ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে দেশের যে উচ্চ প্রবৃদ্ধি দেখানো হয়েছিল, তা ‘ভুয়া’। এই উচ্চ প্রবৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন না তোলার জন্য পুরো বিশ্বকে দায়ী করেছেন প্রধান উপদেষ্টা বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সুইজারল্যান্ডে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনের ফাঁকে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে এসব মন্তব্য করেছেন ড. ইউনূস।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর গত ৮ আগস্ট নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। তার সরকার প্রথম থেকেই হাসিনার আমলের অনিয়ম-দুর্নীতি ও হত্যা-গুমের সমালোচনা করে আসছে এবং এতে জড়িতদের বিচারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
হাসিনার টানা ১৫ বছরেরও বেশি সময়ের শাসনকালে প্রবৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের নানা গল্প শোনানো হয়। যদিও তার বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং বাকস্বাধীনতা ও বিরোধীমত দমনের অভিযোগ রয়েছে। বর্তমানে মানবতাবিরোধী অপরাধ, গণহত্যা, হত্যা, গুম, দুর্নীতি এবং অর্থপাচারের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে এবং এসবের বিচারের জন্য ঢাকা ভারতের কাছে তাকে প্রত্যর্পণের আবেদন করেছে।
হাসিনা এবং তার দল আওয়ামী লীগ সব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। নয়াদিল্লিও তাকে প্রত্যর্পণের অনুরোধে এখন পর্যন্ত সাড়া দেয়নি।
ড. ইউনূস বলেন, তিনি (হাসিনা ক্ষমতায় থাকাকালে) দাভোসে এসে সবাইকে দেশ চালানোর উপায় শেখাচ্ছিলেন। কেউ তা নিয়ে প্রশ্ন করেনি। এটা একেবারেই ভালো বিশ্বব্যবস্থা নয়। ’
‘যা ঘটেছে তার জন্য বিশ্বের সবাই দায়ী। গোটা বিশ্বের জন্য এটা একটা শিক্ষা। তিনি (হাসিনা) বলেছিলেন, আমাদের প্রবৃদ্ধির হার সবার চেয়ে এগিয়ে। এটা ভুয়া প্রবৃদ্ধি, একেবারেই ভুয়া’, যোগ করেন প্রধান উপদেষ্টা।
শেখ হাসিনার উপস্থাপিত প্রবৃদ্ধির হার কেন ভুয়া তা বিস্তারিত না বললেও ড. ইউনূস সম্প্রসারিত এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির গুরুত্ব তুলে ধরেন, যা সম্পদের বৈষম্য কমানোর জন্য জরুরি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমি প্রবৃদ্ধির হার নিয়ে পড়ে থাকি না। একেবারে নিম্নস্তরের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে আমি মনোযোগী। সেজন্য আমি এমন এক অর্থনীতি গড়ে তোলার পক্ষে, যা সম্পদের কেন্দ্রীকরণের (কতিপয় লোকের হাতে থাকা) ধারণা এড়িয়ে চলে। ’
বিতর্কিত ওয়ান-ইলেভেনের সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জিতে ২০০৯ সালে শেখ হাসিনা যখন সরকার গঠন করেন, তখন দেশের প্রবৃদ্ধি ছিল ৫ শতাংশ। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদনে তা দেখানো হয় ৮ শতাংশ। যদিও ২০২০ সালের কোভিড-১৯ মহামারি ও পরে ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে এ প্রবৃদ্ধি ধাক্কা খায়।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট হাসিনার সরকারের পতন হয়। আওয়ামী লীগের ওই সরকারকে নয়াদিল্লির ‘বিশেষ আস্থাভাজন’ মনে করা হতো।
ওই সরকারের এমন আকস্মিক বিদায়ের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে নানা ইস্যুতে নয়াদিল্লির দূরত্ব তৈরি হয়েছে। হাসিনার স্বৈরশাসনে সমর্থন দিয়ে আসায়, এমনকি জুলাই বিপ্লবের সময়ও তার পক্ষে দাঁড়ানোয় ভারতের সমালোচনা করে আসছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ও অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রনেতারা।
প্রধান উপদেষ্টা ভারতে আশ্রিত শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ দাবি করেন, যাতে বিক্ষোভ ও বিরোধীদের দমনে অপরাধের জন্য তাকে বিচারের মুখোমুখি করা যায়।
ভারতের প্রতিদ্বন্দ্বী চীনকে বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদী বন্ধু বলে উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, ‘দিল্লির সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ব্যক্তিগতভাবে আমাকে ব্যথিত করেছে। ’
প্রায় গোটা বাংলাদেশই ভারতের সীমানাবেষ্টিত জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ককে অবশ্যই সবচেয়ে শক্তিশালী হতে হবে। আপনি জানেন, বাংলাদেশকে আঁকা ছাড়া ভারতের মানচিত্র আঁকলে সম্পূর্ণ হবে না। ’
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে দেশের যে উচ্চ প্রবৃদ্ধি দেখানো হয়েছিল, তা ‘ভুয়া’। এই উচ্চ প্রবৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন না তোলার জন্য পুরো বিশ্বকে দায়ী করেছেন প্রধান উপদেষ্টা বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সুইজারল্যান্ডে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনের ফাঁকে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে এসব মন্তব্য করেছেন ড. ইউনূস।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর গত ৮ আগস্ট নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। তার সরকার প্রথম থেকেই হাসিনার আমলের অনিয়ম-দুর্নীতি ও হত্যা-গুমের সমালোচনা করে আসছে এবং এতে জড়িতদের বিচারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
হাসিনার টানা ১৫ বছরেরও বেশি সময়ের শাসনকালে প্রবৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের নানা গল্প শোনানো হয়। যদিও তার বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং বাকস্বাধীনতা ও বিরোধীমত দমনের অভিযোগ রয়েছে। বর্তমানে মানবতাবিরোধী অপরাধ, গণহত্যা, হত্যা, গুম, দুর্নীতি এবং অর্থপাচারের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে এবং এসবের বিচারের জন্য ঢাকা ভারতের কাছে তাকে প্রত্যর্পণের আবেদন করেছে।
হাসিনা এবং তার দল আওয়ামী লীগ সব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। নয়াদিল্লিও তাকে প্রত্যর্পণের অনুরোধে এখন পর্যন্ত সাড়া দেয়নি।
ড. ইউনূস বলেন, তিনি (হাসিনা ক্ষমতায় থাকাকালে) দাভোসে এসে সবাইকে দেশ চালানোর উপায় শেখাচ্ছিলেন। কেউ তা নিয়ে প্রশ্ন করেনি। এটা একেবারেই ভালো বিশ্বব্যবস্থা নয়। ’
‘যা ঘটেছে তার জন্য বিশ্বের সবাই দায়ী। গোটা বিশ্বের জন্য এটা একটা শিক্ষা। তিনি (হাসিনা) বলেছিলেন, আমাদের প্রবৃদ্ধির হার সবার চেয়ে এগিয়ে। এটা ভুয়া প্রবৃদ্ধি, একেবারেই ভুয়া’, যোগ করেন প্রধান উপদেষ্টা।
শেখ হাসিনার উপস্থাপিত প্রবৃদ্ধির হার কেন ভুয়া তা বিস্তারিত না বললেও ড. ইউনূস সম্প্রসারিত এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির গুরুত্ব তুলে ধরেন, যা সম্পদের বৈষম্য কমানোর জন্য জরুরি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমি প্রবৃদ্ধির হার নিয়ে পড়ে থাকি না। একেবারে নিম্নস্তরের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে আমি মনোযোগী। সেজন্য আমি এমন এক অর্থনীতি গড়ে তোলার পক্ষে, যা সম্পদের কেন্দ্রীকরণের (কতিপয় লোকের হাতে থাকা) ধারণা এড়িয়ে চলে। ’
বিতর্কিত ওয়ান-ইলেভেনের সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জিতে ২০০৯ সালে শেখ হাসিনা যখন সরকার গঠন করেন, তখন দেশের প্রবৃদ্ধি ছিল ৫ শতাংশ। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদনে তা দেখানো হয় ৮ শতাংশ। যদিও ২০২০ সালের কোভিড-১৯ মহামারি ও পরে ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে এ প্রবৃদ্ধি ধাক্কা খায়।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট হাসিনার সরকারের পতন হয়। আওয়ামী লীগের ওই সরকারকে নয়াদিল্লির ‘বিশেষ আস্থাভাজন’ মনে করা হতো।
ওই সরকারের এমন আকস্মিক বিদায়ের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে নানা ইস্যুতে নয়াদিল্লির দূরত্ব তৈরি হয়েছে। হাসিনার স্বৈরশাসনে সমর্থন দিয়ে আসায়, এমনকি জুলাই বিপ্লবের সময়ও তার পক্ষে দাঁড়ানোয় ভারতের সমালোচনা করে আসছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ও অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রনেতারা।
প্রধান উপদেষ্টা ভারতে আশ্রিত শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ দাবি করেন, যাতে বিক্ষোভ ও বিরোধীদের দমনে অপরাধের জন্য তাকে বিচারের মুখোমুখি করা যায়।
ভারতের প্রতিদ্বন্দ্বী চীনকে বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদী বন্ধু বলে উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, ‘দিল্লির সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ব্যক্তিগতভাবে আমাকে ব্যথিত করেছে। ’
প্রায় গোটা বাংলাদেশই ভারতের সীমানাবেষ্টিত জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ককে অবশ্যই সবচেয়ে শক্তিশালী হতে হবে। আপনি জানেন, বাংলাদেশকে আঁকা ছাড়া ভারতের মানচিত্র আঁকলে সম্পূর্ণ হবে না। ’
এছাড়া, নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে দেশে ফেরার প্রাথমিক পরিকল্পনা থাকলেও এখন দ্বিতীয় সপ্তাহে দেশে ফিরতে চান তিনি। নির্বাচনের আগে পুরো তিন মাস প্রচারণাকাজে অংশ নিতে চান। দেশে ফেরার পথে ওমরাহ করে ফিরবেন কিনা তা এখনও জানা যায়নি। তবে এখন দেশে ফেরার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে তারেক র
২ দিন আগেতিনি বলেন, ‘অপশক্তি জনতার প্রতিরোধে এক বছর আগে পালিয়ে গেছে। মনে হচ্ছে এখন আমরা স্বাধীন। হাসিনার শাসনামলে আমরা বাড়িতে থাকতে পারিনি, ঘরে ঘুমাতে পারিনি। দেশে একটা বিভীষিকাময় পরিবেশ ছিল। হাসিনার পলায়নের মাধ্যমে মনে হচ্ছে আমরা নতুন করে স্বাধীনতা পেয়েছি। ড. ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠি
২ দিন আগেরাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ডাকা কর্মী সমাবেশ ঘিরে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করছে পুলিশ। এ সময় সমাবেশস্থলে সাউন্ড গ্রেনেডের শব্দ পাওয়া যায়। এছাড়াও পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
২ দিন আগে