
প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম

দেশে ৩১ ঘণ্টার ব্যবধানে চার বার ভূমিকম্পের ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে সবাই। সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণ হিসাব করার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছে সরকার। এবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোতে পাঠদান না করার নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের (মাউশি) সমন্বয় শাখা থেকে দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ সব প্রতিষ্ঠান ও দেশের সব শিক্ষা কর্মকর্তাকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবন ও অন্যান্য স্থাপনার ক্ষেত্রে করণীয় হিসেবে নির্দেশনা দিয়ে চিঠিতে বলা হয়েছে, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোতে পাঠদান না করে বিকল্প ব্যবস্থা করতে হবে। সে ক্ষেত্রে অস্থায়ী শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করতে হবে কিংবা অনলাইন ক্লাস চালু করতে হবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, বিদ্যালয়ের ভবনগুলো নিয়মিত পরিদর্শন করার পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো চিহ্নিত করতে হবে। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো সংস্কার করতে হবে। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোতে সতর্কতা চিহ্নও সংযুক্ত করতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্যও সাধারণ দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনাগুলোর হলো—
সোমবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়েও ভূমিকম্প পরিস্থিতি নিয়ে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এমআইএসটি), বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিভাগের বিশেষজ্ঞ শিক্ষক, ভূতত্ত্ববিদ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের সিদ্ধান্ত হয়েছে— বিশেষজ্ঞদের পাঠানো লিখিত সুপারিশ নিয়ে সরকার দ্রুত সময়ে আলোচনা করে টাস্কফোর্স গঠন করবে। ভূমিকম্পের বিষয়ে আশু করণীয় নিয়ে গঠিত টাস্কফোর্সে সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞরা যুক্ত থাকবেন। প্রধান উপদেষ্টাও ভূমিকম্প নিয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেন।
এর আগে গত শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে ৫ দশমিক ৭ মাত্রার একটি ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশ। আবহাওয়া অফিসের তথ্য বলছে, ভূমিকম্পের উৎপত্তি ছিল নরসিংদীর মাধবদীতে, ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে।
ওই ভূমিকম্পে ঢাকার বংশালের কসাইটুলীতে একটি ভবনের রেলিং ভেঙে পড়ে তিন পথচারী প্রাণ হারান। মুগদার মদিনাবাগ এলাকায় নির্মাণাধীন আরেক ভবনের রেলিং ধসে পড়লে নিহত হন এক নিরাপত্তা কর্মী। নারায়ণগঞ্জে দেয়াল ধসে পড়লে প্রাণ হারায় এক শিশু। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল যে নরসিংদী, সেখানে ভূমিকম্পে প্রাণ হারিয়েছেন পাঁচজন।
সব মিলিয়ে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ জনে। সারা দেশে আহত হয়েছেন ছয় শতাধিক মানুষ। দেশের বিভিন্ন জেলায় বেশ কিছু ভবনে ফাটল দেখা যায় ভূমিকম্পের পরে। কয়েকটি ভবন হেলেও পড়ে।
এ ভূমিকম্পের পরের ৩১ ঘণ্টার মধ্যে রাজধানী ঢাকা ও এর আশপাশে আরও অন্তত তিনটি ভূমিকম্প সংঘটিত হয়েছে। এতে আতঙ্ক ছড়িয়েছে জনমনে।

দেশে ৩১ ঘণ্টার ব্যবধানে চার বার ভূমিকম্পের ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে সবাই। সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণ হিসাব করার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছে সরকার। এবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোতে পাঠদান না করার নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের (মাউশি) সমন্বয় শাখা থেকে দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ সব প্রতিষ্ঠান ও দেশের সব শিক্ষা কর্মকর্তাকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবন ও অন্যান্য স্থাপনার ক্ষেত্রে করণীয় হিসেবে নির্দেশনা দিয়ে চিঠিতে বলা হয়েছে, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোতে পাঠদান না করে বিকল্প ব্যবস্থা করতে হবে। সে ক্ষেত্রে অস্থায়ী শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করতে হবে কিংবা অনলাইন ক্লাস চালু করতে হবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, বিদ্যালয়ের ভবনগুলো নিয়মিত পরিদর্শন করার পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো চিহ্নিত করতে হবে। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো সংস্কার করতে হবে। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোতে সতর্কতা চিহ্নও সংযুক্ত করতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্যও সাধারণ দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনাগুলোর হলো—
সোমবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়েও ভূমিকম্প পরিস্থিতি নিয়ে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এমআইএসটি), বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিভাগের বিশেষজ্ঞ শিক্ষক, ভূতত্ত্ববিদ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের সিদ্ধান্ত হয়েছে— বিশেষজ্ঞদের পাঠানো লিখিত সুপারিশ নিয়ে সরকার দ্রুত সময়ে আলোচনা করে টাস্কফোর্স গঠন করবে। ভূমিকম্পের বিষয়ে আশু করণীয় নিয়ে গঠিত টাস্কফোর্সে সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞরা যুক্ত থাকবেন। প্রধান উপদেষ্টাও ভূমিকম্প নিয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেন।
এর আগে গত শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে ৫ দশমিক ৭ মাত্রার একটি ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশ। আবহাওয়া অফিসের তথ্য বলছে, ভূমিকম্পের উৎপত্তি ছিল নরসিংদীর মাধবদীতে, ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে।
ওই ভূমিকম্পে ঢাকার বংশালের কসাইটুলীতে একটি ভবনের রেলিং ভেঙে পড়ে তিন পথচারী প্রাণ হারান। মুগদার মদিনাবাগ এলাকায় নির্মাণাধীন আরেক ভবনের রেলিং ধসে পড়লে নিহত হন এক নিরাপত্তা কর্মী। নারায়ণগঞ্জে দেয়াল ধসে পড়লে প্রাণ হারায় এক শিশু। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল যে নরসিংদী, সেখানে ভূমিকম্পে প্রাণ হারিয়েছেন পাঁচজন।
সব মিলিয়ে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ জনে। সারা দেশে আহত হয়েছেন ছয় শতাধিক মানুষ। দেশের বিভিন্ন জেলায় বেশ কিছু ভবনে ফাটল দেখা যায় ভূমিকম্পের পরে। কয়েকটি ভবন হেলেও পড়ে।
এ ভূমিকম্পের পরের ৩১ ঘণ্টার মধ্যে রাজধানী ঢাকা ও এর আশপাশে আরও অন্তত তিনটি ভূমিকম্প সংঘটিত হয়েছে। এতে আতঙ্ক ছড়িয়েছে জনমনে।

এর আগে, এদিন ঢাকার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলে যমুনা ভবনের পেছনে এক্সটেনশনে সন্ধ্যা ৬টা ১৩ মিনিটে আগুন লাগার সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস। সংবাদ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। খবর পাওয়া মাত্রই ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আগুনের উৎস বা কারণ সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।
৪ ঘণ্টা আগে
ব্যারিস্টার সারা হোসেন বলেন, সিআরপিসি (ফৌজদারি কার্যবিধি) আইন সংশোধন ও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনার অন্তর্ভুক্তি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি। তবে বাস্তব প্রয়োগে এখনো ঘাটতি রয়ে গেছে। সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এখনো অনেক কাজ বাকি।
৫ ঘণ্টা আগে
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম বলেছেন, গুজব ও অপতথ্যের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমকে শক্ত অবস্থান নিতে হবে। একই সঙ্গে গণমাধ্যমের ওপর জনগণের আস্থাহীনতা দূর করাও জরুরি।
৫ ঘণ্টা আগে