ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে বামজোট মনোনীত প্যানেলের মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী বি এম ফাহমিদা আলমের উদ্দেশে দলবদ্ধ ধর্ষণের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের ওই শিক্ষার্থী আলী হোসেন নিজের ফেসবুক আইডিতে এ হুমকি দেন। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
ফাহমিদা ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রশিবির-সমর্থিত জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদের প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেছিলেন। তার দাবি ছিল, ফরহাদ আওয়ামী লীগ আমলে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন।
ফাহমিদার এ রিটের ওপর শুনানি নিয়ে সোমবার বিকেলে হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ ডাকসু নির্বাচনে এক মাসের স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন। পাশাপাশি যে প্রার্থী তালিকার মাধ্যমে ফরহাদকে বৈধ প্রার্থী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে, সেটিও স্থগিত করেন।
পরে অবশ্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আবেদন করলে চেম্বার আদালত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন। তাতে ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু নির্বাচন আয়োজনে বাধা কেটে যায়। এসব ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে বিকেল থেকেই ঢাবি ক্যাম্পাস ছিল উত্তাল।
এর মধ্যেই সোমবার বিকেলে আলী হোসেন তার ফেসবুকে লেখেন, ‘হাইকোর্টের বিপক্ষে এখন আন্দোলন না করে আগে এক গণধর্ষণের পদযাত্রা করা হোক।’
চেম্বার আদালতের আদেশের পর আলী হোসেনের এ স্ট্যাটাস স্পষ্টতই ফাহমিদা আলমের উদ্দেশে বলে বুঝে নিতে কষ্ট হয়নি কারও। তারা আলী হোসেনের এমন বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। আলী হোসেন শিবিরের কর্মী বলেও দাবি করেন অনেকে।
এমন ফেসবুক পোস্টে তীব্র ক্ষোভ জানিয়ে ডাকসু নির্বাচনে ভিপি প্রার্থী শামীম হোসেন বলেন, নারীর প্রতি এ ধরনের অবমাননাকর মন্তব্য কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। মতপার্থক্য থাকতে পারে, কিন্তু কাউকে প্রকাশ্যে এভাবে হুমকি দেওয়া ন্যক্কারজনক অপরাধ।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান শামীম। তার মতো ডাকসু নির্বাচনের প্রার্থী কেবল নয়, সাধারণ শিক্ষার্থীরাও বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক ফেসবুক গ্রুপগুলোতে এর কঠোর সমালোচানা করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীদের অনেকেও সোচ্চার হয়েছেন অনলাইনে।
পোস্টটি নিয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফা ফেসবুকে পালটা পোস্টে লিখেছেন, ‘ফাহমিদার রিট করার অধিকার আছে। এ জন্য তাকে গণধর্ষণের হুমকি দেওয়ার অধিকার নেই কারও। এমন ভাষা ব্যবহারকারীর বিরুদ্ধে অবশ্যই যথাযথ প্রক্রিয়ায় (ডিউ প্রসেস) ব্যবস্থা নিতে হবে।’
ডাকসু নির্বাচনে জিএস প্রার্থী ও ছাত্রশিবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি এস এম ফরহাদ বলেন, রাজনৈতিক মতবিরোধ থাকবে, কিন্তু কাউকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া জঘন্য অপরাধ। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ, বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
অভিযুক্ত শিক্ষার্থী ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত— এমন অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছেন ফরহাদ। তিনি বলেন, শিবিরের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
ডাকসু নির্বাচনে সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) প্রার্থী মহিউদ্দিনও এ ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনিও বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উচিত অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে বামজোট মনোনীত প্যানেলের মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী বি এম ফাহমিদা আলমের উদ্দেশে দলবদ্ধ ধর্ষণের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের ওই শিক্ষার্থী আলী হোসেন নিজের ফেসবুক আইডিতে এ হুমকি দেন। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
ফাহমিদা ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রশিবির-সমর্থিত জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদের প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেছিলেন। তার দাবি ছিল, ফরহাদ আওয়ামী লীগ আমলে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন।
ফাহমিদার এ রিটের ওপর শুনানি নিয়ে সোমবার বিকেলে হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ ডাকসু নির্বাচনে এক মাসের স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন। পাশাপাশি যে প্রার্থী তালিকার মাধ্যমে ফরহাদকে বৈধ প্রার্থী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে, সেটিও স্থগিত করেন।
পরে অবশ্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আবেদন করলে চেম্বার আদালত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন। তাতে ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু নির্বাচন আয়োজনে বাধা কেটে যায়। এসব ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে বিকেল থেকেই ঢাবি ক্যাম্পাস ছিল উত্তাল।
এর মধ্যেই সোমবার বিকেলে আলী হোসেন তার ফেসবুকে লেখেন, ‘হাইকোর্টের বিপক্ষে এখন আন্দোলন না করে আগে এক গণধর্ষণের পদযাত্রা করা হোক।’
চেম্বার আদালতের আদেশের পর আলী হোসেনের এ স্ট্যাটাস স্পষ্টতই ফাহমিদা আলমের উদ্দেশে বলে বুঝে নিতে কষ্ট হয়নি কারও। তারা আলী হোসেনের এমন বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। আলী হোসেন শিবিরের কর্মী বলেও দাবি করেন অনেকে।
এমন ফেসবুক পোস্টে তীব্র ক্ষোভ জানিয়ে ডাকসু নির্বাচনে ভিপি প্রার্থী শামীম হোসেন বলেন, নারীর প্রতি এ ধরনের অবমাননাকর মন্তব্য কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। মতপার্থক্য থাকতে পারে, কিন্তু কাউকে প্রকাশ্যে এভাবে হুমকি দেওয়া ন্যক্কারজনক অপরাধ।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান শামীম। তার মতো ডাকসু নির্বাচনের প্রার্থী কেবল নয়, সাধারণ শিক্ষার্থীরাও বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক ফেসবুক গ্রুপগুলোতে এর কঠোর সমালোচানা করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীদের অনেকেও সোচ্চার হয়েছেন অনলাইনে।
পোস্টটি নিয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফা ফেসবুকে পালটা পোস্টে লিখেছেন, ‘ফাহমিদার রিট করার অধিকার আছে। এ জন্য তাকে গণধর্ষণের হুমকি দেওয়ার অধিকার নেই কারও। এমন ভাষা ব্যবহারকারীর বিরুদ্ধে অবশ্যই যথাযথ প্রক্রিয়ায় (ডিউ প্রসেস) ব্যবস্থা নিতে হবে।’
ডাকসু নির্বাচনে জিএস প্রার্থী ও ছাত্রশিবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি এস এম ফরহাদ বলেন, রাজনৈতিক মতবিরোধ থাকবে, কিন্তু কাউকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া জঘন্য অপরাধ। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ, বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
অভিযুক্ত শিক্ষার্থী ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত— এমন অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছেন ফরহাদ। তিনি বলেন, শিবিরের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
ডাকসু নির্বাচনে সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) প্রার্থী মহিউদ্দিনও এ ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনিও বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উচিত অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসা।
চলমান মব কালচার নিয়ে রাষ্ট্রদূত তার কাছে জানতে চেয়েছেন উল্লেখ করে নাসির উদ্দিন বলেন, মব কালচার যেটা উনি জানতে চেয়েছেন। আমি বলেছি ভোটের এখনো দেরি আছে। যারা মব সৃষ্টি করে দেখবেন ভোটের সময় এলাকায় চলে যাবে। আর পাওয়া যাবে না। ঢাকা শহরই তো ভোটের সময় খালি হয়ে যায়। তাদের আর পাওয়া যাবে না।
৯ ঘণ্টা আগেবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘এতদ্বারা সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, আগামী ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ রবিবার অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ক্লাস ও পরীক্ষা চলমান থাকবে। আসন্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫ উপলক্ষে আগামী ০৮ সেপ্টেম্বর সোমবার থেকে ১০ সেপ্টেম্বর
৯ ঘণ্টা আগে