
প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম

জাতীয় পার্টির কোনো দিন দোসরগিরি করেনি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। তিনি বলেন, ‘যারা দালালি করেছে তারা চলে গেছে। চাপিয়ে দেওয়া রাজনীতি জাতীয় পার্টি গ্রহণ করবে না।’
আসন্ন নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের নামে প্রহসন হবে। শেখ হাসিনার সময় ছিল দলের সঙ্গে দলের লোকের প্রতিযোগিতা। এখন সরকারি এবং আধা সরকারি দলের মধ্যে নির্বাচন হতে যাচ্ছে।’
আজ শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে জাতীয় মহিলা পার্টির মতবিনিময়সভায় এ কথা বলেন জি এম কাদের।
এনসিপির প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘একটি দলের দুজন সদস্য সরকারে রয়েছে, তারা প্রটোকল পাচ্ছে। জামায়াতসহ তারা মোটামুটি সরকারের সব সুবিধা ভোগ করছে। তারা যা করতে চাইছে, সব করতে পারছে।’
বিএনপিকে আধা সরকারি দল আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘আর বিএনপি আধা সরকারি দল। সরকারি দলে বেশি দিন ক্ষমতায় থাকতে ইচ্ছুক, আধা সরকারি দল চাচ্ছে দ্রুত নির্বাচন। সেখান থেকেই ৫, ১০, ৫০ বছর ক্ষমতায় থাকার বিষয়টি এসেছে।’
জি এম কাদের বলেন, ‘এখনো ৫০ শতাংশের বেশি লোককে বাইরে রেখে নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে। শেখ হাসিনার সময়েও তা-ই হয়েছে, এখনো তা-ই চলছে। শেখ হাসিনা ৫০ শতাংশকে বাইরে রাখার পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিলেন, এখন প্রশাসনিক আদেশে করা হচ্ছে।’
জি এম কাদের আরো বলেন, ‘দেশের ওপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে চাচ্ছে, তারা পুলিশ প্রশাসন, বিচার বিভাগ সব জায়গা দখল করতে চাইছে।
সংবিধান ও শাসন পদ্ধতি তাদের নিজেদের মতো করে গড়তে চাচ্ছে। নিজস্ব ধ্যানধারণা প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে, জনগণ তাদের সেই ম্যান্ডেট দেয়নি। চাপানো সংস্কার কেউ মানবে না। ক্ষমতার লোভ ভালো না, অতীতে আমরা দেখেছি ক্ষমতার লোভের পরিণতি। আমরা একই ভুল, একই গর্তের পড়তে চাচ্ছি।’
অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ নয়, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সেখানে সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন হওয়া উচিত, জনগণ ঠিক করবে কোন দলকে গ্রহণ করবে, সরকারি ও আধা সরকারি দলের মধ্যে নির্বাচন হলে সেই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। বিনিয়োগ আসবে না, দেশ একটা বিপর্যয়ের দিকে যেতে পারে। তেমন একতরফা নির্বাচনে যাব কি যাব না, সেটা ভেবে দেখতে হবে। আগামী নির্বাচনে যথেষ্ট অর্থ ও শক্তি ব্যবহার করা হবে, শেখ হাসিনা যেভাবে করেছিলেন।’
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘সরকার মনে করছে, জি এম কাদেরবিহীন জাতীয় পার্টি হলে তাদের নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। যাদের নিয়ন্ত্রণ করা যাবে, তেমন নেতাদের দিয়ে পার্টি করতে চাইছে। জাতীয় পার্টির কোনো দিন দোসরগিরি করেনি, যারা দালালি করেছে তারা চলে গেছে। চাপিয়ে দেওয়া রাজনীতি জাতীয় পার্টি গ্রহণ করবে না। সব ধরনের মামলা দেওয়া হয়েছে। মামলা দিয়ে দমিয়ে রাখা যাবে না।’
জাতীয় মহিলা পার্টির নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘একটি দলের নেতা বলছে, তারা নির্বাচিত হলে মেয়েরা মেয়েদের সামনে নাচবে, এটা কি দেশের লোক গ্রহণ করবে, হয়তো শাস্তির দিকে গেলে মানতে বাধ্য হবে। মহিলাদের চামড়া দিয়ে ডুগডুগি বাজাবে। যে কারণে এখন থেকেই সচেতন হতে হবে।’
জাতীয় মহিলা পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক হেনা খান পন্নীর সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী, কো-চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, প্রেসিডিয়াম সদস্য হাজি সাইফুদ্দীন আহমেদ মিলন, রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, আলমগীর শিকদার লোটন প্রমুখ।

জাতীয় পার্টির কোনো দিন দোসরগিরি করেনি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। তিনি বলেন, ‘যারা দালালি করেছে তারা চলে গেছে। চাপিয়ে দেওয়া রাজনীতি জাতীয় পার্টি গ্রহণ করবে না।’
আসন্ন নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের নামে প্রহসন হবে। শেখ হাসিনার সময় ছিল দলের সঙ্গে দলের লোকের প্রতিযোগিতা। এখন সরকারি এবং আধা সরকারি দলের মধ্যে নির্বাচন হতে যাচ্ছে।’
আজ শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে জাতীয় মহিলা পার্টির মতবিনিময়সভায় এ কথা বলেন জি এম কাদের।
এনসিপির প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘একটি দলের দুজন সদস্য সরকারে রয়েছে, তারা প্রটোকল পাচ্ছে। জামায়াতসহ তারা মোটামুটি সরকারের সব সুবিধা ভোগ করছে। তারা যা করতে চাইছে, সব করতে পারছে।’
বিএনপিকে আধা সরকারি দল আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘আর বিএনপি আধা সরকারি দল। সরকারি দলে বেশি দিন ক্ষমতায় থাকতে ইচ্ছুক, আধা সরকারি দল চাচ্ছে দ্রুত নির্বাচন। সেখান থেকেই ৫, ১০, ৫০ বছর ক্ষমতায় থাকার বিষয়টি এসেছে।’
জি এম কাদের বলেন, ‘এখনো ৫০ শতাংশের বেশি লোককে বাইরে রেখে নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে। শেখ হাসিনার সময়েও তা-ই হয়েছে, এখনো তা-ই চলছে। শেখ হাসিনা ৫০ শতাংশকে বাইরে রাখার পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিলেন, এখন প্রশাসনিক আদেশে করা হচ্ছে।’
জি এম কাদের আরো বলেন, ‘দেশের ওপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে চাচ্ছে, তারা পুলিশ প্রশাসন, বিচার বিভাগ সব জায়গা দখল করতে চাইছে।
সংবিধান ও শাসন পদ্ধতি তাদের নিজেদের মতো করে গড়তে চাচ্ছে। নিজস্ব ধ্যানধারণা প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে, জনগণ তাদের সেই ম্যান্ডেট দেয়নি। চাপানো সংস্কার কেউ মানবে না। ক্ষমতার লোভ ভালো না, অতীতে আমরা দেখেছি ক্ষমতার লোভের পরিণতি। আমরা একই ভুল, একই গর্তের পড়তে চাচ্ছি।’
অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ নয়, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সেখানে সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন হওয়া উচিত, জনগণ ঠিক করবে কোন দলকে গ্রহণ করবে, সরকারি ও আধা সরকারি দলের মধ্যে নির্বাচন হলে সেই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। বিনিয়োগ আসবে না, দেশ একটা বিপর্যয়ের দিকে যেতে পারে। তেমন একতরফা নির্বাচনে যাব কি যাব না, সেটা ভেবে দেখতে হবে। আগামী নির্বাচনে যথেষ্ট অর্থ ও শক্তি ব্যবহার করা হবে, শেখ হাসিনা যেভাবে করেছিলেন।’
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘সরকার মনে করছে, জি এম কাদেরবিহীন জাতীয় পার্টি হলে তাদের নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। যাদের নিয়ন্ত্রণ করা যাবে, তেমন নেতাদের দিয়ে পার্টি করতে চাইছে। জাতীয় পার্টির কোনো দিন দোসরগিরি করেনি, যারা দালালি করেছে তারা চলে গেছে। চাপিয়ে দেওয়া রাজনীতি জাতীয় পার্টি গ্রহণ করবে না। সব ধরনের মামলা দেওয়া হয়েছে। মামলা দিয়ে দমিয়ে রাখা যাবে না।’
জাতীয় মহিলা পার্টির নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘একটি দলের নেতা বলছে, তারা নির্বাচিত হলে মেয়েরা মেয়েদের সামনে নাচবে, এটা কি দেশের লোক গ্রহণ করবে, হয়তো শাস্তির দিকে গেলে মানতে বাধ্য হবে। মহিলাদের চামড়া দিয়ে ডুগডুগি বাজাবে। যে কারণে এখন থেকেই সচেতন হতে হবে।’
জাতীয় মহিলা পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক হেনা খান পন্নীর সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী, কো-চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, প্রেসিডিয়াম সদস্য হাজি সাইফুদ্দীন আহমেদ মিলন, রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, আলমগীর শিকদার লোটন প্রমুখ।

বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ও ময়মনসিংহ-১ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, সংসদ নির্বাচনের আগে গণভোটের দাবি ছিল ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে অনিশ্চিত করার একটি প্রজেক্ট। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার একই দিনে, একইসাথে দুই নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়ে জাতীয় সংসদ
১৮ ঘণ্টা আগে
এ সময় তিনি জানান, এনসিপির হয়ে জাতীয় সংসদ ভবনে যাওয়ার জন্য সারা বাংলাদেশ থেকে এ পর্যন্ত ১০১১ জন মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। তাদের মধ্যে ডাক্তার, শিক্ষক, ব্যবসায়ী, প্রকৌশলী বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষজন মনোনয়ন সংগ্রহ করেছে।
১৮ ঘণ্টা আগে
পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে, ভোটে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের আগে নিজেদের মধ্যেই লড়তে হচ্ছে বিএনপিকে। কেন্দ্র বলছে, দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করার সময় তৃণমূলের নেতাকর্মীদের ‘আপত্তি’ আমলে নেওয়া হবে। প্রার্থী চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে বিএনপিকে সতর্ক থাকতে বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও।
১৯ ঘণ্টা আগে
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ বারবার স্বৈরাচারী শাসনের কবলে পড়েছে। দেশের মানুষ বুকের রক্ত দিয়ে স্বৈরাচারদের উৎখাত করেছে। নতুন কোনো ফ্যাসিবাদী, কর্তৃত্ববাদী, স্বৈরাচারী শাসন আমরা দেখতে চাই না। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার বারবার নানা আশঙ্কার জন্ম দিচ্ছে।
১৯ ঘণ্টা আগে