ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
কাতারে মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। এ হামলায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের তথ্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে কাতার। বিশ্লেষকরা বলছেন, এ হামলার ফলে ইরান-ইসরায়েল সংঘাত আরও প্রকট হয়ে উঠল।
বিবিসি, আল-জাজিরা ও রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, সোমবার (২৩ জুন) রাতে কাতারের রাজধানী দোহার কাছে অবস্থিত আল উদেইদ ঘাঁটিতে হামলা চালায় ইরান। এই ঘাঁটি মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন কেন্দ্রীয় কমান্ডের বিমান অভিযানের সদর দপ্তর হিসেবে কাজ করে। এখানে প্রায় আট হাজার মার্কিন সেনা অবস্থান করেন।
এ হামলার খবর প্রথম দেয় ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর সঙ্গে সম্পৃক্ত আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা তাসনিম নিউজ এজেন্সি। তারা জানায়, বিশারাত ফাতেহ এবং ইয়া আবা আবদুল্লাহ নামে এসব হামলা চালানো হয়েছে। এসব হামলায় একাধিক ওয়ারহেড বা ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম খাইবার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে।
আইআরজিসির বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থাটি জানায়, এই প্রথমবার এই ক্ষেপণাস্ত্র কোনো হামলায় ব্যবহার করা হলো। সেই সঙ্গে হামলায় আধুনিক ড্রোনও ব্যবহার করা হয়েছে।
পরে এক বিবৃতিতে ইরানের সশস্ত্র বাহিনী জানিয়েছে, সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের নির্দেশে এবং খাতাম আল আম্বিয়া কেন্দ্রীয় সদর দপ্তরের নেতৃত্বে কাতারের উদেইদ ঘাঁটিকে বিধ্বংসী এবং শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে লক্ষ্যবস্তু করে হামলা চালানো হয়েছে।
দেশটির সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল এক বিবৃতিতে বলেছে, এই সফল অভিযানে ব্যবহৃত ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যা ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলায় যুক্তরাষ্ট্র যে পরিমাণ বোমা ব্যবহার করেছিল তার সমান ছিল। শক্তিশালী ইরানি বাহিনীর হামলায় যে ঘাঁটিটি লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল তা কাতারের নগর স্থাপনা এবং আবাসিক এলাকা থেকে অনেক দূরে ছিল।
উদেইদ ঘাঁটিতে এ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে কাতার। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল আনসারী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, আমরা এটিকে কাতার রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব, এর আকাশসীমা, আন্তর্জাতিক আইন এবং জাতিসংঘ সনদের একটি স্পষ্ট লঙ্ঘন বলে মনে করি।
মুখপাত্র বলেন কাতারের বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থা হামলা সফলভাবে প্রতিহত করেছে এবং ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকে বাধা দিয়েছে। ঘাঁটিটি আগেই খালি করা হয়েছে। এই নির্লজ্জ আগ্রাসনের প্রকৃতি এবং মাত্রার সঙ্গে সমানভাবে প্রতিক্রিয়া জানানোর অধিকার কাতারের রয়েছে।
হামলায় কেউ হতাহত হয়নি বলে নিশ্চিত করেছে কাতার। মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনও একই তথ্য জানিয়ে বলেছে, ইরান থেকে আল উদেইদ বিমান ঘাঁটিতে স্বল্প ও মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো আমেরিকান হতাহতের খবর নেই।
এ হামলার খবর প্রচারের পর জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের জয়েন্ট চিফ অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল ড্যান কেইন এবং ডিফেন্স সেক্রেটারি পিট হেগসেথ বর্তমানে হোয়াইট হাউযের সিচুয়েশন রুমে অবস্থান করছেন। এ দুই ব্যক্তি মার্কিন প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠানে সর্বোচ্চ বেসামরিক এবং সামরিক কর্মকর্তা। সামরিক বাহিনীর সর্বাধিনায়ক হিসেবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে রিপোর্ট করেন।
কাতারে মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। এ হামলায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের তথ্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে কাতার। বিশ্লেষকরা বলছেন, এ হামলার ফলে ইরান-ইসরায়েল সংঘাত আরও প্রকট হয়ে উঠল।
বিবিসি, আল-জাজিরা ও রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, সোমবার (২৩ জুন) রাতে কাতারের রাজধানী দোহার কাছে অবস্থিত আল উদেইদ ঘাঁটিতে হামলা চালায় ইরান। এই ঘাঁটি মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন কেন্দ্রীয় কমান্ডের বিমান অভিযানের সদর দপ্তর হিসেবে কাজ করে। এখানে প্রায় আট হাজার মার্কিন সেনা অবস্থান করেন।
এ হামলার খবর প্রথম দেয় ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর সঙ্গে সম্পৃক্ত আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা তাসনিম নিউজ এজেন্সি। তারা জানায়, বিশারাত ফাতেহ এবং ইয়া আবা আবদুল্লাহ নামে এসব হামলা চালানো হয়েছে। এসব হামলায় একাধিক ওয়ারহেড বা ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম খাইবার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে।
আইআরজিসির বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থাটি জানায়, এই প্রথমবার এই ক্ষেপণাস্ত্র কোনো হামলায় ব্যবহার করা হলো। সেই সঙ্গে হামলায় আধুনিক ড্রোনও ব্যবহার করা হয়েছে।
পরে এক বিবৃতিতে ইরানের সশস্ত্র বাহিনী জানিয়েছে, সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের নির্দেশে এবং খাতাম আল আম্বিয়া কেন্দ্রীয় সদর দপ্তরের নেতৃত্বে কাতারের উদেইদ ঘাঁটিকে বিধ্বংসী এবং শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে লক্ষ্যবস্তু করে হামলা চালানো হয়েছে।
দেশটির সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল এক বিবৃতিতে বলেছে, এই সফল অভিযানে ব্যবহৃত ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যা ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলায় যুক্তরাষ্ট্র যে পরিমাণ বোমা ব্যবহার করেছিল তার সমান ছিল। শক্তিশালী ইরানি বাহিনীর হামলায় যে ঘাঁটিটি লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল তা কাতারের নগর স্থাপনা এবং আবাসিক এলাকা থেকে অনেক দূরে ছিল।
উদেইদ ঘাঁটিতে এ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে কাতার। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল আনসারী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, আমরা এটিকে কাতার রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব, এর আকাশসীমা, আন্তর্জাতিক আইন এবং জাতিসংঘ সনদের একটি স্পষ্ট লঙ্ঘন বলে মনে করি।
মুখপাত্র বলেন কাতারের বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থা হামলা সফলভাবে প্রতিহত করেছে এবং ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকে বাধা দিয়েছে। ঘাঁটিটি আগেই খালি করা হয়েছে। এই নির্লজ্জ আগ্রাসনের প্রকৃতি এবং মাত্রার সঙ্গে সমানভাবে প্রতিক্রিয়া জানানোর অধিকার কাতারের রয়েছে।
হামলায় কেউ হতাহত হয়নি বলে নিশ্চিত করেছে কাতার। মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনও একই তথ্য জানিয়ে বলেছে, ইরান থেকে আল উদেইদ বিমান ঘাঁটিতে স্বল্প ও মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো আমেরিকান হতাহতের খবর নেই।
এ হামলার খবর প্রচারের পর জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের জয়েন্ট চিফ অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল ড্যান কেইন এবং ডিফেন্স সেক্রেটারি পিট হেগসেথ বর্তমানে হোয়াইট হাউযের সিচুয়েশন রুমে অবস্থান করছেন। এ দুই ব্যক্তি মার্কিন প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠানে সর্বোচ্চ বেসামরিক এবং সামরিক কর্মকর্তা। সামরিক বাহিনীর সর্বাধিনায়ক হিসেবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে রিপোর্ট করেন।
ইসরায়েল দাবি করেছে, ইরান যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার ঘণ্টা তিনেকের মধ্যে ফের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। অবশ্য, এই দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ দেয়নি দেশটি। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ এই বিষয়টি দাবি করেছেন। পাশাপাশি, তিনি ইরানের এই তথাকথিত হামলার কঠোর জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
১১ ঘণ্টা আগেট্রাম্প জানিয়েছিলেন, এই যুদ্ধবিরতি একটি পর্যায়ক্রমিক ২৪ ঘণ্টার প্রক্রিয়া হিসেবে কার্যকর হবে, যা শুরু হবে মঙ্গলবার গ্রিনিচ মান সময় অনুযায়ী ভোর ৪টার (বাংলাদেশ সমইয় সকাল ১০টা) দিকে। প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপে ইরান একতরফাভাবে সব সামরিক অভিযান বন্ধ করবে এবং এরপর ১২ ঘণ্টা পর ইসরায়েলও একই পথ অনুসরণ করবে।
১৪ ঘণ্টা আগেইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এসএনএন জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার আগে ইসরায়েলের দিকে “শেষ দফা ক্ষেপণাস্ত্র” ছুড়েছে ইরান।
১৫ ঘণ্টা আগেসোমবার নিহত ৪৩ জনের মধ্যে কমপক্ষে ২০ জন ত্রাণপ্রার্থীও রয়েছেন। যারা যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল-সমর্থিত বিতর্কিত সংস্থা জিএইচএফ পরিচালিত বিতরণ কেন্দ্রগুলোতে ত্রাণ নিতে গিয়েছিলেন। জাতিসংঘ এই ফাইন্ডেশনকে ‘হাতিয়ার’ হিসেবে ব্যবহার করার জন্য তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগে