নির্বাচনি প্রচার শুরু করছেন থালাপতি, প্রথম সভা ত্রিচিতে

ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
আপডেট : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২: ০৩
থালাপতি বিজয়। ছবি: সংগৃহীত

ভারতীয় অভিনেতা থেকে রাজনীতিবিদ বনে যাওয়া বিজয় (থালাপতি) তার রাজনৈতিক দল তামিলাগা ভেট্টরি কাজাগাম (টিভিকে)-এর প্রথম নির্বাচনি প্রচারণা শুরু করছেন। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার তামিলনাড়ুর ত্রিচি পৌঁছানোর পর তিনি আরেয়ালুরে একটি জনসভার মাধ্যমে তার প্রচার কাজ শুরু করবেন। যেখানে তিনি সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দিবেন।

এই প্রচারণার জন্য বিজয় একটি বিশেষভাবে তৈরি বাস ব্যবহার করছেন। এই বাসে অত্যাধুনিক ক্যামেরা, লাউডস্পিকার এবং অননুমোদিত প্রবেশ ঠেকাতে লোহার বেড়া দিয়ে সুরক্ষিত। তার বাসটি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাতেই পানাইয়ুর থেকে ত্রিচির উদ্দেশে রওনা হয়েছে। তবে তিনি নিজে আজ বিমানে করে সেখানে পৌঁছাবেন।

পুলিশ এই সমাবেশের জন্য বেশ কিছু শর্তে অনুমতি দিয়েছে। প্রায় ২৫টি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে রোডশো, সংবর্ধনা এবং গাড়িবহরের ওপর নিষেধাজ্ঞা।

নিয়ম অনুযায়ী, বিজয়ের বাসের পেছনে পাঁচটির বেশি গাড়ি থাকতে পারবে না এবং সকল দলীয় কর্মীকে সকাল ১১টা ২৫ এর মধ্যে আরেয়ালুর পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছাতে হবে। পাশাপাশি, জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দলকে নিজেদের উদ্যোগে ব্যারিকেড বসাতে হবে। কোনো শর্ত লঙ্ঘন করা হলে কর্তৃপক্ষ সমাবেশ বন্ধ করে দিতে পারবে।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, ত্রিচিকে প্রচারণার জন্য বেছে নেওয়া বিজয়ের জন্য প্রতীকীভাবে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। ঐতিহাসিকভাবে এই শহরটি দ্রাবিড় রাজনীতির অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের সাক্ষী। সাবেক মুখ্যমন্ত্রী এম.জি. রামচন্দ্রন এআইএডিএমকে-এর দ্বিতীয় রাজ্য সম্মেলন ত্রিচিতেই করেছিলেন। এমনকি তিনি ত্রিচিকে তামিলনাড়ুর দ্বিতীয় রাজধানীও ঘোষণা করেছিলেন।

একইভাবে, ডিএমকে-র প্রতিষ্ঠাতা সি.এন. আন্নাদুরাই তার দল নির্বাচনে অংশ নেবে কিনা, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ত্রিচিকেই বেছে নিয়েছিলেন। এটি রাজ্যের রাজনৈতিক ইতিহাসে এই শহরের গুরুত্বকে তুলে ধরে।

বিজয়ের সভার স্থান মারাক্কাদাইও অতীতে বিভিন্ন দলের বড় বড় সমাবেশের আয়োজন করেছে। মাত্র কয়েক দিন আগেই এআইএডিএমকে-এর সাধারণ সম্পাদক ইডাপ্পাদি কে. পালানিস্বামী একই এলাকায় এমজিআর-এর মূর্তির কাছে নির্বাচনি প্রচার চালিয়েছেন। এটি প্রমাণ করে যে ত্রিচি এখনো রাজনৈতিক প্রতীকীতার একটি যুদ্ধক্ষেত্র।

রাজনৈতিক অঙ্গনে বিজয়ের এই পদক্ষেপের পর তার সমর্থকরা বিশ্বাস করেন, ত্রিচি থেকে তার যাত্রা তামিলনাড়ু রাজনীতির জন্য একটি টার্নিং পয়েন্ট হতে পারে, যা ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দৃশ্যপটকে নতুন করে সাজাতে পারে। তবে এই গতি কতটা স্থায়ী রাজনৈতিক সাফল্য এনে দেয়, তা সময়ই বলে দেবে।

ad
ad

বিশ্ব রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

রাশিয়ায় ৭.৪ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প

৪ ঘণ্টা আগে

‘গাজার ১০ শতাংশ মানুষ হতাহত’

৫ ঘণ্টা আগে

শপথ নিয়েই ৫ মার্চ নেপালে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা

একই দিনে নেপালে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা আসে; অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ, সংসদ ভেঙে দেওয়া এবং জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা।

৬ ঘণ্টা আগে

শপথ নিলেন সুশিলা, প্রথম নারী সরকারপ্রধান পেল নেপাল

প্রেসিডেন্ট পাওদেল এর আগে সংবিধানের ৬১ অনুচ্ছেদের অধীনে কার্কিকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেন। ২০১৫ সালে নতুন সংবিধান প্রণয়নের পর এখন পর্যন্ত সব সরকারই ৭৬ অনুচ্ছেদের ভিত্তিতে গঠিত হয়। তবে জেন-জিদের আন্দোলনের সমর্থনে আসীন হওয়া কার্কির নিয়োগকে রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন হিসেবে দেখ

১৫ ঘণ্টা আগে