প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
বাংলাদেশ থেকে পাচার ও চুরি হয়ে যাওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেসউইং।
ওই দফতরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চুরি হওয়া অর্থ-সম্পদ বাংলাদেশের জনগণের প্রাপ্য। এ ধরনের অপরাধ-দুর্নীতির বিচারের জন্য বন্ধুপ্রতিম দেশগুলোর বাংলাদেশকে সহায়তা করা উচিত।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) মধ্যরাতে প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এই বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। বিবৃতিতে যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির মন্ত্রীর পদ থেকে সদ্য পদত্যাগ করা টিউলিপ সিদ্দিকের প্রসঙ্গও উঠে এসেছে।
বিবৃতিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেসউইং বলেছে, আমরা জবাবদিহিতা ও ন্যায়বিচারের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং জনগণের কাছ থেকে চুরি যাওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন অংশীজনদের সঙ্গে কাজ করছি।
বিবৃতিতে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস এরই মধ্যে এ বিষয়ে মতামত দিয়েছেন, যেটি বাংলাদেশের অধিকাংশ নাগরিকের মতামত। তিনি বলেছেন, আগের সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সম্পদসহ চুরি যাওয়া অর্থসম্পদের বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত হওয়া উচিত। তদন্তে যদি প্রমাণিত হয় যে তারা দুর্নীতির মাধ্যমে সুবিধাভোগী হয়েছে, তাহলে সেই সম্পদ যাদের প্রাপ্য সেই বাংলাদেশের জনগণের কাছে ফেরত আসা উচিত।
এই বিবৃতি প্রকাশের ঘণ্টা দুয়েক আগেই যুক্তরাজ্যের মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন টিউলিপ সিদ্দিক। বাংলাদেশ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে অবস্থানরত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগনি তিনি। শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির যেসব অভিযোগ উঠেছে, তাতে টিউলিপের নামও রয়েছে।
টিউলিপ প্রসঙ্গে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এর আগে লন্ডনের সানডে টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, লন্ডনে টিউলিপ যেসব অর্থসম্পদ ভোগ করছিলেন, তার উৎস সম্পর্কে হয়তো তিনি পুরোপুরি অবগত ছিলেন না। তবে এখন যেহেতু তিনি এ বিষয়ে জানতে পেরেছেন, তার উচিত বাংলাদেশের জনগণের কাছে ক্ষমা চাওয়া।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশ থেকে চুরি যাওয়া অর্থসম্পদ পুনরুদ্ধারের জন্য আন্তর্জাতিক আইনশৃঙ্খলা সংস্থাগুলোর সঙ্গে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। এ ধরনের সহযোগিতা আর্থিক অপরাধের আন্তঃদেশীয় নেটওয়ার্ক ভাঙার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আশা ও প্রত্যাশা করি, যুক্তরাজ্যসহ সব বন্ধুপ্রতিম দেশ এ ধরনের অপরাধের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়াবে। কারণ যারা দুর্নীতি করে সেইসব অপরাধী এবং তাদের কিছু স্বজন ও সহযোগীদের বাদ দিলে দুর্নীতি বাকি সবারই ক্ষতি করে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের দুর্নীতির প্রসঙ্গ টেনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেসউইং বলছে, ওই প্রকল্পের পাঁচ বিলিয়ন ডলার অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ নিয়ে চলমান তদন্ত আগের সরকারের অধীনে দুর্নীতির ব্যাপকতাকে প্রমাণ করে। এই প্রকল্পসহ অন্যান্য প্রকল্পের অর্থ নয়ছয় করার মধ্য দিয়ে কেবল জনগণের অর্থই চুরি করা হয়নি, বরং দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার পথেও বাধা তৈরি করা হয়েছে। জনগণের সম্পদ থেকে শত শত কোটি ডলার চুরি হওয়ায় দেশকে আর্থিক ঘাটতির মুখে পড়তে হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে চুরি যাওয়া এই বিপুল পরিমাণ অর্থ জনগণের প্রাপ্য। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা আমাদের আন্তর্জাতিক অংশীজনদের সঙ্গে কাজ অব্যাহত রাখব।
এর আগে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার সরকারের সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিক পদত্যাগ করেন। অভিযোগ রয়েছে, টিউলিপ তার খালা ও বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে লন্ডনে বিনামূল্যে ফ্ল্যাট নিয়েছিলেন।
এ ছাড়া বাংলাদেশে রাশিয়ার সহায়তায় নির্মাণাধীন পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প থেকেও মোটা অঙ্কের ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এরই মধ্যে এই প্রকল্পের দুর্নীতি নিয়ে দেশে দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত শুরু করেছে।
এসব অভিযোগের মধ্যে বিরোধী দলগুলো টিউলিপের পদত্যাগের দাবি তোলে। এ নিয়ে তদন্তও চলছিল যুক্তরাজ্যে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে। তদন্তে টিউলিপের বিরুদ্ধে মন্ত্রীদের আচরণবিধি লঙ্ঘনের কোনো অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। তবে তার জন্য লেবার সরকারের কর্মকাণ্ড যেন ব্যাহত না হয়, তা নিশ্চিত করতেই পদত্যাগ করেছেন বলে জানিয়েছেন টিউলিপ।
বাংলাদেশ থেকে পাচার ও চুরি হয়ে যাওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেসউইং।
ওই দফতরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চুরি হওয়া অর্থ-সম্পদ বাংলাদেশের জনগণের প্রাপ্য। এ ধরনের অপরাধ-দুর্নীতির বিচারের জন্য বন্ধুপ্রতিম দেশগুলোর বাংলাদেশকে সহায়তা করা উচিত।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) মধ্যরাতে প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এই বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। বিবৃতিতে যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির মন্ত্রীর পদ থেকে সদ্য পদত্যাগ করা টিউলিপ সিদ্দিকের প্রসঙ্গও উঠে এসেছে।
বিবৃতিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেসউইং বলেছে, আমরা জবাবদিহিতা ও ন্যায়বিচারের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং জনগণের কাছ থেকে চুরি যাওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন অংশীজনদের সঙ্গে কাজ করছি।
বিবৃতিতে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস এরই মধ্যে এ বিষয়ে মতামত দিয়েছেন, যেটি বাংলাদেশের অধিকাংশ নাগরিকের মতামত। তিনি বলেছেন, আগের সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সম্পদসহ চুরি যাওয়া অর্থসম্পদের বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত হওয়া উচিত। তদন্তে যদি প্রমাণিত হয় যে তারা দুর্নীতির মাধ্যমে সুবিধাভোগী হয়েছে, তাহলে সেই সম্পদ যাদের প্রাপ্য সেই বাংলাদেশের জনগণের কাছে ফেরত আসা উচিত।
এই বিবৃতি প্রকাশের ঘণ্টা দুয়েক আগেই যুক্তরাজ্যের মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন টিউলিপ সিদ্দিক। বাংলাদেশ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে অবস্থানরত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগনি তিনি। শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির যেসব অভিযোগ উঠেছে, তাতে টিউলিপের নামও রয়েছে।
টিউলিপ প্রসঙ্গে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এর আগে লন্ডনের সানডে টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, লন্ডনে টিউলিপ যেসব অর্থসম্পদ ভোগ করছিলেন, তার উৎস সম্পর্কে হয়তো তিনি পুরোপুরি অবগত ছিলেন না। তবে এখন যেহেতু তিনি এ বিষয়ে জানতে পেরেছেন, তার উচিত বাংলাদেশের জনগণের কাছে ক্ষমা চাওয়া।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশ থেকে চুরি যাওয়া অর্থসম্পদ পুনরুদ্ধারের জন্য আন্তর্জাতিক আইনশৃঙ্খলা সংস্থাগুলোর সঙ্গে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। এ ধরনের সহযোগিতা আর্থিক অপরাধের আন্তঃদেশীয় নেটওয়ার্ক ভাঙার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আশা ও প্রত্যাশা করি, যুক্তরাজ্যসহ সব বন্ধুপ্রতিম দেশ এ ধরনের অপরাধের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়াবে। কারণ যারা দুর্নীতি করে সেইসব অপরাধী এবং তাদের কিছু স্বজন ও সহযোগীদের বাদ দিলে দুর্নীতি বাকি সবারই ক্ষতি করে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের দুর্নীতির প্রসঙ্গ টেনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেসউইং বলছে, ওই প্রকল্পের পাঁচ বিলিয়ন ডলার অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ নিয়ে চলমান তদন্ত আগের সরকারের অধীনে দুর্নীতির ব্যাপকতাকে প্রমাণ করে। এই প্রকল্পসহ অন্যান্য প্রকল্পের অর্থ নয়ছয় করার মধ্য দিয়ে কেবল জনগণের অর্থই চুরি করা হয়নি, বরং দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার পথেও বাধা তৈরি করা হয়েছে। জনগণের সম্পদ থেকে শত শত কোটি ডলার চুরি হওয়ায় দেশকে আর্থিক ঘাটতির মুখে পড়তে হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে চুরি যাওয়া এই বিপুল পরিমাণ অর্থ জনগণের প্রাপ্য। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা আমাদের আন্তর্জাতিক অংশীজনদের সঙ্গে কাজ অব্যাহত রাখব।
এর আগে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার সরকারের সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিক পদত্যাগ করেন। অভিযোগ রয়েছে, টিউলিপ তার খালা ও বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে লন্ডনে বিনামূল্যে ফ্ল্যাট নিয়েছিলেন।
এ ছাড়া বাংলাদেশে রাশিয়ার সহায়তায় নির্মাণাধীন পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প থেকেও মোটা অঙ্কের ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এরই মধ্যে এই প্রকল্পের দুর্নীতি নিয়ে দেশে দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত শুরু করেছে।
এসব অভিযোগের মধ্যে বিরোধী দলগুলো টিউলিপের পদত্যাগের দাবি তোলে। এ নিয়ে তদন্তও চলছিল যুক্তরাজ্যে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে। তদন্তে টিউলিপের বিরুদ্ধে মন্ত্রীদের আচরণবিধি লঙ্ঘনের কোনো অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। তবে তার জন্য লেবার সরকারের কর্মকাণ্ড যেন ব্যাহত না হয়, তা নিশ্চিত করতেই পদত্যাগ করেছেন বলে জানিয়েছেন টিউলিপ।
নতুন ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, আগামী মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) মানববন্ধন হবে ঢাকাসহ দেশের সব বিভাগীয় শহরে। পরদিন বুধবার (১৫ অক্টোবর) একই কর্মসূচি পালন করা হবে দেশের সব জেলা সদরে।
১৯ ঘণ্টা আগেএছাড়া, নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে দেশে ফেরার প্রাথমিক পরিকল্পনা থাকলেও এখন দ্বিতীয় সপ্তাহে দেশে ফিরতে চান তিনি। নির্বাচনের আগে পুরো তিন মাস প্রচারণাকাজে অংশ নিতে চান। দেশে ফেরার পথে ওমরাহ করে ফিরবেন কিনা তা এখনও জানা যায়নি। তবে এখন দেশে ফেরার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে তারেক র
২ দিন আগেতিনি বলেন, ‘অপশক্তি জনতার প্রতিরোধে এক বছর আগে পালিয়ে গেছে। মনে হচ্ছে এখন আমরা স্বাধীন। হাসিনার শাসনামলে আমরা বাড়িতে থাকতে পারিনি, ঘরে ঘুমাতে পারিনি। দেশে একটা বিভীষিকাময় পরিবেশ ছিল। হাসিনার পলায়নের মাধ্যমে মনে হচ্ছে আমরা নতুন করে স্বাধীনতা পেয়েছি। ড. ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠি
২ দিন আগে