
শাহরিয়ার শরীফ

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে প্রার্থীরা যখন নিজ নিজ আসনে জনসংযোগে ব্যস্ত তখন বিএনপির সঙ্গে আন্দোলনে একসঙ্গে মাঠে থাকা সমমনা দলের নেতারা অপেক্ষা করছেন আনুষ্ঠানিক ঘোষণার। বিশেষ করে জোট ও সমমনা দলের শীর্ষ নেতাদের আসন ও প্রার্থিতার বিষয়ে আশ্বাস মিলললেও এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেয়নি বিএনপি। ফলে নির্বাচনের জন্য চূড়ান্তভাবে জনসংযোগ করতে পারছেন না নেতারা। জমা হচ্ছে ক্ষোভ ও হতাশা।
সমমনা দলগুলোর ক্ষুদ্ধ নেতারা বলছেন, বিএনপির কাছ থেকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না পাওয়ায় তারা মাঠে নামতে পারছেন না। অন্যদিকে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরাও দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগছেন। এর প্রভাব পড়ছে পুরো নির্বাচনি কার্যক্রমের ওপর।
বিএনপির হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে তাদের সঙ্গে আন্দোলনের শরিকদের আসন দেওয়ার কথা বলা হয়েছে বিভিন্ন সময়ে। গত ৩ নভেম্বর বিএনপির ২৩৭ আসনে প্রার্থী ঘোষণা দেওয়ার সময়ও বাকি আসনগুলো শরিকদের জন্য রাখার কথা বলা হয়।
শরিক দলগুলোর নেতাদের অভিযোগ, এর বাইরেও অনেককে আরও আগেই অনানুষ্ঠানিকভাবে সংসদ নির্বাচনে আসন ছাড় দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। কিন্তু এতদিনেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না জানানোর কারণে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
লক্ষ্মীপুর-১ আসনে বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিমকে গত সেপ্টেম্বরে প্রার্থিতার বিষয়ে ‘গ্রিন সিগন্যাল’ দেয় বিএনপি। সে অনুযায়ী এলাকায় জনসংযোগও শুরু করেন সেলিম। কিন্তু এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো সিদ্ধান্ত না জানানোর কারণে পুরোদমে কাজ শুরু করতে পারছেন না তিনি।
সেলিম রাজনীতি ডটকমকে বলেন, নিজেদের প্রার্থী ঘোষণার কয়েক সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও বিএনপি দীর্ঘদিনের রাজপথের শরিকদের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাতে পারেনি। এটি দুঃখজনক। আমরা ক্ষুব্ধ, হতাশ। এর প্রভাব নির্বাচনের প্রস্তুতি পড়ছে, হয়তো বিএনপি টের পাচ্ছে না। যখন বুঝবে তখন খুব বেশি কাজ হবে না। কারণ প্রতিপক্ষ মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।
সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে বিএনপির হাইকমান্ডের সঙ্গে সমমনা দলগুলোর নেতারা দেখা করে সমাধানের কথাও বলেছেন। জবাবে শিগগিরই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানোর আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
শরিকদের এমন হতাশা ও ক্ষোভের বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান রাজনীতি ডটকমকে বলেন, ‘হয়তো আগের মতো শরিকদের বেশি আসন ছাড় দেওয়া সম্ভব হবে না। বিএনপি তাদের অবশ্যই মূল্যায়ন করবে। আশা করছি শিগগিরই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে।’
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে গত ৩ নভেম্বর বিএনপি ২৩৭ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করে। পরদিন স্থগিত হয় মাদারীপুর-১ আসনের প্রার্থীর নাম। তালিকা প্রকাশের পর থেকেই বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা প্রচারে নেমে পড়েছেন। কিন্তু শরিক দলগুলো এখনো অপেক্ষায়, কোন আসনে কাকে প্রার্থী করা হবে সেই সিদ্ধান্তের।
প্রার্থী ঘোষণার সময় বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, এটি প্রাথমিক তালিকা। পরে পরিবর্তনও হতে পারে। শরিকদের আসন ছাড়ের বিষয়টিও তখনই বিএনপির তরফ থেকে উল্লেখ করেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপির প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর থেকে নিজেদের বিষয়ে অপেক্ষায় দিন গুনছেন সমমনা ১২ দলের নেতারা। এরই মধ্যে জোট ও শরিক রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠকও করেছে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি।
জাতীয় নির্বাচনে আসন সমঝোতার বিষয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের সঙ্গে মঙ্গলবার বৈঠক করেছেন ১২ দলীয় জোট ও জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের নেতারা।
বৈঠকে মিত্র জোট দুটির নেতারা বিএনপি নেতাদের বলেন, এই দুটি জোট থেকে যারা ২০১৮ সালের নির্বাচনেও বিএনপির পক্ষ থেকে আসন-ছাড় পেয়েছিলেন তাদের বিষয়টি ঠিক রাখা হোক। এরপর নতুন করে যাদের আসনে ছাড় দেওয়া হবে, তাদের বিষয়টি চূড়ান্ত করা হোক। দ্রুত সমাধান আসুক। বিষয়টি ঝুলে থাকায় তাদের জোটের সম্ভাব্য প্রার্থীরা পুরোদমে প্রচার চালাতে পারছেন না।
এর আগে দুই জোটের শীর্ষ ১২ নেতাকে আসন ছাড় দেওয়ার বিষয়ে বিএনপির তরফ থেকে ‘গ্রিন সিগন্যাল’ দেওয়ার কথা জানা যায়।
ওই ১২ নেতার মধ্যে রয়েছেন—পিরোজপুর-১ আসনে জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বগুড়া-২ আসনে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, ঢাকা-১৭ আসনে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ, লক্ষ্মীপুর-১ আসনে বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম এবং কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা।ঢাকা-১৩ আসনে এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, চট্টগ্রাম-১৪ আসনে এলডিপির চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদের ছেলে অধ্যাপক ওমর ফারুক ও কুমিল্লা-৭ আসনে একই দলের মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ, নড়াইল-২ আসনে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ এবং পটুয়াখালী-৩ আসনে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর ও ঝিনাইদহ-২ আসনে সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।
তবে এখন পর্যন্ত কারও বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি বিএনপি। এসব আসনে বিএনপি প্রার্থী না দিলেও দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা জনসংযোগ করছেন।
জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের নেতা ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ রাজনীতি ডটকমকে বলেন, ‘আমাদের দলের একটি আসনের বিষয়ে ইতিবাচক বার্তা পেলেও চূড়ান্ত কিছু জানানো হয়নি। এটি দুঃখজনক। কারণ বিএনপির প্রার্থীরা মাঠে আছেন। জামায়াতের প্রার্থীরাও মাঠে কাজ করছেন। আমরা দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যে আছি।’
এদিকে গণতন্ত্র মঞ্চ থেকে উঠে আসা কিছু নামও আলোচনায় রয়েছে। বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হককে ঢাকা–১২ আসন দেওয়া হতে পারে, যদিও এ আসনে বিএনপি আগেই সাইফুল আলম নীরবকে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করেছে।
দলীয় সূত্রগুলো অবশ্য বলছে, সাইফুল হকের আগ্রহ ঢাকা-৮ আসনে নির্বাচন করার। তার পক্ষে ব্যানার ফেস্টুনও টাঙানো হয়েছে ওই এলাকায়।
২০১৮ সালে ঢাকা-১৮ আসনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন জেএসডির শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন। এবার তিনি ফেনী-৩ প্রত্যাশা করেছিলেন। কিন্তু সেখানে বিএনপি হেভিওয়েট নেতা আব্দুল আউয়াল মিন্টুকে প্রার্থী করেছে।
জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রবের স্ত্রী তানিয়া রবের জন্য লক্ষ্মীপুর-৪ ফাঁকা রেখেছে বিএনপি, যদিও ওই আসনে বিএনপির সাবেক এমপি আশরাফ উদ্দিন মিজান এরই মধ্যে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন।
গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি জানিয়েছেন, তার আসন নিশ্চিত হলেও অন্যান্য শরিকদের বিষয়ে অগ্রগতি হয়নি।
যুগপৎ আন্দোলনের আরও কয়েকজন নেতার ভাষ্য, বিএনপি আসন দিতে গেলেই জামায়াতের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঝুঁকি আসে। আবার এবার সবাইকে নিজেদের প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে নামতে হবে, যা ছোট দলগুলোর জন্য আরও কঠিন।
এদিকে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর পটুয়াখালী থেকে ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান ঝিনাইদহ থেকে মনোনয়ন পেতে পারেন। তবে নুরের আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হাসান মামুন নির্বাচনি মাঠে আছেন। নুরও এলাকায় চষে বেড়াচ্ছেন।
এ ছাড়া গণফোরামের সুব্রত চৌধুরী চান ঢাকা-৬ আসন, তবে বিএনপি আপাতত ঢাকা-৭ ফাঁকা রেখেছে। পিরোজপুর ও ঝালকাঠি থেকে লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান নির্বাচন করতে চান। এলাকায় জনসংযোগও করছেন। কিন্তু চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না পাওয়ায় তিনিও ক্ষুদ্ধ।

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে প্রার্থীরা যখন নিজ নিজ আসনে জনসংযোগে ব্যস্ত তখন বিএনপির সঙ্গে আন্দোলনে একসঙ্গে মাঠে থাকা সমমনা দলের নেতারা অপেক্ষা করছেন আনুষ্ঠানিক ঘোষণার। বিশেষ করে জোট ও সমমনা দলের শীর্ষ নেতাদের আসন ও প্রার্থিতার বিষয়ে আশ্বাস মিলললেও এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেয়নি বিএনপি। ফলে নির্বাচনের জন্য চূড়ান্তভাবে জনসংযোগ করতে পারছেন না নেতারা। জমা হচ্ছে ক্ষোভ ও হতাশা।
সমমনা দলগুলোর ক্ষুদ্ধ নেতারা বলছেন, বিএনপির কাছ থেকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না পাওয়ায় তারা মাঠে নামতে পারছেন না। অন্যদিকে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরাও দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগছেন। এর প্রভাব পড়ছে পুরো নির্বাচনি কার্যক্রমের ওপর।
বিএনপির হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে তাদের সঙ্গে আন্দোলনের শরিকদের আসন দেওয়ার কথা বলা হয়েছে বিভিন্ন সময়ে। গত ৩ নভেম্বর বিএনপির ২৩৭ আসনে প্রার্থী ঘোষণা দেওয়ার সময়ও বাকি আসনগুলো শরিকদের জন্য রাখার কথা বলা হয়।
শরিক দলগুলোর নেতাদের অভিযোগ, এর বাইরেও অনেককে আরও আগেই অনানুষ্ঠানিকভাবে সংসদ নির্বাচনে আসন ছাড় দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। কিন্তু এতদিনেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না জানানোর কারণে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
লক্ষ্মীপুর-১ আসনে বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিমকে গত সেপ্টেম্বরে প্রার্থিতার বিষয়ে ‘গ্রিন সিগন্যাল’ দেয় বিএনপি। সে অনুযায়ী এলাকায় জনসংযোগও শুরু করেন সেলিম। কিন্তু এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো সিদ্ধান্ত না জানানোর কারণে পুরোদমে কাজ শুরু করতে পারছেন না তিনি।
সেলিম রাজনীতি ডটকমকে বলেন, নিজেদের প্রার্থী ঘোষণার কয়েক সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও বিএনপি দীর্ঘদিনের রাজপথের শরিকদের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাতে পারেনি। এটি দুঃখজনক। আমরা ক্ষুব্ধ, হতাশ। এর প্রভাব নির্বাচনের প্রস্তুতি পড়ছে, হয়তো বিএনপি টের পাচ্ছে না। যখন বুঝবে তখন খুব বেশি কাজ হবে না। কারণ প্রতিপক্ষ মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।
সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে বিএনপির হাইকমান্ডের সঙ্গে সমমনা দলগুলোর নেতারা দেখা করে সমাধানের কথাও বলেছেন। জবাবে শিগগিরই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানোর আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
শরিকদের এমন হতাশা ও ক্ষোভের বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান রাজনীতি ডটকমকে বলেন, ‘হয়তো আগের মতো শরিকদের বেশি আসন ছাড় দেওয়া সম্ভব হবে না। বিএনপি তাদের অবশ্যই মূল্যায়ন করবে। আশা করছি শিগগিরই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে।’
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে গত ৩ নভেম্বর বিএনপি ২৩৭ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করে। পরদিন স্থগিত হয় মাদারীপুর-১ আসনের প্রার্থীর নাম। তালিকা প্রকাশের পর থেকেই বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা প্রচারে নেমে পড়েছেন। কিন্তু শরিক দলগুলো এখনো অপেক্ষায়, কোন আসনে কাকে প্রার্থী করা হবে সেই সিদ্ধান্তের।
প্রার্থী ঘোষণার সময় বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, এটি প্রাথমিক তালিকা। পরে পরিবর্তনও হতে পারে। শরিকদের আসন ছাড়ের বিষয়টিও তখনই বিএনপির তরফ থেকে উল্লেখ করেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপির প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর থেকে নিজেদের বিষয়ে অপেক্ষায় দিন গুনছেন সমমনা ১২ দলের নেতারা। এরই মধ্যে জোট ও শরিক রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠকও করেছে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি।
জাতীয় নির্বাচনে আসন সমঝোতার বিষয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের সঙ্গে মঙ্গলবার বৈঠক করেছেন ১২ দলীয় জোট ও জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের নেতারা।
বৈঠকে মিত্র জোট দুটির নেতারা বিএনপি নেতাদের বলেন, এই দুটি জোট থেকে যারা ২০১৮ সালের নির্বাচনেও বিএনপির পক্ষ থেকে আসন-ছাড় পেয়েছিলেন তাদের বিষয়টি ঠিক রাখা হোক। এরপর নতুন করে যাদের আসনে ছাড় দেওয়া হবে, তাদের বিষয়টি চূড়ান্ত করা হোক। দ্রুত সমাধান আসুক। বিষয়টি ঝুলে থাকায় তাদের জোটের সম্ভাব্য প্রার্থীরা পুরোদমে প্রচার চালাতে পারছেন না।
এর আগে দুই জোটের শীর্ষ ১২ নেতাকে আসন ছাড় দেওয়ার বিষয়ে বিএনপির তরফ থেকে ‘গ্রিন সিগন্যাল’ দেওয়ার কথা জানা যায়।
ওই ১২ নেতার মধ্যে রয়েছেন—পিরোজপুর-১ আসনে জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বগুড়া-২ আসনে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, ঢাকা-১৭ আসনে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ, লক্ষ্মীপুর-১ আসনে বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম এবং কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা।ঢাকা-১৩ আসনে এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, চট্টগ্রাম-১৪ আসনে এলডিপির চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদের ছেলে অধ্যাপক ওমর ফারুক ও কুমিল্লা-৭ আসনে একই দলের মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ, নড়াইল-২ আসনে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ এবং পটুয়াখালী-৩ আসনে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর ও ঝিনাইদহ-২ আসনে সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।
তবে এখন পর্যন্ত কারও বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি বিএনপি। এসব আসনে বিএনপি প্রার্থী না দিলেও দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা জনসংযোগ করছেন।
জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের নেতা ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ রাজনীতি ডটকমকে বলেন, ‘আমাদের দলের একটি আসনের বিষয়ে ইতিবাচক বার্তা পেলেও চূড়ান্ত কিছু জানানো হয়নি। এটি দুঃখজনক। কারণ বিএনপির প্রার্থীরা মাঠে আছেন। জামায়াতের প্রার্থীরাও মাঠে কাজ করছেন। আমরা দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যে আছি।’
এদিকে গণতন্ত্র মঞ্চ থেকে উঠে আসা কিছু নামও আলোচনায় রয়েছে। বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হককে ঢাকা–১২ আসন দেওয়া হতে পারে, যদিও এ আসনে বিএনপি আগেই সাইফুল আলম নীরবকে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করেছে।
দলীয় সূত্রগুলো অবশ্য বলছে, সাইফুল হকের আগ্রহ ঢাকা-৮ আসনে নির্বাচন করার। তার পক্ষে ব্যানার ফেস্টুনও টাঙানো হয়েছে ওই এলাকায়।
২০১৮ সালে ঢাকা-১৮ আসনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন জেএসডির শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন। এবার তিনি ফেনী-৩ প্রত্যাশা করেছিলেন। কিন্তু সেখানে বিএনপি হেভিওয়েট নেতা আব্দুল আউয়াল মিন্টুকে প্রার্থী করেছে।
জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রবের স্ত্রী তানিয়া রবের জন্য লক্ষ্মীপুর-৪ ফাঁকা রেখেছে বিএনপি, যদিও ওই আসনে বিএনপির সাবেক এমপি আশরাফ উদ্দিন মিজান এরই মধ্যে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন।
গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি জানিয়েছেন, তার আসন নিশ্চিত হলেও অন্যান্য শরিকদের বিষয়ে অগ্রগতি হয়নি।
যুগপৎ আন্দোলনের আরও কয়েকজন নেতার ভাষ্য, বিএনপি আসন দিতে গেলেই জামায়াতের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঝুঁকি আসে। আবার এবার সবাইকে নিজেদের প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে নামতে হবে, যা ছোট দলগুলোর জন্য আরও কঠিন।
এদিকে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর পটুয়াখালী থেকে ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান ঝিনাইদহ থেকে মনোনয়ন পেতে পারেন। তবে নুরের আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হাসান মামুন নির্বাচনি মাঠে আছেন। নুরও এলাকায় চষে বেড়াচ্ছেন।
এ ছাড়া গণফোরামের সুব্রত চৌধুরী চান ঢাকা-৬ আসন, তবে বিএনপি আপাতত ঢাকা-৭ ফাঁকা রেখেছে। পিরোজপুর ও ঝালকাঠি থেকে লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান নির্বাচন করতে চান। এলাকায় জনসংযোগও করছেন। কিন্তু চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না পাওয়ায় তিনিও ক্ষুদ্ধ।

মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী সশস্ত্র বাহিনীর দিবস উপলক্ষে সেনাকুঞ্জে অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
২ ঘণ্টা আগে
ক্তব্যে ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, “৭ নভেম্বর যে জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠেছিল, আজ সেই ঐক্যের পুনর্গঠন জরুরি। আগামী ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্য সময়ে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। অথচ স্বৈরাচার ও কর্তৃত্ববাদী সরকার দেশের অর্থনীতিকে খালি করে দিয়েছে। শুধু তাই নয়, দেশের সার্বভৌমত্বকে প্রায় আরেক দেশের হাতে তুলে দেওয়ার
৩ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, আজ সকালে ঢাকা সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার‑উজ‑জামান, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নজমুল হাসান এবং বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন।
৩ ঘণ্টা আগে
জুলাই সনদের প্রস্তাবনা অনুযায়ী তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের দাবি জানিয়েছে দলটি। পাশাপাশি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নয়, বরং এর পরের জাতীয় নির্বাচন থেকে এনসিপি এই সরকারব্যবস্থা প্রবর্তন করার দাবি জানিয়েছে।
১৭ ঘণ্টা আগে