ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
রাশিয়া আর ভারতকে হারিয়ে ফেলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, সেটিও আবার তার 'প্রিয়' প্রতিপক্ষ চীনের কাছে!
সম্প্রতি এক মঞ্চে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের পাশে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতি ও যৌথ ঘোষণার পর ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে এমন প্রতিক্রিয়াই জানিয়েছেন ট্রাম্প। সেখানে আবার তিনি চীনকে অভিহিত করেছেন 'গভীরতম, অন্ধকারতম' হিসেবে!
মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই প্রতিক্রিয়া বেদনার আবহে বক্রোক্তি নাকি ক্ষোভ, সেটি নিয়ে চলছে আলোচনা। তবে তিন দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানের এক মঞ্চে এভাবে আবির্ভাবের পেছনে অবশ্য মূল ভূমিকা ট্রাম্পেরই।
ক্ষমতায় এসেই বাণিজ্য শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়ে বলা যায় যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এত বিপুল শুল্কের ঘোষণা ট্রাম্প নিছক হুমকি দিতে ব্যবহার করছেন— এমন ধারণা করেছিলেন অনেকেই।
সবার ধারণা মিথ্যা প্রমাণ করে দিয়ে সত্যি সত্যিই একেকটি দেশের ওপর বিপুল পরিমাণ শুল্ক ঘোষণা করেছিলেন ট্রাম্প। কোনো কোনো দেশ অবশ্য চাপে পড়ে নানা ছাড় দিয়ে দ্বিপাক্ষিক চুক্তির মাধ্যমে সে শুল্কহার কমিয়ে এনেছে। তবে ট্রাম্পের প্রত্যাশিত মাত্রায় 'আপস' করতে না পারায় শুল্ক কমানো দেশের তালিকায় জায়গা করে নিতে পারেনি চীন, রাশিয়া বা ভারত।
ট্রাম্পের বাড়তি শুল্কের চাপই এই তিন দেশকে কাছাকাছি নিয়ে এসেছে। এরই বহির্প্রকাশ সম্প্রতি চীন সফরে গিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এক মঞ্চে আবির্ভাব।
চীন ও ভারতের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলে বিরোধ চলে আসছে। তবে শুল্ক নিয়ে ওয়াশিংটন-নয়াদিল্লির টানাপোড়েনের মধ্যে প্রতিপক্ষ দেশ চীনের বেশ কাছাকাছি চলে এসেছে ভারত।
মোদির চীন সফরের মূল লক্ষ্য ছিল দুই দেশের সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়া। জিনপিং-মোদি বৈঠকের পর দুই দেশের যৌথ ঘোষণায় তারই প্রত্যয় উঠে এসেছে। দুই দেশই বলছে, নিজেদের প্রতিপক্ষ হিসেবে না দেখে অংশীদার হিসেবে দেখলে দুই দেশই লাভবান হবে।
ট্রুথ সোশ্যালে নিজের পোস্টে পুতিন, শি ও মোদির এই ছবিটি জুড়ে দিয়েছেন ট্রাম্প।
এদিকে রাশিয়া ও চীনের মধ্যে আগে থেকেই উষ্ণ সম্পর্ক রয়েছে। ট্রাম্প তার নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করার প্রয়াসে পুতিনের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করলেও পুতিনের শর্তের বেড়াজালে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। তাতে রাশিয়ার সঙ্গে খুব একটা নৈকট্যে নেই তিনি।
এর মধ্যে আবার রাশিয়ার কাছ থেকে জ্বালানি ও অস্ত্র কেনা ইস্যুতে ভারতের ওপর চড়াও হয়েছেন ট্রাম্প। কেবল এ কারণেই ভারতের ওপর বাড়তি শুল্ক আরোপ করেছেন, যা খোলাখুলিই বলেছেন। ট্রাম্পকে মোকাবিলা করতে গিয়ে তাতে ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক বলা যায় আরও নিবিড় হয়েছে। এর সঙ্গে এখন যুক্ত হয়েছে চীনও। তাতেই ট্রাম্পের পক্ষ থেকে ট্রুথ সোশ্যালে এসেছে বিরূপ প্রতিক্রিয়া।
ট্রাম্প লিখেছেন, “মনে হচ্ছে আমরা ভারত ও রাশিয়াকে হারিয়ে ফেলেছি গভীরতম, অন্ধকারতম চীনের কাছে। তাদের দীর্ঘ ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ কামনা করি।”
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই পোস্ট দেন। পরে পোস্টটি তার এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডেল থেকেও শেয়ার করা হয়।
ট্রাম্পের এই পোস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকের মন্তব্য, ট্রাম্পের বিপক্ষে যেভাবে চীন-রাশিয়া-ভারত এক মঞ্চে ঐক্য দেখিয়েছে, তাতে ট্রাম্প স্বভাবতই ক্ষুব্ধ হয়েছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্প নিজেই যখন এসব দেশকে কাছাকাছি ঠেলে দিতে ভূমিকা রেখেছেন, সেখানে তার এই ক্ষোভ বা বক্রোক্তি হয়তো পুরোপুরি ন্যায্য নয়। ট্রাম্প এখন এ পরিস্থিতিতে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিতে না পারলে চীন-রাশিয়া-ভারতের ঐক্য যুক্তরাষ্ট্রের জন্য মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। বৈশ্বিক রাজনীতিতেও তা নতুন মেরুকরণ তৈরি করলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
রাশিয়া আর ভারতকে হারিয়ে ফেলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, সেটিও আবার তার 'প্রিয়' প্রতিপক্ষ চীনের কাছে!
সম্প্রতি এক মঞ্চে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের পাশে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতি ও যৌথ ঘোষণার পর ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে এমন প্রতিক্রিয়াই জানিয়েছেন ট্রাম্প। সেখানে আবার তিনি চীনকে অভিহিত করেছেন 'গভীরতম, অন্ধকারতম' হিসেবে!
মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই প্রতিক্রিয়া বেদনার আবহে বক্রোক্তি নাকি ক্ষোভ, সেটি নিয়ে চলছে আলোচনা। তবে তিন দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানের এক মঞ্চে এভাবে আবির্ভাবের পেছনে অবশ্য মূল ভূমিকা ট্রাম্পেরই।
ক্ষমতায় এসেই বাণিজ্য শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়ে বলা যায় যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এত বিপুল শুল্কের ঘোষণা ট্রাম্প নিছক হুমকি দিতে ব্যবহার করছেন— এমন ধারণা করেছিলেন অনেকেই।
সবার ধারণা মিথ্যা প্রমাণ করে দিয়ে সত্যি সত্যিই একেকটি দেশের ওপর বিপুল পরিমাণ শুল্ক ঘোষণা করেছিলেন ট্রাম্প। কোনো কোনো দেশ অবশ্য চাপে পড়ে নানা ছাড় দিয়ে দ্বিপাক্ষিক চুক্তির মাধ্যমে সে শুল্কহার কমিয়ে এনেছে। তবে ট্রাম্পের প্রত্যাশিত মাত্রায় 'আপস' করতে না পারায় শুল্ক কমানো দেশের তালিকায় জায়গা করে নিতে পারেনি চীন, রাশিয়া বা ভারত।
ট্রাম্পের বাড়তি শুল্কের চাপই এই তিন দেশকে কাছাকাছি নিয়ে এসেছে। এরই বহির্প্রকাশ সম্প্রতি চীন সফরে গিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এক মঞ্চে আবির্ভাব।
চীন ও ভারতের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলে বিরোধ চলে আসছে। তবে শুল্ক নিয়ে ওয়াশিংটন-নয়াদিল্লির টানাপোড়েনের মধ্যে প্রতিপক্ষ দেশ চীনের বেশ কাছাকাছি চলে এসেছে ভারত।
মোদির চীন সফরের মূল লক্ষ্য ছিল দুই দেশের সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়া। জিনপিং-মোদি বৈঠকের পর দুই দেশের যৌথ ঘোষণায় তারই প্রত্যয় উঠে এসেছে। দুই দেশই বলছে, নিজেদের প্রতিপক্ষ হিসেবে না দেখে অংশীদার হিসেবে দেখলে দুই দেশই লাভবান হবে।
ট্রুথ সোশ্যালে নিজের পোস্টে পুতিন, শি ও মোদির এই ছবিটি জুড়ে দিয়েছেন ট্রাম্প।
এদিকে রাশিয়া ও চীনের মধ্যে আগে থেকেই উষ্ণ সম্পর্ক রয়েছে। ট্রাম্প তার নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করার প্রয়াসে পুতিনের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করলেও পুতিনের শর্তের বেড়াজালে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। তাতে রাশিয়ার সঙ্গে খুব একটা নৈকট্যে নেই তিনি।
এর মধ্যে আবার রাশিয়ার কাছ থেকে জ্বালানি ও অস্ত্র কেনা ইস্যুতে ভারতের ওপর চড়াও হয়েছেন ট্রাম্প। কেবল এ কারণেই ভারতের ওপর বাড়তি শুল্ক আরোপ করেছেন, যা খোলাখুলিই বলেছেন। ট্রাম্পকে মোকাবিলা করতে গিয়ে তাতে ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক বলা যায় আরও নিবিড় হয়েছে। এর সঙ্গে এখন যুক্ত হয়েছে চীনও। তাতেই ট্রাম্পের পক্ষ থেকে ট্রুথ সোশ্যালে এসেছে বিরূপ প্রতিক্রিয়া।
ট্রাম্প লিখেছেন, “মনে হচ্ছে আমরা ভারত ও রাশিয়াকে হারিয়ে ফেলেছি গভীরতম, অন্ধকারতম চীনের কাছে। তাদের দীর্ঘ ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ কামনা করি।”
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই পোস্ট দেন। পরে পোস্টটি তার এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডেল থেকেও শেয়ার করা হয়।
ট্রাম্পের এই পোস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকের মন্তব্য, ট্রাম্পের বিপক্ষে যেভাবে চীন-রাশিয়া-ভারত এক মঞ্চে ঐক্য দেখিয়েছে, তাতে ট্রাম্প স্বভাবতই ক্ষুব্ধ হয়েছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্প নিজেই যখন এসব দেশকে কাছাকাছি ঠেলে দিতে ভূমিকা রেখেছেন, সেখানে তার এই ক্ষোভ বা বক্রোক্তি হয়তো পুরোপুরি ন্যায্য নয়। ট্রাম্প এখন এ পরিস্থিতিতে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিতে না পারলে চীন-রাশিয়া-ভারতের ঐক্য যুক্তরাষ্ট্রের জন্য মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। বৈশ্বিক রাজনীতিতেও তা নতুন মেরুকরণ তৈরি করলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
ভারত বলছে, দুই বোন যে আসলেই পাকিস্তানের নাগরিকত্ব পরিত্যাগ করেছেন, সে নথি তাদের হাতে দেয়নি দিল্লির পাকিস্তান দূতাবাস। ফলে তাদের নাগরিকত্ব দিতে পারছে না ভারত।
২ দিন আগে