ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি ও সিনিয়র আলেম পরিষদের প্রধান শেখ আবদুলআজিজ আল-শেখ মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। ১৯৯৯ সালের জুনে বাদশাহ ফাহদ তাকে এ পদে নিয়োগ দিয়েছিলেন।
সৌদি রয়্যাল কোর্ট এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে শেখ আবদুলআজিজ আল-শেখের মৃত্যু হয়েছে।
তার মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ এবং যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান। শোকবার্তায় তারা প্রয়াত গ্র্যান্ড মুফতির পরিবারসহ সৌদি জনগণ ও সমগ্র মুসলিম উম্মাহর প্রতি সমবেদনা জানান।
মঙ্গলবার আসরের নামাজের পর রিয়াদের ইমাম তুর্কি বিন আবদুল্লাহ মসজিদে শেখ আল-শেখের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া মক্কার মসজিদুল হারাম ও মদিনার মসজিদে নববীসহ সৌদি আরবের সব মসজিদে তার গায়েবানা জানাজা আদায়ের নির্দেশ দিয়েছেন বাদশাহ সালমান।
রয়্যাল কোর্টের এক বিবৃতিতে বলা হয়, আল-শেখের ইন্তেকালের মাধ্যমে সৌদি আরব ও ইসলামি বিশ্ব একজন বিশিষ্ট আলেমকে হারাল, যিনি ইসলাম ও মুসলিমদের সেবায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।
শেখ আল-শেখ সাধারণ ফতোয়া ও গবেষণা পরিষদের প্রধান এবং মুসলিম ওয়ার্ল্ড লিগের সর্বোচ্চ পরিষদের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ছিলেন বিশ্ববিখ্যাত ইসলামি আলেম।
১৯৪৩ সালের ৩০ নভেম্বর মক্কায় জন্ম নেওয়া শেখ আল-শেখ অল্প বয়সেই পবিত্র কোরআন হিফজ করেন। ১৭ বছর বয়সে তিনি দৃষ্টিশক্তি হারান। ১৯৬১ সালে তিনি রিয়াদের ইমাম মোহাম্মদ বিন সৌদ ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের শরিয়াহ অনুষদে ভর্তি হন এবং ১৯৬৫ সালে আরবি ও ইসলামি শরিয়াহতে বিশেষায়িত হয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেন।
১৯৬৫ সালে আল-শেখকে রিয়াদের ইমাম আল-দাওয়া শিক্ষা ইনস্টিটিউটে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। সেখানে তিনি আট বছর পড়ানোর পর ইমাম মোহাম্মদ বিন সৌদ ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের শরিয়াহ অনুষদে যোগ দেন। সেখানে তিনি সহকারী অধ্যাপক ও পরে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কাজ করেন। এ ছাড়া তিনি রিয়াদের হায়ার ইনস্টিটিউট অব জুডিশিয়ারিতে পড়িয়েছেন এবং সৌদি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিভিন্ন একাডেমিক পরিষদের সদস্য ছিলেন।
আল-শেখ প্রথমে রিয়াদের দাখনা এলাকার শেখ মুহাম্মদ বিন ইব্রাহিম মসজিদে ইমাম ও খতিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি শেখ আবদুল্লাহ বিন আবদুললতিফ মসজিদে জুমার খতিব হন এবং পরে ইমাম তুর্কি বিন আবদুল্লাহ মসজিদের ইমাম নিযুক্ত হন।
আল-শেখ ১৯৮২ সালে আরাফাতের নামিরা মসজিদে ইমাম ও খতিব নিযুক্ত হন। ২০১৪ সাল পর্যন্ত টানা ৩৩ বছর ধরে তিনি সেখানে আরাফাতের খুতবা প্রদান করেন।
১৯৮৭ সালে আল-শেখ সৌদি আরবের সিনিয়র আলেম পরিষদের সদস্য নিযুক্ত হন। ১৯৯১ সালে তিনি স্থায়ীভাবে সাধারণ ফতোয়া ও গবেষণা কমিটির জ্যেষ্ঠ সদস্য হিসেবে যোগ দেন। ১৯৯৫ সালে তাকে সৌদি আরবের ডেপুটি গ্র্যান্ড মুফতি করা হয়।
১৯৯৯ সালের ১৪ মে তখনকার গ্র্যান্ড মুফতি আবদুল আজিজ ইবনে বাজের মৃত্যুর পর জুনে আল-শেখকে গ্র্যান্ড মুফতি, সিনিয়র আলেম পরিষদের চেয়ারম্যান এবং সাধারণ ইসলামি গবেষণা ও ফতোয়া দপ্তরের প্রধান হিসেবে মন্ত্রী পদমর্যাদায় নিয়োগ দেওয়া হয়। গত ২৬ বছর ধরে তিনি এ দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি ও সিনিয়র আলেম পরিষদের প্রধান শেখ আবদুলআজিজ আল-শেখ মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। ১৯৯৯ সালের জুনে বাদশাহ ফাহদ তাকে এ পদে নিয়োগ দিয়েছিলেন।
সৌদি রয়্যাল কোর্ট এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে শেখ আবদুলআজিজ আল-শেখের মৃত্যু হয়েছে।
তার মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ এবং যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান। শোকবার্তায় তারা প্রয়াত গ্র্যান্ড মুফতির পরিবারসহ সৌদি জনগণ ও সমগ্র মুসলিম উম্মাহর প্রতি সমবেদনা জানান।
মঙ্গলবার আসরের নামাজের পর রিয়াদের ইমাম তুর্কি বিন আবদুল্লাহ মসজিদে শেখ আল-শেখের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া মক্কার মসজিদুল হারাম ও মদিনার মসজিদে নববীসহ সৌদি আরবের সব মসজিদে তার গায়েবানা জানাজা আদায়ের নির্দেশ দিয়েছেন বাদশাহ সালমান।
রয়্যাল কোর্টের এক বিবৃতিতে বলা হয়, আল-শেখের ইন্তেকালের মাধ্যমে সৌদি আরব ও ইসলামি বিশ্ব একজন বিশিষ্ট আলেমকে হারাল, যিনি ইসলাম ও মুসলিমদের সেবায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।
শেখ আল-শেখ সাধারণ ফতোয়া ও গবেষণা পরিষদের প্রধান এবং মুসলিম ওয়ার্ল্ড লিগের সর্বোচ্চ পরিষদের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ছিলেন বিশ্ববিখ্যাত ইসলামি আলেম।
১৯৪৩ সালের ৩০ নভেম্বর মক্কায় জন্ম নেওয়া শেখ আল-শেখ অল্প বয়সেই পবিত্র কোরআন হিফজ করেন। ১৭ বছর বয়সে তিনি দৃষ্টিশক্তি হারান। ১৯৬১ সালে তিনি রিয়াদের ইমাম মোহাম্মদ বিন সৌদ ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের শরিয়াহ অনুষদে ভর্তি হন এবং ১৯৬৫ সালে আরবি ও ইসলামি শরিয়াহতে বিশেষায়িত হয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেন।
১৯৬৫ সালে আল-শেখকে রিয়াদের ইমাম আল-দাওয়া শিক্ষা ইনস্টিটিউটে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। সেখানে তিনি আট বছর পড়ানোর পর ইমাম মোহাম্মদ বিন সৌদ ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের শরিয়াহ অনুষদে যোগ দেন। সেখানে তিনি সহকারী অধ্যাপক ও পরে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কাজ করেন। এ ছাড়া তিনি রিয়াদের হায়ার ইনস্টিটিউট অব জুডিশিয়ারিতে পড়িয়েছেন এবং সৌদি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিভিন্ন একাডেমিক পরিষদের সদস্য ছিলেন।
আল-শেখ প্রথমে রিয়াদের দাখনা এলাকার শেখ মুহাম্মদ বিন ইব্রাহিম মসজিদে ইমাম ও খতিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি শেখ আবদুল্লাহ বিন আবদুললতিফ মসজিদে জুমার খতিব হন এবং পরে ইমাম তুর্কি বিন আবদুল্লাহ মসজিদের ইমাম নিযুক্ত হন।
আল-শেখ ১৯৮২ সালে আরাফাতের নামিরা মসজিদে ইমাম ও খতিব নিযুক্ত হন। ২০১৪ সাল পর্যন্ত টানা ৩৩ বছর ধরে তিনি সেখানে আরাফাতের খুতবা প্রদান করেন।
১৯৮৭ সালে আল-শেখ সৌদি আরবের সিনিয়র আলেম পরিষদের সদস্য নিযুক্ত হন। ১৯৯১ সালে তিনি স্থায়ীভাবে সাধারণ ফতোয়া ও গবেষণা কমিটির জ্যেষ্ঠ সদস্য হিসেবে যোগ দেন। ১৯৯৫ সালে তাকে সৌদি আরবের ডেপুটি গ্র্যান্ড মুফতি করা হয়।
১৯৯৯ সালের ১৪ মে তখনকার গ্র্যান্ড মুফতি আবদুল আজিজ ইবনে বাজের মৃত্যুর পর জুনে আল-শেখকে গ্র্যান্ড মুফতি, সিনিয়র আলেম পরিষদের চেয়ারম্যান এবং সাধারণ ইসলামি গবেষণা ও ফতোয়া দপ্তরের প্রধান হিসেবে মন্ত্রী পদমর্যাদায় নিয়োগ দেওয়া হয়। গত ২৬ বছর ধরে তিনি এ দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়া গত একদিনেই ক্ষুধা ও দুর্ভিক্ষে আরও চারজন মারা গেছেন। এতে ক্ষুধাজনিত মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৪৪০ জনে, যাদের মধ্যে ১৪৭ জনই শিশু।
২ দিন আগে