প্রতিষ্ঠানের গাফিলতি

এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি ২ শিক্ষার্থী

ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম

২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনেই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি উত্তরা হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের মানবিক বিভাগের দুই শিক্ষার্থী ইয়াসির আরাফাত ও সাজ্জাদ হোসেন।

তারা অভিযোগ করেছেন, প্রতিষ্ঠানটির অনিয়ম ও গাফিলতির কারণে তারা পরীক্ষার প্রবেশপত্র (এডমিট কার্ড) না পেয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারেননি।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ইয়াসির আরাফাত বলেন, ‘বুধবার রাত ১২টা পর্যন্ত কলেজে বসিয়ে রাখা হয়। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ইভানা তালুকদার আমাদের বারবার আশ্বাস দেন যে সকালে এডমিট কার্ড দেওয়া হবে। কিন্তু সকালে এসেও আমরা তা পাইনি। যাওয়ার সময় তিনি বলেন, বিষয়টি কাউকে যেন না বলি, বললে পরীক্ষায় বসতে পারব না।’

অপর শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেনের বাবা আবদুল গফুর অভিযোগ করেন, ‘আমার ছেলের রোল ১০৯১। কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষ সেটি পরিবর্তন করে অন্য কাউকে দিয়েছে। তারা টাকা খেয়ে আমার ছেলের রোল অন্যজনের নামে বিক্রি করেছে। গতকাল রাতেও আমরা কলেজে গিয়েছিলাম, তখনও আশ্বাস দেওয়া হয় সকালে এডমিট কার্ড পাওয়া যাবে। এখন কেউ ফোন ধরছে না।’

সাজ্জাদের মা বিলকিস বেগম কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘আমার ছেলের জীবন নষ্ট করে দিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। সকাল থেকে গেটের সামনে দাঁড়িয়ে আছি, কেউ সাড়া দিচ্ছে না, ফোনও ধরছে না।’

ঘটনার বিষয়ে উত্তরা হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ইভানা তালুকদারের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তিনি ফোন ধরেননি।

এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির গভর্নিংবডির সভাপতি ও ডিএনসিসি অঞ্চল-১০ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঘটনাটি দুঃখজনক। শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণের দায়িত্বে থাকা শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে তদন্ত কমিটি। কার গাফিলতিতে এমনটা হয়েছে তা তদন্তেই বেরিয়ে আসবে। প্রমাণ মিললে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকেও ছাড় দেওয়া হবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে এমন অবহেলা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ad
ad

খবরাখবর থেকে আরও পড়ুন

ঢাকায় আসছেন কমনওয়েলথ মহাসচিব

আগামী ফেব্রুয়ারি ২০২৬-এর জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে এই সফরকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এই সফরের মাধ্যমে কমনওয়েলথ বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে আরও নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে।

৫ ঘণ্টা আগে

আজ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল নিয়ে আপিলের রায়

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার সাংবিধানিক ইতিহাস দীর্ঘ। ১৯৯৬ সালে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে এই ব্যবস্থা সংযোজিত হয়। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৯৯৮ সালে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।

৫ ঘণ্টা আগে

ন্যায়ভিত্তিক জলবায়ু কার্যক্রম বাস্তবায়নের আহ্বান বাংলাদেশের

তিনি বলেন, বিশ্ব যখন অপরিবর্তনীয় জলবায়ু ক্ষতি এবং বহুপাক্ষিকতার প্রতি আস্থাহীনতার কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি, তখন বাংলাদেশের জন্য জলবায়ু পরিবর্তন কোনো দূরবর্তী ধারণা নয়, বরং প্রতিদিনের অভিজ্ঞতা। তাপমাত্রা বৃদ্ধি, ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি ও ভাঙনে লাখো মানুষ বাস্তুচ্যুত হচ্ছে, জীববৈচি

১৭ ঘণ্টা আগে

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালতের রায় বৃহস্পতিবার

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী জাতীয় সংসদে গৃহীত হয় ১৯৯৬ সালে। এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে অ্যাডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ তিনজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন। ২০১১ সালের ১০ মে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনের জন্য প্রণীত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা

১৮ ঘণ্টা আগে