ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
সাড়ে তিন বছর ধরে চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে টিমটিম করে হলেও আশার আলো জ্বলছে যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কায়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বৈঠক যে শুরু হয়েছে এ রাজ্যেই।
নানা প্রচেষ্টাতেও রাশিয়া-ইউক্রেনের যে যুদ্ধ থামেনি, সেই যুদ্ধের অবসান কীভাবে ঘটানো যায়, সেটিই দুই পরাশক্তি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের বৈঠকের প্রধান আলোচ্য বিষয়। সে কারণেই এ বৈঠকের দিকে তাকিয়ে রয়েছে সারা বিশ্ব। শেষ পর্যন্ত এ বৈঠক সফল হলে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবে সবাই।
ট্রাম্পের দপ্তর আশাবাদী, পুতিনকে যুদ্ধ শেষ করাতে রাজি করাতে পারবেন ট্রাম্প। আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা অবশ্য এ বৈঠক থেকে খুব বেশি কিছু প্রত্যাশা না করার আহ্বানই জানিয়েছেন।
মার্কিন গণমাধ্যমগুলোর খবর বলছে, পূর্বঘোষণা অনুযায়ী এরই মধ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে এয়ার ফোর্স ওয়ান অবতরণ করেছে আলাস্কার আঙ্করেজে। পৌঁছে গেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও।
সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, এয়ার ফোর্স ওয়ানই সেখানে আগে পৌঁছায়। এ সময় ট্রাম্প ভেতরেই বসে ছিলেন। পরে পুতিনকে বহনকারী বিমান সেখানে পৌঁছায়। কিছুক্ষণ পর পুতিন বিমান থেকে নেমে এলে ট্রাম্প গিয়ে সিঁড়ির কাছে তাকে স্বাগত জানান। সেখান থেকে তারা ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সিয়াল লিমোতে করে বৈঠকস্থলের দিকে রওয়ানা হন।
সিএনএন ও ফক্স নিউজের খবরে বলা হয়েছে, আলাস্কার এলমেনডর্ফ-রিচার্ডসন ঘাঁটিতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের সাক্ষাৎ হচ্ছে। বাংলাদেশ সময় শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে ২টার সময় এ বৈঠক শুরু হয়েছে।
বৈঠকের আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে ফটোসেশন। ছবি: সিএনএন
ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউজে ফেরার পর এটিই দুই নেতার প্রথম মুখোমুখি বৈঠক। এর আগে তারা একাধিকবার ফোনে কথা বলেছেন। তাতে খুব বেশি ফল আসেনি। মুখোমুখি বৈঠক নিয়ে তাই আশাবাদী অনেকেই।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন সহযোগী রয়েছেন তার সঙ্গে। তাদের মধ্যে রয়েছেন— পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও, হোয়াইট হাউজের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ এবং সিআইএ পরিচালক জন র্যাটক্লিফ।
এদিকে বিমানবন্দর থেকে বৈঠকস্থলে যাওয়ার পথে স্বাভাবিকভাবেই অপেক্ষমাণ ছিলেন অনেক সাংবাদিক। তাদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে কথা বলেননি দুই প্রেসিডেন্টের কেউই। তবে ছবি তোলার জন্য তারা দুজন একটি প্ল্যাটফর্মে থামতেই সাংবাদিকরা ছুড়ে দেন প্রশ্ন।
স্বাভাবিকভাবেই সবারই প্রশ্ন ছিল— পুতিন যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হচ্ছেন কি না। প্রশ্ন শুনলেও পুতিন কোনো জবাব দেননি। স্মিত এক টুকরো হাসি শুধু ধরে রেখেছিলেন মুখে। ওই অবস্থাতেই চলে দুই প্রেসিডেন্টের ফটোসেশন।
ট্রাম্পের প্রতিও প্রশ্ন রেখেছেন সাংবাদিকরা। জানতে চেয়েছেন, পুতিনকে কী বার্তা দিতে চান তিনির উত্তর দেননি ট্রাম্পও। স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, ট্রাম্প সাধারণত এ ধরনের বৈঠকের আগে অনেক কথা বললেও এ দিন তুলনামূলকভাবে অনেকটাই চুপ ছিলেন।
এদিকে আলাস্কায় ট্রাম্প-পুতিনের মধ্যে বহুল আলোচিত এ বৈঠকে স্থান না পাওয়ায় খুব একটা ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখাননি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ‘রাশিয়ার আগ্রাসনের শিকার’ দেশটির প্রেসিডেন্ট সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, তার অনুপস্থিতিতে গৃহীত যেকোনো সমাধান অর্থহীন হবে।
জেলেনস্কি আরও বলেন, আমরা দনবাস থেকে সরে আসব না। আমরা তা করতে পারি না। সবাই প্রথম অংশটা ভুলে যায়— আমাদের ভূখণ্ড অবৈধভাবে দখল করা হয়েছে। রাশিয়ার জন্য দনবাস ভবিষ্যতের নতুন হামলার সোপান। অঞ্চলটি ছেড়ে দিলে ইউক্রেনের মাটিতে সংঘাতের পথ আরও সুগম হবে।
সাড়ে তিন বছর ধরে চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে টিমটিম করে হলেও আশার আলো জ্বলছে যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কায়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বৈঠক যে শুরু হয়েছে এ রাজ্যেই।
নানা প্রচেষ্টাতেও রাশিয়া-ইউক্রেনের যে যুদ্ধ থামেনি, সেই যুদ্ধের অবসান কীভাবে ঘটানো যায়, সেটিই দুই পরাশক্তি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের বৈঠকের প্রধান আলোচ্য বিষয়। সে কারণেই এ বৈঠকের দিকে তাকিয়ে রয়েছে সারা বিশ্ব। শেষ পর্যন্ত এ বৈঠক সফল হলে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবে সবাই।
ট্রাম্পের দপ্তর আশাবাদী, পুতিনকে যুদ্ধ শেষ করাতে রাজি করাতে পারবেন ট্রাম্প। আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা অবশ্য এ বৈঠক থেকে খুব বেশি কিছু প্রত্যাশা না করার আহ্বানই জানিয়েছেন।
মার্কিন গণমাধ্যমগুলোর খবর বলছে, পূর্বঘোষণা অনুযায়ী এরই মধ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে এয়ার ফোর্স ওয়ান অবতরণ করেছে আলাস্কার আঙ্করেজে। পৌঁছে গেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও।
সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, এয়ার ফোর্স ওয়ানই সেখানে আগে পৌঁছায়। এ সময় ট্রাম্প ভেতরেই বসে ছিলেন। পরে পুতিনকে বহনকারী বিমান সেখানে পৌঁছায়। কিছুক্ষণ পর পুতিন বিমান থেকে নেমে এলে ট্রাম্প গিয়ে সিঁড়ির কাছে তাকে স্বাগত জানান। সেখান থেকে তারা ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সিয়াল লিমোতে করে বৈঠকস্থলের দিকে রওয়ানা হন।
সিএনএন ও ফক্স নিউজের খবরে বলা হয়েছে, আলাস্কার এলমেনডর্ফ-রিচার্ডসন ঘাঁটিতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের সাক্ষাৎ হচ্ছে। বাংলাদেশ সময় শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে ২টার সময় এ বৈঠক শুরু হয়েছে।
বৈঠকের আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে ফটোসেশন। ছবি: সিএনএন
ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউজে ফেরার পর এটিই দুই নেতার প্রথম মুখোমুখি বৈঠক। এর আগে তারা একাধিকবার ফোনে কথা বলেছেন। তাতে খুব বেশি ফল আসেনি। মুখোমুখি বৈঠক নিয়ে তাই আশাবাদী অনেকেই।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন সহযোগী রয়েছেন তার সঙ্গে। তাদের মধ্যে রয়েছেন— পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও, হোয়াইট হাউজের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ এবং সিআইএ পরিচালক জন র্যাটক্লিফ।
এদিকে বিমানবন্দর থেকে বৈঠকস্থলে যাওয়ার পথে স্বাভাবিকভাবেই অপেক্ষমাণ ছিলেন অনেক সাংবাদিক। তাদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে কথা বলেননি দুই প্রেসিডেন্টের কেউই। তবে ছবি তোলার জন্য তারা দুজন একটি প্ল্যাটফর্মে থামতেই সাংবাদিকরা ছুড়ে দেন প্রশ্ন।
স্বাভাবিকভাবেই সবারই প্রশ্ন ছিল— পুতিন যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হচ্ছেন কি না। প্রশ্ন শুনলেও পুতিন কোনো জবাব দেননি। স্মিত এক টুকরো হাসি শুধু ধরে রেখেছিলেন মুখে। ওই অবস্থাতেই চলে দুই প্রেসিডেন্টের ফটোসেশন।
ট্রাম্পের প্রতিও প্রশ্ন রেখেছেন সাংবাদিকরা। জানতে চেয়েছেন, পুতিনকে কী বার্তা দিতে চান তিনির উত্তর দেননি ট্রাম্পও। স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, ট্রাম্প সাধারণত এ ধরনের বৈঠকের আগে অনেক কথা বললেও এ দিন তুলনামূলকভাবে অনেকটাই চুপ ছিলেন।
এদিকে আলাস্কায় ট্রাম্প-পুতিনের মধ্যে বহুল আলোচিত এ বৈঠকে স্থান না পাওয়ায় খুব একটা ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখাননি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ‘রাশিয়ার আগ্রাসনের শিকার’ দেশটির প্রেসিডেন্ট সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, তার অনুপস্থিতিতে গৃহীত যেকোনো সমাধান অর্থহীন হবে।
জেলেনস্কি আরও বলেন, আমরা দনবাস থেকে সরে আসব না। আমরা তা করতে পারি না। সবাই প্রথম অংশটা ভুলে যায়— আমাদের ভূখণ্ড অবৈধভাবে দখল করা হয়েছে। রাশিয়ার জন্য দনবাস ভবিষ্যতের নতুন হামলার সোপান। অঞ্চলটি ছেড়ে দিলে ইউক্রেনের মাটিতে সংঘাতের পথ আরও সুগম হবে।
সাক্ষাৎকারে ফিল্ড মার্শাল মুনির পাকিস্তানের দীর্ঘ অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন, যেখানে দেশটি চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো বন্ধুকে অন্যজনের জন্য বলি দেব না।’ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ওয়াশিংটনের সঙ্গে ইসলামাবাদ
১৮ ঘণ্টা আগেন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুট এবং যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমারসহ আরও কয়েকজন নেতা ওয়াশিংটনে জেলেনস্কির সঙ্গে যোগ দেবেন ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান নিয়ে আয়োজিত এই বৈঠকে।
১ দিন আগেপোস্টে ট্রাম্প বলেন, ‘ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি চাইলে প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শেষ করতে পারেন, অথবা লড়াই চালিয়ে যেতে পারেন।
১ দিন আগেইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা প্রায় ৬২ হাজারে পৌঁছেছে। এর মধ্যে শুধু গত ২৪ ঘণ্টায় অপুষ্টি ও অনাহারে আরও ৭ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে ।
১ দিন আগে