‘বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক এ বছরের নববর্ষে আমাদের অঙ্গীকার’

প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
প্রকাশ: ১৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৬: ২২
সবাইকে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২-এর শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। ছবি: ভিডিও থেকে

চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের পথ ধরে বাংলা নববর্ষে সবাইকে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে তোলার অঙ্গীকার করার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

তিনি বলেন, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান আমাদের সামনে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে তোলার সুযোগ করে দিয়েছে। এ সুযোগ যেন আমরা না হারাই। বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক এ বছরের নববর্ষে আমাদের অঙ্গীকার। আমি নববর্ষের সব আয়োজন ও উদ্যোগের সাফল্য করছি।

সোমবার (১৪ এপ্রিল) বঙ্গাব্দ ১৪৩২-এর প্রথম দিন পহেলা বৈশাখের সকালে এক শুভেচ্ছা বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা এ আহ্বান জানান। এ সময় তিনি পহেলা বৈশাখ তথা বাংলা নববর্ষ বরণের আয়োজনকে বাঙালির সর্বজনীন উৎসব অভিহিত করে সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, পহেলা বৈশাখ আমাদের প্রাণের উৎসব। বাঙালির সর্বজনীন উৎসব। পুরো পৃথিবীতে যেখানে যেখানে বাঙালিরা আছেন, আজ আমাদের আনন্দের দিন। বাংলা সাল গণনা শুরু হয়েছিল কৃষিকাজের সুবিধার জন্য, ফসলি সন হিসেবে। এখনো এ দেশের কৃষকরা বাংলা তারিখের হিসাবেই বীজ বোনেন, ফসল তোলেন।

বাংলা নববর্ষের বিভিন্ন ঐতিহ্যের কথা তুলে ধরে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বাংলা নববর্ষের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হালখাতা। এখনকার আধুনিক সময়েও এখনো এই হালখাতার ঐতিহ্যকে অনেকেই ধরে রেখেছেন বাংলাদেশের হাট-বাজারে, শহর-বন্দরে। নববর্ষের বৈশাখী মেলায় বাংলাদেশের জেলায় জেলায় উদ্যোক্তারা সারা দেশের ঐতিহ্যবাহী শীতল পাটি, মাটির হাড়ি-পাতিল, খেলনা, হাত পাখা তৈরি করে নিজেদের সৃজনশীলতাকে তুলে ধরেন এ দিনকে উপলক্ষ্য করে।

দেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য চর্চা ও প্রসারের আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য রক্ষায় এবং একে এগিয়ে নিয়ে যেতে আমাদের সবাইকে সক্রিয় ভূমিকা রাখার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। আমাদের এসব ঐহিত্য যেন নিজেদের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থাকে, আমাদের সংস্কৃতিকে যেন আমরা ছড়িয়ে দিতে পারি বিশ্বের দরবারে।

তিনি আরও বলেন, বছরের এ দিনটিতে আমরা সুযোগ পাই আমাদের সুদীর্ঘ ঐতিহ্যকে নতুনভাবে নতুন প্রজন্মের কাছে উৎসবমুখর পবিবেশে তুলে ধরতে এবং পৃথিবীর সামনেই তুলে ধরতে। পাহাড় ও সমতলের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীও এ বছর চৈত্র সংক্রান্তি ও নববর্ষে বড় পরিসরে উৎসব উদ্‌যাপন করছে।

এবারের নববর্ষকে ‘নতুন বাংলাদেশে’র প্রথম নববর্ষ অভিহিত করে সবাইকে নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহ্বানও জানান প্রধান উপদেষ্টা। বলেন, পহেলা বৈশাখ সম্প্রীতির দিন, মহামিলনের দিন। আজ সবাইকে আপন করে নেওয়ার দিন। এবারের নববর্ষ নতুন বাংলাদেশের প্রথম নববর্ষ। আসুন, আমরা বিগত বছরগুলোর গ্লানি, দুঃখ-বেদনা, অসুন্দর ও অশুভকে ভুলে গিয়ে নতুন প্রত্যয়ে, নতুন উদ্যমে সামনের দিকে গিয়ে যাই। চলুন, নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলি।

সবাইকে আবারও নববর্ষের শুভেচ্ছ জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, নববর্ষ ১৪৩২ আমাদের সবার জন্য শুভদিনের সূচনা করুক, নববর্ষ আমাদের সবার জন্য নতুন ও গভীর আনন্দের উন্মোচন করুক— এই কামনা করছি। সবাইকে আবারও আমার নববর্ষের শুভেচ্ছা ও সালাম জানাচ্ছি। মহান আল্লাহ আমাদের সহায় হোন।

ad
ad

ঘরের রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

বিএনপিকে দোষারোপ ঐক্যের জন্য সহায়ক নয় : মির্জা ফখরুল

স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পলায়নের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বলে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিএনপি পরিবর্তনে বিশ্বাস করে বলেই বহু আগেই রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা ঘোষণা দিয়েছিল। সংস্কারের কথা তো বিএনপিই বলেছিল, অথচ এখন প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে বিএনপি সংস্কার

১১ ঘণ্টা আগে

যেকোনো মূল্যে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হবে : খালেদা জিয়া

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বেগম জিয়া বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর ফ্যাসিস্টদের নির্যাতন, গ্রেপ্তার, অত্যাচার, খুন, গুমের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে, এক দলীয় শাসনব্যবস্থা চিরস্থায়ী করতে চেয়েছিল আওয়ামী লীগ শাসকগোষ্ঠী। ছাত্র-জনতার সম্মিলিত অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটেছে। সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে নতুন

১১ ঘণ্টা আগে

সারজিস-হাসনাতকে ১০০ বার কল দিলেও রিসিভ করেন না

অভিযোগ করে তিনি বলেন, 'এই উপদেষ্টা ও অন্তর্বর্তী সরকার আজ পর্যন্ত আমাদের খোঁজ নিতে পারে নাই। আমার ছেলের রক্তের বিনিময়ে ক্ষমতা পেলেও তারা একবারও আমাদের খোঁজ নিল না। এমনকি সারজিস-হাসনাতকে আমরা ১০০টা ফোন দিলেও তারা রিসিভ করে না।'

১৩ ঘণ্টা আগে

জুলাই মাসেই ‘জুলাই সনদ’ প্রকাশ করার আহ্বান

রাশেদ প্রধান বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান এবং ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতনের এক বছর পূর্ণ হতে চলেছে। তবুও আমরা এখনো ‘জুলাই সনদ’ প্রকাশ করতে পারছি না। এই ব্যর্থতার দায় কে নেবে? অন্তর্বর্তী সরকার বারবার জুলাই সনদ প্রকাশের নতুন নতুন সময় দিয়েও তা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো একমত হতে পারছে না। আমরা

১৪ ঘণ্টা আগে