
ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম

বিজ্ঞানী-গবেষকদের ধারণাই সত্যি হয়েছে। জলবায়ু সম্মেলন থেকে দেওয়া বিশ্বনেতাদের প্রতিশ্রুতি কাজে আসেনি। ২০২৪ সাল পরিণত হয়েছে পৃথিবীর ইতিহাসের উষ্ণতম বছরে।
জলবায়ু পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর তথ্য বলছে, প্রথমবারের মতো এ বছরের বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ছিল প্রাক-শিল্প যুগের তুলনায় ১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। অথচ গত অন্তত দুই দশক ধরে বিজ্ঞানীরা বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধিকে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করতে তাগিদ দিয়ে যাচ্ছিলেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কোপারনিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিসের (সিথ্রিএস) তথ্য বলছে, ২০২৪ সালের এই গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ছিল ২০২৩ সালের তুলনায় ০.১ ডিগ্রি বেশি। আধুনিক মানব ইতিহাসে প্রথমবারের মতো তাপমাত্রার বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের এই সীমা অতিক্রম করল।
শুক্রবার দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়, বৈশ্বিক এই উষ্ণায়নের পেছনে মূল কারণ হিসেবে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহারকে দায়ী করেছেন বিজ্ঞানীরা। বলেছেন, কয়লা, তেল ও গ্যাসের ব্যবহার বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত এই ক্ষতি অব্যাহত থাকবে।
পরিবেশ ও জলবায়ু বিজ্ঞানীরা দীর্ঘ দিন ধরেই বলে আসছেন, প্রাক-শিল্প যুগে বৈশ্বিক যে গড় তাপমাত্রা ছিল, বর্তমান বিশ্বের বাৎসরিক তাপমাত্রা তার তুলনায় ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। তা না রাখতে পারলে উষ্ণায়নের ফলে জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব ক্রমেই বাড়বে বিশ্ব জুড়ে, মানুষ ও প্রকৃতির জন্য বয়ে আনবে প্রলয়ংকরী পরিণতি।
২০১৫ সালে প্যারিস চুক্তির মাধ্যমে বিশ্বনেতারাও তাপমাত্রা বৃদ্ধির পরিমাণ ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এক দশক পর এসে সেই লক্ষ্যমাত্রা ধরে রাখতে তারা ব্যর্থ হলেন।
গবেষকরা অবশ্য বলছেন, এই পরিবর্তনকে দীর্ঘমেয়াদে পরিমাপ করা হয়। ফলে একটি বছরের তাপমাত্রা একে ছাড়িয়ে যাওয়া মানেই সর্বনাশের চূড়ান্ত নয়। তবে গত এক দশক ধরে যে হারে তাপমাত্রা বাড়ছে, তাতে ২০২৪ সাল এই লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ায় ভবিষ্যতেও একে লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে নিয়ে আসা কঠিন হবে। কারণ গত এক দশকের প্রতিটি বছর রেকর্ডের মধ্যে ১০টি উষ্ণতম বছরের একটি ছিল ২০২৪। আর এই উষ্ণায়নের কারণে জলবায়ু সংকটও ক্রমশ তীব্র হচ্ছে।
কোপার্নিকাসের তথ্যে বরাত দিয়ে গার্ডিয়ান বলছে, ২০২৪ সালের ১০ জুলাই বিশ্বব্যাপী ৪৪ শতাংশ অঞ্চল চরম তাপমাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। আর ২২ জুলাই ছিল বিশ্বের ইতিহাসের সবচেয়ে উষ্ণ দিন।
সিথ্রিএসের উপপরিচালক ড. সামান্থা বার্জেস বলেন, ‘আমরা এখন প্রায় নিশ্চিত যে দীর্ঘমেয়াদি গড় তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করবে। ২০২৪ সালে বিশ্ব জুড়ে নজিরবিহীন তাপপ্রবাহ ও ভারী বৃষ্টিপাত লাখ লাখ মানুষের জন্য দুর্ভোগ এনেছে।’ ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ভোগ বাড়বে বলেই আশঙ্কা তার।
ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের ড. ফ্রিডেরিকে অটো বলেন, ‘এই রেকর্ড আমাদের এক রূঢ় বাস্তবতার সামনে দাঁড় করিয়েছে। ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণতায় জীবন কতটা বিপজ্জনক, তা এই বছর দেখিয়েছে। ভ্যালেন্সিয়ার বন্যা, যুক্তরাষ্ট্রের হারিকেন, ফিলিপাইনের টাইফুন ও অ্যামাজনের খরা এই সংকটের উদাহরণ মাত্র। এ ছাড়া আরও অনেক দুর্যোগ ঘটেছে বিশ্ব জুড়ে।’
২০২৪ সালে কার্বন নিঃসরণও নতুন রেকর্ড গড়েছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এ থেকে এটি স্পষ্ট যে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার থেকে সরে আসার কোনো স্পষ্ট প্রমাণ এখনো বিশ্ববাসী দেখাতে পারেনি। তাপমাত্রা বৃদ্ধির বর্তমান গতি অব্যাহত থাকলে চলতি শতাব্দীর শেষ নাগাদ বৈশ্বিক উষ্ণায়ন প্রাক-শিল্প যুগের তুলনায় ২ দশমিক ৭ ডিগ্রি বেশি মাত্রাকে অতিক্রম করবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে ২০৩০ সালের মধ্যে ৪৫ শতাংশে নামিয়ে না আনতে পারলে তাপমাত্রা বৃদ্ধির গতিকে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রাখার লক্ষ্য অর্জন অসম্ভব হয়ে পড়বে। তখন তাপমাত্রা বৃদ্ধির প্রতিটি ডিগ্রি মানুষের জীবন ও পরিবেশের ওপর আরও বেশি ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে।
বিশেষজ্ঞরা উষ্ণায়নের গতি রোধ ও চরম আবহাওয়ার প্রভাব থেকে রক্ষা পেতে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধের পাশাপাশি নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে দ্রুত অগ্রসর হওয়ার তাগিদও দিয়েছেন।

বিজ্ঞানী-গবেষকদের ধারণাই সত্যি হয়েছে। জলবায়ু সম্মেলন থেকে দেওয়া বিশ্বনেতাদের প্রতিশ্রুতি কাজে আসেনি। ২০২৪ সাল পরিণত হয়েছে পৃথিবীর ইতিহাসের উষ্ণতম বছরে।
জলবায়ু পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর তথ্য বলছে, প্রথমবারের মতো এ বছরের বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ছিল প্রাক-শিল্প যুগের তুলনায় ১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। অথচ গত অন্তত দুই দশক ধরে বিজ্ঞানীরা বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধিকে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করতে তাগিদ দিয়ে যাচ্ছিলেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কোপারনিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিসের (সিথ্রিএস) তথ্য বলছে, ২০২৪ সালের এই গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ছিল ২০২৩ সালের তুলনায় ০.১ ডিগ্রি বেশি। আধুনিক মানব ইতিহাসে প্রথমবারের মতো তাপমাত্রার বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের এই সীমা অতিক্রম করল।
শুক্রবার দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়, বৈশ্বিক এই উষ্ণায়নের পেছনে মূল কারণ হিসেবে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহারকে দায়ী করেছেন বিজ্ঞানীরা। বলেছেন, কয়লা, তেল ও গ্যাসের ব্যবহার বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত এই ক্ষতি অব্যাহত থাকবে।
পরিবেশ ও জলবায়ু বিজ্ঞানীরা দীর্ঘ দিন ধরেই বলে আসছেন, প্রাক-শিল্প যুগে বৈশ্বিক যে গড় তাপমাত্রা ছিল, বর্তমান বিশ্বের বাৎসরিক তাপমাত্রা তার তুলনায় ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। তা না রাখতে পারলে উষ্ণায়নের ফলে জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব ক্রমেই বাড়বে বিশ্ব জুড়ে, মানুষ ও প্রকৃতির জন্য বয়ে আনবে প্রলয়ংকরী পরিণতি।
২০১৫ সালে প্যারিস চুক্তির মাধ্যমে বিশ্বনেতারাও তাপমাত্রা বৃদ্ধির পরিমাণ ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এক দশক পর এসে সেই লক্ষ্যমাত্রা ধরে রাখতে তারা ব্যর্থ হলেন।
গবেষকরা অবশ্য বলছেন, এই পরিবর্তনকে দীর্ঘমেয়াদে পরিমাপ করা হয়। ফলে একটি বছরের তাপমাত্রা একে ছাড়িয়ে যাওয়া মানেই সর্বনাশের চূড়ান্ত নয়। তবে গত এক দশক ধরে যে হারে তাপমাত্রা বাড়ছে, তাতে ২০২৪ সাল এই লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ায় ভবিষ্যতেও একে লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে নিয়ে আসা কঠিন হবে। কারণ গত এক দশকের প্রতিটি বছর রেকর্ডের মধ্যে ১০টি উষ্ণতম বছরের একটি ছিল ২০২৪। আর এই উষ্ণায়নের কারণে জলবায়ু সংকটও ক্রমশ তীব্র হচ্ছে।
কোপার্নিকাসের তথ্যে বরাত দিয়ে গার্ডিয়ান বলছে, ২০২৪ সালের ১০ জুলাই বিশ্বব্যাপী ৪৪ শতাংশ অঞ্চল চরম তাপমাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। আর ২২ জুলাই ছিল বিশ্বের ইতিহাসের সবচেয়ে উষ্ণ দিন।
সিথ্রিএসের উপপরিচালক ড. সামান্থা বার্জেস বলেন, ‘আমরা এখন প্রায় নিশ্চিত যে দীর্ঘমেয়াদি গড় তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করবে। ২০২৪ সালে বিশ্ব জুড়ে নজিরবিহীন তাপপ্রবাহ ও ভারী বৃষ্টিপাত লাখ লাখ মানুষের জন্য দুর্ভোগ এনেছে।’ ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ভোগ বাড়বে বলেই আশঙ্কা তার।
ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের ড. ফ্রিডেরিকে অটো বলেন, ‘এই রেকর্ড আমাদের এক রূঢ় বাস্তবতার সামনে দাঁড় করিয়েছে। ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণতায় জীবন কতটা বিপজ্জনক, তা এই বছর দেখিয়েছে। ভ্যালেন্সিয়ার বন্যা, যুক্তরাষ্ট্রের হারিকেন, ফিলিপাইনের টাইফুন ও অ্যামাজনের খরা এই সংকটের উদাহরণ মাত্র। এ ছাড়া আরও অনেক দুর্যোগ ঘটেছে বিশ্ব জুড়ে।’
২০২৪ সালে কার্বন নিঃসরণও নতুন রেকর্ড গড়েছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এ থেকে এটি স্পষ্ট যে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার থেকে সরে আসার কোনো স্পষ্ট প্রমাণ এখনো বিশ্ববাসী দেখাতে পারেনি। তাপমাত্রা বৃদ্ধির বর্তমান গতি অব্যাহত থাকলে চলতি শতাব্দীর শেষ নাগাদ বৈশ্বিক উষ্ণায়ন প্রাক-শিল্প যুগের তুলনায় ২ দশমিক ৭ ডিগ্রি বেশি মাত্রাকে অতিক্রম করবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে ২০৩০ সালের মধ্যে ৪৫ শতাংশে নামিয়ে না আনতে পারলে তাপমাত্রা বৃদ্ধির গতিকে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রাখার লক্ষ্য অর্জন অসম্ভব হয়ে পড়বে। তখন তাপমাত্রা বৃদ্ধির প্রতিটি ডিগ্রি মানুষের জীবন ও পরিবেশের ওপর আরও বেশি ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে।
বিশেষজ্ঞরা উষ্ণায়নের গতি রোধ ও চরম আবহাওয়ার প্রভাব থেকে রক্ষা পেতে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধের পাশাপাশি নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে দ্রুত অগ্রসর হওয়ার তাগিদও দিয়েছেন।

নির্বাচনের কয়েকদিন আগেই বিজেপিতে যোগ দেন মৈথিলী। তখন তিনি বলেছিলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের উন্নয়নমূলক কাজে আমি অনুপ্রাণিত। আমি সমাজের সেবা করতে চাই। বিহারের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে চাই।’
১ দিন আগে
পারমাণবিক অস্ত্রধারী এই দেশটির রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে সেনাবাহিনী। কখনও কখনও তারা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেছে, আবার অনেক সময় পর্দার আড়ালে থেকে কলকাঠি নেড়েছে।
১ দিন আগে
বিবিসি জানিয়েছে ২০২১ সালের ৬ই জানুয়ারির বক্তৃতার সম্পাদনা "ভুলবশত এমন ধারণা দিয়েছে যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সরাসরি সহিসংতাকে উসকে দিয়েছেন"। বিবিসি এজন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে। কিন্তু বলেছে তারা এজন্য কোনো আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেবে না।
১ দিন আগে
আল জাজিরা জানিয়েছে, ইথিওপিয়া প্রথমবারের মতো মারবুর্গ ভাইরাস রোগের প্রাদুর্ভাব নিশ্চিত করেছে। দেশের দক্ষিণাঞ্চলে এই ভাইরাসের মোট ৯ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে।
১ দিন আগে