
সুকুমার রায়

এক-একরকম জানোয়ারের এক-একরকম অস্ত্র। কেউ শিং দিয়ে গুঁতায়, কেউ নখ দিয়ে আঁচড়ায়, কেউ দেয় দাঁতের কামড়, কেউ মারে হুলের খোঁচা। ক্যাঙারুর ল্যাজের ঝাপটা, ঈগলের ধারালো ঠোঁট, অস্ত্র হিসাবে এগুলিও বড়ো কম নয়। কিন্তু তার চাইতেও অশ্চির্য অস্ত্র আছে একরকম বান মাছের গায়ে। তোমরা কেউ ‘ব্যাটারির’ ‘শক খেয়েছ কি? কিম্বা খোলা বিদ্যুতের তারে ভুলে হাত দিয়েছ কি? এই মাছকে ধরতে গেলে গায়ের মধ্যে ঠিক তেমনি ধাক্কা লাগে।
এই অদ্ভুত মাছকে ইংরাজিতে বলে Electric Eel অর্থাৎ বৈদ্যুতিক ঈল। বান মাছের মতো চেহারা, সাপের মতো লম্বা, মুখে ধারাল দাঁত—এক-একটি ঈগল পাঁচ-ছয় হাত পর্যন্ত বড়ো হয়। এই জাতীয় মাছ পৃথিবীর নানা স্থানে পাওয়া যায়, কিন্তু যেগুলিতে বিদ্যুতের তেজ দেখা যায় সেগুলি থাকে কেবল আমেরিকার বড়ো-বড়ো নদীর ধারে-কাছে। এক-একটা ঈগলের এমন অশ্চির্য তেজ, তারা বিদ্যুৎ চালিয়ে অন্য মাছদের তো মেরে ফেলেই, এমনকি, বড়ো-বড়ো জানোয়ারগুলোকেও এক-এক সময় তারা অস্থির করে তোলে। গোরু, ঘোড়া পর্যন্ত কত সময়ে জল খেতে নেমে ঈগলের পাল্লায় পড়ে যন্ত্রণায় লাফালাফি করতে থাকে। সেদেশের লোকেরা রীতিমতো বর্শা বল্লম নিয়ে এই মাছ শিকার করে, কারণ, কোনোরকমে তার গায়েগা ঠেকলেই বড়ো-বড়ো জোয়ান মানুষকেও বাপ রে মা রে করে চেঁচাতে হয়। একবার কতগুলো ঘোড়া একটা বিলের মধ্যে জল খেতে গিয়েছিল। সেখানে প্রায় চল্লিশ-পঞ্চাশটা বড়োবড়ো ঈল এক জায়গায় জড়ো হয়েছিল। ঘোড়াগুলো তার মাঝখানে পড়েই চীৎকার করে লাথি ছুড়ে ডাঙায় পালিয়ে আসল। কিন্তু একটা ঘোড়া তার মধ্যে একটু বেশি কাহিল হয়েছিল, সেটা অনেকক্ষণ পর্যন্ত জলের ধারে অধিমরা অবস্থায় পড়েছিল। ঈগলগুলোও অবশ্য লাথির চোটে সেখানে বেশিক্ষণ টিকতে পারে নি।
এমনই সাংঘাতিক অস্ত্র এরা কেমন করে ব্যবহার করে, আর কেমন করে তাদের শরীরের মধ্যে এতখানি বিদ্যুৎ সঞ্চিত হয়, তা এখনো পণ্ডিতেরা খুব স্পষ্ট করে বলতে পারেন নি। মাছটাকে ধরে চিরলে পরে দেখা যায়, তার শিরদাঁড়ার দুই পাশে পিঠ থেকে ল্যাজ পর্যন্ত ছোটোছোটো কোম্ন, তার মধ্যে একরকম আঠালো রস। এইটিই তার বৈদ্যুতিক অস্ত্র। অস্ত্রের ব্যবহার করতে হলে সে কেবল তার শরীরটাকে বাঁকিয়ে ল্যাজ আর মাথা শক্রর গায়ে ঠেকিয়ে দেয়। কয়েকবার ক্রমাগত অস্ত্রের ব্যবহার করলে মাছটা আপনা থেকেই কেমন নির্জীব হয়ে পড়ে—তখন আর তার বিদ্যুতের তেজ থাকে না। কিন্তু খানিকক্ষণ বিশ্রাম করলে আবার তার তেজ ফিরে আসে। সব সময়ে যে ইচ্ছা করে সে খামকা অস্ত্র ব্যবহার করে, তা নয়। কোনোরকমে ভয় পেলে বা চমকালেও তার গায়ে বিদ্যুৎ খেলে।
এরকম বৈদ্যুতিক শক্তি আরো কোনো কোনো মাছের ও অন্য জলজন্তুর মধ্যেও দেখা যায়। আফ্রিকায় মাগুর জাতীয় একরকম মাছ আছে, তারও তেজ বড়ো কম নয়।
তার সমস্ত শরীরটাই যেন বিদ্যুতের কোষে ঢাকা। একটা চৌবাচ্চায় অন্যান্য মাছের সঙ্গে একে রাখলে তবে এর মেজাজের পরিচয় পাওয়া যায়। দুদিন না যেতেই দেখবে যে আর সব মাছকে মেরে সে সাবাড় করেছে। আফ্রিকার অরিবেরা এর নাম বলে ‘রাদ' অর্থাৎ বজ্র মাছ।

এক-একরকম জানোয়ারের এক-একরকম অস্ত্র। কেউ শিং দিয়ে গুঁতায়, কেউ নখ দিয়ে আঁচড়ায়, কেউ দেয় দাঁতের কামড়, কেউ মারে হুলের খোঁচা। ক্যাঙারুর ল্যাজের ঝাপটা, ঈগলের ধারালো ঠোঁট, অস্ত্র হিসাবে এগুলিও বড়ো কম নয়। কিন্তু তার চাইতেও অশ্চির্য অস্ত্র আছে একরকম বান মাছের গায়ে। তোমরা কেউ ‘ব্যাটারির’ ‘শক খেয়েছ কি? কিম্বা খোলা বিদ্যুতের তারে ভুলে হাত দিয়েছ কি? এই মাছকে ধরতে গেলে গায়ের মধ্যে ঠিক তেমনি ধাক্কা লাগে।
এই অদ্ভুত মাছকে ইংরাজিতে বলে Electric Eel অর্থাৎ বৈদ্যুতিক ঈল। বান মাছের মতো চেহারা, সাপের মতো লম্বা, মুখে ধারাল দাঁত—এক-একটি ঈগল পাঁচ-ছয় হাত পর্যন্ত বড়ো হয়। এই জাতীয় মাছ পৃথিবীর নানা স্থানে পাওয়া যায়, কিন্তু যেগুলিতে বিদ্যুতের তেজ দেখা যায় সেগুলি থাকে কেবল আমেরিকার বড়ো-বড়ো নদীর ধারে-কাছে। এক-একটা ঈগলের এমন অশ্চির্য তেজ, তারা বিদ্যুৎ চালিয়ে অন্য মাছদের তো মেরে ফেলেই, এমনকি, বড়ো-বড়ো জানোয়ারগুলোকেও এক-এক সময় তারা অস্থির করে তোলে। গোরু, ঘোড়া পর্যন্ত কত সময়ে জল খেতে নেমে ঈগলের পাল্লায় পড়ে যন্ত্রণায় লাফালাফি করতে থাকে। সেদেশের লোকেরা রীতিমতো বর্শা বল্লম নিয়ে এই মাছ শিকার করে, কারণ, কোনোরকমে তার গায়েগা ঠেকলেই বড়ো-বড়ো জোয়ান মানুষকেও বাপ রে মা রে করে চেঁচাতে হয়। একবার কতগুলো ঘোড়া একটা বিলের মধ্যে জল খেতে গিয়েছিল। সেখানে প্রায় চল্লিশ-পঞ্চাশটা বড়োবড়ো ঈল এক জায়গায় জড়ো হয়েছিল। ঘোড়াগুলো তার মাঝখানে পড়েই চীৎকার করে লাথি ছুড়ে ডাঙায় পালিয়ে আসল। কিন্তু একটা ঘোড়া তার মধ্যে একটু বেশি কাহিল হয়েছিল, সেটা অনেকক্ষণ পর্যন্ত জলের ধারে অধিমরা অবস্থায় পড়েছিল। ঈগলগুলোও অবশ্য লাথির চোটে সেখানে বেশিক্ষণ টিকতে পারে নি।
এমনই সাংঘাতিক অস্ত্র এরা কেমন করে ব্যবহার করে, আর কেমন করে তাদের শরীরের মধ্যে এতখানি বিদ্যুৎ সঞ্চিত হয়, তা এখনো পণ্ডিতেরা খুব স্পষ্ট করে বলতে পারেন নি। মাছটাকে ধরে চিরলে পরে দেখা যায়, তার শিরদাঁড়ার দুই পাশে পিঠ থেকে ল্যাজ পর্যন্ত ছোটোছোটো কোম্ন, তার মধ্যে একরকম আঠালো রস। এইটিই তার বৈদ্যুতিক অস্ত্র। অস্ত্রের ব্যবহার করতে হলে সে কেবল তার শরীরটাকে বাঁকিয়ে ল্যাজ আর মাথা শক্রর গায়ে ঠেকিয়ে দেয়। কয়েকবার ক্রমাগত অস্ত্রের ব্যবহার করলে মাছটা আপনা থেকেই কেমন নির্জীব হয়ে পড়ে—তখন আর তার বিদ্যুতের তেজ থাকে না। কিন্তু খানিকক্ষণ বিশ্রাম করলে আবার তার তেজ ফিরে আসে। সব সময়ে যে ইচ্ছা করে সে খামকা অস্ত্র ব্যবহার করে, তা নয়। কোনোরকমে ভয় পেলে বা চমকালেও তার গায়ে বিদ্যুৎ খেলে।
এরকম বৈদ্যুতিক শক্তি আরো কোনো কোনো মাছের ও অন্য জলজন্তুর মধ্যেও দেখা যায়। আফ্রিকায় মাগুর জাতীয় একরকম মাছ আছে, তারও তেজ বড়ো কম নয়।
তার সমস্ত শরীরটাই যেন বিদ্যুতের কোষে ঢাকা। একটা চৌবাচ্চায় অন্যান্য মাছের সঙ্গে একে রাখলে তবে এর মেজাজের পরিচয় পাওয়া যায়। দুদিন না যেতেই দেখবে যে আর সব মাছকে মেরে সে সাবাড় করেছে। আফ্রিকার অরিবেরা এর নাম বলে ‘রাদ' অর্থাৎ বজ্র মাছ।

এদিকে ওসমান হাদির ওপর হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটির নম্বর প্লেটের সূত্র ধরে একজনকে আটক করা হয়েছে। গতকাল রাতে মোহাম্মদপুর থেকে মোটরসাইকেল মালিক আব্দুল হান্নানকে আটক করা হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
আসিফ মাহমুদ সজীব বলেন, দেশকে মেধাহীন করার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র করছে পাকিস্তানি বাহিনী এবং তাদের এ দেশীয় দোসররা। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্বপ্ন অনুযায়ী স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও তাদের প্রাপ্তি এখনো সীমিত।
৩ ঘণ্টা আগে
নোটিশে তিনি উল্লেখ করেছেন, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁ জেলাসহ বরেন্দ্র অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে শত শত পরিত্যক্ত নলকূপ এখনও অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে, যা জনসাধারণের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করছে।
৪ ঘণ্টা আগে
ইসির বার্তায় বলা হয়েছে, ‘ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট ২০২৬ উপলক্ষে নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা/কর্মচারীগণ, নিজ নির্বাচনী এলাকার বাইরে কর্মরত সরকারি চাকরিজীবী, আইনি হেফাজতে থাকা ভোটারগণকে ইন কান্ট্রি পোস্টাল ভোট (আইসিপিভি) এর মাধ্যমে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট ২০২৬ এ ভো
৫ ঘণ্টা আগে