ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে সশস্ত্র বিদ্রোহীদের হাতে ট্রেনের যাত্রীদের জিম্মি হওয়ার ঘটনার অবসান ঘটেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী টানা ৩০ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে ওই ট্রেনে জিম্মি হওয়া সবাইকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে।
পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর তথ্য বলছে, ট্রেনটি থেকে ৩০০ জিম্মিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এ ঘটনায় ২১ জন বেসামরিক ও চার সেনা নিহত হয়েছেন। অভিযানে ৩৩ জঙ্গি নিহত হয়েছে। অন্য একটি সূত্রে ৩৪৬ জনকে উদ্ধারের তথ্য জানা গেছে।
বিবিসি ও পাকিস্তানের ডন জানিয়েছে, বুধবার (১২ মার্চ) রাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে ট্রেনে জিম্মি ঘটনার আনুষ্ঠানিক অবসানের ঘোষণা দেয়। সেনাবাহিনী এখনো ওই এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী ও দেশটির তথ্যমন্ত্রী আত্তা তারার আলাদা আলাদা বিবৃতিতে সফলভাবে অভিযানের সমাপ্তি ও সব জিম্মিকে উদ্ধারের কথা জানিয়েছেন।
ট্রেন থেকে উদ্ধার করা একজনকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। ছবি: এএফপি
লেফটেন্যান্ট জেনারেল শরিফ জানান, বেলুচিস্তানের বোলান পর্বতের মাশকাফ টানেলের কাছে ছিনতাই হওয়া ট্রেনটি ৩৩ ‘সন্ত্রাসী’ নিহত হওয়ার মধ্য দিয়ে মুক্ত হয়েছে এবং জিম্মি থাকা বাকি সব যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। ট্রেনটিতে প্রায় ৪৪০ জন যাত্রী থাকার কথা উল্লেখ করলেও তাদের মধ্যে কয়জনকে উদ্ধার করা হয়েছে, তা সুনির্দিষ্ট করে জানাননি তিনি।
নিরাপত্তা বাহিনীর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, একাধিক পর্বে ওই ট্রেনে উদ্ধার অভিযান চালানো হয়। এর মধ্যে প্রথম পর্বে শতাধিক যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। দ্বিতীয় পর্বে উদ্ধার করা হয় আরও ৮০ যাত্রীকে। তাদের মাখ শহরে সরিয়ে নেওয়া হয়। এর বাইরে প্রায় এক ডজনের মতো যাত্রী ও দুই রেলওয়ে পুলিশ পালিয়ে নিরাপদে বেলুচিস্তানের রাজধানী কোয়েটায় ফিরতে সক্ষম হন।
আরেক সেনা কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, অভিযানে ৩৪৬ জন জিম্মিকে মুক্ত করা হয়েছে। ৩৩ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। অন্যদিকে নিহত ২৭ জন সেনাসদস্য ট্রেনে যাত্রী হিসেবে ভ্রমণ করছিলেন। তারা সবাই অফ-ডিউটিতে ছিলেন। উদ্ধার অভিযানে কর্তব্যরত সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন একজন।
দক্ষিণ-পশ্চিম বেলুচিস্তানের পর্বতাঞ্চলে বিচ্ছিন্নতাবাদী একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী বোমা হামলা চালিয়ে প্রায় ৪৫০ জন যাত্রীসহ ওই ট্রেনে হামলা চালিয়ে সব যাত্রীকে জিম্মি করে ফেলে। পরে মঙ্গলবার বিকেলে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী উদ্ধার অভিযান শুরু করে।
আইএসপিআরের মহাপরিচালক পাকিস্তানি গণমাধ্যমকে বলেন, সেনাবাহিনী ছাড়াও বিমান বাহিনী, ফ্রন্টিয়ার কোর ও এসএসজির সেনারা এই অভিযানে অংশ নিয়েছে। যে এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে সেটি সড়ক নেটওয়ার্ক ও জনবসতি থেকে অনেক দূরে হওয়ায় সেখানে পৌঁছানো অনেক কঠিন ছিল। সন্ত্রাসীরা নারী ও শিশুদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে।
তিনি বলেন, একদল সশস্ত্র ব্যক্তি ট্রেনটিতে ও এর আশপাশের এলাকায় টহল দিচ্ছিল। তারা তাদের জিম্মায় থাকা বাকি যাত্রীদের ওপর নজর রাখছিল। এসএসজি কমান্ডোরা জিম্মিদের বাঁচাতে অত্যন্ত সতর্কভাবে অভিযান চালায়। তারা বন্দুক লড়াইয়ে অবশিষ্ট হামলাকারীদের শেষ করে প্রায় ৬৮ জন জিম্মিকে উদ্ধার করে। প্রায় সব অভিযান শেষ হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী এখন ‘ক্লিয়ারেন্স’ পর্বে আছে।
ট্রেনটি যেখানে আটকে ছিল সেখানকার একটি সাদা-কালো ড্রোন ফুটেজ প্রকাশ করেছে আইএসপিআর। যেই এলাকায় অভিযানটি চালানো হয়েছে তা এতে উঠে এসেছে। ফুটেজে দেখা গেছে, ট্রেনের এক পাশে তিনটি পৃথক দলে লোকজন গাদাগাদি করে বসে আছে।
বিস্তারিত জানিয়ে আইএসপিআর প্রধান বলেন, জিম্মিদের ট্রেন থেকে নামিয়ে পৃথক দল করে বসিয়ে রাখা হয়, আত্মঘাতী বোমারুরা তাদের পাহারা দিচ্ছিল। এতে উদ্ধার অভিযান বেশ জটিল হয়ে উঠেছিল। স্নাইপাররা বোমারুদের হত্যা করা পর জিম্মিরা নিরাপদ স্থানে সরে আসতে সক্ষম হয়। অভিযান চলাকালে কোনো জিম্মি জখম হয়নি বলে দাবি করেছেন তিনি।
বেলুচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) তাৎক্ষণিকভাবে এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। তারা বোমা বিস্ফোরণের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে।
পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে সশস্ত্র বিদ্রোহীদের হাতে ট্রেনের যাত্রীদের জিম্মি হওয়ার ঘটনার অবসান ঘটেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী টানা ৩০ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে ওই ট্রেনে জিম্মি হওয়া সবাইকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে।
পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর তথ্য বলছে, ট্রেনটি থেকে ৩০০ জিম্মিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এ ঘটনায় ২১ জন বেসামরিক ও চার সেনা নিহত হয়েছেন। অভিযানে ৩৩ জঙ্গি নিহত হয়েছে। অন্য একটি সূত্রে ৩৪৬ জনকে উদ্ধারের তথ্য জানা গেছে।
বিবিসি ও পাকিস্তানের ডন জানিয়েছে, বুধবার (১২ মার্চ) রাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে ট্রেনে জিম্মি ঘটনার আনুষ্ঠানিক অবসানের ঘোষণা দেয়। সেনাবাহিনী এখনো ওই এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী ও দেশটির তথ্যমন্ত্রী আত্তা তারার আলাদা আলাদা বিবৃতিতে সফলভাবে অভিযানের সমাপ্তি ও সব জিম্মিকে উদ্ধারের কথা জানিয়েছেন।
ট্রেন থেকে উদ্ধার করা একজনকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। ছবি: এএফপি
লেফটেন্যান্ট জেনারেল শরিফ জানান, বেলুচিস্তানের বোলান পর্বতের মাশকাফ টানেলের কাছে ছিনতাই হওয়া ট্রেনটি ৩৩ ‘সন্ত্রাসী’ নিহত হওয়ার মধ্য দিয়ে মুক্ত হয়েছে এবং জিম্মি থাকা বাকি সব যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। ট্রেনটিতে প্রায় ৪৪০ জন যাত্রী থাকার কথা উল্লেখ করলেও তাদের মধ্যে কয়জনকে উদ্ধার করা হয়েছে, তা সুনির্দিষ্ট করে জানাননি তিনি।
নিরাপত্তা বাহিনীর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, একাধিক পর্বে ওই ট্রেনে উদ্ধার অভিযান চালানো হয়। এর মধ্যে প্রথম পর্বে শতাধিক যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। দ্বিতীয় পর্বে উদ্ধার করা হয় আরও ৮০ যাত্রীকে। তাদের মাখ শহরে সরিয়ে নেওয়া হয়। এর বাইরে প্রায় এক ডজনের মতো যাত্রী ও দুই রেলওয়ে পুলিশ পালিয়ে নিরাপদে বেলুচিস্তানের রাজধানী কোয়েটায় ফিরতে সক্ষম হন।
আরেক সেনা কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, অভিযানে ৩৪৬ জন জিম্মিকে মুক্ত করা হয়েছে। ৩৩ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। অন্যদিকে নিহত ২৭ জন সেনাসদস্য ট্রেনে যাত্রী হিসেবে ভ্রমণ করছিলেন। তারা সবাই অফ-ডিউটিতে ছিলেন। উদ্ধার অভিযানে কর্তব্যরত সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন একজন।
দক্ষিণ-পশ্চিম বেলুচিস্তানের পর্বতাঞ্চলে বিচ্ছিন্নতাবাদী একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী বোমা হামলা চালিয়ে প্রায় ৪৫০ জন যাত্রীসহ ওই ট্রেনে হামলা চালিয়ে সব যাত্রীকে জিম্মি করে ফেলে। পরে মঙ্গলবার বিকেলে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী উদ্ধার অভিযান শুরু করে।
আইএসপিআরের মহাপরিচালক পাকিস্তানি গণমাধ্যমকে বলেন, সেনাবাহিনী ছাড়াও বিমান বাহিনী, ফ্রন্টিয়ার কোর ও এসএসজির সেনারা এই অভিযানে অংশ নিয়েছে। যে এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে সেটি সড়ক নেটওয়ার্ক ও জনবসতি থেকে অনেক দূরে হওয়ায় সেখানে পৌঁছানো অনেক কঠিন ছিল। সন্ত্রাসীরা নারী ও শিশুদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে।
তিনি বলেন, একদল সশস্ত্র ব্যক্তি ট্রেনটিতে ও এর আশপাশের এলাকায় টহল দিচ্ছিল। তারা তাদের জিম্মায় থাকা বাকি যাত্রীদের ওপর নজর রাখছিল। এসএসজি কমান্ডোরা জিম্মিদের বাঁচাতে অত্যন্ত সতর্কভাবে অভিযান চালায়। তারা বন্দুক লড়াইয়ে অবশিষ্ট হামলাকারীদের শেষ করে প্রায় ৬৮ জন জিম্মিকে উদ্ধার করে। প্রায় সব অভিযান শেষ হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী এখন ‘ক্লিয়ারেন্স’ পর্বে আছে।
ট্রেনটি যেখানে আটকে ছিল সেখানকার একটি সাদা-কালো ড্রোন ফুটেজ প্রকাশ করেছে আইএসপিআর। যেই এলাকায় অভিযানটি চালানো হয়েছে তা এতে উঠে এসেছে। ফুটেজে দেখা গেছে, ট্রেনের এক পাশে তিনটি পৃথক দলে লোকজন গাদাগাদি করে বসে আছে।
বিস্তারিত জানিয়ে আইএসপিআর প্রধান বলেন, জিম্মিদের ট্রেন থেকে নামিয়ে পৃথক দল করে বসিয়ে রাখা হয়, আত্মঘাতী বোমারুরা তাদের পাহারা দিচ্ছিল। এতে উদ্ধার অভিযান বেশ জটিল হয়ে উঠেছিল। স্নাইপাররা বোমারুদের হত্যা করা পর জিম্মিরা নিরাপদ স্থানে সরে আসতে সক্ষম হয়। অভিযান চলাকালে কোনো জিম্মি জখম হয়নি বলে দাবি করেছেন তিনি।
বেলুচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) তাৎক্ষণিকভাবে এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। তারা বোমা বিস্ফোরণের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে।
বিস্ফোরণস্থল বিস্ফোরকে বোঝাই থাকায় সেখানে উদ্ধারকারীরা প্রথমে যাননি। তাদের আশঙ্কা ছিল আবারও বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটতে পারে
৬ ঘণ্টা আগেপ্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি ফেরানোর পরিকল্পনার প্রথম ধাপ ইসরায়েল সরকারের অনুমোদনের পর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। পরবর্তী ধাপগুলো নিয়ে এখনো আলোচনা চলছে।
৭ ঘণ্টা আগেজার্মানি, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, কাতার ও সৌদি আরবসহ ইউরোপ ও আরব বিশ্বের বহু নেতা এতে অংশ নেবেন, যদিও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যোগ দিচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন এক মার্কিন কর্মকর্তা।
৭ ঘণ্টা আগে