কোম্পানি সচিব, সিটি ব্যাংক পিএলসি
সকল লেখা
সৃষ্টিলগ্ন থেকেই ভারতীয় রাজনীতির বিকাশসহ অর্থনৈতিক উন্নয়নে মুসলিমদের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। স্বাধীনতা-পূর্ব যুগ থেকে শুরু করে স্বাধীনতা-পরবর্তী সময় পর্যন্ত, এবং বর্তমান রাজনীতিতেও তাদের অবদান ভারতীয় ইতিহাসের বিভিন্ন পর্যায়ে বিস্তৃত। একইভাবে ভারতের অর্থনীতিতেও মুসলিমদের অবদান গভীর ও বহুমুখী।
আল্লাহ সারা বছরই আমাদের ওপর তার রহমত, ভালোবাসা ও নেয়ামত বর্ষণ করেন। তবে বছরের কিছু বিশেষ সময়ে তিনি আমাদের প্রতি আরও অধিক দানশীল হন। রমজান মাস হলো এমনই একটি মৌসুম, যেখানে আমরা আল্লাহর ভালোবাসা ও করুণার ফলাফল প্রত্যক্ষ করি।
শ্রমিক অধিকার সংক্রান্ত উদ্বেগের কারণে বাংলাদেশ ২০১৩ সালে মার্কিন জিএসপি সুবিধা হারায়। তৈরি পোশাক রপ্তানির ওপর এরই মধ্যে সাধারণ শুল্ক প্রযোজ্য হওয়ায় পারস্পরিক শুল্ক বৃদ্ধির ঝুঁকি আরও বাড়ে।
এফডিআই স্বাগতিক দেশগুলোকে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও পরিবেশগতভাবে রূপান্তরিত করে। ফলে এফডিআইয়ের ক্ষেত্রে নিচের বিষয়গুলোও বিবেচনা ও বিশ্লেষণের দাবি রাখে, যেগুলোর মধ্যে ইতিবাচক ও নেতিবাচক প্রভাব উভয়ই রয়েছে।
প্রেম বা যৌন আবেদনকে হাতিয়ার করে কোনো ব্যক্তিকে সংকটে ফেলাই হানি ট্র্যাপের মূল উদ্দেশ্য। গুপ্তচরবৃত্তি, ব্ল্যাকমেইল, বা কাউকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই কৌশল কাজে লাগে। কোথাও দেখা যায়, গুপ্তচরবৃত্তি-গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কূটনীতিক বা সরকারি কর্মকর্তাদের প্রলুব্ধ করে গোপন তথ্য আদায় করে।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও তাদের দোসরদের হাতে ৩০ লাখ মানুষ নিহত এবং দুই থেকে চার লাখ নারী যৌন সহিংসতার শিকার হন। পাকিস্তানে অবশ্য এই সংখ্যাগুলো বিতর্কিত। পাকিস্তানের ঐতিহাসিক বর্ণনায় প্রায়ই মুক্তিযুদ্ধকালীন সহিংসতার মাত্রাকে খাটো করে দেখানো হয়।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ‘লেবার ফোর্স সার্ভে ২০২২’ অনুযায়ী, দেশের মোট শ্রমশক্তির প্রায় ৮৫ শতাংশ অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে নিয়োজিত। এই বিপুলসংখ্যক কর্মজীবী দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য জীবিকার প্রধান উৎস। এই খাতটি বিশেষত নারী, অভিবাসী ও তরুণদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে, যা দারি
দক্ষিণ এশিয়ার দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের এমন টানাপোড়েন এ অঞ্চলের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশ হিসেবে বাংলাদেশের জন্য বড় কৌশলগত চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই বাংলাদেশকে কূটনৈতিক ভারসাম্য রক্ষা, অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সতর্কতা এবং রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া ব্যবস্থাপনায় এখনই সংবেদনশীল ও দূরদর্শী ভূমিকা নিতে হবে।
যুদ্ধের বিভীষিকা মানব ইতিহাসের এক পুনরাবৃত্তিমূলক ট্র্যাজেডি। প্রায়ই রাজনৈতিক মতাদর্শ, আঞ্চলিক বিরোধ ও নিরাপত্তা উদ্বেগের নিরিখে একে ব্যাখ্যা করা হয়। তবে এই আখ্যানগুলোর গভীরে অর্থনৈতিক প্রণোদনা ও নির্ভরশীলতার এক জটিল জাল বিস্তৃত। আধুনিক সংঘাত ও তাদের দীর্ঘস্থায়ী পরিণতিগুলোর একটি সামগ্রিক ধারণা লা
যে শিল্প মূলধন পর্যাপ্ততা, তারল্য নীতিমালা ও কঠোর নিয়ন্ত্রণ দ্বারা পরিচালিত, সেখানে একটি অদৃশ্য সম্পদ প্রায়ই অবমূল্যায়িত হয়— ‘কর্মী মোরাল’। এটি কোনো সাধারণ ‘সফট’ মেট্রিক নয়, বরং একটি কৌশলগত সুবিধা, যা আর্থিক স্থিতিশীলতা, গ্রাহক আস্থা, কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা ও দীর্ঘমেয়াদি প্রতিযোগিতামূলক শক্তি
আচমকা সেই স্বাভাবিক দুপুর পরিণত হলো ভয়াল এক মুহূর্তে। একটি প্রশিক্ষণ বিমান আকাশ থেকে আছড়ে পড়ল স্কুলের ওপর। আগুন ছড়িয়ে পড়ল চারদিকে। শিশুদের কান্না, চিৎকার আর আগুনে পুড়ে যাওয়া শরীর— সব মিলিয়ে এক বিভীষিকাময় দৃশ্য। এটি শুধু একটি দুর্ঘটনা নয়, এটি একটি জাতীয় ট্রাজেডি— যা আমাদের হৃদয় ছিন্নভিন্
ব্যক্তিগত দায়িত্ববোধ, শৃঙ্খলা, সততা ও জবাবদিহির মাধ্যমে নাগরিক ও প্রতিষ্ঠান উন্নতির পথে এগিয়ে যেতে সক্ষম হয়। বাংলাদেশেও এমন অনেক ভালো উদাহরণ আছে, যা প্রমাণ করে স্ব-উদ্যোগই আসল চাবিকাঠি।
জীবনের অর্থ কখনো স্থির নয়। কখনো এটি আনন্দের মায়াজাল, কখনো বেদনার অন্ধকারে নিমজ্জিত। কেউ বলে “জীবন হলো সংগ্রাম” (ফরাসি দার্শনিক রুশো)।কেউ বলে “জীবন হলো আনন্দের উৎসব” (ভারতীয় ভাবধারা)।অর্থাৎ জীবনকে বোঝার একক সূত্র নেই। এটি বহুমাত্রিক, পরিবর্তনশীল এবং জিজ্ঞাসার শিখরে স্থিত।
একটি জাতির উন্নয়নের ভিত্তি তার জনশক্তির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও ব্যবহারের উপর নির্ভরশীল। বাংলাদেশের মতো একটি জনবহুল দেশে, জনসংখ্যাগত স্থিতিশীলতা (Demographic Stability) অর্জন করা এখন আর কেবল জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের একটি কৌশল নয়, বরং এটি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, সামাজিক ন্যায়বিচার এবং সুশাসনের এক অবিচ্ছেদ্য অং
ক্ষুধা ধীরে হত্যা করে, ভেজাল নীরবে হত্যা করে। খাদ্যে ভেজাল কেবল বাংলাদেশের সমস্যা নয়, এটি বৈশ্বিক সংকট। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে, প্রতি বছর ৬০ কোটি মানুষ খাদ্যজনিত রোগে আক্রান্ত হয়। এর মধ্যে চার লাখ ২০ হাজার মানুষ মারাও যায়।