রাজশাহী ব্যুরো
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) পোষ্য কোটা ফেরানোর প্রতিবাদে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে উপ-উপাচার্য, প্রক্টর, শিক্ষক, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটছে। আজ শনিবার বিকেল সোয়া চারটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবেরী ভবনের বারান্দায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মাঈন উদ্দীন খান, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর ও জনসংযোগ প্রশাসকসহ প্রশাসনের অন্তত ১০ জনকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে শিক্ষার্থীরা।
এর আগে শনিবার বিকাল তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবন থেকে গাড়ি নিয়ে বের হচ্ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন। এ সময় শিক্ষার্থীরা তার গাড়ি আটকে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। এরপর শিক্ষার্থীরা উপ-উপাচার্যের গাড়ির ইঞ্জিনের ওপর প্রতীকী ‘ভিক্ষা’ হিসেবে খুচরা টাকা দেন। প্রায় ২০ মিনিট সেখানে উপ–উপাচার্যকে গাড়িতে আটকে বিক্ষোভ করা হয়। এরপর গাড়িচালকের কাছ থেকে শিক্ষার্থীরা গাড়ির চাবি কেড়ে নিলে উপ-উপাচার্য গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে তাঁর বাসভবনের দিকে যেতে থাকেন। তখন শিক্ষার্থীরাও তার পিছু নেন। একপর্যায়ে দৌড়ে গিয়ে শিক্ষার্থীরা তাঁর বাসভবনের ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন। এতে সেখানে আটকা পড়েন সহ-উপাচার্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরসহ প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা।
এ সময় তারা জুবেরী ভবনের দিকে আসতে থাকলে শিক্ষার্থীরাও স্লোগান দিতে দিতে তাদের পেছনে আসে। এক পর্যায়ে জুবেরী ভবনের বারান্দায় আসলে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক এবং ছাপাখানার এক কর্মকর্তা শিক্ষার্থীদের আটকানোর চেষ্টা করলে এক পর্যায়ে হাতাহাতি শুরু হয়। এ সময় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মাঈন উদ্দীন খানকে চারপাশ থেকে আটকে দেন শিক্ষার্থীরা। পরে হাতাহাতির একপর্যায়ে উপ-উপাচার্য জুবেরী ভবনের দ্বিতীয় তলায় চলে গেলে শিক্ষার্থীরা তাকে ভবনের দ্বিতীয় তলার বারান্দায় অবরুদ্ধ করে রাখেন। এরই মধ্যে সেখানে ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক কামাল উদ্দিন, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদসহ কয়েকজন শিক্ষক উপস্থিত হোন। পরে তাদের সাথেও ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে।
হাতাহাতি ও ধস্তাধস্তির ঘটনায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন আম্মার, শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আল শাহরিয়ার শুভসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় সাবেক সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার নিজের ফেসবুকে লিখেছেন, ‘জুলাইয়ের পর আবার মাইর খাওয়া শুরু হলো। রাবি প্রশাসন গায়ে হাত তুলল, গলা চেপে ধরল। কোনো অভিযোগ দেব না, তদন্ত কমিটিও গঠন করব না। শুধু পোষ্য কোটা পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত বাতিল করবে। ইনসাফের লড়াইয়ে রাবিয়ানরা আরেকবার এগিয়ে আসেন।’
তিনি জুবেরী ভবনে বলেন, ‘সবাইকে ডাকেন। আরও একটি বিপ্লব এই ক্যাম্পাসে হোক। পোষ্য কোটাকে নামে-বেনামে এই ক্যাম্পাসে থাকতে দেব না।’
প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছিলেন। এ সময় প্রশাসন ভবনে গাড়ি আটকে দেন শিক্ষার্থীরা। পরে তিনি হেঁটে বাসায় যেতে থাকেন। তাঁকে বাসায় যেতে দেওয়া হয়নি। পরে পাশেই জুবেরী ভবনে আলোচনার জন্য ঢুকতে চেয়েছিলেন। জুবেরী ভবনে প্রবেশ করার সময় সামনে এসে দাঁড়ান শিক্ষার্থীরা। তখন এক পর্যায়ে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। কে কীভাবে শুরু করেন, তিনি জানেন না।
প্রক্টর আরও বলেন, ‘আমি শিক্ষার্থীর হাত ধরতে পারি। কিন্তু একজন শিক্ষার্থী তো উপ-উপাচার্যের হাত ধরে টেনে ধরতে পারে না। এটা মনে করি, লাঞ্ছিত করা। আমার হাতের ঘড়ি, পকেটের ১০ হাজার টাকা পাচ্ছি না। উপ-উপাচার্য জুবেরী ভবনের বারান্দায় আছেন। তাকে শিক্ষার্থীরা ঘিরে রেখেছেন।’
জুবেরী ভবনে উপ-উপাচার্য মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাকে যতই ভাত না খেয়ে রাখুক, যতই বাসায় ঢুকতে না দিক, আমি একক কোনো সমাধান দেওয়ার এখতিয়ার রাখি না। সমাধান বডিতে বসে দেওয়া লাগবে। আমি কেন অবরুদ্ধ হলাম, সেটা আমার জানা নাই।’
সার্বিক বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীবের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি সাড়া দেননি। তবে জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার বলেন, 'পোষ্য কোটা আলাদা একটা ইস্যু। আমরা রাকসুর বিষয়ে মিটিং করে যাচ্ছি। যথা সময়েই রাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।'
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) পোষ্য কোটা ফেরানোর প্রতিবাদে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে উপ-উপাচার্য, প্রক্টর, শিক্ষক, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটছে। আজ শনিবার বিকেল সোয়া চারটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবেরী ভবনের বারান্দায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মাঈন উদ্দীন খান, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর ও জনসংযোগ প্রশাসকসহ প্রশাসনের অন্তত ১০ জনকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে শিক্ষার্থীরা।
এর আগে শনিবার বিকাল তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবন থেকে গাড়ি নিয়ে বের হচ্ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন। এ সময় শিক্ষার্থীরা তার গাড়ি আটকে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। এরপর শিক্ষার্থীরা উপ-উপাচার্যের গাড়ির ইঞ্জিনের ওপর প্রতীকী ‘ভিক্ষা’ হিসেবে খুচরা টাকা দেন। প্রায় ২০ মিনিট সেখানে উপ–উপাচার্যকে গাড়িতে আটকে বিক্ষোভ করা হয়। এরপর গাড়িচালকের কাছ থেকে শিক্ষার্থীরা গাড়ির চাবি কেড়ে নিলে উপ-উপাচার্য গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে তাঁর বাসভবনের দিকে যেতে থাকেন। তখন শিক্ষার্থীরাও তার পিছু নেন। একপর্যায়ে দৌড়ে গিয়ে শিক্ষার্থীরা তাঁর বাসভবনের ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন। এতে সেখানে আটকা পড়েন সহ-উপাচার্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরসহ প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা।
এ সময় তারা জুবেরী ভবনের দিকে আসতে থাকলে শিক্ষার্থীরাও স্লোগান দিতে দিতে তাদের পেছনে আসে। এক পর্যায়ে জুবেরী ভবনের বারান্দায় আসলে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক এবং ছাপাখানার এক কর্মকর্তা শিক্ষার্থীদের আটকানোর চেষ্টা করলে এক পর্যায়ে হাতাহাতি শুরু হয়। এ সময় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মাঈন উদ্দীন খানকে চারপাশ থেকে আটকে দেন শিক্ষার্থীরা। পরে হাতাহাতির একপর্যায়ে উপ-উপাচার্য জুবেরী ভবনের দ্বিতীয় তলায় চলে গেলে শিক্ষার্থীরা তাকে ভবনের দ্বিতীয় তলার বারান্দায় অবরুদ্ধ করে রাখেন। এরই মধ্যে সেখানে ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক কামাল উদ্দিন, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদসহ কয়েকজন শিক্ষক উপস্থিত হোন। পরে তাদের সাথেও ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে।
হাতাহাতি ও ধস্তাধস্তির ঘটনায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন আম্মার, শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আল শাহরিয়ার শুভসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় সাবেক সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার নিজের ফেসবুকে লিখেছেন, ‘জুলাইয়ের পর আবার মাইর খাওয়া শুরু হলো। রাবি প্রশাসন গায়ে হাত তুলল, গলা চেপে ধরল। কোনো অভিযোগ দেব না, তদন্ত কমিটিও গঠন করব না। শুধু পোষ্য কোটা পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত বাতিল করবে। ইনসাফের লড়াইয়ে রাবিয়ানরা আরেকবার এগিয়ে আসেন।’
তিনি জুবেরী ভবনে বলেন, ‘সবাইকে ডাকেন। আরও একটি বিপ্লব এই ক্যাম্পাসে হোক। পোষ্য কোটাকে নামে-বেনামে এই ক্যাম্পাসে থাকতে দেব না।’
প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছিলেন। এ সময় প্রশাসন ভবনে গাড়ি আটকে দেন শিক্ষার্থীরা। পরে তিনি হেঁটে বাসায় যেতে থাকেন। তাঁকে বাসায় যেতে দেওয়া হয়নি। পরে পাশেই জুবেরী ভবনে আলোচনার জন্য ঢুকতে চেয়েছিলেন। জুবেরী ভবনে প্রবেশ করার সময় সামনে এসে দাঁড়ান শিক্ষার্থীরা। তখন এক পর্যায়ে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। কে কীভাবে শুরু করেন, তিনি জানেন না।
প্রক্টর আরও বলেন, ‘আমি শিক্ষার্থীর হাত ধরতে পারি। কিন্তু একজন শিক্ষার্থী তো উপ-উপাচার্যের হাত ধরে টেনে ধরতে পারে না। এটা মনে করি, লাঞ্ছিত করা। আমার হাতের ঘড়ি, পকেটের ১০ হাজার টাকা পাচ্ছি না। উপ-উপাচার্য জুবেরী ভবনের বারান্দায় আছেন। তাকে শিক্ষার্থীরা ঘিরে রেখেছেন।’
জুবেরী ভবনে উপ-উপাচার্য মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাকে যতই ভাত না খেয়ে রাখুক, যতই বাসায় ঢুকতে না দিক, আমি একক কোনো সমাধান দেওয়ার এখতিয়ার রাখি না। সমাধান বডিতে বসে দেওয়া লাগবে। আমি কেন অবরুদ্ধ হলাম, সেটা আমার জানা নাই।’
সার্বিক বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীবের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি সাড়া দেননি। তবে জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার বলেন, 'পোষ্য কোটা আলাদা একটা ইস্যু। আমরা রাকসুর বিষয়ে মিটিং করে যাচ্ছি। যথা সময়েই রাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।'
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) গাজীপুরের শ্রীপুরে বিশ্বব্যাংক আয়োজিত ‘স্ট্রেন্থিনিং এনভায়রনমেন্টাল রেগুলেটারি অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট ক্যাপাসিটি ফর আ সাসটেইনেবল বাংলাদেশ’ শীর্ষক তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা বলেন, ‘আইন প্রয়োগ মানে শুধু জরিমানা নয়, এতে স্বচ্ছতা, বিকল
৩ ঘণ্টা আগেউপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, এ মেলার মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়বে এবং নতুন ব্যবসায়িক সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হবে। বাংলাদেশ সরকারের লক্ষ্য হলো ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ ব্র্যান্ডকে বিশ্বমানের প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা। এজন্য প্রয়োজন উৎপাদনভিত্তিক শিল্পের বিকাশ, প্রযুক্তি স্থানান্তর, গবেষণা ও উদ
৩ ঘণ্টা আগেজেলা সমিতিগুলোকে ব্যক্তি কেন্দ্রীক না হয়ে কালেকটিভ স্বার্থ রক্ষায় কাজ করার আহ্বান জানান অর্থ উপদেষ্টা। নিজেদের লোকদের মাঝে মারামারি বন্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সবাইকে সচেতন হতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
৩ ঘণ্টা আগেস্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, জুলাইয়ে গণ-অভ্যুত্থানের চেতনা, আত্মত্যাগ ও বীরত্ব আগামী প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ করে তরুণরা সত্য, ন্যায়, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের চেতনায় উজ্জীবিত হবে।'
৫ ঘণ্টা আগে