প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা এম এ কাইয়ুমকে আটকের পর মালয়েশিয়া সরকার তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে চাইলেও দেশটির উচ্চ আদালতের এক আদেশে তা এখনই সম্ভব হচ্ছে না। এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে মালয়েশিয়ার উচ্চ আদালত তাকে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার মালয়েশিয়া সরকারের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছেন।
কাইয়ুমের আইনজীবী কি শু মিন বৃহস্পতিবার স্থানীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, আগামী ৫ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ হয়েছে। এর ফলে তাকে বাংলাদেশে আপাতত ফেরত পাঠাতে পারবে না মালয়েশিয়া সরকার।
প্রায় আট বছর আগে ঢাকার গুলশানে ইতালির নাগরিক তাবেলা সিজার হত্যা মামলার আসামি কাইয়ুম ও তার ভাই। ২০১৫ সাল থেকে কাইয়ুম মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোমে অবস্থান করছেন।
এম এ কাইয়ুমকে গত ১২ জানুয়ারি মালয়েশিয়ায় আটক করা হয়। অবৈধভাবে অবস্থানের কারণে অভিবাসন আইনের আওতায় তাঁকে আটক করে স্থানীয় আমপাং থানায় নেওয়া হয়।
এম এ কাইয়ুম কেন্দ্রীয় বিএনপির ক্ষুদ্রঋণবিষয়ক সম্পাদক। তিনি ঢাকা উত্তর বিএনপির সভাপতি ছিলেন।
২০১৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গুলশান-২ এর ৯০ নম্বর সড়কে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন নেদারল্যান্ডসভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা আইসিসিও-বিডির কর্মকর্তা তাবেলা সিজার। ঘটনার দিনই তাঁর সহযোগী আইসিসির কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ হেলেন ভেন ডার বিক বাদী হয়ে গুলশান থানায় মামলা দায়ের করেন।
পরের বছরের ২২ জুন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক গোলাম রাব্বানী বিএনপি নেতা কাইয়ুমসহ সাতজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। ওই বছরের ২৫ অক্টোবর সাত আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
প্রায় আট বছর আগে ঢাকার গুলশানে ইতালির নাগরিক তাবেলা সিজার হত্যা মামলার আসামি কাইয়ুম। ২০১৫ সাল থেকে তিনি মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোমে অবস্থান করছেন।
পরিবারের দাবি, জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের তালিকাভুক্ত শরণার্থী কাইয়ুম। শরণার্থী হিসেবে কাইয়ুম যে কার্ড বহন করছিলেন, সেটি মালয়েশিয়ার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মালয়েশিয়ার মানবাধিকার সংস্থা সুয়ারা রাকিয়াত মালয়েশিয়ার নির্বাহী পরিচালক সেভান দোরাইসামি এক বিবৃতিতে বলেছেন, কাইয়ুম ইউএনএইচসিআর-স্বীকৃত শরণার্থী যার সক্রিয় ইউএনএইচসিআর কার্ড ছিল। এ কারণে তাকে গ্রেপ্তার এবং আটকে রাখা অযৌক্তিক।
১২ জানুয়ারি কাইয়ুমের স্ত্রী শামীম আরা বেগম আমপাং জয়া-জেলা পুলিশের কাছ থেকে একটি ফোন পান। এ সময় কাইয়ুমকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়ে বাসায় থাকা তার পাসপোর্টটি পুলিশের কাছে পাঠাতে বলা হয়।
পুলিশ জানায়, কাইয়ুমের পাসপোর্ট সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার বাতিল করেছে। পরিবারের দাবি, কাইয়ুমকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হলে তাকে রাজনৈতিক নিপীড়নের মুখোমুখি হতে হতে পারে, কারণ তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) একজন নেতা।
বৃহস্পতিবার আদালতকে কাইয়ুমের আইনজীবী কি শু মিন জানান, মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষ যেকোনো সময় কাইয়ুমকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিতে পারে।
জাতিসংঘ মানবাধিকার কনভেনশন, ১৯৫১ অনুযায়ী কোনো ব্যক্তির যদি জীবননাশের হুমকি থাকে, তাহলে সে যেকোনো দেশে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিতে পারে অথবা রাজনৈতিক আশ্রয় চাইতে পারে। তবে মালয়েশিয়া জাতিসংঘের ওই কনভেনশনে স্বাক্ষর করেনি।
বাংলাদেশে তাবেলা সিজার হত্যা মামলায় দুজন তদন্ত কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের পর মামলার কার্যক্রম শেষ হবে।
কাইয়ুমের ছেলে নাভিদ তানভিন অনন্ত সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ২০১৫ সালে ঢাকায় এক ইতালীয় নাগরিক খুন হওয়ার পর থেকে তার বাবা ‘রাজনৈতিক নিপীড়নের শিকার’ হন। তিনি বলেন, ‘ওই হত্যাকাণ্ডের পরপরই আইএস দায় স্বীকার করে।’
২০১৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর তাবেলা হত্যার পর আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে খবর বের হয়, ইসলামি জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) এ হত্যার দায় স্বীকার করেছে।
এর পাঁচ দিনের মাথায় ৩ অক্টোবর রংপুরের কাউনিয়ার একটি গ্রামে গুলি করে হত্যা করা হয় জাপানি নাগরিক কুনিও হোশিকে। আইএস এ হত্যারও দায় স্বীকার করে।
২০২২ সালে জাপানি নাগরিক কুনিও হোশিকে হত্যার দায়ে নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) ৪ সদস্যের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে হাইকোর্ট, একজনকে খালাস দেয়।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা এম এ কাইয়ুমকে আটকের পর মালয়েশিয়া সরকার তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে চাইলেও দেশটির উচ্চ আদালতের এক আদেশে তা এখনই সম্ভব হচ্ছে না। এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে মালয়েশিয়ার উচ্চ আদালত তাকে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার মালয়েশিয়া সরকারের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছেন।
কাইয়ুমের আইনজীবী কি শু মিন বৃহস্পতিবার স্থানীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, আগামী ৫ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ হয়েছে। এর ফলে তাকে বাংলাদেশে আপাতত ফেরত পাঠাতে পারবে না মালয়েশিয়া সরকার।
প্রায় আট বছর আগে ঢাকার গুলশানে ইতালির নাগরিক তাবেলা সিজার হত্যা মামলার আসামি কাইয়ুম ও তার ভাই। ২০১৫ সাল থেকে কাইয়ুম মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোমে অবস্থান করছেন।
এম এ কাইয়ুমকে গত ১২ জানুয়ারি মালয়েশিয়ায় আটক করা হয়। অবৈধভাবে অবস্থানের কারণে অভিবাসন আইনের আওতায় তাঁকে আটক করে স্থানীয় আমপাং থানায় নেওয়া হয়।
এম এ কাইয়ুম কেন্দ্রীয় বিএনপির ক্ষুদ্রঋণবিষয়ক সম্পাদক। তিনি ঢাকা উত্তর বিএনপির সভাপতি ছিলেন।
২০১৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গুলশান-২ এর ৯০ নম্বর সড়কে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন নেদারল্যান্ডসভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা আইসিসিও-বিডির কর্মকর্তা তাবেলা সিজার। ঘটনার দিনই তাঁর সহযোগী আইসিসির কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ হেলেন ভেন ডার বিক বাদী হয়ে গুলশান থানায় মামলা দায়ের করেন।
পরের বছরের ২২ জুন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক গোলাম রাব্বানী বিএনপি নেতা কাইয়ুমসহ সাতজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। ওই বছরের ২৫ অক্টোবর সাত আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
প্রায় আট বছর আগে ঢাকার গুলশানে ইতালির নাগরিক তাবেলা সিজার হত্যা মামলার আসামি কাইয়ুম। ২০১৫ সাল থেকে তিনি মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোমে অবস্থান করছেন।
পরিবারের দাবি, জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের তালিকাভুক্ত শরণার্থী কাইয়ুম। শরণার্থী হিসেবে কাইয়ুম যে কার্ড বহন করছিলেন, সেটি মালয়েশিয়ার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মালয়েশিয়ার মানবাধিকার সংস্থা সুয়ারা রাকিয়াত মালয়েশিয়ার নির্বাহী পরিচালক সেভান দোরাইসামি এক বিবৃতিতে বলেছেন, কাইয়ুম ইউএনএইচসিআর-স্বীকৃত শরণার্থী যার সক্রিয় ইউএনএইচসিআর কার্ড ছিল। এ কারণে তাকে গ্রেপ্তার এবং আটকে রাখা অযৌক্তিক।
১২ জানুয়ারি কাইয়ুমের স্ত্রী শামীম আরা বেগম আমপাং জয়া-জেলা পুলিশের কাছ থেকে একটি ফোন পান। এ সময় কাইয়ুমকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়ে বাসায় থাকা তার পাসপোর্টটি পুলিশের কাছে পাঠাতে বলা হয়।
পুলিশ জানায়, কাইয়ুমের পাসপোর্ট সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার বাতিল করেছে। পরিবারের দাবি, কাইয়ুমকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হলে তাকে রাজনৈতিক নিপীড়নের মুখোমুখি হতে হতে পারে, কারণ তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) একজন নেতা।
বৃহস্পতিবার আদালতকে কাইয়ুমের আইনজীবী কি শু মিন জানান, মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষ যেকোনো সময় কাইয়ুমকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিতে পারে।
জাতিসংঘ মানবাধিকার কনভেনশন, ১৯৫১ অনুযায়ী কোনো ব্যক্তির যদি জীবননাশের হুমকি থাকে, তাহলে সে যেকোনো দেশে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিতে পারে অথবা রাজনৈতিক আশ্রয় চাইতে পারে। তবে মালয়েশিয়া জাতিসংঘের ওই কনভেনশনে স্বাক্ষর করেনি।
বাংলাদেশে তাবেলা সিজার হত্যা মামলায় দুজন তদন্ত কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের পর মামলার কার্যক্রম শেষ হবে।
কাইয়ুমের ছেলে নাভিদ তানভিন অনন্ত সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ২০১৫ সালে ঢাকায় এক ইতালীয় নাগরিক খুন হওয়ার পর থেকে তার বাবা ‘রাজনৈতিক নিপীড়নের শিকার’ হন। তিনি বলেন, ‘ওই হত্যাকাণ্ডের পরপরই আইএস দায় স্বীকার করে।’
২০১৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর তাবেলা হত্যার পর আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে খবর বের হয়, ইসলামি জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) এ হত্যার দায় স্বীকার করেছে।
এর পাঁচ দিনের মাথায় ৩ অক্টোবর রংপুরের কাউনিয়ার একটি গ্রামে গুলি করে হত্যা করা হয় জাপানি নাগরিক কুনিও হোশিকে। আইএস এ হত্যারও দায় স্বীকার করে।
২০২২ সালে জাপানি নাগরিক কুনিও হোশিকে হত্যার দায়ে নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) ৪ সদস্যের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে হাইকোর্ট, একজনকে খালাস দেয়।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দায়ের করা মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ত্রুটিপূর্ণ ফুয়েল সুইচের কারণে দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঝুঁকি সম্পর্কে জানার পরও কোম্পানিগুলো কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
১ দিন আগেন্যাটোর সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই ইউক্রেন জুড়ে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। কিয়েভের দাবি, কেবল এ মাসে এখন পর্যন্ত সাড়ে তিন হাজার ড্রোন ও প্রায় দুই শ রকেট হামলা চালিয়েছে রুশ সেনারা। এ পরিস্থিতিতে ইউক্রেনে নতুন সামরিক সহায়তা পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
১ দিন আগেধ্বংসস্তূপের নিচে আরও অনেক হতাহত আটকা পড়ে থাকায় প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়েও বেশি হতে পারে।
১ দিন আগে