প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
‘মব করলে ডেভিল ট্রিট করা হবে’ ঘোষণা দিয়ে ‘তৌহিদি জনতা’র তোপের মুখে পড়েছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। ‘তৌহিদি জনতা’কে উপদেষ্টা হুমকি দিয়ে ভুল করেছেন বলে অনলাইনে ব্যাপক সমালোচনা হয়।
এবারে উপদেষ্টা মাহফুজ আরেক স্ট্যাটাসে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। বলেছেন, আগের স্ট্যাটাসের মাধ্যমে কাউকে হুমকি দেননি, বরং সতর্ক করেছেন মাত্র। সহনাগরিক হিসেবে একে নিজের কর্তব্য বলেও মনে করছেন তিনি।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ৪২ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে স্ট্যাটাসটি দেন মাহফুজ আলম।
স্ট্যাটাসে মাহফুজ লিখেছেন, ‘তৌহিদী জনতা নামে আপনারা যারা নিজেদের পরিচয় দেন, তাদের আমি হুমকি দিইনি, সতর্ক করেছি। কেন করেছি? গত ১৫ বছর নিপীড়ন সহ্য করে এবং অভ্যুত্থানে ভূমিকা রেখে সব নাগরিকের মতোই আপনারা একটি জাতীয় সম্ভাবনা হাজির করেছেন। কিন্তু মব সংস্কৃতির কারণে তা ভুলণ্ঠিত হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে আপনাদেরই এ সম্ভাবনা রক্ষা করতে হবে।’
যেকোনো ধরনের উগ্রতার বিরোধিতা করে উপদেষ্টা মাহফুজ বলেন, আমার আপনাদের প্রতি ঘৃণা নেই। বরং বাংলাদেশের সব নাগরিকের মতোই আপনাদের প্রতি দরদ আছে। আলেমদের প্রতি সম্মান আছে। আমি নিজে বিশ্বাসী মুসলিম হিসাবে তৌহিদবাদী। কিন্তু কেউ তৌহিদের নামে উগ্রতা দেখালে তার আসন্ন পরিণতি সম্পর্কে সাবধান করাও সহনাগরিক ও দায়িত্বশীল ব্যক্তি হিসেবে আমার কর্তব্য মনে করেছি।’
‘মব’ সংস্কৃতির বিরোধিতা করে মাহফুজ স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘বাংলাদেশে এখন স্থিতিশীলতা দরকার। বিপ্লবী জনতা আর খণ্ড খণ্ড মব আলাদা জিনিস। লক্ষ্যহীন, উদ্দেশ্যবিহীন এ মব সংস্কৃতির কারণে উপকৃত হচ্ছে আমাদের শত্রুরা। রাষ্ট্রের অখণ্ডতা, নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষার্থে আমাদের কঠোর হতে হবে।’
আগের দিন হুঁশিয়ারি দিলেও তা অপরাধীদের জন্য ছিল, সেটি আবার মনে করিয়ে দেন মাহফুজ। তিনি বলেন, ‘এ কঠোরতার হুঁশিয়ারি অপরাধীদের জন্য, যারা তৌহিদের কথা বলে নিপীড়ন করছে, নৈরাজ্য করছে। কিন্তু আগে যেভাবে ইসলামফোবিয়ায় আক্রান্ত হয়ে সাধারণ মুসলিমদের নিপীড়ন করা হতো, যার শিকার আমিও হয়েছি, তা পুনরাবৃত্তি আর কোনোভাবেই হবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আলেম-উলামা, মাদরাসার ছাত্ররা গত ১৫ বছর নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। এবারের অভ্যুত্থানেও রক্ত দিয়েছেন। কিন্তু যে স্বাধীনতা এত রক্তাক্ত, সে স্বাধীনতা রক্ষায় প্রজ্ঞা না দেখালে যে জুলুম নেমে আসবে— এ সতর্কতা উচ্চারণ যদি ভুল হয়, তাহলে আমার কিছু বলার নেই। আমি জালিম বা মজলুম— দুইটা হওয়া থেকেই আল্লাহর কাছে পানাহ চাই।’
স্ট্যাটাসের ‘পুনশ্চ’ অংশে বিভাজন আর ঘৃণা বাদ দিয়ে সবাইকে নিয়ে রাষ্ট্র গড়ে তোলার আহ্বানও জানিয়েছেন মাহফুজ। লিখেছেন, ‘ব্যক্তি আক্রমণ, ব্যক্তিগত বিশ্বাস নিয়ে আক্রমণ বা সন্দেহ তৈরি, পরিবারের সদস্যদের হুমকি বা বেইজ্জতি ইত্যাদি কাজগুলো নবীজির অনুসারী হিসাবে সবার পরিত্যাগ করা উচিত। চলুন, বিভাজন আর ঘৃণা বাদ দিয়ে রাষ্ট্রকে সবার করে গড়ে তুলি। পরস্পর সম্মান ও মর্যাদার সম্পর্কই নূতন বাংলাদেশের ভিত্তি।’
এর আগে তসলিমা নাসরিনের বই বিক্রি নিয়ে অভিযোগ তুলে সোমবার সন্ধ্যায় অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশনা সংস্থা সব্যসাচীর স্টলে তৌহিদি জনতা জড়ো হয়ে হট্টগোল করে। তাদের বাধার মুখে স্টলটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এ ঘটনার পর সোমবার রাতে উপদেষ্টা মাহফুজ ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। তাতে তিনি বলেন, যারা মব করবে তাদের ‘ডেভিল’ (অপারেশন ডেভিল হান্টের সূত্র ধরে) হিসেবে ‘ট্রিট’ করা হবে। জুলুম করা থেকে বিরত না থাকলে জুলুমকারীদের ওপরও জুলুম অবধারিত হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
‘মব করলে ডেভিল ট্রিট করা হবে’ ঘোষণা দিয়ে ‘তৌহিদি জনতা’র তোপের মুখে পড়েছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। ‘তৌহিদি জনতা’কে উপদেষ্টা হুমকি দিয়ে ভুল করেছেন বলে অনলাইনে ব্যাপক সমালোচনা হয়।
এবারে উপদেষ্টা মাহফুজ আরেক স্ট্যাটাসে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। বলেছেন, আগের স্ট্যাটাসের মাধ্যমে কাউকে হুমকি দেননি, বরং সতর্ক করেছেন মাত্র। সহনাগরিক হিসেবে একে নিজের কর্তব্য বলেও মনে করছেন তিনি।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ৪২ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে স্ট্যাটাসটি দেন মাহফুজ আলম।
স্ট্যাটাসে মাহফুজ লিখেছেন, ‘তৌহিদী জনতা নামে আপনারা যারা নিজেদের পরিচয় দেন, তাদের আমি হুমকি দিইনি, সতর্ক করেছি। কেন করেছি? গত ১৫ বছর নিপীড়ন সহ্য করে এবং অভ্যুত্থানে ভূমিকা রেখে সব নাগরিকের মতোই আপনারা একটি জাতীয় সম্ভাবনা হাজির করেছেন। কিন্তু মব সংস্কৃতির কারণে তা ভুলণ্ঠিত হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে আপনাদেরই এ সম্ভাবনা রক্ষা করতে হবে।’
যেকোনো ধরনের উগ্রতার বিরোধিতা করে উপদেষ্টা মাহফুজ বলেন, আমার আপনাদের প্রতি ঘৃণা নেই। বরং বাংলাদেশের সব নাগরিকের মতোই আপনাদের প্রতি দরদ আছে। আলেমদের প্রতি সম্মান আছে। আমি নিজে বিশ্বাসী মুসলিম হিসাবে তৌহিদবাদী। কিন্তু কেউ তৌহিদের নামে উগ্রতা দেখালে তার আসন্ন পরিণতি সম্পর্কে সাবধান করাও সহনাগরিক ও দায়িত্বশীল ব্যক্তি হিসেবে আমার কর্তব্য মনে করেছি।’
‘মব’ সংস্কৃতির বিরোধিতা করে মাহফুজ স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘বাংলাদেশে এখন স্থিতিশীলতা দরকার। বিপ্লবী জনতা আর খণ্ড খণ্ড মব আলাদা জিনিস। লক্ষ্যহীন, উদ্দেশ্যবিহীন এ মব সংস্কৃতির কারণে উপকৃত হচ্ছে আমাদের শত্রুরা। রাষ্ট্রের অখণ্ডতা, নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষার্থে আমাদের কঠোর হতে হবে।’
আগের দিন হুঁশিয়ারি দিলেও তা অপরাধীদের জন্য ছিল, সেটি আবার মনে করিয়ে দেন মাহফুজ। তিনি বলেন, ‘এ কঠোরতার হুঁশিয়ারি অপরাধীদের জন্য, যারা তৌহিদের কথা বলে নিপীড়ন করছে, নৈরাজ্য করছে। কিন্তু আগে যেভাবে ইসলামফোবিয়ায় আক্রান্ত হয়ে সাধারণ মুসলিমদের নিপীড়ন করা হতো, যার শিকার আমিও হয়েছি, তা পুনরাবৃত্তি আর কোনোভাবেই হবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আলেম-উলামা, মাদরাসার ছাত্ররা গত ১৫ বছর নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। এবারের অভ্যুত্থানেও রক্ত দিয়েছেন। কিন্তু যে স্বাধীনতা এত রক্তাক্ত, সে স্বাধীনতা রক্ষায় প্রজ্ঞা না দেখালে যে জুলুম নেমে আসবে— এ সতর্কতা উচ্চারণ যদি ভুল হয়, তাহলে আমার কিছু বলার নেই। আমি জালিম বা মজলুম— দুইটা হওয়া থেকেই আল্লাহর কাছে পানাহ চাই।’
স্ট্যাটাসের ‘পুনশ্চ’ অংশে বিভাজন আর ঘৃণা বাদ দিয়ে সবাইকে নিয়ে রাষ্ট্র গড়ে তোলার আহ্বানও জানিয়েছেন মাহফুজ। লিখেছেন, ‘ব্যক্তি আক্রমণ, ব্যক্তিগত বিশ্বাস নিয়ে আক্রমণ বা সন্দেহ তৈরি, পরিবারের সদস্যদের হুমকি বা বেইজ্জতি ইত্যাদি কাজগুলো নবীজির অনুসারী হিসাবে সবার পরিত্যাগ করা উচিত। চলুন, বিভাজন আর ঘৃণা বাদ দিয়ে রাষ্ট্রকে সবার করে গড়ে তুলি। পরস্পর সম্মান ও মর্যাদার সম্পর্কই নূতন বাংলাদেশের ভিত্তি।’
এর আগে তসলিমা নাসরিনের বই বিক্রি নিয়ে অভিযোগ তুলে সোমবার সন্ধ্যায় অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশনা সংস্থা সব্যসাচীর স্টলে তৌহিদি জনতা জড়ো হয়ে হট্টগোল করে। তাদের বাধার মুখে স্টলটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এ ঘটনার পর সোমবার রাতে উপদেষ্টা মাহফুজ ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। তাতে তিনি বলেন, যারা মব করবে তাদের ‘ডেভিল’ (অপারেশন ডেভিল হান্টের সূত্র ধরে) হিসেবে ‘ট্রিট’ করা হবে। জুলুম করা থেকে বিরত না থাকলে জুলুমকারীদের ওপরও জুলুম অবধারিত হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘অপশক্তি জনতার প্রতিরোধে এক বছর আগে পালিয়ে গেছে। মনে হচ্ছে এখন আমরা স্বাধীন। হাসিনার শাসনামলে আমরা বাড়িতে থাকতে পারিনি, ঘরে ঘুমাতে পারিনি। দেশে একটা বিভীষিকাময় পরিবেশ ছিল। হাসিনার পলায়নের মাধ্যমে মনে হচ্ছে আমরা নতুন করে স্বাধীনতা পেয়েছি। ড. ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠি
১ দিন আগেরাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ডাকা কর্মী সমাবেশ ঘিরে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করছে পুলিশ। এ সময় সমাবেশস্থলে সাউন্ড গ্রেনেডের শব্দ পাওয়া যায়। এছাড়াও পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
২ দিন আগেউত্তর কোরিয়ার সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, হোয়াসং-২০ আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো স্থানে আঘাত হানতে সক্ষম। তবে ক্ষেপণাস্ত্রটির সক্ষমতা নিয়ে এখনো কোনো পরীক্ষা করা হয়নি।
২ দিন আগেআমীর খসরু বলেন, যারা পিআর পদ্ধতির পক্ষে তাদের উচিত হবে জনগণের কাছে গিয়ে ম্যান্ডেট আনা। কিছু রাজনৈতিক দল নিয়ে আলোচনা করে আগামীর বাংলাদেশে কী হবে- তা ঠিক করতে মানুষ দায়িত্ব দেয় নাই। তাই সনদেরও ম্যান্ডেট লাগবে।
২ দিন আগে