আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে হাসনাতের পোস্ট

ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি লেখা শেয়ার করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ‘আওয়ামী লীগকে অবশ্যই নিষিদ্ধ করতে হবে’ শিরোনামে একটি পোস্ট শেয়ার করেন তিনি। মূল লেখাটি আরিফ সোহেল নামের একজনের লেখা, যেখানে আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ভাষায় বক্তব্য দেওয়া হয়েছে।

পোস্টটিতে দাবি করা হয়, কেবল নির্বাহী আদেশে দল বা সংগঠন নিষিদ্ধ করলেই যথেষ্ট নয়, বরং সুনির্দিষ্ট বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দোষী নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

লেখায় বলা হয়, ‘ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ ঘোষণার পরও তাদের নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করছে এবং রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছে।’

এ ছাড়া, পোস্টে দাবি করা হয়, ‘শুধু নিষিদ্ধের দাবিতে সীমাবদ্ধ না থেকে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিচার ও দণ্ড নিশ্চিত করাই হতে হবে মূল লক্ষ্য।’

আরও বলা হয়, ‘যদি সুষ্ঠু বিচার হয়, তবে সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ-সংগঠনগুলো টিকে থাকতে পারবে না। যেমন ন্যুরেমবার্গ ট্রায়ালের মাধ্যমে নাৎসি পার্টিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, তেমনই ‘বেআওয়ামীকরণ’ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।’

এ পোস্ট ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। কেউ কেউ এটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হিসেবে দেখছেন, আবার অনেকে এটিকে উসকানিমূলক ও অশালীন বলে আখ্যায়িত করেছেন।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।

বি.দ্র. এ ধরনের বক্তব্য রাজনৈতিকভাবে সংবেদনশীল ও বিভেদমূলক হওয়ায় এর যথাযথ যাচাই, প্রাসঙ্গিকতা ও দৃষ্টিভঙ্গি ব্যাখ্যার প্রয়োজন রয়েছে। সাংবাদিকতার নীতিমালা অনুযায়ী উসকানিমূলক ও ঘৃণাপূর্ণ বক্তব্য পরিবেশনে সতর্কতা অবলম্বন করা হয়।

ad
ad

খবরাখবর থেকে আরও পড়ুন

দুদক কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

তিনি জানান, দুদকের প্রধান গেটের বিপরীত পাশে মোটরসাইকেলে এসে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায় দূর্বৃত্তরা। তবে কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা শনাক্ত করা যায়নি।

২০ ঘণ্টা আগে

শেখ হাসিনার প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির রায়ে সাত নির্দেশনা

নির্দেশনায় বলা হয় , রাজউক দীর্ঘদিন ধরে ইচ্ছাকৃতভাবে সরকারি জমি বরাদ্দের আইনি প্রক্রিয়া উপেক্ষা করেছে। চেয়ারম্যানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বাধ্যতামূলক নিয়ম না মেনে বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের আবেদনের অনুমোদন দিয়েছেন। বরাদ্দ প্রক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর

২০ ঘণ্টা আগে

শেখ হাসিনার মামলায় লড়বেন না আইনজীবী জেড আই খান পান্না

‘আদালতে যদি আমি প্রোপার-ওয়েতে, নির্বিঘ্নে ডিফেন্ড না করতে পারি তা হলে তো সেখানে আইনজীবী হিসেবে নিয়োজিত হয়ে কোনো লাভ নেই,’ বলেন তিনি।

২১ ঘণ্টা আগে

উপদেষ্টা পরিষদে চার অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন

অনুমোদিত চারটি অধ্যাদেশ হলো—দুর্নীতি দমন কমিশন (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫, মানবপাচার ও অভিবাসী চোরাচালান প্রতিরোধ ও দমন অধ্যাদেশ ২০২৫, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) অধ্যাদেশ ২০২৫ এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ, ২০২৫।

২১ ঘণ্টা আগে