একটা সময়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশ আর ভারতে ‘সুসম্পর্ক’ নিয়ে অনেক খবর প্রকাশিত হতো। কিন্তু ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকে মূল ধারার গণমাধ্যম বাংলাদেশ নিয়ে একটা সন্দেহের বাতাবরণ তৈরি করেছে। তারা বারবার প্রশ্ন তুলছে বাংলাদেশের সরকারের পরিচালনা নিয়ে, কারা এই সরকার ‘আসলে’ পরিচালনা করছে, তা ন
১৯৯০ সালের ডিসেম্বরে প্রবল গণআন্দোলনের মুখে সামরিক শাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পদত্যাগ ও ক্ষমতা হস্তান্তরের ‘দালিলিক ভিত্তি’ ছিলো আন্দোলনরত তিন জোটের ঘোষিত রূপরেখা। তখনকার আন্দোলনকারী ও বিশ্লেষকদের মতে এটি ছিলো ‘ক্ষমতা হস্তান্তর ও রাজনীতি-রাষ্ট্র পরিচালনার দলিল’, যা পরে আর বাস্তবায়িত হয়নি।
অভ্যুত্থানের পর পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়ার প্রায় ৪ মাস পর বিদেশে বিভিন্ন স্থানে জনসম্মুখে বক্তব্য দিচ্ছেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত সপ্তাহে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে আওয়ামী লীগ আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়েছেন এবং আগামী ৮ ডিসেম্বর তিনি লন্ডনে আরও একটি অনুষ্ঠানে টেল
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে নির্ধারিত পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) আগামী ৯ ডিসেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। ওই বৈঠকে যোগ দিতে ঢাকায় আসছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি।
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দাবি দাওয়াকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ঘটনার ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের দৃশ্যত অবনতি ঘটার প্রেক্ষাপটে ‘জাতীয় ঐক্যের’ আহবান জানানোর জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আজ বুধবার বৈঠক করছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় দাসের জামিন শুনানিতে মামলা, হামলা এবং প্রাণনাশের হুমকির মুখে কোনো আইনজীবীকে তার পক্ষে আদালতে দাঁড়াতে দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। জামিনের শুনানির জন্য চিন্ময় দাসকে আদালতে হাজির করা হয়নি।
চিন্ময় কৃষ্ণ দাশের পক্ষে চট্টগ্রামের আদালতে একজন আইনজীবীও দাঁড়াননি। সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের অভিযোগ - মামলা, হামলা এবং হুমকি দিয়ে আদালতে কোনো আইনজীবীকে দাঁড়াতে দেয়া হয়নি।
গত জুলাইয়ে একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টক শোতে আলোচক ছিলেন সাবেক বিচারপতি এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। অনুষ্ঠানে কথা বলার এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে তিনি উপস্থাপিকাকে ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলে গালি দেন।
সাম্প্রতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজসহ সব জায়গা থেকেই জাতীয় ঐক্যের কথা হচ্ছে। কিন্তু কীভাবে হতে পারে এই ঐক্য সে ব্যাপারে এখনও কোন রূপরেখা দেখা যাচ্ছে না। জাতীয় ঐক্যের পক্ষের কেউ বলছেন, প্রধান উপদেষ্টা এই ঐক্যে ভূমিকা রাখতে পারে। আবার কেউ বলছেন, ছাত্ররাই হতে পারে ঐক্যের প্রতীক।
প্রায় এক দশক আগেকার কথা, চুলচেরা হিসেবে পাক্কা ৯ বছর ৬ মাস। ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার প্রথম বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন নরেন্দ্র মোদী, আর পেয়েছিলেন বিপুল অভ্যর্থনাও। সেবার কেউ তাকে সে দেশে কালো পতাকা দেখায়নি, বরং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রবল করতালিতে তাকে স্বাগত জানিয়েছিল।
৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে যে প্রতিশোধ প্রবণতা দেখা যায়, তার বড় এক ধাক্কা গিয়ে পড়ে দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘু, বিশেষ করে সনাতনী ধর্মাবলম্বী বা হিন্দুদের উপর। দেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘুদের বাড়ি-ঘর, ব্যবসা এবং ধর্মীয় স্থাপনাগুলোতে ভাংচুর-অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে সাংবাদিকতা এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে বহুমুখী হুমকি দেখা দিয়েছে যা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে দেশে বিদেশে। সংবাদপত্র অফিসে হামলা, শত শত সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা এবং সরকার কর্তৃক তিন দফায় সাংবাদিকদের প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিলের কারণে এমন পরিস্থিতি স
একদিনে দুটি মামলায় খালাস পেয়েছেন বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় তার দণ্ড আগেই স্থগিত করা হয়েছে। এর আগে ৩০ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে নাশকতা ও রাষ্ট্রদ্রোহের ১১টি মামলার কার্যক্রম বাতিল হয়। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানও
সম্মিলিত সনাতন জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিনকে ঘিরে সংঘর্ষে চট্টগ্রামে নিহত আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ ছয় বছর ধরে আইনি প্রাকটিস করছেন। গত বছর হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে নিবন্ধিত হন। নিহত আলিফ চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের মামলার সাথে যুক্ত ছিলেন না বলে নিশ্চিত করেছেন আইনজীবীরা।
শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার দাবিতে বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের একটি অংশ টানা আন্দোলনে নেমেছে। এই আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা 'ইসকন নেতা' চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় আটকের পর তার অনুসারীদের বিক্ষোভের মধ্যে চট্টগ্রামে বিএনপি-জামায়াতপন্থী এক আইনজীবী নিহত হন।
আন্দোলনকারীদের অনেকেই এখন মারমুখী। সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে রক্তাক্ত সংঘর্ষে জড়াচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। তেড়ে যাচ্ছেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করতে। হাসপাতালের চিকিৎসকরাও রক্ষা পাচ্ছেন না রোগীর স্বজনদের আক্রোশ থেকে।