বিজ্ঞান

বিড়াল কেন ভাত খায় না?

ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
আপডেট : ১৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৯: ৩৯
বিড়াল। ছবি: ইন্টারনেট

আপনি ভাত খাচ্ছেন, এমন সময় একটি বিড়াল এসে আপনার পায়ে ঘষা দিল। আপনি ভাবলেন, নিশ্চয়ই তার খিদে পেয়েছে। ভাতের একটু অংশ ফেলে দিলেন তার সামনে। কিন্তু বিড়ালটা শুধু গন্ধ শুঁকে চলে গেল—একটাও দানা মুখে তুলল না!

কেন এমন হলো?

বিড়াল আসলে মাংসপ্রেমী!

বিড়াল জন্মগতভাবেই মাংসাশী প্রাণী। তাদের দাঁত, হজম ব্যবস্থা এবং স্বাদের অনুভূতি সবই মাংসের জন্য তৈরি। ভাত বা রুটি কার্বোহাইড্রেটসমৃদ্ধ খাবার, যা বিড়ালের শরীরের চাহিদা পূরণ করে না। মানুষের মতো বিড়ালের জিহ্বায় মিষ্টি স্বাদ বুঝতে পারে না। তাদের স্বাদকুঁড়ি শুধু মাংস, চর্বি এবং কিছু নির্দিষ্ট গন্ধের প্রতি সংবেদনশীল। তাই ভাতের মতো নরম, স্বাদহীন খাবার তাদের আকর্ষণ করে না।

বিড়াল খাবার বেছে নেয় গন্ধ দিয়ে। ভাতের গন্ধ তাদের কাছে একদমই নিষ্প্রাণ। কিন্তু মাছ বা মাংসের গন্ধ পেলে তারা সঙ্গে সঙ্গে সাড়া দেয়। বিড়ালের শরীরে প্রোটিন ও ফ্যাট খুব গুরুত্বপূর্ণ। ভাতে প্রোটিন কম থাকায় এটি তাদের শক্তি দেয় না। ড. জেনিফার লারসন (ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়) বলেন, "বিড়ালের খাদ্যতালিকায় ৯০% মাংস থাকা জরুরি, নাহলে তারা পুষ্টিহীনতায় ভুগবে।"

তাহলে বিড়াল কী খাবে?

বিড়ালের জন্য বানানো বাণিজ্যিক খাবার, কখনো কখনো ডিম বা পনির। কিছু বিড়াল ভাত বা রুটির সঙ্গে মাছ/মাংস মিশ্রিত খাবার খেতে পারে। কিন্তু শুধু ভাত তাদের কাছে খাবারই নয়।

বিড়াল ভাত খায় না, এটা তাদের প্রকৃতির অংশ। তারা মাংসের গন্ধ ও স্বাদ পছন্দ করে। তাই আপনার বন্ধু বিড়ালটিকে যদি খাওয়াতে চান, তাহলে মাছ বা মাংস দিন—ভাত নয়!

ad
ad

খবরাখবর থেকে আরও পড়ুন

'বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ভারত'‍‍‌‌

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী হিসেবে বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ভারত। বিশেষ করে শান্তি, গণতন্ত্র, অন্তর্ভুক্তি ও স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে।

১৩ ঘণ্টা আগে

শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় নিয়ে যা বলল ভারত

সোমবার শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ঘোষিত রায়কে কেন্দ্র করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলছে, নির্বাসনে থাকা হাসিনার রায় ভারত ‘নজরে নিয়েছে’ এবং ‘বাংলাদেশের জনগণের সর্বোত্তম স্বার্থের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’ রয়েছে।

১৩ ঘণ্টা আগে

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় প্রত্যাখ্যান ১ হাজার বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের

তারা বলেন, ‘রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যে রায় ঘোষণা করেছে তা প্রহসনমূলক ও অগ্রহণযোগ্য। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বর্তমানে ক্যাঙারু কোর্টের রূপ পরিগ্রহ করেছে। এখন এই আদালত স্বৈরাচারী, পক্ষপাতদুষ্ট এবং ন্যায়

১৩ ঘণ্টা আগে

হাসিনা-কামালের সম্পদ বাজেয়াপ্তের নির্দেশ

এই মামলায় প্রসিকিউশন পক্ষে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও গাজী এস এইচ তামিম শুনানি করেন। এছাড়া শুনানিতে প্রসিকিউটর বি এম সুলতান মাহমুদ, শাইখ মাহদি, আবদুস সাত্তার পালোয়ানসহ অন্য প্রসিকিউটরা উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে, পলাতক শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুন

১৩ ঘণ্টা আগে