যুদ্ধবিরতি আলোচনায় অচলাবস্থার জন্য দায়ী ইসরাইলের একগুঁয়েমি: হামাস

ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৫, ১০: ৪০

ইসরাইলের একগুঁয়েমি মনোভাবের কারণে গাজায় যুদ্ধবিরতির চলমান আলোচনায় অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে হামাস।

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানোর অব্যাহত প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ১০ জন ইসরাইলি বন্দিকে মুক্তি দিতে সম্মত হয়েছে বলেও জানিয়েছে গোষ্ঠীটি।

এক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে গতকাল বুধবার (৯ জুলাই) ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি জানায়, যুদ্ধবিরতি আলোচনায় একপ্রকার অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। ইসরাইল-হামাস নিজেদের দেয়া শর্তে অনড় থাকায় কোনোভাবে চুক্তিতে পৌঁছানো যাচ্ছে না।

গাজা যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে কাতারের দোহায় গত তিন দিন ধরে পরোক্ষ আলোচনা চলছে।

ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা জানান, গাজায় সহায়তা বিতরণে ইসরাইলের বাধা এবং তাদের সেনা প্রত্যাহারে অনীহার কারণেই অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে।

হামাস জানিয়েছে, তারা ১০ জিম্মি মুক্তির প্রস্তাব দিলেও স্থায়ীভাবে সংঘাত বন্ধের বিষয়ে এখনো আলোচনা চলছে।

এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও আশা প্রকাশ করে বলেছেন, শিগগিরই একটি যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানো সম্ভব হবে।

হোয়াইট হাউসে বুধবার ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় বৈঠকের পর ট্রাম্প বলেন, গাজা যুদ্ধবিরতির ‘খুব ভালো সুযোগ’ রয়েছে।

যদিও তার সাম্প্রতিক মন্তব্যে যুদ্ধবিরতির প্রত্যাশা কম বলে মনে হচ্ছে। ট্রাম্প বলেন, ‘আমি মনে করি, চলতি সপ্তাহে বা আগামী সপ্তাহে আমাদের একটা সুযোগ আছে। তবে সেটা নিশ্চিত না। তবে খুব ভালো সম্ভাবনা আছে যে আমরা চলতি সপ্তাহে এবং যদি না হয় তবে আগামী সপ্তাহেই কোনো না কোনো চুক্তিতে পৌঁছাতে পারবো।’

গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন চলছেই। বুধবারও উপত্যকার মধ্যাঞ্চল কেঁপে ওঠে ইসরাইলি বিমান হামলায়। খান ইউনিস, আল শাতি শরণার্থী শিবিরসহ বিভিন্ন জায়াগায় এদিন হামলা চালিয়েছে দখলদার বাহিনী।

গাজায় দখলদার বাহিনীর আগ্রাসনে আরও ১০৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও পাঁচ শতাধিক। বিপরীতে হামাসের পাল্টা হামলায় নিহত হয়েছে পাঁচ ইসরাইলি সেনা।

অন্যদিকে, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে ঢুকে হিজবুল্লাহর ঘাঁটিতে বিশেষ অভিযান চালিয়েছে ইসরাইল।

ad
ad

বিশ্ব রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

হুতি বিদ্রোহীরা লোহিত সাগরে এতটা সফল কীভাবে

হুতিদের প্রযুক্তিগত উত্থান শুরু হয় ২০১৫ সালের দিকে, যখন সৌদি আরব তাদের বিরুদ্ধে বিমান হামলা শুরু করে। এই সময় থেকেই হুতিরা বুঝে যায়, শুধু ছোট অস্ত্র বা স্থানীয় হামলা দিয়ে টিকে থাকা যাবে না। দরকার প্রযুক্তিনির্ভর প্রতিরোধ। সেই থেকেই শুরু হয় তাদের ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র, রাডার, এবং স্যাটেলাইট-নির্ভর হামলা

২ দিন আগে

চীন সবসময় বাংলাদেশের বিশ্বস্ত বন্ধু হতে চায়

ওয়াং ই বলেন, চীন বাংলাদেশের কেবল বন্ধু নয়, বরং বিশ্বাসযোগ্য প্রতিবেশী ও উন্নয়ন-সহযোগী হিসেবে পাশে থাকতে চায়। এছাড়া চীন বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনকে সমর্থন জানায় বলে জানান তিনি। এর সঙ্গে বাংলাদেশের প্রয়োজন অনুযায়ী উন্নয়নের পথ অন্বেষণে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি।

২ দিন আগে

যুক্তরাষ্ট্র সবসময় কেন ইসরায়েলের পক্ষ নেয়

যখন ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হলেন, তখন আবার সম্পর্ক উষ্ণ হলো। তিনি জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিলেন, মার্কিন দূতাবাস সেখানে স্থানান্তর করলেন এবং গোলান মালভূমিকে ইসরায়েলের অংশ হিসেবে মেনে নিলেন। এ সময়ের নীতিগুলো ফিলিস্তিনের জন্য ছিল বড় ধাক্কা।

২ দিন আগে

লোহিত সাগরে আবারও জাহাজ ডোবাল হুতিরা, নিহত ৪

লোহিত সাগরে ক্ষেপণাস্ত্র ও মানববিহীন নৌকা দিয়ে হামলা চালিয়ে আরও একটি মালবাহী জাহাজ ডুবিয়ে দিয়েছে ইয়েমেনের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতি। এতে চারজন নিহত এবং আরও অন্তত ১৫ জন নিখোঁজ হয়েছেন।

২ দিন আগে