ক্রীড়া ডেস্ক
আরও এক ম্যাচে তীরে পৌঁছেও তরী ডুবল টাইগ্রেসদের। ইংল্যান্ড আর দক্ষিণ আফ্রিকার পর শ্রীলংকা ম্যাচেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। এবারে রান তাড়া করতে গিয়ে শুরুতে সংগ্রাম করলেও শারমিন আক্তার আর ক্যাপ্টেন নিগার সুলতানা জ্যোতির ব্যাটে চড়ে শেষের দিকে ম্যাচ চলে এসেছিল হাতের মুঠোয়। কিন্তু ৬ উইকেট হাতে রেখেও ২ ওভারে মাত্র ১২ রানের লক্ষ্য টপকানো সম্ভব হয়নি। উলটো শেষ ওভারে পরপর চার বলে চার উইকেট হারিয়ে মেনে নিতে হয়েছে ৭ রানের পরাজয়।
সোমবার (২০ অক্টোবর) মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে এ ম্যাচে পরাজয়ে টানা পাঁচ ম্যাচে হারের মুখ দেখল বাংলাদেশের মেয়েরা। প্রথম ম্যাচেই পাকিস্তানকে হারিয়ে চমক দিয়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপ শুরু করা বাংলাদেশ তাই বলতে গেলে ছিটকে গেল টুর্নামেন্ট থেকে। অথচ এ ম্যাচে জয় পেলে সমীকরণ কঠিন হলেও সেমিফাইনালের দৌড়ে টিকে থাকত জ্যোতিরা।
এ দিন শ্রীলংকার ব্যাটারদের শুরুর দিকে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের পরও ২০২ রানে বেঁধে রেখে ২০৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমেছিল বাংলাদেশ। শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে সাজঘরে ফেরেন রুবাইয়া হায়দার ঝিলিক। এরপর জুটি গড়ার চেষ্টা করেন সুপ্তা ও ফারজানা হক পিংকি। জুটি দীর্ঘস্থায়ী হলেও রানের গতি ছিল ভীষণ মন্থর। পাওয়ার প্লে শেষের পরের ওভারেই জুটি ভাঙে ফারজানার রান আউটে। হার্শিতা সামারাবিক্রমার সরাসরি থ্রোতে রান আউট হয়ে ফেরেন ৩৫ বলে ৭ রান করে।
খুব একটা ভালো করতে পারেননি চারে ব্যাট করতে নামা সোবহানা মোস্তারিও। ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন ১৩ বলে ৮ রান করে। দ্রুতই দুই উইকেট হারানোর পর জুটি গড়ে তোলেন শারমিন আক্তার সুপ্তা ও ক্যাপ্টেন নিগার সুলতানা জ্যোতি। শুরুতে একটু দেখেশুনে খেললেও পরে রানের গতি বাড়ান দুজনেই। তাদের ২০ ওভারে ৮২ রানের জুটি জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল বাংলাদেশকে।
সাবধানী ব্যাটিংয়ে ৮১ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলেন শারমিন। অর্ধশতক ছোঁয়ার পর অবশ্য বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি ডানহাতি এই ব্যাটার। ৬৪ রানে ব্যাটিং করার সময় পেশীতে টান লাগে। ফলে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ড্রেসিং রুমে ফিরতে হয় তাকে।
এরপর জ্যোতির সঙ্গে জুটি গড়েন স্বর্ণা আক্তার। এ জুটি উইকেটে থাকার সময়ই ৭২ বলে অর্ধশতক পূরণ করেন জ্যোতি। দারুণ ব্যাটিংয়ে স্বর্ণাকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকেন। ৪৬তম ওভারের প্রথম বলে স্বর্ণা উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরলে দুজনের ৫৮ বলে ৫০ রানের জুটি ভাঙে। আউট হওয়ার আগে স্বর্ণা করেন ২৭ বলে ১৯ রান।
দলের রান তখন ১৭৬। জয়ের জন্য প্রয়োজন ২৯ বলে ২৭ রান। হাতে ৬ উইকেট। ওই সময় ৮৯ বলে ৬৭ করে অপরাজিত জ্যোতি। রানের জন্য পরিশ্রম করতে হলেও জয়ের সম্ভাবনা তখন অনেকটাই স্পষ্ট। ৪৮তম ওভারের খেলা শেষে যখন ১২ প্রয়োজন ১২ রান, তখন জয় নাগালের মধ্যেই মনে হচ্ছিল। কিন্তু বাস্তবে যা ঘটল, তাকে বিস্ময়কর বললে ভুল হবে না।
৪৯তম ওভারের প্রথম বল ছিল ডট। দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে ১ রান করে নেন ঋতু মনি ও নিগার সুলতানা। চতুর্থ বলেই আউট হয়ে যান ঋতু। ১৩ বলে ৭ করেছিলেন তিনি। রাবেয়া খান নেমে পঞ্চম বলটি ডট দেন, শেষ বলে নেন সিংগেল। তখন সমীকরণ শেষ ওভারে প্রয়োজন ৯ রান। হাতে ৫ উইকেট।
শ্রীলংকার হয়ে শেষ ওভারে বল হাতে তুলে নেন ক্যাপ্টেন চামারি আতাপাত্তু। প্রথম বলেই এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন রাবেয়া। পরের বলেই সিংগেল নিতে গিয়ে রানআউট নাহিদা আক্তার। ৪ বলে ৯ রানের লক্ষ্যটা তখন অনেক কঠিন মনে হচ্ছিল। চাপের মুখে বড় শট খেলতে গিয়ে তৃতীয় বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৯৮ বলে ৭৭ রান করা নিগার সুলতানা জ্যোতি।
চতুর্থ বলেও মারুফা আক্তারকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন আতাপাত্তু। পরের দুই বল থেকে ১ রানের বেশি আর নিতে পারেনি বাংলাদেশ। জয়ের খুব কাছে গিয়েও তাই হারের বেদনা সঙ্গী হয়েছে বাংলাদেশের।
শেষ ওভারের ৩টিসহ শ্রীলঙ্কার হয়ে ৪টি উইকেট নিয়েছেন আতাপাত্তু। দুটি উইকেট নিয়েছেন সুগন্দিকা কুমারি। একটি উইকেট নিয়েছেন উদেশিকা প্রবোধনী।
এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই উইকেট হারায় শ্রীলংকা। ভিশমি গুনারত্নকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন মারুফা আক্তার। তবে দ্বিতীয় উইকেটে বড় জুটি গড়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় লঙ্কানরা। হাসিনি পেরেরাকে সঙ্গে নিয়ে এই উইকেটে ৭২ রান যোগ করেন ক্যাপ্টেন চামারি আতাপাত্তু। এ জুটি ভাঙলে ২৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে আবারও চাপে পড়ে শ্রীলঙ্কা।
৪৩ বলে ৪৬ রান করে রাবেয়ার বলে এলবিডব্লিউ হন আতাপাত্তু। স্বর্ণার দুর্দান্ত থ্রোয়ে রান আউট হন হার্সিতা সামারাবিক্রমা (১১ বলে ৪)। নাহিদা আক্তারের বলে স্ট্যাম্পিং হয়ে ফেরেন কাভিশা দিলহারি (৬ বলে ৪)।
পঞ্চম উইকেটে ফের ঘুরে দাঁড়ায় শ্রীলংকা। মাত্র ৭৫ বলে ৭৪ রানের জুটি গড়েন নিলাকশিকা সিলভা ও হাসিনি। এই সময় রান ছুটছিল ৩০০’র দিকে। এ সময় স্বর্ণা বোলিংয়ে এসে আবার বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান। ৩২তম ওভার থেকে ৩৬তম ওভারের মধ্যে মাত্র ৮ রানে ৪ উইকেট তুলে নেন বাংলাদেশি বোলাররা, যার মধ্যে তিনটিই নেন স্বর্ণা আর অন্যটি নেন নিশিকা আক্তার নিশি। এর মধ্যে ৩৬তম ওভারে ৯৯ বলে ৮৫ রান করার হাসিনি পেরেরাকে ফেরালে ম্যাচের পুরো নিয়ন্ত্রণই বাংলাদেশের হাতে চলে আসে।
এ রকম সুবিধাজনক অবস্থানে থেকেও শেষটা মনমতো হয়নি বাংলাদেশের। নবম উইকেটে উদেশিকা প্রবোধনী আর মালকি মাদারা ১২ ওভারের বেশি উইকেটে কাটিয়ে দেন। এ সময় রান আসে ১৮টি। ৪৮তম ওভারে প্রবোধনী আউট হয়ে গেলে আরও ২ রান যোগ করেন ইনোকা রানাবীরা।
শেষ পর্যন্ত ৪৮ ওভার ৪ বলে ২০২ রানে অলআউট হয়েছে শ্রীলংকা। শেষ দুই উইকেট জুটির ২০ রানই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে বাংলাদেশ আর শ্রীলংকার মধ্যে।
বাংলাদেশের হয়ে ৩টি উইকেট নিয়েছেন স্বর্ণা। দুই উইকেট ঝুলিতে পুড়েছেন রাবেয়া। মারুফা, নিশিতা আর নাহিদা নিয়েছেন একটি করে উইকেট।
ব্যাট হাতে ৪৩ বলে ৪৬ রান করার পর শেষ ওভারের ম্যাজিকে ৩ উইকেটসহ ম্যাচে ৪ উইকেট নিয়েও লংকান ক্যাপ্টেন চামিরা আতাপাত্তু প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ হতে পারেননি। পুরস্কারটি গেছে ৯৯ বলে ৮৫ রান করে শ্রীলংকার ইনিংসকে টেনে নিয়ে যাওয়া হাসিনি পেরেরার হাতে।
এ ম্যাচে হেরে ৬ ম্যাচ পরেও প্রথম ম্যাচের ২ পয়েন্টই সঙ্গী বাংলাদেশের। পয়েন্ট টেবিলে অবস্থান ৭ নম্বরে, তাদের নিচে রয়েছে কেবল পাকিস্তান। শেষ ম্যাচ ভারতের বিপক্ষে আগামী রোববার, যেটি বিশ্বকাপেরই গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ।
এদিকে শ্রীলংকা ৬ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে ষষ্ঠ স্থানে। তাদের সেমিফাইনালে যাওয়ার হিসাব এখনো কাগজে কলমে টিকে রয়েছে।
আরও এক ম্যাচে তীরে পৌঁছেও তরী ডুবল টাইগ্রেসদের। ইংল্যান্ড আর দক্ষিণ আফ্রিকার পর শ্রীলংকা ম্যাচেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। এবারে রান তাড়া করতে গিয়ে শুরুতে সংগ্রাম করলেও শারমিন আক্তার আর ক্যাপ্টেন নিগার সুলতানা জ্যোতির ব্যাটে চড়ে শেষের দিকে ম্যাচ চলে এসেছিল হাতের মুঠোয়। কিন্তু ৬ উইকেট হাতে রেখেও ২ ওভারে মাত্র ১২ রানের লক্ষ্য টপকানো সম্ভব হয়নি। উলটো শেষ ওভারে পরপর চার বলে চার উইকেট হারিয়ে মেনে নিতে হয়েছে ৭ রানের পরাজয়।
সোমবার (২০ অক্টোবর) মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে এ ম্যাচে পরাজয়ে টানা পাঁচ ম্যাচে হারের মুখ দেখল বাংলাদেশের মেয়েরা। প্রথম ম্যাচেই পাকিস্তানকে হারিয়ে চমক দিয়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপ শুরু করা বাংলাদেশ তাই বলতে গেলে ছিটকে গেল টুর্নামেন্ট থেকে। অথচ এ ম্যাচে জয় পেলে সমীকরণ কঠিন হলেও সেমিফাইনালের দৌড়ে টিকে থাকত জ্যোতিরা।
এ দিন শ্রীলংকার ব্যাটারদের শুরুর দিকে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের পরও ২০২ রানে বেঁধে রেখে ২০৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমেছিল বাংলাদেশ। শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে সাজঘরে ফেরেন রুবাইয়া হায়দার ঝিলিক। এরপর জুটি গড়ার চেষ্টা করেন সুপ্তা ও ফারজানা হক পিংকি। জুটি দীর্ঘস্থায়ী হলেও রানের গতি ছিল ভীষণ মন্থর। পাওয়ার প্লে শেষের পরের ওভারেই জুটি ভাঙে ফারজানার রান আউটে। হার্শিতা সামারাবিক্রমার সরাসরি থ্রোতে রান আউট হয়ে ফেরেন ৩৫ বলে ৭ রান করে।
খুব একটা ভালো করতে পারেননি চারে ব্যাট করতে নামা সোবহানা মোস্তারিও। ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন ১৩ বলে ৮ রান করে। দ্রুতই দুই উইকেট হারানোর পর জুটি গড়ে তোলেন শারমিন আক্তার সুপ্তা ও ক্যাপ্টেন নিগার সুলতানা জ্যোতি। শুরুতে একটু দেখেশুনে খেললেও পরে রানের গতি বাড়ান দুজনেই। তাদের ২০ ওভারে ৮২ রানের জুটি জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল বাংলাদেশকে।
সাবধানী ব্যাটিংয়ে ৮১ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলেন শারমিন। অর্ধশতক ছোঁয়ার পর অবশ্য বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি ডানহাতি এই ব্যাটার। ৬৪ রানে ব্যাটিং করার সময় পেশীতে টান লাগে। ফলে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ড্রেসিং রুমে ফিরতে হয় তাকে।
এরপর জ্যোতির সঙ্গে জুটি গড়েন স্বর্ণা আক্তার। এ জুটি উইকেটে থাকার সময়ই ৭২ বলে অর্ধশতক পূরণ করেন জ্যোতি। দারুণ ব্যাটিংয়ে স্বর্ণাকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকেন। ৪৬তম ওভারের প্রথম বলে স্বর্ণা উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরলে দুজনের ৫৮ বলে ৫০ রানের জুটি ভাঙে। আউট হওয়ার আগে স্বর্ণা করেন ২৭ বলে ১৯ রান।
দলের রান তখন ১৭৬। জয়ের জন্য প্রয়োজন ২৯ বলে ২৭ রান। হাতে ৬ উইকেট। ওই সময় ৮৯ বলে ৬৭ করে অপরাজিত জ্যোতি। রানের জন্য পরিশ্রম করতে হলেও জয়ের সম্ভাবনা তখন অনেকটাই স্পষ্ট। ৪৮তম ওভারের খেলা শেষে যখন ১২ প্রয়োজন ১২ রান, তখন জয় নাগালের মধ্যেই মনে হচ্ছিল। কিন্তু বাস্তবে যা ঘটল, তাকে বিস্ময়কর বললে ভুল হবে না।
৪৯তম ওভারের প্রথম বল ছিল ডট। দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে ১ রান করে নেন ঋতু মনি ও নিগার সুলতানা। চতুর্থ বলেই আউট হয়ে যান ঋতু। ১৩ বলে ৭ করেছিলেন তিনি। রাবেয়া খান নেমে পঞ্চম বলটি ডট দেন, শেষ বলে নেন সিংগেল। তখন সমীকরণ শেষ ওভারে প্রয়োজন ৯ রান। হাতে ৫ উইকেট।
শ্রীলংকার হয়ে শেষ ওভারে বল হাতে তুলে নেন ক্যাপ্টেন চামারি আতাপাত্তু। প্রথম বলেই এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন রাবেয়া। পরের বলেই সিংগেল নিতে গিয়ে রানআউট নাহিদা আক্তার। ৪ বলে ৯ রানের লক্ষ্যটা তখন অনেক কঠিন মনে হচ্ছিল। চাপের মুখে বড় শট খেলতে গিয়ে তৃতীয় বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৯৮ বলে ৭৭ রান করা নিগার সুলতানা জ্যোতি।
চতুর্থ বলেও মারুফা আক্তারকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন আতাপাত্তু। পরের দুই বল থেকে ১ রানের বেশি আর নিতে পারেনি বাংলাদেশ। জয়ের খুব কাছে গিয়েও তাই হারের বেদনা সঙ্গী হয়েছে বাংলাদেশের।
শেষ ওভারের ৩টিসহ শ্রীলঙ্কার হয়ে ৪টি উইকেট নিয়েছেন আতাপাত্তু। দুটি উইকেট নিয়েছেন সুগন্দিকা কুমারি। একটি উইকেট নিয়েছেন উদেশিকা প্রবোধনী।
এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই উইকেট হারায় শ্রীলংকা। ভিশমি গুনারত্নকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন মারুফা আক্তার। তবে দ্বিতীয় উইকেটে বড় জুটি গড়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় লঙ্কানরা। হাসিনি পেরেরাকে সঙ্গে নিয়ে এই উইকেটে ৭২ রান যোগ করেন ক্যাপ্টেন চামারি আতাপাত্তু। এ জুটি ভাঙলে ২৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে আবারও চাপে পড়ে শ্রীলঙ্কা।
৪৩ বলে ৪৬ রান করে রাবেয়ার বলে এলবিডব্লিউ হন আতাপাত্তু। স্বর্ণার দুর্দান্ত থ্রোয়ে রান আউট হন হার্সিতা সামারাবিক্রমা (১১ বলে ৪)। নাহিদা আক্তারের বলে স্ট্যাম্পিং হয়ে ফেরেন কাভিশা দিলহারি (৬ বলে ৪)।
পঞ্চম উইকেটে ফের ঘুরে দাঁড়ায় শ্রীলংকা। মাত্র ৭৫ বলে ৭৪ রানের জুটি গড়েন নিলাকশিকা সিলভা ও হাসিনি। এই সময় রান ছুটছিল ৩০০’র দিকে। এ সময় স্বর্ণা বোলিংয়ে এসে আবার বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান। ৩২তম ওভার থেকে ৩৬তম ওভারের মধ্যে মাত্র ৮ রানে ৪ উইকেট তুলে নেন বাংলাদেশি বোলাররা, যার মধ্যে তিনটিই নেন স্বর্ণা আর অন্যটি নেন নিশিকা আক্তার নিশি। এর মধ্যে ৩৬তম ওভারে ৯৯ বলে ৮৫ রান করার হাসিনি পেরেরাকে ফেরালে ম্যাচের পুরো নিয়ন্ত্রণই বাংলাদেশের হাতে চলে আসে।
এ রকম সুবিধাজনক অবস্থানে থেকেও শেষটা মনমতো হয়নি বাংলাদেশের। নবম উইকেটে উদেশিকা প্রবোধনী আর মালকি মাদারা ১২ ওভারের বেশি উইকেটে কাটিয়ে দেন। এ সময় রান আসে ১৮টি। ৪৮তম ওভারে প্রবোধনী আউট হয়ে গেলে আরও ২ রান যোগ করেন ইনোকা রানাবীরা।
শেষ পর্যন্ত ৪৮ ওভার ৪ বলে ২০২ রানে অলআউট হয়েছে শ্রীলংকা। শেষ দুই উইকেট জুটির ২০ রানই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে বাংলাদেশ আর শ্রীলংকার মধ্যে।
বাংলাদেশের হয়ে ৩টি উইকেট নিয়েছেন স্বর্ণা। দুই উইকেট ঝুলিতে পুড়েছেন রাবেয়া। মারুফা, নিশিতা আর নাহিদা নিয়েছেন একটি করে উইকেট।
ব্যাট হাতে ৪৩ বলে ৪৬ রান করার পর শেষ ওভারের ম্যাজিকে ৩ উইকেটসহ ম্যাচে ৪ উইকেট নিয়েও লংকান ক্যাপ্টেন চামিরা আতাপাত্তু প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ হতে পারেননি। পুরস্কারটি গেছে ৯৯ বলে ৮৫ রান করে শ্রীলংকার ইনিংসকে টেনে নিয়ে যাওয়া হাসিনি পেরেরার হাতে।
এ ম্যাচে হেরে ৬ ম্যাচ পরেও প্রথম ম্যাচের ২ পয়েন্টই সঙ্গী বাংলাদেশের। পয়েন্ট টেবিলে অবস্থান ৭ নম্বরে, তাদের নিচে রয়েছে কেবল পাকিস্তান। শেষ ম্যাচ ভারতের বিপক্ষে আগামী রোববার, যেটি বিশ্বকাপেরই গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ।
এদিকে শ্রীলংকা ৬ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে ষষ্ঠ স্থানে। তাদের সেমিফাইনালে যাওয়ার হিসাব এখনো কাগজে কলমে টিকে রয়েছে।
ভোট দেওয়ার পর গণমাধ্যমকর্মীদের বুলবুল বলেন, ‘আগে কখনো নির্বাচন করিনি। নির্বাচনে অংশগ্রহণও করিনি। যা-ই দেখছি, সব নতুন লাগছে। বিভিন্ন জেলা থেকে লোক এসেছে, ক্লাবের প্রতিনিধি আর অংশীদাররাও আছেন। রোমাঞ্চ তো থাকবেই। এই নির্বাচনে আমি অংশ নিচ্ছি। দেখা যাক।’
১৪ দিন আগে