রোহিঙ্গাদের ঘরে ফেরানো নিয়ে আশাবাদী ড. ইউনূস

কক্সবাজার প্রতিনিধি
আপডেট : ২৫ আগস্ট ২০২৫, ১৩: ৩০
সোমবার রোহিঙ্গা সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর

মিয়ানমার জান্তা ও আরাকান আর্মিদের নির্যাতন থেকে রোহিঙ্গাদের বাঁচাতে আন্তর্জাতিক উদ্যোগের আহ্বান জানিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, তাদের জাতিগত নির্মূলের ভয়াবহ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন থেকে সশস্ত্র ঘাতকদের থামানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস রোহিঙ্গাদের নিজেদের ঘরে ফেরানোর সম্ভাবনা নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমরা আশা করি, রোহিঙ্গাদের নিজেদের ঘরে ফিরে যাওয়ার জন্য একটি সমাধান বের করতে সক্ষম হবো।’

সোমবার (২৫ আগস্ট) কক্সবাজারের হোটেল বে ওয়াচে রোহিঙ্গা ইস্যুতে আয়োজিত অংশীজন সংলাপে তিনি এই মন্তব্য করেন। সেই সঙ্গে প্রফেসর ইউনূস দেশীয় রাজনৈতিক পরিস্থিতিও উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, ‘আমি এখানে এসেছি আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ সময়কে সামনে রেখে। এক বছর আগে আমরা ছাত্রদের নেতৃত্বে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে এক হত্যাযজ্ঞের মধ্য দিয়ে দেশকে ফ্যাসিস্টমুক্ত করার চেষ্টা করেছি। এখন আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাসে আরেকটি রূপান্তরের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। আমরা নির্বাচনের সময় ঘোষণা করেছি। এক বছরের মধ্যে দেশ নির্বাচন আয়োজনের জন্য যথেষ্ট প্রস্তুত ও স্থিতিশীল অবস্থায় এসেছে। তাই আমরা ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

প্রফেসর ইউনূস আরও বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের জায়গায় নির্বাচিত একটি সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করবে। রোহিঙ্গাদের ঘরে ফেরানোর বিষয়টি আমাদের আলোচনার এক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ।’

এর আগে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে স্টেকহোল্ডারদের সংলাপে বসবেন বলে জানান প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

উখিয়ার ইনানীতে ‘হোটেল বে ওয়াচে’ রোববার (২৪ আগস্ট) ‘টেক অ্যাওয়ে টু দ্যা হাই-লেভেল কনফারেন্স অন দ্যা রোহিঙ্গা সিচুয়েশন’ শীর্ষক ৩ দিনের এ সম্মেলন শুরু হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও রোহিঙ্গা ইস্যু বিষয়ক হাই রিপ্রেজেন্টেটিভের দফতর যৌথভাবে এ সম্মেলনের আয়োজন করেছে।

সম্মেলনের প্রথম দিন বিকেলে বিদেশি অংশীজনদের সঙ্গে সরাসরি মতবিনিময় করেন রোহিঙ্গা প্রতিনিধিরা। এতে যোগ দেন ৪০টি দেশের প্রতিনিধি। ছিলেন জাতিসংঘসহ রোহিঙ্গা নিয়ে কাজ করা সব অংশীজন। তিন দিনের এ সম্মেলন থেকে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের পথ খুঁজবেন তারা।

শেষ দিন মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন বিদেশি অতিথিরা। তিন দিনের সম্মেলনে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ছাড়াও আন্তর্জাতিক ফান্ড, গণহত্যার বিচার, খাদ্য সহায়তা ও রোহিঙ্গাদের মনোবল বৃদ্ধির মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুর ব্যাপারে জোর দেয়া হবে বলে জানা গেছে।

এছাড়াও সম্মেলন থেকে আসা প্রস্তাব এবং বক্তব্যগুলো আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে অনুষ্ঠেয় সম্মেলনে তুলে ধরবে সরকার।

ad
ad

বিশ্ব রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

ইতালিতে এমপিকে ‘হত্যার হুমকি’, বাংলাদেশি বহিষ্কার

৬ ঘণ্টা আগে

রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসা যুক্তরাষ্ট্রের

২০১৭ সালের আগস্ট মাসে রাখাইনে সেনা অভিযান শুরুর পর কয়েক মাসের মধ্যে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসে আশ্রয় নেয়। এর আগে থেকেই বাংলাদেশে ছিল চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা।

৬ ঘণ্টা আগে

ইরান কখনোই যুক্তরাষ্ট্রের কাছে মাথানত করবে না: খামেনি

বিদেশি শক্তিগুলো এখন ভেতর থেকে বিভেদ তৈরি করে ইরানকে দুর্বল করতে চাইছে, কিন্তু ইরানি জাতি ঐক্যবদ্ধভাবে এর মোকাবিলা করবে।

৬ ঘণ্টা আগে

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত আরও ৫১, অনাহারে ৮ জনের মৃত্যু

ইসরায়েলি বাহিনী গত ৬ আগস্ট গাজা শহরে সামরিক অভিযান শুরু করার পর থেকে জেতুন ও সাবরা মহল্লায় এক হাজারেরও বেশি ভবন সম্পূর্ণ ধ্বংস করেছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স। সংস্থাটির দাবি, ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও শত শত মানুষ চাপা পড়ে আছে।

৭ ঘণ্টা আগে