
ঢাবি প্রতিনিধি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে বিজিবির অবস্থান সংবিধানসম্মত নয় মন্তব্য করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. গীতি আরা নাসরীন বলেছেন, যদি নিরাপত্তা বাহিনী থাকেই, তাদের শিক্ষার্থীদের পক্ষেই থাকতে হবে। নইলে তারা ক্যাম্পাসে থাকতে পারবেন না।
বুধবার (১৭ জুলাই) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার সামনে আয়োজিত নিপীড়নবিরোধী শিক্ষক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। এসময় ক্যাম্পাসে বিজিবির উপস্থিতি ও হল বন্ধের নির্দেশের সমালোচনা করেন তিনি।
গীতি আরা নাসরীন বলেন, বিজিবি যদি ক্যম্পাসে থাকে, এটা সংবিধানবহির্ভূত। তারপরও যদি নিরাপত্তা বাহিনী থাকে, তাদের শিক্ষার্থীদের পক্ষেই থাকতে হবে। নইলে তারা ক্যাম্পাসে থাকতে পারবে না। আর শিক্ষার্থীদের আপনারা যে কোনো মুহূর্তে চলে যেতে বলতে পারেন না। তারা যা চায়, তাই হবে। আপনারা তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করুন। তাদের কোনো কিছুতে বাধ্য করবেন না।
শিক্ষক সমিতির সমালোচনা করে এ অধ্যাপক বলেন, শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের ভাষা বোঝেন না। দেশের সর্বত্র বৈষম্য। শিক্ষার্থীদের জীবন অনিশ্চিত। এসময় তারা কী শব্দ বলছে তা নিয়ে আপনারা (শিক্ষক সমিতি) বিবৃতি দেন, আপনারা তাদের কষ্টই বোঝেন না।
তিনি বলেন, প্রতিদিন যখন দেশ লুট হয়ে যায়, তখন শিক্ষার্থীরা ঊনসত্তরের শামসুজ্জোহাকে মনে করেন। আপনাদের চেহারা কেন মনে আসে না? আপনারা তাদের দেশের প্রতি ভালোবাসা নিয়ে প্রশ্ন করেন? তারা তো মাথায় পতাকা বেঁধে যায়। (বরং) তাদের যারা মারতে আসে, তাদের হাতে পতাকা দেখিনি। তাদের কাছে লাঠি, ক্রিকেট ব্যাট, পাইপ দেখেছি। রাবার বুলেট ছোড়ে তারা।
গীতি আরা নাসরীন বলেন, পাকিস্তান অন্য একটি দেশ ভেবে আমাদের শোষণ করেছে। আমাদের দেশে শোষণ করে যারা অন্য অঞ্চলে গিয়ে সম্পদ গড়ছে, আপনারা তাদের ধরেন না। তারা রাজাকার না? প্রশ্ন করে যারা, তারা রাজাকার! ‘ভীতি, অনুরাগ বা বিরাগের বশবর্তী না হইয়া যথারীতি সবার প্রতি আইন অনুযায়ী যথাবিহিত আচরণ করিব’ এই শপথ নিয়ে আপনারা শপথের মর্যাদা রক্ষা করেন না। আপনারা অনুরাগ-বিরাগের বশবর্তী হয়ে কোটা বাতিল করেন।
তিনি বলেন, একসময় যাদের সঙ্গে আপনার কথা বলার কথা, বুকে জড়িয়ে ধরার কথা, সেই বুকে আপনারা গুলি করেন। একাত্তর থেকে আজ পর্যন্ত এসেছি। একাত্তরও যা দিয়েছে, আজকের আন্দোলনও তা দিয়েছে। আমাকে দিয়েছে শক্তি। আমরা যারা প্রশ্ন করতে ভুলে গিয়েছি, আমার অধিকার যে আমাকেই আদায় করতে হবে, তা শিক্ষার্থীদের কাছে শিখছি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে বিজিবির অবস্থান সংবিধানসম্মত নয় মন্তব্য করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. গীতি আরা নাসরীন বলেছেন, যদি নিরাপত্তা বাহিনী থাকেই, তাদের শিক্ষার্থীদের পক্ষেই থাকতে হবে। নইলে তারা ক্যাম্পাসে থাকতে পারবেন না।
বুধবার (১৭ জুলাই) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার সামনে আয়োজিত নিপীড়নবিরোধী শিক্ষক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। এসময় ক্যাম্পাসে বিজিবির উপস্থিতি ও হল বন্ধের নির্দেশের সমালোচনা করেন তিনি।
গীতি আরা নাসরীন বলেন, বিজিবি যদি ক্যম্পাসে থাকে, এটা সংবিধানবহির্ভূত। তারপরও যদি নিরাপত্তা বাহিনী থাকে, তাদের শিক্ষার্থীদের পক্ষেই থাকতে হবে। নইলে তারা ক্যাম্পাসে থাকতে পারবে না। আর শিক্ষার্থীদের আপনারা যে কোনো মুহূর্তে চলে যেতে বলতে পারেন না। তারা যা চায়, তাই হবে। আপনারা তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করুন। তাদের কোনো কিছুতে বাধ্য করবেন না।
শিক্ষক সমিতির সমালোচনা করে এ অধ্যাপক বলেন, শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের ভাষা বোঝেন না। দেশের সর্বত্র বৈষম্য। শিক্ষার্থীদের জীবন অনিশ্চিত। এসময় তারা কী শব্দ বলছে তা নিয়ে আপনারা (শিক্ষক সমিতি) বিবৃতি দেন, আপনারা তাদের কষ্টই বোঝেন না।
তিনি বলেন, প্রতিদিন যখন দেশ লুট হয়ে যায়, তখন শিক্ষার্থীরা ঊনসত্তরের শামসুজ্জোহাকে মনে করেন। আপনাদের চেহারা কেন মনে আসে না? আপনারা তাদের দেশের প্রতি ভালোবাসা নিয়ে প্রশ্ন করেন? তারা তো মাথায় পতাকা বেঁধে যায়। (বরং) তাদের যারা মারতে আসে, তাদের হাতে পতাকা দেখিনি। তাদের কাছে লাঠি, ক্রিকেট ব্যাট, পাইপ দেখেছি। রাবার বুলেট ছোড়ে তারা।
গীতি আরা নাসরীন বলেন, পাকিস্তান অন্য একটি দেশ ভেবে আমাদের শোষণ করেছে। আমাদের দেশে শোষণ করে যারা অন্য অঞ্চলে গিয়ে সম্পদ গড়ছে, আপনারা তাদের ধরেন না। তারা রাজাকার না? প্রশ্ন করে যারা, তারা রাজাকার! ‘ভীতি, অনুরাগ বা বিরাগের বশবর্তী না হইয়া যথারীতি সবার প্রতি আইন অনুযায়ী যথাবিহিত আচরণ করিব’ এই শপথ নিয়ে আপনারা শপথের মর্যাদা রক্ষা করেন না। আপনারা অনুরাগ-বিরাগের বশবর্তী হয়ে কোটা বাতিল করেন।
তিনি বলেন, একসময় যাদের সঙ্গে আপনার কথা বলার কথা, বুকে জড়িয়ে ধরার কথা, সেই বুকে আপনারা গুলি করেন। একাত্তর থেকে আজ পর্যন্ত এসেছি। একাত্তরও যা দিয়েছে, আজকের আন্দোলনও তা দিয়েছে। আমাকে দিয়েছে শক্তি। আমরা যারা প্রশ্ন করতে ভুলে গিয়েছি, আমার অধিকার যে আমাকেই আদায় করতে হবে, তা শিক্ষার্থীদের কাছে শিখছি।

অন্তর্বর্তী সরকার বিজ্ঞপ্তিতে বলছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার ঘটনায় সৃষ্ট জনমনের উদ্বেগ ও আতঙ্ক সম্পর্কে সরকার অবগত। পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরকে অবিলম্বে মাঠপর্যায়ে নেমে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপেছে সারা দেশ। ছুটির দিনের সকালে এ ভূমিকম্প আতঙ্ক ছড়িয়েছে মোনুষের মধ্যে। এরই মধ্যে ভূমিকম্পে ঢাকায় একটি ভবনের রেলিং ভেঙে রাস্তায় পড়লে তিন পথচারী ও নারায়ণগঞ্জে দেয়াল ধসে এক শিশুর মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। রাজধানী ভবন হেলে পড়াসহ একাধিক ভবনে ফাটলের তথ্
৫ ঘণ্টা আগে
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএসের হিসাব বলছে, ভূমিকম্পের অনুমিত মাত্রা রিখটার স্কেলে ৫.২। বাংলাদেশের নরসিংদীর ঘোড়াশাল থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে এর উৎপত্তি। বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে এটি প্রভাব ফেলেছে।
৭ ঘণ্টা আগে
সেখানে রাষ্ট্রপতি শিখা অনির্বাণের বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর শহিদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দাঁড়িয়ে ১ মিনিট নিরবতা পালন করেন। তিন বাহিনীর একটি চৌকস দল এ সময় সামরিক কায়দায় অভিবাদন জানায়। বিউগলে বাজানো হয় করুণ সুর। পরে রাষ্ট্রপতি শিখা অনির্বাণ চত্বরে রাখা পরিদর্শন বইয়ে সই করেন।
৭ ঘণ্টা আগে