লন্ডন থেকে ঢাকার পথে প্রধান উপদেষ্টা

প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
প্রকাশ: ১৪ জুন ২০২৫, ০৯: ৫৫
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। ফাইল ছবি

চার দিনের সরকারি সফর শেষে দেশের উদ্দেশে লন্ডন ত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শুক্রবার (১৩ জুন) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে তিনি হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রওনা হন। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

সফরকালে বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে এক বিশেষ বৈঠকে মিলিত হন ড. ইউনূস। এ সময় তাকে ‘কিং চার্লস তৃতীয় হারমনি অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ প্রদান করা হয়। বিশ্বব্যাপী মানবকল্যাণে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে এই সম্মাননায় ভূষিত করা হয়।

শুক্রবার ড. ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে এক যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়, আলোচনা অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে। সূত্র মতে, তারেক রহমানের প্রস্তাবে ড. ইউনূস জানান, প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হলে ২০২৬ সালের রমজান শুরুর আগের সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন সম্ভব। তবে এর জন্য দেশে বিচারিক সংস্কারসহ কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি অর্জন জরুরি।

এছাড়া সফরকালে তিনি যুক্তরাজ্যের হাউস অব কমন্সের স্পিকারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে বৈঠক করেন এবং কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচিতে অংশ নেন।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, এবারের সফরে পাচার হওয়া অর্থ পুনরুদ্ধারই ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এজেন্ডা। তার দাবি, শেখ হাসিনার শাসনামলে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ২৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পাচার হয়েছে, যার একটি বড় অংশ যুক্তরাজ্যে গিয়েছে। এ বিষয়ে ব্রিটিশ সরকার বাংলাদেশকে সক্রিয় সহযোগিতা করছে বলেও তিনি জানান।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, এ সহযোগিতার অন্যতম উদাহরণ হচ্ছে শেখ হাসিনা সরকারের ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের যুক্তরাজ্যস্থ সম্পদ জব্দের ঘটনা।

সফরের সার্বিক দিক বিবেচনায় বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি ছিল কূটনৈতিকভাবে অত্যন্ত ফলপ্রসূ ও তাৎপর্যপূর্ণ এক পর্ব।

ad
ad

ঘরের রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

নির্বাচন প্রশ্নে সরকার একটি দলকে প্রাধান্য দিচ্ছে: এনসিপি

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বৈঠকে নির্বাচনের তারিখ সংক্রান্ত আলোচনা যতটুকু গুরুত্ব পেয়েছে, অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশে নাগরিকদের প্রধান দাবি তথা বিচার ও সংস্কার ততটুকু গুরুত্ব পায়নি। এটি অত্যন্ত হতাশাজনক বলে মনে করে এনসিপি। তার ওপর নির্বাচন প্রশ্নে সরকার কেবল একটি রাজনৈতিক দলের অবস্থান ও দাবিকেই বেশি প্রাধ

১ দিন আগে

ইউনূস-তারেক বৈঠকে বিচার-সংস্কার প্রাধান্য না পাওয়ায় ‘হতাশ’ হাসনাত

বৈঠক নিয়ে হতাশার কথাও জানিয়েছেন হাসনাত। লিখেছেন, হতাশার বিষয়— বৈঠকে নির্বাচনের মাস ও তারিখ যেভাবে গুরুত্ব পেয়েছে, অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আকাঙ্ক্ষা বিচার ও সংস্কার সেভাবে প্রাধান্য পায়নি। এ সরকার শুধু নির্বাচন দেওয়ার জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোনো রূপ নয়, বরং একটি

১ দিন আগে

যে বৈঠকে বিজয়ী বাংলাদেশ

তিনি বলেন, পুরো বাংলাদেশের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির সংযোগ ঘটিয়ে, এপ্রিলের মতো অনাকাঙ্ক্ষিত সময় থেকে সরে এসে নির্বাচনের জন্য একটি যৌক্তিক সময়সীমা নির্ধারণের জন্য প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনুসকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ। তিনি জনগণের প্রত্যাশা উপলব্ধি করে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যা নিঃসন্দেহে প্রশংসার যোগ্য।

১ দিন আগে

স্থিতিশীল পরিবেশ বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি : জোনায়েদ সাকি

তিনি আরো বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সম্প্রতি যে আলোচনাগুলো হচ্ছে, আজ লন্ডনে যে বৈঠক হলো তা ইতিবাচক, আমরা এই আলোচনার উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। ঈদের আগে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্যের পর আমরা বলেছি, বিভিন্ন বিষয় বিবেচনায় এপ্রিলের শুরুতে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত নয়।

১ দিন আগে