ম ও সংস্কৃতি পালনের সুযোগ পেয়েছেন। আপনাদের আহমকি কিংবা উগ্রতা আপনাদের সে শান্তি বিনষ্টের কারণ হতে যাচ্ছে।’
এই স্ট্যাটাসের মাধ্যমে শেষবারের মতো অনুরোধ করছেন, এরপর থেকে সরাসরি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেই জানাচ্ছেন উপদেষ্টা মাহফুজ। তিনি লিখেছেন, ‘জুলুম করা থেকে বিরত থাকেন। নইলে আপনাদের ওপর জুলুম অবধারিত হবে। লা তাযলিমুনা ওলা তুযলামুনা— জুলুম করবেন না, জুলুমের শিকারও হবেন না। এটাই আপনাদের কাছে শেষ অনুরোধ!’
তিনি বলেন, ‘অপশক্তি জনতার প্রতিরোধে এক বছর আগে পালিয়ে গেছে। মনে হচ্ছে এখন আমরা স্বাধীন। হাসিনার শাসনামলে আমরা বাড়িতে থাকতে পারিনি, ঘরে ঘুমাতে পারিনি। দেশে একটা বিভীষিকাময় পরিবেশ ছিল। হাসিনার পলায়নের মাধ্যমে মনে হচ্ছে আমরা নতুন করে স্বাধীনতা পেয়েছি। ড. ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠি
১ দিন আগেরাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ডাকা কর্মী সমাবেশ ঘিরে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করছে পুলিশ। এ সময় সমাবেশস্থলে সাউন্ড গ্রেনেডের শব্দ পাওয়া যায়। এছাড়াও পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
২ দিন আগেউত্তর কোরিয়ার সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, হোয়াসং-২০ আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো স্থানে আঘাত হানতে সক্ষম। তবে ক্ষেপণাস্ত্রটির সক্ষমতা নিয়ে এখনো কোনো পরীক্ষা করা হয়নি।
২ দিন আগেআমীর খসরু বলেন, যারা পিআর পদ্ধতির পক্ষে তাদের উচিত হবে জনগণের কাছে গিয়ে ম্যান্ডেট আনা। কিছু রাজনৈতিক দল নিয়ে আলোচনা করে আগামীর বাংলাদেশে কী হবে- তা ঠিক করতে মানুষ দায়িত্ব দেয় নাই। তাই সনদেরও ম্যান্ডেট লাগবে।
২ দিন আগে